নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্রোহী হতাম!

আমি আপনারে ছাড়া .........

ভানু ভাস্কর

আই আম আ ব্যাড বয়

ভানু ভাস্কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও অবিশ্বাস দেশাত্ববোধে বাঁধা নয়

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

এখনও সময় আছে, আসুন প্রগতিশীলতার নামে ধর্মকে বিশেষ করে ইসলামকে নিয়ে মন্তব্যের নামে অশ্লীলতা ত্যাগ করি। আসুন ধর্মের নামে হত্যা বন্ধ করি। হত্যা অপরাধ। একজন মানুষ বা একটা গ্রুপ হত্যার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।
আসুন যে মার্চে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো সেই মার্চে এই শপথ নিই, শিক্ষার নামে আধুনিকতার নামে যাচ্ছেতাই না করার ।
আস্তিক নাস্তিক যেই মরুক সে তো বাঙালি, সে তো আমাদেরই দেশের ভাই! আসুন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করি।
আমরা দেশকে নিয়ে এগিয়ে যাবার কথা বলি, কিন্তু কাজ করিনা। আসুন সত্যিকারে দেশের জন্য কাজ করি। ধর্মের ফারাক ভুলে যাই, বিশ্বাসের ফারাক ভুলে যাই, অবিশ্বাসের ফারাক ভুলে যাই।
ধর্ম ও অবিশ্বাস যার যার কাছে থাকুক, কিন্তু দেশ সবার। আসুন দেশকে ভালোবাসি, দেশের সব মানুষকে ভালোবাসি - ধর্মে ও বর্ণের বিচারে নয়, কোন মেকি ও মোড়কীয় ভালোবাসা নয় - সত্যিকারের ভাতৃত্ববোধে।
কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে আছে এ দেশে, আসুন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জল ঘোলা না করে তাদের জন্য সবাই মিলে কাজ করে যাই।
আসুন একটু একটু করে সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জনে কাজ করি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিরাট আহবান।
কথার কথা, তাই না?

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ভানু ভাস্কর বলেছেন: বিরাট, কিন্তু আসুন শুরু করি অল্প থেকে। কথার কথা অনেকেই বলে। এটা সে'রম কিছু ভাবলেও ক্ষতি নেই।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

তাহের অন্তরা বলেছেন: এটা কিছু হইল............ :P :P :P

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ভানু ভাস্কর বলেছেন: কোনটা? কি হইলো?

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

মাসূদ রানা বলেছেন: @ভানু ভাস্কর

পৃথিবীর ৬০০ কোটি বছর বয়স থেকে আমি আপনি অনলি ৬০/৮০ বছর পাই ........ এই ৬০/৮০ বছরের মধ্যে আবার ৩৫/৫৫ বছর আমরা কাটাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে,খাওয়া দাওয়া গোসল এসব করে করে ......... বাকী ২৫/৩৫ বছর যা সময় পাই সেটুকুর জন্যে মারামারি কাটাকাটি করি ............

আর বিশ্বাসের ভেদাভেদ সিকায় তুলে ঐকবদ্ধ হয়ে সামনে আগানোর ফিলোসোফি কিংবা স্বাধীনতা,মারকসিসম প্রভৃতির চেতনা,মতবাদ ধারন আমাদের মৃত্যু পরবর্তি জগতের জন্য কতটুকু কল্যানকর/দরকারী? ভায়া?মৃত্যুর পর কি কেউ আমাদের জবাবদিহি করবে কেন তুমি মারকসিসমে চলনি ?কিংবা স্বাধীনতার চেতনা লালন করনি ? সুতরাং আমাদের জীবনের প্রথম ও প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত সত্যের সন্ধান অবিরাম .......... যে সত্য মৃত্যু পরবর্তী জীবনে দান করবে মুক্তি ............ কোন চেতনা/মতবাদ লালন করা নয় :)



অট:: চাদগাজী ভায়া কি আমাদের সাবেক খেলাঘর ভায়া?

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ভানু ভাস্কর বলেছেন: কিন্তু ভায়া, সত্যের অবিরাম সন্ধান বলতে আসলে কি বোঝানো হয়?
দু'জন নাস্তিক ও আস্তিক অথবা দুজন ভিন্নধর্মের বন্ধুর যদি চলতে সমস্যা না হয় তবে অন্তর্জালের কাটাকাটি থেকে রাস্তায় রক্তারক্তি বন্ধ হবে না কেনো? থিয়োরিটিক্যালি যা ইম্পসিবল নয়, তাকে প্রাকটিক্যালি প্রুভ করার চেষ্টা করা নিশ্চয় মারামারি কাটাকাটি আর নোংরা অশ্লীল শব্দপ্রয়োগের চেয়ে শ্রেয়তর।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সপ্নচোরা বলেছেন: বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাধ মিলিয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করাটা বিশ্বাসী মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জীবনের পথে কোথায় বাধা হয়?? একটু বলবেন কি?? মাসুদ রানা ভায়া???

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

মাসূদ রানা বলেছেন: @ভানু ভাস্কর, সপ্নচোরা

বিশ্বাস অবিশ্বাসের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ায় দোষ নেই ........... কিন্তু ভেদাভেদ ভোলার নামে বিশ্বাসকে ভুলে যাওয়ায় দোষ আছে ........... বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজগুলোতে বিশ্বাসের শিক্ষাকে সন্ত্রাসী শিক্ষা,মৌলবাদ, অশিক্ষা,কুশিক্ষা, কুসংস্কার অপবাদ দিয়ে সমাজ থেকে ঝেটিয়ে বিদায়ের চেষ্টা চলছে, যা অনাকাংখিত ..........

