![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূর থেকে নীলা হেঁটে আসছে। লম্বা ছিপছিপে দেহ, গায়ে একটা ধূসর রঙের কুর্তি। মেয়েটার গায়ের রঙ শ্যামলা তবুও এই রং ভালই মানিয়েছে। সব গল্প-উপন্যাসের নায়িকা হয় স্বর্গের হুরের মত, নাহয় আকাশের পরীর মত। কিন্তু মাঈদের ভালোবাসার মানুষটি তেমন কিছুই না। একদম সাদাসিধে একটা মেয়ে। দেখতে আহামরি সুন্দর না। অন্যসব মেয়ের মত আহ্লাদি না। একটু সিরিয়াস টাইপ, একটু বেশি প্র্যাক্টিকাল। এই অন্যরকম মেয়েটাকেই কেন যেন মাঈদের অনেক ভাল লাগে। হয়তবা এমন একটি মেয়েই সে জীবনসঙ্গী হিসেবে মনে মনে চেয়েছে। মাঈদ একটা কালো শার্ট পরেছে। অনেক বেশি হ্যাংলা পাতলা, মনে হয় একটু জোরে বাতাস হলেই উড়ে যাবে। নীলা সামনে এসে দাঁড়ালো।
- মাঈদ, রাইট?
- হুম।
দুজনই খুব অস্বস্তি ফিল করছে। এক মিনিটের নীরবতা। কেউ বুঝে উঠতে পারছেনা কি বলবে। উসখুস করছে দুজনই। এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়। মাঈদ বলল ‘চল রিকশায় উঠি’। দুজন পাশাপাশি বসে আছে। দুদিকে চাপতে চাপতে এমন অবস্থা যে আরেকটু হলে পড়েই যাবে।
সম্পর্কের ৩ মাস পর মাঈদ আর নীলার আজ প্রথম দেখা। এর আগে দুজন দুজনের কয়েকটা ছবি দেখেছে শুধু। সুযোগ হয়ে ওঠেনি দেখা করার। তাই অনেক পরিকল্পনার পর সব কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুজন আজ মুখোমুখি। বসুন্ধরা সিটির সামনে রিকশা থেকে নেমে পড়লো। দু' মগ কফির অর্ডার দিয়ে মাঈদ নীলার সামনে বসল। কারো মুখে রা নেই। এমন বোধহয় খুব কমই হয় যে প্রেমিক প্রেমিকা দুজনই এতটা ঘাবড়ে যায়। নীলাই মুখ খুলল ‘ম্যাসেঞ্জারে আসো’। সামনাসামনি বসে দুজন ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করছে।
মাঈদ- কেমন আছ?
নীলা- ভাল। তুমি?
মাঈদ- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
নীলা- মুখে বলা যায়না?
দুজনের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে। নীলা মনে মনে ভাবছে একটা ছেলে কিভাবে এতটা লাজুক হয়! আগেই জানত যে মাঈদ একটু লাজুক স্বভাবের। তাই বলে এতটা? তবে কিউট লাগছে ছেলেটাকে। এজন্যই মাঈদ কে ভালো লাগে নীলার। একদম অন্যরকম। সবার চেয়ে আলাদা। হাল ফ্যাশানের ধার ধারে না। নিজের মত চলে। বিশাল বড় ফ্রেন্ড সার্কেল নেই। মেয়ে ফ্রেন্ড তো নেই ই। শুধু নীলার কয়েকটা ফ্রেন্ড এর সাথে টুকিটাকি কথা বলে, এই যা। একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে। কোন বদ অভ্যাস নেই। একটু বেশি রাগী তবে ম্যানেজ করা যায়। ছেলেটা লজ্জায় মুখ তুলতে পারছেনা। কফি এতক্ষণে বরফ শীতল হয়ে গেছে। কেউ একটা চুমুকও দেয়নি। কিছুক্ষণ চ্যাট করার পর দুজন সেখান থেকে উঠে গেল। পাশাপাশি হাঁটছে। নীলা ভাবছে কিভাবে ছেলেটার লজ্জা ভাঙ্গানো