নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগে সকলকে শুভেচ্ছা

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের পঞ্চম শীর্ষ রেমিটেন্স সরবরাহকারী বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উপনিবেশ!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৫

'সিলিকন ইন্ডিয়া'র প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে রেমিটেন্স সরবরাহকারী পঞ্চম শীর্ষ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ! তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেপাল, ওমান, কাতার, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, ইতালী ও মালয়শিয়া। অর্থ্যাৎ পনেরটি দেশের মধ্যে সাতটি দেশই মুসলিম দেশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় পাঁচ লক্ষ এবং এই নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠায়। তাহলে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো পরিমানটা হিসেবে আনলে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে?



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের অনেক নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং কোন প্রকার ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই আমাদের দেশের পোষাক শিল্প, এনজিও এবং সুতা কাপড় শিল্পে উচ্চ বেতনে কাজ করছে! যেখানে আমাদের লক্ষ লক্ষ বেকার জনগোষ্টীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সরকার অপারগতা প্রকাশ করে চলেছে, সেখানে কী করে ভারতের নাগরিকদের জন্য এদেশের শ্রম বাজারকে এভাবে উন্মুক্ত করে দেয়?

অথচ বাংলাদেশের নাগরিকরা যখন ভারতে কোনো প্রয়োজনে যায় তখন যালিম ও সন্ত্রাসী বিএসএফ তাদের খুন করে লাশ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে! আর তারা অবৈধভাবে এখানে এসে জামাই আদরে থেকে কামাই করে নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা!

আমরা দেশবাসী আওয়ামীলীগ সরকারের হিন্দু প্রীতি থেকে সরে আসার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি, অন্যথায় জামাত প্রীতির জন্য যেভাবে বি.এন.পি’কে কাফফারা দিতে হয়েছে এবং হচ্ছে! ঠিক একইভাবে তাদেরকেও হিন্দুদের জন্য কঠিন কাফফারা দিতে হবে। তাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। যদিও ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আওয়ামী সরকারের ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারনই হলো মাত্রাতিরিক্ত হিন্দু তোষণ!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১৫

উপপাদ্য বলেছেন: ৪র্থ স্থানে ইউকে। ইউকে'র সাথে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স পরিমানের ডিফারেন্স হচ্ছে ১৮৮ ডলার

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

এম. রহমান বলেছেন: ভারতীয়রা গোটা গার্মেন্টস্ সেক্টরই দখল করে আছে এই সেক্টরে তাদের আধুনিক শিক্ষা, যোগ্যতা ইত্যাদি নানা বিচারে। গার্মেন্টস মালিকদেরও যেন ভারতীয়দেরকেই পছন্দ, ওদের কোনো বিকল্প নেই। অটো রাইচমিল, সিমেন্ট ফ্যাক্টরী, জ্যুস ফ্যাক্টরী, এফএম রেডিও স্টেশন, কম্পিউটার এবং এরূপ আরো অনেক ক্ষেত্রেই এই অবস্থা। এভাবেই চলছে বিগত ২০-২৫ বছর যাবত। বিভিন্ন কারনে এসব ক্ষেত্রে বিএনপি-আঃলীগ উভয় সরকারের আমলে প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গী এক ও অভিন্ন ছিল এবং আছে।
আপনার লেখায় যে একপেশে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে সত্যের লেশ নেই বললেই চলে।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ভারতের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রথমেই অবৈধ ভারতীয়দের বিরুদ্ধে প্রশাষনিক ব্যাবস্থা নিতে হবে- এ'ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করার কোন বিকল্প নাই।

দ্বিতীয়ত শিল্প কল কারখানার মালিকদের উৎসাহিত করতে হবে বিদেশীদের পরিবর্তে দেশীয় দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেয়ার জন্য। প্রয়োজনে এ'জন্য বাড়তি সুবিধা ( যেমন ১০০% দেশীয় শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা বা কর রেয়াত দেয়া) দেয়া যেতে পারে।

নাগরিক পর্যায়ে আমাদেরও এ'ব্যাপারে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে হবে। কোন প্রতিস্ঠানে কতজন অবৈধ বিদেশী শ্রমিক আছে সেটা স্থানীয় থানা বা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট করা যেতে পারে। সেই সাথে ঐসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ করা যেতে পারে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১০

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই এ বিষয়ে সরকারের নজর দিতে হবে... এদেশের যুব সমাজ ধুকে ধুকে মরছে আর আমরা অবৈধ বিদেশীদের জামাই আদর করছি......

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
তাইলে কথায় কথায় ভারত কেমনে আমাদের গরিব দেশ বলে অবজ্ঞা করে ?? X( X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.