আমরা সারা দিনরাত এত এত কর্মযজ্ঞ আনন্দ বিনোদন হতাশায় ডুবে থাকি, এই জীবন কি আমাদের আসল জীবন?নাকি হেলুসিনেশন? যে জীবনের মেয়াদ খুবি সামান্য , ৬০/৭০ বছরের ........

ইসলাম তো বলে আসল জীবন শুরু হবে মৃত্যুর পর; যার মেয়াদ আমাদের পৃথিবীর লাইফের দৈর্ঘের চেয়েও অসীম কোটি কোটি বছর অধিক দীর্ঘ!

সুতরাং সত্যের সন্ধান হচ্ছে,পৃথিবীতে মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে এই যে এত এত ফিলোসোফি প্রচলিত আছে সেগুলোকে নিজ মেধার আলোকে বিচার করা ............ অতপর উপসংহারে আসা। অত:পর মানুষের মধ্যে সে শিক্ষা জ্ঞন ছড়িয়ে দেয়া। অর্থাৎ সত্য বিশ্বসটাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা, এর বেশি কিছু নয় .........


আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত দিন .............

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

ভানু ভাস্কর বলেছেন: বিশ্বাস ভোলার দোষ অমার্জনীয়। কিন্তু যার বিশ্বাস শক্ত তার মিলবার ভিত নরম হওয়ার কথা নয়। নবিজী ইহুদীর হাতে পানি খেয়েছেন (প্রেক্ষাপট -টট জানি না, থাকলে জানাবেন)। তাতে জাত তো যায়ইনি বরং দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

মৃত্যুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ফানা হবার চেয়ে জীবনে সৎকাজ করার তাগিদ বাঞ্ছনীয় মনে হয় আমার কাছে (একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনা)। তাই বলে মৃত্যুকে স্মরণ করারকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু এই জীবনেই মৃত্যুকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য প্রচুর কাজ পড়ে আছে।

রোযা রাখলে মৃত্যুর পর কিয়ামতে অঢেল পাওয়া যাবে (পাল্লা ডান দিকে হেলে না যাওয়া অবধি)। আবার ধরুন কষে পেট ভরে সেহরী খেলেন, কিন্তু পাশের ঘরের হিন্দুর বাচ্চা সকাল থেকে না খেয়ে খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে গেছে। কি করবেন? কি করা উচিত?

ফলে মৃত্যুর পরের ফিলোসফির ভাবনা অনেক টাফ বিষয়। এই জীবনেই আছে মৃত্যুকে সফল করার পথ।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৬

মাসূদ রানা বলেছেন: @ভানু ভাস্কর

আপনার যুক্তির সাথে আমার বৈরিতা নেই ভাই, ইসলামে যে শুধু মৃত্যু পরবর্তি জীবন নিয়েই ছবক দেয়া হয়নি ইহকালেও মানবিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ রয়েছে তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ :)

তবে আপনি যখন মানবতার দিকটাকে একটু বেশিই হাইলাইট করছেন তাই বলি,একজন মুসলমান হিসেবে আপনি যখন নিশ্চিতভাবেই জানছেন মৃত্যুর পর হিন্দু লোকটি বিনা হিসাবে জাহান্নামে যাচ্ছে অনন্তকালের জন্য ইসলাম কবুল না করার দরুন ............... তখন যখন এই মানবতার খাতিরেই,অনাদিকালের যন্ত্রনা-যাতনা থেকে ফিরিয়ে আনার মানসিকতায় তাকে ইসলামের দাওয়াত দিতে যাচ্ছেন, তখন মিডিয়া,চটিলেখকরা সাম্প্রদায়িক আক্রমন তকমা দিয়ে সেটাকে প্রতিরোধ করার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়ে ওঠে .........।

কি করবেন? কি করা উচিত?

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

ভানু ভাস্কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
দেখুন ভায়া, ধর্মের দাওয়াত দিতে মানা করেনি কেউ। দাওয়াত দেয়া-ই উচিত। সৎকর্মের দাওয়াত না দিলে মানুষ আলোকিত হবে কেমন করে? আর তাতে বাধা আসতে হবে, আসতেই হবে। দাওয়াতের ক্ষেত্রে বাধার দৃষ্টান্ত ও অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি কমবেশি। কিন্তু সমাজব্যবস্থা বদলে গেছে এখন। এখন তো গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে মারামারি বা যুদ্ধ করার সময় না! ফলে দাওয়াতের প্যাটার্নে বিবর্তন ঘটানো দরকার।

আর একটা ব্যাপার। আমি আসলে নিশ্চিতভাবে কখনওই জানতে পারছি না কে জাহান্নামে যাচ্ছে। কারন মৃত্যুর যুক্তিসঙ্গত পূর্বে তার ইমানের অবস্থা একমাত্র আল্লাহ জানেন।

ফলে প্রতিরোধ প্রয়োজন। কিন্তু এটা ছোট জিহাদ (আমি এর প্রয়োজনের বিপক্ষে নই, কিন্তু রক্তারক্তি দিয়ে নয়)। আগে নিজের মনের সাথে জিহাদ করে নিতে হবে। ক্ষমা, ধৈর্য, ...... আরো অনেক কিছু... এটা বড় জিহাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.