যায়। সে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে কিভাবে মাঈদকে স্বাভাবিক করবে। সে মেয়ে, লজ্জা পেতেই পারে কিন্তু মাঈদ? হাঁটতে হাঁটতে মাঈদের গা ঘেঁষে এলো নীলা। নীলার গায়ের স্পর্শ পেতেই চমকে উঠল মাঈদ আর লজ্জায় গাল দুটো রাঙ্গা হয়ে গেল। কি বোকা ছেলেটা! নীলার একটু রাগই হল। তবুও ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল। যেমনই হোক মাঈদ তো তারই। শুধু ওর একার।
মাঈদ মফস্বলের ছেলে। শহুরে হালচাল তেমন বোঝেনা। রেস্টুরেন্টে গেলে এত মানুষের ভিড়ে সে অস্বস্তিবোধ করে। তাই কোনো নিরিবিলি রেস্টুরেন্টে যাওয়া চাই। কোলাহল তার পছন্দ না। তাই বেশিরভাগ সময়ই দুজন লেকের ধারে কাটায়। নীলা চায় মাঈদের সাথে ছবি তুলতে। চায় তাদের ভালোবাসার স্মৃতি একটু একটু করে জমুক। কিন্তু ছবি তুলতে মাঈদের একদম ভাল লাগেনা। তবুও মাঝে মাঝে দু' একটা তুলতে রাজি হলেই নীলা খুশিতে লাফিয়ে ওঠে। মাঈদ বুঝে উঠতে পারেনা ভ্যালেন্টাইন্স ডে, বার্থডে তে কি গিফট দেবে। এসব আদিখ্যেতা তার ভালোও লাগেনা। তবুও যখন নীলার বার্থডে তে ছোট্ট একটা ফ্লাওয়ার বুকে নিয়ে আসে আর বলে ‘চল তোমাকে একটা ড্রেস নিয়ে দি। আমিতো পছন্দ করতে পারিনা। তুমি ই পছন্দ করে নাও’। নীলা খুশিতে গদগদ হয়ে যায়। এভাবেই একজন আরেকজনের সাথে ভালোই মানিয়ে নিয়েছে।
সেদিন আবার দুজন সেই লেকপাড়ে গিয়ে বসেছিল। নীলার একই জায়গা বারবার ভালো লাগেনা। তাই বলেছিল চল এবার অন্য কোথাও যাই। কিন্তু মাঈদ না করে দিল। তার মতে সে আর নীলা একসাথে থাকলে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় সে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে পারবে। তা যত বোরিং জায়গাই হোক না কেন। তাহলে নীলা কেন পারবেনা। কিন্তু মাঈদ বোঝেনা সবাই তো এক না। একেক মানুষ একেক রকম। তাই একেক জনের চাওয়া পাওয়াও অন্যজন থেকে আলাদা। আর একেক জনের অনুভূতির প্রকাশ ভঙ্গিও স্বকীয়। তার মানে এই না যে প্রকাশ ভঙ্গি মেলেনা বলে অনুভূতিরও মিল নেই। নীলা মাঈদ কে বোঝাতে পারেনা এসব। ফেরার পথে রিকশায় বসে অন্যদিকে ফিরে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করে। মাঈদ হয়ত বুঝতে পারে, কিছু বলেনা। সে পারেনা সরি বলে বুকে টেনে নিতে অভিমানী মেয়েটাকে। এসব তার ধাতে নেই। রাতেই আবার সব ভুলে গিয়ে ছেলেটাকে আপন করে নেয়। নীলা বুঝতে পারে ছেলেটা এমনই। সে যেমন আছে সেভাবেই ভালোবাসবে নীলা। কোন অভিযোগ করবেনা। মাঈদ ও তো এই চার বছরে অনেক চেঞ্জ হয়েছে শুধুমাত্র নীলার জন্য। নিজেকে অনেকখানি বদলে নিয়েছে নীলার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য। তবুও চায় যেভাবেই হোক দুজন দুজনের পাশে থাকতে। তাদের জীবনের গল্প তপুর গাওয়া সেই গানটির সাথে মিলে যায়,
''তুমি চাও রোদ্দুর, আমি চাই আকাশ মেঘলা....
