নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগে সকলকে শুভেচ্ছা

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি : আগামী রাজনৈতিক অস্থিরতার কিছু ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২

গত ১৬ এপ্রিল ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক পত্রিকা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর প্রথম পাতায় ২টি সংবাদ পরিবেশিত হয়। সাধারণ পাঠকের নিকট তেমন অর্থবহন না করলেও যারা অতীতকে স্মরণ করতে সক্ষম এবং বিশ্ব মুসলিমের ধারাবাহিক ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে নজর রেখে থাকেন, তাদের জন্য বিষয়টি ভয়ঙ্কর। একটি সংবাদ ছিল হাস্যোজ্জ্বল ড. ইউনূসের এবং শিরোনাম ছিল “নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা।” খুব ভালো কথা। আর অপর সংবাদটি হচ্ছে, “প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পিটার কিংয়ের চিঠি।” সংবাদটির মূল বক্তব্য ছিল, পিটার কিং যুক্তরাষ্ট্রের কত সব পোর্ট ফোলিও নিয়ে কর্মরত তার হিসাব। তিনি সন্ত্রাস দমনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সফলতায় আবেগে আপ্লুত। তিনি এ বিষয়ে এত বেশি আনন্দিত যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তৃতীয় বিশ্বের মুসলমান এই দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে শুধু চিঠি লিখে ও ধন্যবাদ দিয়ে সন্তুষ্টি নন তিনি আগামী জুলাই মাসে এ দেশে বড় এক সরকারি দল নিয়ে সফর করতে আসছেন। তার এই প্রশংসা শিয়াল, কাকের মুখ থেকে গোশতের টুকরো খাওয়ার জন্য কাকের কন্ঠস্বরের প্রশংসা করার মতো। সে নিজেকে শিয়ালের মতো চালাক ধারণা করছে আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাক সমতুল্য বোকা ধারণা করছে। তার এই অযাচিত প্রশংসা কেন গ্রহণযোগ্য নয় তা বুঝতে হলে প্রথমেই জানতে হবে লোকটি আসলে কোন মানসিকতার। আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের মধ্যে পিটার কিং হচ্ছে অন্যতম কট্টর ইসরাইল সমর্থক এবং চরম ইসলাম বিদ্বেষী এক কংগ্রেসম্যান।



ইসরাইলের মতো চরম ন্যক্কারজনক এক বর্ণবৈষম্যবাদী দেশের প্রতি তার আনুগত্যতা অনেক ক্ষেত্রে তার নিজ দেশ আমেরিকার প্রতি আনুগত্যতার চেয়েও বেশি বলে ধারণা করা হয়। যাচাই করতে ক্লিক করুন। সে নিউইয়র্কের সে অংশটির প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে কোন মুসলমান বসবাস করে না। (হয়তো বা বসবাস করতে দেয়া হয়না।) আমেরিকাতে যত মুসলমান বাস করে, সকলের কাছে সে সবচেয়ে ঘৃণিত কংগ্রেসম্যান।



গণতান্ত্রিক এবং আস্তিক/নাস্তিক আন্দোলনে শতাধিক মানুষ পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করার পরও তার কাছে রয়েছে ব্যাপক প্রশংসা। ধারণা করা যায়, গণতন্ত্রে পুলিশের গুলিতে জনসাধারণের মৃত্যু একান্ত স্বাভাবিক একটি বিষয় তার কাছে। সে নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান সরকারকে আরো বেশি প্রশংসা এবং সহযোগিতা দিয়ে যাবে; যাতে সরকার ধারণা করে পিটারের দেশ তার সাথেই আছে।



আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত। ওরা প্রশংসা আর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েই সকল মুসলমান নেতাদের গাছে উঠিয়ে শেষ মুহূর্তে মইটা সরিয়ে নেয়। গত বিএনপি সরকারের সময়ও ওরা ঠিক তাই করেছে। ওরা প্রশংসা আর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মুসলমান নেতৃত্বদের ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্রলুব্ধ করে আর তারপর টুটিটি চেপে ধরে। ইয়াহিয়া খানকে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের আক্রমণ, সাদ্দামকে দিয়ে কুয়েত দখল সবই ছিল তাদের পরামর্শে।



