![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ১৫ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবর-দখল করে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী। কয়েক দশক ধরে ব্যাপক পরিকল্পনার পর ৬৫ বছর আগের এই দিনে ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে নেয়।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করার পর থেকে প্রতি বছর এ দিনটি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী বা নাকাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আরবি নাকাবা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিপর্যয়’। ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিন দখল করার পর পর্যায়ক্রমে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নিজ মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করে। বর্তমানে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ঘর-বাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন দেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নাকাবা অর্থাত বিপর্যয় দিবস শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় বরং তা সমগ্র আরব জাতির জন্য প্রযোজ্য। কারণ অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর সমগ্র অঞ্চলে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এটি এমন এক বিপর্যয় ৬৫ বছর পরও যার রেশ এখনো কাটেনি। কারণ শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে এবং এই বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে। জাতিসংঘে গৃহীত ১৯৪ নম্বর প্রস্তাবে ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার ওপর জোর দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করাটা আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থী সমস্যার সমাধান না হলে ফিলিস্তিন সংকটেরও সুরাহা হবে না। কারণ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব শরণার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
১৯১৭ সালে বৃটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস অর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য তথাকথিত আবাসভূমি বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বৃটেনের সম্মতির কথা ঘোষণা করে। এই ঘোষণা বেলফোর ঘোষণা নামে খ্যাত । এ ঘোষণা অনুযায়ী ব্রিটেন ফিলিস্তিনে কথিত ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করে । ফিলিস্তিন সে সময় বৃটেনের কর্তৃত্বাধীনে ছিল। অবশেষে বেলফোর ঘোষণার ৩১ বছর পর ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের সমস্ত অধিকার পদদলিত করে ব্রিটেন ও আমেরিকার সহযোগিতায় অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
তবে, এ ঘটনার এক বছর আগে ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গ্রহণ করে। ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদি এ দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, ফিলিস্তিনকে আরব বিশ্ব থেকে আলাদা করে সেখানে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনে বিপর্যয় সৃষ্টির এক বছর আগে জাতিসংঘে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৫মে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা এ দিনটিকে নাকাবা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। ফিলিস্তিনিদের এ দুর্দিনে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা কোনোভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিন বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের জন্য পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে। কারণ মুসলিম দেশগুলো যদি তাদের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে পাশ্চাত্যের বলদর্পী শক্তিগুলো নিজেদেরকে সংযত করে চলবে। আর যদি মুসলিম দেশগুলো সচেতন না হয় তাহলে সব দিক থেকেই পাশ্চাত্যের আগ্রাসনের শিকার হবে। এ প্রসঙ্গে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে চলমান নিরাপত্তাহীনতা ও সংকটের কথা উল্লেখ করা যায়।
২| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইসরাইল এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে তার জনগণ ছিল না। জনগণকে সারা পৃথিবী থেকে ধরে এনে এখানে বসতি স্থাপন করা হয়েছে। ধর্মের নামে একটা অদ্ভুত কাণ্ড।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
ইয়ার শরীফ বলেছেন: জোর জার মুল্লুক তার। ের বাস্তব উধাহরন
মধ্যপ্রাচ্চে স্থায়ী অশান্তির বীজ বপন করা হয় ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আরো বিস্তারিত আশা করেছিলাম।
পোস্টে +++
ধন্যবাদ