মেলেনা, আজ কিছু মেলেনা
ভালোবাসা বাঁচতে চাওয়া ছাড়া;
এ দুটোই মিলে যায়, বসে একা ভাবি তাই
এইকি বেশি না?''
কিন্তু এমন কম্প্রোমাইজ করে কতদিন চলবে? এভাবে কি ভালোবাসার বন্ধন টা আরো গভীর হবে? নাকি আস্তে আস্তে ভালোবাসাটুকু নিঃশেষ হয়ে যাবে? মাঈদ আর নীলার এর উত্তর জানা নেই। শুধু জানে দুজন দুজনকে ভালোবেসে যাবে আজীবন। অবশ্য এটা ঠিক কম্প্রোমাইজ না, আন্ডারস্ট্যান্ডিং। দুজন দুজগতের বাসিন্দা। দুটি ভিন্ন রং মিলেই তো নতুন রঙের সৃষ্টি হয়। টুকটুকে লাল আর গাঢ় সবুজ মিশে হলদের আবির্ভাব। তেমনি দুটি ভিন্ন রঙের মন যদি একে অন্যকে রাঙ্গাতে পারে তখনই তো ভালোবাসা পূর্ণতা পায়। হোক না একটু মনোমালিন্য। হোক না একটু ঝগড়াঝাটি। তবু তো দিনশেষে শুনতে পায় মিষ্টিমাখা একটি শব্দ ‘ভালোবাসি’......।
১৩.০২.২০১৫
০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া গল্পটি অনেক আগে লিখেছিলাম। ব্লগে আমার বেশিরভাগ পোস্ট ই বেশ আগের লেখা। ইদানিং তেমন লেখা হয়না।
ভালবাসা সমস্ত নাড়ি কাটিয়া হৃদয়ের সমস্ত রক্ত শুশিয়া একদিন পলায়ন করিবে
জীবন তো এমন ই ভাই। শুধু কল্পনার ভেলায় ভাসলে তো হয়না। জীবনের গল্প লিখতে গেলে বাস্তবতা চলেই আসে।
অনুরোধ করেছিলাম প্রেমকাব্য লিখিবার জন্য
অনেক তো প্রেম কাব্য লিখলাম। এবার তুমি লেখ। পড়ি।
গল্প পাঠে ধন্যবাদ ভাই।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি ভাল লেগেছে । সুন্দর লিখেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩২
উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
আপনার প্রশংসা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দানের নোটিশ পেয়ে এলাম । আবার তখন এলামই তখন মনে হল আরো দু একটি কথা বলে যাই ।
গল্পটি ছোট হলেও সুন্দর হয়েছে । প্রকাষ ভঙ্গী ও ভাষা সুন্দর ও সাবলিল হয়েছে । কোথাও অারস্টতা নেই । গল্পের পরিনতিও প্রচ্ছদ ছবির মত দু দিকের দু রাস্তা ধরে চলে যেতে পারে , তাই হয়তবা গল্পটির শেষ পর্যায়ে এসে বলা হয়েছে দুজন দুজগতের বাসিন্দা , তাই একটা অজানা আশংকা দেখা যায় গল্পে ফুটে উঠেছে ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: ফের এসে আপনার মূল্যবান মতামত রেখে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
গল্পের সমাপ্তি খোলা রেখে দিয়েছি (open end) তাই পরিনতি যে কোন কিছু হতে পারে। তা পাঠকের উপর নির্ভর করে। পাঠক হিসেবে আপনার বিশ্লেষণ যথার্থ। এ অজানা আশংকা ই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।
ভালো থাকবেন।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর উত্তরের জন্য । আপনার লেখায় আশংকা ই এর মত ই যুক্ত বেশ কিছু শব্দ আছে । এগুলিতে ই কে মুল শব্দের সাথে এমন ভাবে যথা আশংকাই লিখা যায় কিনা বিবেচনা করে দেখবেন । সেরকমভাবে যেখানে যেখানে যেমন চাওয়া পাওয়া ও অন্যজন এমন ও আছে সেখানে ও কে প্রথম শব্দের সাথে মিলিয়ে দিয়ে এমন করে
