![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
With the dream of a United Bangladesh for development and prosperity.
প্রচুর শিক্ষিত মানুষ এখন দুই ধরনের ভিডিও/ছবি শেয়ার করছে পত্রিকা ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে।
কেউ শেয়ার করে আইনশূংখলা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ভিডিও। কেউ দেখাচ্ছে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া মানব শরীর।
কেউ-ই কী আসলে জীবনের প্রতি ভালোবাসা থেকে এগুলো করছে? সন্দেহ আছে। বরং মনে হচ্ছে পরষ্পরের মুত্যুকেই যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছে এগুলো যেন।
বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি দুর্যোগের সম্মুখীন এখন।
প্রতিদিন অত্যন্ত বিভৎসভাবে এখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। কেউ মরছে আগুনে কেউ মরছে গুলিতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সমস্যার মূলে না তাকিয়ে যার যার দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মন্তব্য করে বেশিরভাগ মানুষ। তাদের মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি।
প্রতিটা প্রাণ মূল্যবান। এই বোধটা আমাদের মধ্য থেকে কীভাবে যেন ঊধাও হয়ে গেছে। আমাদের এই তরুণ গোষ্ঠি যদি তাদের দলীয় সংকীর্ণতা থেকে উপরে উঠতে পারতো তাহলে কিন্তু একটা আশাপ্রদ কিছু একটা ঘটতেও পারতো। কিন্তু সেটা হবার লক্ষণ একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। যেমন- যে পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের রক্ত শরীরে বহন করছে সে যেন কী কারণে কিছুতেই বুঝতে পারে না যে বর্তমান সরকার যে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রবঞ্চনা ও প্রতারণার একটা উলঙ্গ দৃষ্টান্ত । কিংবা বুঝলেও এই কথাটা সে স্বীকার করে না। যদি করতো তাহলে কিন্তু আশা করার মতো একট বিষয় হতো। শেখ হাসিনা ও তার প্রচারযন্ত্র যদি টের পেতো যে তাদের সব কাজই তাদের সমর্থকরা অন্ধভাবে মেনে নিচ্ছে না তাহলে কিন্তু তারা একটা দ্বিতীয় কিছু ভাববার চেষ্টা করতো। কিন্তু তাদের সেটা না করলেও চলে এখন।
গত কয়েক বছরে সরকারী বাহিনীর হাতে অনেক মানুষ নির্মমভাবে খুন হয়েছে, গুম হয়েছে।
আমাদের অনেকের ভাবনা হতে পারে- দেশে অনেক মানুষ আছে তাদের মধ্যে তিন হাজার মারা গেলে কিছু যায় আসে না।
কিন্তু এত মানুষ দেশে আসলো কি করে? তারা কলা গাছ ফুড়ে বের হয় নি। দেশে অনেক মানুষ মানে অনেক মানুষ অনেক মানুষেরই আত্মীয় বা স্বজন। সুতরাং একজন মানুষ মারা গেলে অনেক মানুষকে তা প্রভাবিত করে, করার কথা।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে সরকার যদি আন্দোলন দমানোর স্বপ্ন দেখে তবে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। আর জোর করে দেশ স্বাভাবিক আছে এই ভেক ধরার চেষ্টাটাও প্রতারণাপূর্ণ। দেশ ভালো থাকার কোন লক্ষণ দেশে নেই। শুধু দু একজনের বিবৃতিতে দেশ ভালো থাকার কথা নয়।
বিরোধীদল যে কর্মসূচী দিচ্ছে তা গ্রহণযোগ্যতা থাকার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ আসলেই কেয়ার করে না কে ক্ষমতায় আছে বা আসবে। তারা যেকোন মূল্যে একটা স্থিতিশীল অবস্থা চায়। রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে দেশের সকল দিক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। অবরোধ, হরতাল দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ডটাকে একেবারে গুড়িয়ে দিচ্ছে। যদি বুঝতো বিরোধী দল। প্রতিদিন এত মানুষের মৃতু্যর দায় তাদের সমান। তাদের মনোভাব দেখলে মনে হয় দেশের জনগণকে নারকীয় কষ্ট দিয়ে হলেও তারা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।
যদি কেউ একজন বুঝতো- সিংহাসনের চেয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়াটা অনেক বড় প্রাপ্তি!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ঐ যে কে বড় তাল গাছ না ঝড়ে !! সেই গল্পের মত, এখন দেখার বিষয় কে আসলে তাল গাছ !