![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচন আমাদের, আমরা নির্বাচন করবো কাদের দ্বারা আমরা পরিচালিত হব আগামী পাচঁ বৎসর। ওরা কেন এত ব্যাস্ত? রাত-দিন মিটিং বিভিন্ন দলের সাথে, সেনাবাহিনীর সাথে, কিংবা হিন্দু/খ্রিষ্টান কুটনৈতিকদের মধ্যে, বিষয়টি সাধারন বাংলাদেশীদের বুঝতে পারার কথা নয়, এমনকি আমাদের তথাকথিত দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিদের একটি বড় অংশও তা বুঝতে পারে না।
বিষয়টি হচ্ছে ইসলামের শত্রুরা পৃথিবী জুরে মুসলমানদেরকে যে ভাবে ধ্বংশ করে যাচ্ছে তার একটি বড় ধরনের স্বার্থকতা তারা অর্জন করেছে এদেশের বর্তমান সরকারকে গত ৫ বৎসর ক্ষমতায় বসিয়ে। এ দেশের ইসলামের উপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে তা অক্ষুন্য রাখতে হলে হয় আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন কিংবা তা না হলে অন্তত নাস্তিক ইউনুস কে দিয়ে একটি সেনা সমর্থিত সরকার।
আগামী ৫ বৎসর ইউনুস দেশ চালাবে পশ্চিমা এবং ভারতের সব রকম সহযোগীতা নিয়ে। তবে ঐ নাস্তিকের দায়িত্ব হবে ভিতর থেকে এদেশের ইসলামকে ধ্বংশ করে দিতে আপ্রান চেষ্টা চালানো তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের মত।
ভারত আমেরিকা ভালো করেই জানে যে ৯০ ভাগেরও বেশি লোক তত্বাবধায়ক সরকার চায় কিন্তু রাতের আধারে হাসিনাকে তাদের পরামর্শ হচ্ছে ৯০ ভাগ কেন শতকরা ১০০ ভাগ লোকও যদি তত্বাবধায়ক সরকার চায় তা দেয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ নির্বাচনে জয়/পরাজয়ের দায়িত্ব জনগনের নয় তাদের গোয়েন্দা বাহিনীর। সেই সাথে মুর্খ এবং দূরদৃষ্টিহীন আওয়ামী দালালরাতো আছেই। এদেশের মুর্খ মুসলমান এবং আওয়ামী সমর্থকরা ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে কিছু চিন্তা করতে পারেনা। “ওদের ব্যাক্তিস্বার্থ দেখ/ভাল করা আর এ দেশ থেকে ইসলামকে চিরতরে বিতারিত কর”।
গত ৫ বৎসরে শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে এদেশের ইসলামের যত ক্ষতি করা সম্ভব হয়েছে তা গত ৪০ বৎসরে কোন সরকারকে দিয়ে করানো সম্ভব হয়নি। এ হচ্ছে ইসলামের শত্রুদের সকল কর্মকান্ডের মূল লক্ষ্য।
কথা হচ্ছে কাজটা তারা কিভাবে করবে? “ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিং করে আওয়ামীলীগকে যদি পুনরায় ক্ষমতায় আনা সম্ভব হয় সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই তবে বাংলার মুসলমান বেইমানের জাত, (নাউযুবিল্লাহ) উপরে উপরে সমর্থন দেখালেও ভোটের সময় দেখা যাবে বি এন পিকে ভোট দিয়ে বসেছে”। সে ক্ষেত্রে করনীয় কি? আওয়ামীলীগ কিংবা জামাতের সন্ত্রসীদের দিয়ে এমন ধংশাত্বক কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক, যাতে তত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতায় আনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যদি নির্লোভ সেনাবাহিনী প্রধান ক্ষমতা নিতে না চান তখন কি হবে? বাধ্য করা হবে ক্ষমতা নিতে। জাতিসংঘ( ইহুদী সংঘ ) বলবে “হয় ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশ রক্ষা কর অন্যথায় সেনাবাহিনীর সকল সদস্য দেশে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত হও”।
তাছারা আওয়ামীলীগও সেনাবাহিনীকে ক্ষমতায় চাইবে বি এন পির ক্ষমতায়ন ঠেকাবার জন্য। ইসলামের শত্রুদের হুমকি ধমকী ছাড়া, প্রস্তাবটা আসবে এই ভাবে, “ড: ইউনুসকে সরকার প্রধান করে ক্ষমতা দখল কর, পাচঁ বৎসর তোমাদের ক্ষমতায় রাখা হবে এবং শর্ত হচ্ছে আওয়ামীলীগের সেনা হত্যার বিচার করা যাবে না”। এদেশের কোন সেনাপ্রধানের পক্ষে কি সম্ভব এহেন একটি চাপ এবং সেই সাথে লোভনীয় এক প্রস্তাব উপেক্ষা করার?