চাওয়া পাওয়াও অন্যজন লিখা যায় কিনা সেটাও একটু বিবেচনা করে দেখতে পারেন , অবশ্য আপনার লেখা আপনি যেভাবে খুশী লিখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য। আসলে মুখে উচ্চারণ করার সময় 'ই' 'ও' আলাাদা উচ্চারিত হয় বলে আলাদাভাবে লিখেছিলাম। পোস্ট দেয়ার আগে চোখ বুলিয়েছি কিন্তু এগুলো চোখে পড়েনি। এখন এডিট করে ঠিক করে দিচ্ছি।
আশা করি সবসময় এমন পাশে থাকবেন।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভালবাসার মানুষটার মধ্যে অমিল থাকার ব্যাপার অস্বাভাবিক নয়। তবে দুইজন দুই মেরুতে থেকে কি আর প্রেম হয়? বোঝাপড়া না হলে সেটা ভালবাসা বলে কিছু একটা মনেই হয় না। আপনার শিরোনামের সাথে তাই একমতও না।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪০
উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ গেম ভাই।
কতটুকু প্রেম হয় জানিনা তবে আশেপাশে এমন অনেক দেখি ভিন্ন মানসিকতার দুজন মানুষ দিব্যি সুখে সংসার করছে। ভালোবাসার বলেই বোধহয়। কেমন করে যেন বোঝাপড়া হয়েই যায়। সে ভাবনা থেকেই শিরোনাম এটা দেয়া।
আমার ব্লগে প্রথমবার এসেছেন। স্বাগতম
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর শিরোনাম, সুন্দর গ্রাফিক্স, সুন্দর গল্প। এত অল্প কথায় এত সুন্দর একটি গল্প ফুটিয়েছেন! অভিনন্দন!
এ জগত সংসারে মাঈদের মত ছেলেরাও থাকে। তাদেরকে হৃদয় দিয়ে বোঝার মত লোক খুব কম থাকে। নীলা বুঝেছেন, লেখিকা বুঝেছেন, এজন্য উভয়কে ধন্যবাদ।
একটু পরেই দু'জনের দু'পথ হয়তো দু'দিকে বেঁকে যাবে, নয়তো দু'জন একই পথে চলে আসবে। যেটাই হোক, তাদের মধ্যে ভালবাসা যেহেতু বাসা বেঁধেছে, সে ভালবাসাই তাদেরকে সঠিক পথটি দেখিয়ে দেবে। এ পথ বিয়োগাত্মক হলেও, তার মধ্যে সুখের কমতি থাকবেনা।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আপনার মত জ্ঞানী লোকের কাছ থেকে এত সুন্দর মন্তব্য আর প্রশংসা পেয়ে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত।
গল্পের চরিত্রগুলোর জীবন নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এ কথাটি
এ পথ বিয়োগাত্মক হলেও, তার মধ্যে সুখের কমতি থাকবেনা। জীবনের অভিজ্ঞতাপ্রসূত বাক্য।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা জানবেন।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩
টুনটুনি০৪ বলেছেন:
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: টুনটুনি আপু
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৭
শোভনের শোভন বলেছেন: সত্য বোঝার ক্ষমতা লোপে যা হয়,আমার তাই হয়েছ.।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: কেন ভাই? আমার গল্প পড়ে সত্য বোঝার ক্ষমতা লোপ পাবার মত কি হয়েছে?
পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে বোধহয় প্রথমবার এসেছেন। স্বাগতম
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৭
জুন বলেছেন: কিন্তু এমন কম্প্রোমাইজ করে কতদিন চলবে? এভাবে কি ভালোবাসার বন্ধন টা আরো গভীর হবে? নাকি আস্তে আস্তে ভালোবাসাটুকু নিঃশেষ হয়ে যাবে?
