![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্মমতা কখনো কখনো কল্পনাকেও হার মানায়। যেমন ছো্ট্ট শিশু শান্ত। সোনার চামচ মুখে নিয়ে বড় হয়নি, তবে, ভালাবাসাময় একটি সংসারেই তার জন্ম, বেড়ে ওঠা। একটি সুস্থ-স্বাভাবিক শিশু হিসেবেই এসেছিল এ পৃথিবীতে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। অত:পর সৎ বাবার কবলে পড়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরন করতে হলো শিশু শান্তর। সংসারের এই বোঝাটিকে ঝেড়ে ফেলে না দিয়ে, উপার্জানের কৌশল হিসেবে গ্রহন করল শান্তর সৎ বাবা। গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারী, ২০১৩ - এ দিনটি ছিল শান্তর জীবনে নির্মম-নিষ্ঠুরতম দিন। মায়ের অজ্ঞাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওর দুহাত বাহু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিল নরপশু সৎ বাবা। তারপর ট্রেন এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দিল। দুহাতের দগদগে ঘা শুকিয়ে যাবার পরে শুন্য থালা নিয়ে রাজপথে বসিয়ে দিল ভিক্ষার জন্য। আইনের শাসন, বিচার, আদালত, পুলিশ, প্রশাসন - সবই আছে। আছে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন। আছে আরো নানান ধরণের আইন-কানুন। জানিনা এ্ই নরপশুর কী বিচার হবে। শিশু শান্ত আইন আদালতের কিছুই বোঝেনা। ওর উপর দিয়ে ঘটে যাওয়া নির্মমতার পরও গতকাল (২৩ অক্টোবর, ২০১৩) যখন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্ত্বরে শান্তর ছবি তুলছিলাম, ওর মুখ জুড়ে ছিল রাশি রাশি হাসি। সরল নিস্পাপ সেই হাসি। সবকিছু যেন ওর কাছে উপভোগ্য, এই ছবি তোলা, মানুষের আদর। পুলিশের যত্ন-ভালাবাসা। ওর পাশে তখন দাড়িয়ে ছিলেন পুলিশ সদস্য আনোয়ার ও শাহীনা। মানুষের নির্মমতা, নৃশংসতা, ভালবাসাহীন পৃথিবী, অনিশ্চিত ভবিষ্যত সবকিছু ভুলে গেছে শান্ত - এই সমাজেরই কিছু মানুষের ভালবাসা পেয়ে। ওর চোখে সেই অবুঝ কৃতজ্ঞতা - এই সকল পুলিশ সদস্য, কর্মকর্তা, মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদকর্মী যারা এই অমানবিকতার খবর মানুষে মানুষে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে, প্রশ্ন থেকেই যায় ওই নরপশু সৎবাবা, ওই হায়েনার বিচার হবে তো ? নাকি বিচারলয়ও ছোট্ট শান্তর মত ভুলে যাবে সব কিছু, মুখে নিস্পাপ হাসি ফুটিয়ে ক্ষমা করে দিবে এমন নর পিশাচদের ??? অপেক্ষায় রইলাম ......
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: এরা আসলেই নরপিশাচ.............
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
ডরোথী সুমী বলেছেন: না কক্ষনো ক্ষমা করা উচিৎ হবেনা এই পিশাচদের। ওই কুকুরের সন্তানের শাস্তি দাবি করছি। শান্তর জন্য কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়তি তো তাকে মেনে নিতেই হবে। এমনই নিস্পাপ, হাসিখুশি থাকুক আমাদের ছোট্ট শান্ত, এই কামনাই করি।