ভারত, আমেরিকা কিংবা জাতিসংঘ সকলেই এদেশের মুসলমানদের ধ্বংশ দেখতে চায় তবে তারতম্য শুধু এতটুকুই যে, কে এই ১৭ কোটি মুসলমানদের ভবিষ্যৎ ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হবে? আমেরিকা চাইবে ফখরুদ্দিন ধরনের তত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এদেশকে নিয়ন্ত্রন করতে, আর ভারত চাইবে আওয়ামীলীগকে যে করেই হোক আবার ক্ষমতায় এনে দ্রুত সিকিমের মত বাংলাদেশকেও একটি অংগরাজ্যে পরিণত করতে।
বর্তমান পরিস্থিতে ভারতের পাল্লা ভারী কারন আওয়ামীলীগ দল ক্ষমতায় আছে শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকারের সকল উপদেষ্টারা কাট্টা ভারত পন্থী। কয়েক জন আছে যারা নিজ দেশের চেয়েও ভারতকে বেশী ভালোবাসে। বাংলাদেশ / ভারত ক্রিকেট খেলা হলে তখন তারা ভারতীয় দলের পক্ষেই থাকে, সচিব পর্যায়ে এমনকি সেনাবাহিনীর জেনারেল পর্যায়েও আছে তাদের পন্থী বেশ কয়েকজন। এমনই ছিল সিকিমের পরিস্থিতি ভারত কর্তৃক দখল হওয়ার পূর্বে।
এখানে ভারতের ভয়ের একটি কারন হচ্ছে, শত হলেও দেশটি মুসলমানদের, পরিকল্পনা বিগড়ে গেলে তার সেভেন সিসটার সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অপর দিকে আছে চীন, আছে পাকিস্থান। এদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি দূর্বল, তবে মরে যায়নি। এদেশের সবাই জানে ছাগল নাচে খুটির জোরে, আর আওয়ামীলীগ যেখানে দেশের ৯০ ভাগ লোক তত্বাবধায়ক সরকার চায় সে কিসের শক্তিতে এত লম্ফ/জম্ফ করছে? কারণ তার খুটিটা অত্যান্ত কাছে, সীমান্তের ওপারেই। ইসলামের শত্রুরা মুলত কি চায়? কেন চায়? তা একজন আওয়ামী সমর্থনকারীকে কখনও বুঝানো সম্ভব না। কারণ মগজ ধোলাইকৃত এসব গন্ডমূর্খ, দল আওয়ামীলীগকে ধর্ম হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছে নিজের অজান্তে। তারা কখনই দলের কোন সিদ্ধান্ত কিংবা কাজ ভুল বলে স্বীকার করবেনা, ঐ সব সিদ্ধান্তের কারনে যদি জাত/ধর্ম/ দেশ সব শেষ হয়ে যায় তাতেও না।
আমাদের দেশের তৃতীয় শ্রেনীর গোয়েন্দা বাহিনী কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের এহেন ক্রান্তীলগ্নে বসে থাকবে কখন বিদেশী প্রভূরা আদেশ করবে, তাদের কথা মত কাজ করতে। মুখে বলে দেশের গোয়েন্দা, আসলে এরা দলীয় সরকারের পা চাটা গোলাম, তাই রাজনৈতিক ক্রান্তীলগ্নে আমরা দেশের স্বার্থে কখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। এতদ বিষয়ে প্রানিধানযোগ্য লিংকটি পড়া প্রয়োজন।
মহান আল্লাহপাক এদেরকে হিদায়েত দান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহযোগিতা করূন অথবা দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে তাদের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমীন, সুম্মা আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
অনেকের মধ্যে একজন বলেছেন: যার মুখ থেকে নাস্তিক কথাটা শুনি তাকেই আমার জামাত মনে হয়। কেন জানি না।