ভালোবাসাটুকুই নিঃশেষ হয়ে যায় অবিরত তাল মেলাতে মেলাতে উম্মে সায়মা । আপনার গল্প প্রথম পড়লাম আর খুব ভালোলাগলো ঝরঝরে নির্মেদ অনাবশ্যক অলংকারবিহীন গল্পটি পড়তে।
অবাক কান্ড আজ প্রথম দুটো পোষ্টটি পড়লাম বিয়োগান্তক ভালোবাসা নিয়ে
+
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জুন আপু। আমার ব্লগে স্বাগত জানাচ্ছি।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আপনার ছবিব্লগ দেখেছিলাম। খুব সুন্দর।
শুভ কামনা জানবেন।
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর শিরোনাম, সুন্দর গ্রাফিক্স, সুন্দর গল্প। এত অল্প কথায় এত সুন্দর একটি গল্প ফুটিয়েছেন! অভিনন্দন!
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু ভাই।
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের জন্য আপনার ছবিচয়ন খুব সুন্দর হয়েছে, এ কথাটা আলাদাভাবে উল্লেখের দাবী রাখে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। ছবিটি নেট থেকে নেয়া। আমার কোন কৃতিত্ব নেই। দেখে মনে হল গল্পের সাথে যায় তাই জুড়ে দিলাম।
ভালো থাকবেন।
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,
"দুটি ভিন্ন রং মিলেই তো নতুন রঙের সৃষ্টি হয়। টুকটুকে লাল আর গাঢ় সবুজ মিশে হলদের আবির্ভাব। তেমনি দুটি ভিন্ন রঙের মন যদি একে অন্যকে রাঙ্গাতে পারে তখনই তো ভালোবাসা পূর্ণতা পায়। হোক না একটু মনোমালিন্য। হোক না একটু ঝগড়াঝাটি। তবু তো দিনশেষে শুনতে পায় মিষ্টিমাখা একটি শব্দ ‘ভালোবাসি’......।"
এটুকুই সাধারন একটি গল্পকে অসাধারণ করে তুলেছে । দু'টি প্রান এমন হলে রংধনু উঠবেই জীবনাকাশে । +
[ অঃ টঃ তা আপনার ষ্টাটাস বদলেছে কি ? ]
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: প্লাসে অনুপ্রাণিত আহমেদ জী এস ভাই।
পাঠে এবং মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়।
[ না, স্ট্যাটাস আগের মতই আছে। ৩দিন.......। থাকুক। আপনারা তো পড়ছেন এটাই যথেষ্ট]
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো গল্প। তবে মাঈদকে বেশিই নাজুক মনে হল, একদম আমার মতো। এরকম ভালো না, পরে পস্তাতে হয়!
সর্বশেষ লাইনটিই মনে হয় ভালোবাসার প্রথম শর্ত।
ভালো লাগা রেখে গেলাম, মাঈদুলের প্রেমে ভালোবাসা।
আপনার প্রতি শুভকামনা সবসময়।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই।
এরকম ভালো না
ঠিক। তবু কেউ কেউ একটু বেশি লাজুক, অন্তর্মুখী হয়েই যায়।
সর্বশেষ লাইনটিই মনে হয় ভালোবাসার প্রথম শর্ত।
ভালোবাসা তো এমনই হয়
আপনার ভালো লাগা যত্ন করে রাখলাম।
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"তবু তো দিনশেষে শুনতে পায় মিষ্টিমাখা একটি শব্দ ‘ভালোবাসি’......। "
-তবুও সারাদিন হৃদয়ের মাঝে একটা বিশাল অনুভুতি, মনে হয়, এটাই ভালোবাসা
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।
ভালোবাসা বেঁচে থাকুক সবার মাঝে।
১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আমার অবস্থা মনে হইতেছে বাশেঁর মত, বাশেঁর নল ফুটো করিয়া যেমন কিছুই রাখা যায় না, কেননা তাহার কোন ধারনশক্তিই নাই। কিন্তু ফুঁ দিলে বাসি বাজে।
অনুভূতি বুঝিবার বা ধারন করিবার ক্ষমতা আমার নাই,এই অক্ষমতা লুকাই কি করিয়া,তাই আপনার ব্লগে লিখে রাখলুম বুবু ।
ভালবাসা কখন অভিমান বিস্ফোরিত হৃদয়ে নীরবে বাহির হইয়া গেল আমি জানিতেও পারি নাই। তবে পরাজয় মানিয়া এত সুখ বোধকরি কখনো হয় নাই ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২
