![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অশিক্ষিত জনগণ সঠিক নেতা নির্ধারণ করতে পারে না। বিষয়টি প্রমানিত সত্য এই কারনে যে, গত মেয়র নির্বাচন সমুহে তারা ৫ জন সন্ত্রাসীকে নির্বাচিত করেছে। এবার আসছে জাতীয় নির্বাচন; এখানেও তাদের দ্বারা ঐ একই ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তবে, সেক্ষেত্রে জাতির ভাগ্য নিয়ে তো ছিনিমিনি খেলা যায় না! নেতা নির্বাচন করার জন্য ভোট প্রদান জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, আর ওই নেতা ক্ষমতায় যেতে পারবে কিনা সেই দায়িত্বটা থেকে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের উপর। তাই এবার আমরা যে নির্বাচন করবো তা হবে ‘দুধভাত নির্বাচন’।
সংসদে বিল উত্থাপন করে কিংবা মন্ত্রীপরিষদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবেই এই নির্বাচন কিভাবে হবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যে কেউ আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে এমপি, মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে পারে তবে ক্ষমতা থেকে যাবে বর্তমান চিরস্থায়ী গণতান্ত্রিক সরকারেরই কাছেই। ওরা তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী সব রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে শুধুমাত্র ক্ষমতা ছাড়া। ওরা হবে ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদার”-এর মতো।
আমরা আগামী নির্বাচনে সব রকম প্রচেষ্টা চালাবো এ দেশের মূর্খ জনগণকে বুঝাতে যে, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস নয়, সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ওদের গোয়েন্দা বাহিনী। ওদের সাথে ক্ষমতাসীনদের আছে গভীর সম্পর্ক। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বর্তমান সরকারি দলকে ভোট না দিয়ে কোনো উপায় নেই। তাছাড়া আমরা চেষ্টা করবো ইভিএম (মেশিন) দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে নিজেদেরকে জয়ী ঘোষণা করার। তারপর ও যদি পরাজয় বরণ করতে হয়, তখনই নির্বাচনকে ‘দুধভাত নির্বাচন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। এতে যদি বাকি মুসলমান দেশসমূহের মতো এদেশেও গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়, সমস্যা নেই তাতে, এদেশের জনসংখ্যা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি, ১/২ কোটি নিপাত হলে বরং দেশের জন্য আরো ভালো। আমরা সবসময় দেশের ভালোটাই চাই। এতে কোনো সমস্যা নেই কারণ ভারত, আমেরিকা এমনকি জাতিসংঘও চায়, এই দেশটিতে অন্যান্য মুসলমান দেশসমূহের মত গৃহযুদ্ধ শুরু হোক।
আর এজন্য দেশের ৯০ ভাগ লোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করলেও ওরা আমাদেরকে রাতের আঁধারে এগিয়ে যেতে বলে পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমাদের সমস্যা কোথায়? পৃথিবীটাকে তো মহান আল্লাহ পাক চালাচ্ছেন না (নাঊযুবিল্লাহ) চালাচ্ছে তো ইহুদী, নাছারা ও মুশরিক গোষ্ঠী, ওদের সাথে ভালো সম্পর্ক মানেই স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থেকে যাওয়া। আমরা স্মরণ করতে চাই না ১৯৭৫ সালের গটনার কথা যে, ‘আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর’। তাই ‘দুধভাত নির্বাচনই আগামী নির্বাচনের একমাত্র সমাধান।
©somewhere in net ltd.