অন্য খবরটি ছিল ড. ইউনূস। সে হচ্ছে হারাম সুদের রাজা এক কাট্টা নাস্তিক। গত তত্ত্বাবধায়কের সময়ই পিটারের দেশ চেয়েছিল তাকে একটা রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসাতে। যা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে বুদ্ধিমত্তার সাথে। এবারও তারা ওই সুদের রাজাকে আরো বেশি সম্মান, আরো বেশি পুরস্কার দিচ্ছে। পৃথিবীর কোন পুরস্কার তাকে দেয়া বাদ নেই। কেউ যদি আকাশের চাঁদটাকে ধরে এনে মানবজাতিকে উপহার দেয়, সেও বোধহয় এত প্রশংসা কিংবা এত বেশি পুরস্কার পাবেনা; যা এই নাস্তিক ইউনূস পেয়েছে।



আসলে বিষয়টা অনেক গভীর এক ষড়যন্ত্র। নাস্তিক ইউনূসকে তৈরি করা হচ্ছে আগামী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। এদিকে সিআইএ পরিচালিত বেশ কয়েকটি এনজিওভিত্তিক দল ব্যাপকভাবে মাঠ পর্যায়ে গণসংযোগ শুরু করছে বিরোধী দলীয় নেতা ও সমর্থকদের সাথে। পিটার কিংয়ের মতো মুসলমানদের শত্রুরা বর্তমান সরকারকে চাপের মুখে রেখেছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যাতে কঠিন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে। আবার অপরদিকে বিরোধী দলীয় কোন সংবাদ পত্রকে বন্ধ করে দিলে তার বিরুদ্ধে তাদের কোন বক্তব্য নেই। উদ্দেশ্য কি বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা, না সরকারকে চরমভাবে ডুবানোর সূক্ষ্ম পরিকল্পনা?



আঞ্চলিক শক্তি ভারত এবং আন্তর্জাতিক শক্তি আমেরিকা ও ন্যাটোর প্রশংসা ও সহযোগিতার উপর ভর করে বর্তমান সরকার বিরোধী দলসমূহের উপর দমন এবং নাস্তিকতার পক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বাধ্য হতে পারে। এতে সরকার মনস্তাত্ত্বিভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে; মুসলমানদের শত্রুদের মূল চাহিদা।



যখন রাজনৈতিক গুম, হত্যাযজ্ঞ ও অস্থিরতা এক চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং দেশের মানুষ কায়মনে বাক্যে চাইবে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসুক। তখন বহিঃশক্তিও চাইবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের। সেনাপ্রধানের উপর চাপটা হবে, “হয় জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ক্ষমতা দখল কর, কিংবা জাতিসংঘ মিশন থেকে সমস্ত (সেনা/পুলিশ) সদস্য ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত হও।” তখন সংবিধান ক্ষতিগ্রস্ত নয়, সংবিধান রক্ষা করতেই সেনাবাহিনী ক্ষমতায় যেতে বাধ্য হবে। সংবিধান মইন উ আহম্মককে ক্ষমতা দখল করতে বলেনি। কিংবা ৫৭ জন অফিসারের হত্যার সময় ২ দিন অপেক্ষা করতে বলেনি। প্রতিটি কাজই ছিল সংবিধান বহির্ভূত।



যাদের আদেশ-নির্দেশে সে ওইসব কাজ করেছে সে এখন ওই দেশেরই (আমেরিকা) নাগরিক। মীর জাফরেরও উচিত ছিল ক্লাইভের হাতে দেশটা তুলে দেয়ার পর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে ওই দেশে চলে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে হয়তো আরো কিছুদিন মৃত্যুকে এড়িয়ে চলতে পারতো মইন উ আহম্মকের মতো। এবারের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও নির্বাচিত হবে বহিঃশক্তির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এবং তার প্রধান হবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পুরস্কার ও সম্মানপ্রাপ্ত ব্যক্তি, নাস্তিক এবং সুদের রাজা ড. ইউনূস। এ পর্যন্ত যতগুলো মুসলমান দেশ শত্রুর প্ররোচনায় গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সেদেশগুলোতে সেনাবাহিনীও ছিল এবং গোয়েন্দাবাহিনীও ছিল, কিন্তু ওরা কোন কাজেই আসেনি। এক্ষেত্রে পিটার কিংয়ের পাতা ফাঁদে পা না দেয়াটাই হবে বর্তমান সরকারের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০২

এম আর ইকবাল বলেছেন: এটা কি অস্বীকার করা যায়, সেনা শাসনের সময়টায় দেশের সাধারণ মানুষ অনেক ভাল ছিল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.