উম্মে সায়মা বলেছেন: এত আক্ষেপ কেন রে ভাই? এত হতাশ হলে তো জীবন চলে না। জীবনের সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হয়।
তবে এ আক্ষেপ নাকি আসলেই হেরে জিতে যাওয়ার সুখের কথা বলছো পরিষ্কার না।
শেয়ার করে ভালো করেছো। নিজেকে হালকা মনে হবে। ভালো থেকো ভাই
১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
পরাজয় মানিয়া এত সুখ বোধকরি কখনো হয় নাই
এই যে বুবু, আপনার ব্লগে আমার স্রোতস্বিনী তন্বী নদীটির কথা লিখে রাখলুম,
কই, হৃদয়ের এত গভীরে অনুসন্ধান করিয়া দেখিবার প্রবৃত্তি আগে তো কখনো আমার হয় নাই ,
নিস্তব্ধ প্রকৃতি কথা আগে তো এমন করিয়া শুনিতে পাই নাই,
হৃদয়ের রক্তক্ষরন বা কবিতা যাই বলি না কেন ,
পূর্ণিমারাত্রে আমি আমি চাহিয়া দেখি, চাঁদটা এত উজ্জল, কই আগে তো কখনো দেখিনি,
আমার সমস্ত জগতের উপর হইতে একটা কালো পর্দা যেন ছিন্ন হইয়া পড়িয়া গেল ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: কে সেই স্রোতস্বিনী তন্বী নদী ভাই?
সে তো তোমার অন্তরচক্ষু মেলে দিয়েছে।
কথাগুলো সুন্দর লিখেছ। এইতো সুন্দর প্রেমকাব্য হয়ে যাচ্ছে।
১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১২
কালীদাস বলেছেন: কারও জন্য কখনও বদলানো উচিত না। প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের স্ববৈশিষ্ট্যেই অনন্য।
লেখাটা মুটামুটি লাগল
ক্যারি অন
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩০
উম্মে সায়মা বলেছেন: বদলানো উচিৎ না, বদলাবোনা। সবাই এমনটাই ভাবে। কিন্তু একসাথে থাকলে কিছু জিনিস মানিয়ে নিতে হয়। পরিবর্তন চলেই আসে। নিজস্ব অভিমত।
লাইক এবং মূল্যবান মন্তব্য প্রদানে ধন্যবাদ কালীদাস ভাই।
১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নতুন হিসেবে আপনার গল্পটি ভালো হয়েছে!
আশা করি সামনের দিকে আরো ভালো লিখতে পারবেন!
অনেক অনেক শুভকামনা!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
উম্মে সায়মা বলেছেন: উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই।
ভালো থাকবেন
১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভাবছি কি মন্তব্য করি , যা কিছু বলার ছিল উপরের সব বক্তরা বলেছেন ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: এই যে মন্তব্য করেছেন। আর ভাবতে হবেনা আমি বুঝে নিয়েছি শাহরিয়ার কবীর ভাই। ধন্যবাদ।
২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০
পুলহ বলেছেন: গল্পটা অনেক আগের দেখতে পাচ্ছি। নিশ্চই এখন আপনি লেখালেখিতে আরো অনেক পরিণত।
সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে গল্পের ব্যাপারে কিছু পর্যবেক্ষণ-
"দুজনই খুব অস্বস্তি ফিল করছে। "-- না লিখে "দু'জনেরই কিছুটা অস্বস্তি লাগছে।' লিখতে পারতেন।
"বিশাল বড় ফ্রেন্ড সার্কেল নেই। মেয়ে ফ্রেন্ড তো নেই ই। শুধু নীলার কয়েকটা ফ্রেন্ড এর সাথে টুকিটাকি কথা বলে, এই যা।"- এসব জায়গায় ফ্রেন্ড এর বদলে হয়তো বন্ধু ব্যবহার করা যেতো।
দেখা হওয়া থেকে শুরু করে সম্পর্কের চার বছর (মাঈদ ও তো এই চার বছরে অনেক চেঞ্জ হয়েছে... ) এ ট্রানজিশনটা বেশ আচমকা মনে হলো। গল্পকার এ ট্রানজিশনটাকে আরেকটু স্মুথ করার চেষ্টা করতে পারেন।
"দুটি ভিন্ন রং মিলেই তো নতুন রঙের সৃষ্টি হয়। টুকটুকে লাল আর গাঢ় সবুজ মিশে হলদের আবির্ভাব...."-- এ অংশটুকু খুবই ভালো লেগেছে।
লেখালেখি চালিয়ে যান। অবশ্যই, অবশ্যই আপনার জন্য শুভকামনা থাকবে সায়মা !
