নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Shafin ahmed

উপল০০৭

আমি একজন অপ্রত্যাশিত মানুষ।

উপল০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাড়িপাল্লায় ওজন করছে; মেয়েদের ন্যংটো করছে, বোরখা পরাচ্ছে-তসলিমা নাসরিন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

প্রিয় তসলিমা
আপনিতো পুরো পুরুষ জাতিকে হেয় করছেন আপনার এই কবিতার মাধ্যমে।তাহলে আপনি নিশ্চয় কুমারী?বয়স তো কম হয়নি তো আপনার যৌন চাহিদা কিভাবে মিটিয়েছেন পুরুষাঙ্গ ছাড়া??আপনিতো যক্ষের ধনকে করুনার চোখে দেখেন।পুরুষাঙ্গ নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথা কেনো?

প্রভু পুরুষ
তোমার অহংকারের একফোঁটা মূল্য নেই এখানে।
তোমার পুরুষাঙ্গ তোমার যক্ষের ধন,
ভেবেছো ও দেখে কাতর হবো আমি,
ভেবেছো ওটিকে পুজো করবো আমি,
ভেবেছো ও না হলে বুঝি চলছে না,
ভুল ভেবেছো, তোমার যক্ষের ধনকে আমি
বড় করুণার চোখে দেখি!
লোভের জিভের মতো মোটে তো একটা ক্ষুদ্র অঙ্গ।
তোমার যে অঙ্গটিকে আমার বড় ভয়, বড় ঘৃণা,
সে তোমার উরুসন্ধির মাঝখানের ক্ষুদ্র পুরুষ অঙ্গটি নয়,সেটি খুব বড়, তোমার মাথার ভেতরে তার বাস,
তোমার মস্তিস্কের চেয়ে আকারে আকৃতিতে ঢের ঢের বড়, তোমার আসল পুরুষাঙ্গ।
ওটি প্রতিদিন বিকট হচ্ছে, ওটি তোমার পাঁচ ফুট কিছু ইঞ্চি শরীর ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, ওটিকে জল সার দিয়ে বড় করছে তোমার আত্মীয়রা, তোমার বন্ধুরা, তোমার পড়শিরা, তোমার সহকর্মীরা, তোমার প্রেমিকারা, তোমার স্ত্রীরা————
যেদিকে দুচোখ যায় তোমার, দেখ, যারা আছে, সবার হাতেই জল সার।
ইচ্ছে করে, তোমার ওই বৃহৎ অঙ্গটি গোড়াসুদ্ধ উপড়ে তুলে নিয়ে আসি,
ছুঁড়ে ফেলি আবর্জনায়, অথবা
কেটে টুকরো টুকরো করি,
জলে ভাসিয়ে দিই,
বা পুড়িয়ে দিই।
নির্বংশ করি।
তুমি যখন আমাকে চোখ রাঙাও, তুমি নও, ওটি রাঙায়,
তুমি যখন গর্ব করো তোমার ক্ষুদ্র অঙ্গ নিয়ে,
তুমি জানো না যে তুমি গর্ব করো তোমার বৃহৎ অঙ্গ নিয়ে।
তুমি যখন আমার দিকে ছুটে আসতে থাকো,
তুমি নও তোমার ওই অদৃশ্য বৃহৎ পুরুষাঙ্গটি আসে,
তুমি যখন আমাকে ছেড়ে যাও, তুমি নও, ওটি যায়।
তুমি যখন আমাকে ঠেলে দাও ক্ষুদ্র অঙ্গটিকে চুমু খেতে,
আসলে তুমি নও, তোমার ওই বৃহৎ অঙ্গটি আমাকে ঠেলে দেয়,তুমি যখন আমার চুল মুখ বুক খামচে ধরে
যা ইচ্ছে তাই করো, তুমি নও, তোমার ওই বৃহৎ পুরুষাঙ্গটি করে।
অতৃপ্ত পড়ে থাকি একা, আর তুমি যখন তোমার আঠালো পদার্থ
আমার শরীরে ছুড়ে দিয়ে উঠে যাও,
তুমি নও, তোমার ওই বৃহৎ অঙ্গটি যায়।
ধীরে ধীরে তুমি জানো না তোমার মুখ চোখ বদলে যাচ্ছে,
তোমার নাক কান গলে যাচ্ছে,
তুমি আর আমার ঘ্রাণ নিতে পারছো না, আমাকে শুনতে পারছো না।
আমাকে দেখতে পাচ্ছো না তুমি।
তোমার শরীর আর তোমার শরীর নেই।
তুমি আস্ত একটা পুরুষাঙ্গ হয়ে উঠছো,
প্রতিদিন বৃহৎ বিকট পুরুষাঙ্গ।
দেখছো তো, তোমাদের পুরুষদের বৃহৎ পুরুষাঙ্গগুলো চারদিকে মেয়েদের
দাড়িপাল্লায় ওজন করছে। মেয়েদের ন্যংটো করছে, বোরখা পরাচ্ছে।
ওগুলোই মেয়েদের বেশ্যা বানায়, ওগুলোই হেঁটে হেঁটে বেশ্যা বাড়ি যায়,
ওগুলোই থুতু ছিটোয়।
ওই বৃহৎ পুরুষাঙ্গগুলোই পণ দাবি করে। স্ত্রীদের পেটায়, আগুনে পুড়িয়ে মারে।
ওই বৃহৎ পুরুষাঙ্গগুলোই ধর্ষণ করে ঘরে বাইরে, খুন করে।
দরজা খুলি বা না খুলি, যদি দরজায় এসে দাঁড়াবার স্পর্ধা কখনও করো,
তোমার ওই বৃহৎ বিকট পুরুষাঙ্গের অস্তিত্ব নির্মূল করেই তবে কোরো।
যদি না পারো, বলছি শুনে নাও, তোমাকে চাই না,তোমাকে চাই না,
চাই না তোমাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.