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২০
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা পুলহ ভাই। পাঠক হিসেবে আপনার পর্যবেক্ষণ এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ আমার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
হ্যাঁ গল্পটা অনেক আগের। তবে দুঃখের বিষয় হল এখনো তেমন পরিণত হতে পারিনি। তবু মাঝে মাঝে চেষ্টা করি। আপনাদের পাশে থেকে এমন গঠনমূলক সমালোচনা আশা করি। সে অনুযায়ী নিজের ঘাটতিগুলো পূরণের চেষ্টা করব।
সে সময় খেয়াল করিনি ইংরেজি শব্দগুলোর ব্যাপারে। আর ইদানিং পড়ার সময়ও চোখে পড়েনি। সময় করে সংশোধন করে নেব।
আর ট্রানজিশনের ব্যাপারে যেটা বললেন সেটা করতে গেলে তো উপন্যাস হয়ে যাবে। সে ধৈর্য এবং যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। তার চেয়ে বরং সময়টা কমিয়ে দেব। আসলে আমি শুধু দুজনের প্রথম দেখা নিয়ে গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খুব ছোট হয়ে গেছে বলে এতকিছুর অবতারণা।
আপনার শেষটুকু ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
শুভকামনায় আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
অনেকদিন পর বৃষ্টি হলো , তাই বৃষ্টি দেখতে দেখতে প্রেম কাব্য লিখতে মন স্থির করলাম, কিন্তু কেমন করে যেন বিচ্ছেদের গল্পই লিখে ফেললাম বুবু ।
লেখার পরে মনে হলো এটা কি লিখলাম,
মনে হয়, প্রেম কাব্য লিখতে গেলে সমস্ত জীবন হাতজোড় করে শুধু অপেক্ষাই করতে হবে। তাই যা লিখেছি তা তো আমার ভেতরেই কথা, তাই প্রেম কাব্য আর লেখা হলো না, তবে এইবার সত্য হয়তো দয়া করবেন.....
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: ভেতর থেকে যা আসে সেটাই প্রকৃত সত্য। তোমার বৃন্দাবন গল্প পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি। খুব সুন্দর লিখেছ। লেখা চালিয়ে যাও। শুভ কামনা রইল।
২২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০০
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
যদি এমন হতো, আপনার গল্পের নীলা প্রচন্ড অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মঈদের সাথে সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধা, বা মঈদের সাথে বিয়ে হবার পড়ে ,নীলা একটি সিন্ধান্ত নিতে চাইছে, যে সিন্ধান্ত নীলা নিতে চাইছে সেটা মঈদের জন্য তীব্র কষ্টের ও গ্লানির ।
কিন্তু এই প্রচন্ড দুঃসময়ে কেই তার পাশে দাড়াতে পারছে না । এরকম একটি দ্বন্দের গল্প লিখুন বুবু। তাতে আমি দ্বন্দ নিয়ে কিছুটা ধারনা পেতে পারি।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: হা হা হা। চাইলেই কি আর লিখে ফেলা যায়? আরো অভিজ্ঞতা জমুক। পরে চেষ্টা করব। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাই। ভালো থেকো।
২৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দুজন দু জগতের বাসিন্দা।
পড়লাম বেশ লিখেছেন কিন্তু এই রকম প্রেম-পিরিতি হয় নাকি !
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২০
উম্মে সায়মা বলেছেন: কে জানে! হয় হয়তোবা
গল্প পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ভাই।
২৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লেখকের কল্পনা কখনো কখনো বাস্তবতার প্রতিফলন, লেখকের লেখা সব পাঠক সব সময় আবিষ্কার করতে পারেনা । কে জানে! হয় হয়তোবা
আরো গল্প , কবিতা লেখেন পড়ি এবং লেখার রহস্যের গভীরে ডুব দিয়ে মুগ্ধ হই ।
ধন্যবাদ ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
উম্মে সায়মা বলেছেন: লেখকের লেখা সব পাঠক সব সময় আবিষ্কার করতে পারেনা
ভেতরের রহস্য অনেকসময় লেখকের নিজের কাছেও পরিষ্কার থাকেনা।
চেষ্টা করব আরো লেখার। দোয়া করবেন আর পাশে থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ভাই
২৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
হোটেলের বাইরে এসেই অরুনার মনে হলো আনিস তাকে তার হোটেলের ভিতরে যাবার অনুরোধ করেছিল, কিন্তু সে ছুটে বেরিয়ে আসল কেন,এমন ছেলেমানুষি কেন করল। অন্তত হোটেলের ভেতর পর্যন্ত যেতে পারত।
সন্ধ্যা নেমেছে ,বাসায় তার মেয়েটি তার জন্য হয়তো দুঃচিন্তা করছে, কিন্তু অরুনা ফুটপাত ধরে হাটছে, সে যাচ্ছে পরীবাগের দিকে,অথচ পরীবাগে তার পরিচিত কেউ থাকে না । তবুও সে ঐ দিকেই কেন যাচ্ছে সে নিজেও জনে না ।
দেখুন তো বুবু এভাবে কি ভেতরকার দ্বন্দের কথা প্রকাশ করা যায় ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এভাবে আরেকটু বোধগম্য হবে কাহিনী। সুন্দরর করে সম্পাদনা করে ফেলো ভাই। শুভ কামনা রইল।
আর আরো নতুন নতুন গল্প লিখ।
২৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গল্পটি ভাল লেগেছে ।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
ধন্যবাদ ফরিদ ভাই
২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৪
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয় ভাই।
আমার ব্লগে বোধহয় প্রথমবার এসেছেন। স্বাগতম।
২৮| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩২
নাগরিক কবি বলেছেন: ভালবাসা বড়ো'ই বেহায়া
ছোট গল্প হিসেবে আপনার গল্পটি অনেক ভাল হয়েছে।
২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: হুম একদম বেহায়া আপনি বেহায়া বলায় একটা গানের কথা মনে পড়ল... 'বেহায়া এ মন........'
আপনার অনেক ভালো মনে হওয়ায় অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই।
২৯| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৩
নাগরিক কবি বলেছেন: হাহাহাহা তা অন্য মেরু থেকে আপনার গান শুনবে'তো নাকি
২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: নাহ শুনবেনা। দুই মেরুর মাঝে যে লক্ষ মাইলের ব্যবধান।
৩০| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৪৬
নাগরিক কবি বলেছেন: হাহাহাহা, এইটা'তো ইন্টারনেট এর যুগ আপু সো টেনশন লইয়্যেন না। আমরা এখন মহাকাশেও যাই।
২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: আচ্ছা। গান ভয়েস মেইল করে পাঠিয়ে দি কি বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪০
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আশ্চর্য গল্পটি আগেই লেখা ছিল, কিন্তু পোষ্ট করেননি কেন বুবু....
তবে আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম প্রেমকাব্য লিখিবার জন্য, কিন্তু গল্পের শেষটা কেমন যেন লাগছে, একটি করুন মুখচ্ছবি, কেমন যেন এক অব্যক্ত মর্মব্যথা প্রকাশ করিতেছে.....মনে হয় যেন এই ভালবাসা সমস্ত নাড়ি কাটিয়া হৃদয়ের সমস্ত রক্ত শুশিয়া একদিন পলায়ন করিবে ।
নাকি আমরই বুঝিবার ভূল.....