![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিগত ও ঐতিহ্যগত ভাবেই বাঙ্গালি আবেগপ্রবণ। এতটা স্পর্শকাতর আর আবেগপ্রবণ জাতি আর একটিও আছে কিনা আমার জানা নেই। বাঙ্গালির সেই আবেগ মিশে গেছে গল্প, কবিতা তথা সাহিত্যে, মিশে গেছে রাজপথে আর শ্লোগানে। বাংলা সঙ্গীতও তাই অবধারিতভাবেই বানী নির্ভর। এদেশের সঙ্গীত বিনোদনের পরিধি পার করে চলে গেছে আরও অনেকদূর, পৌঁছে গেছে সাধনার পর্যায়ে। প্রাচীনকাল থেকেই এ জনপদে চলে সঙ্গীত সাধনা বা সাধনার সঙ্গীত। প্রচলিত আছে সঙ্গীতের সাধনা করে মোঘল সম্রাট আকবরের নবরত্নের এক রত্ন তানসেন নাকি আগুন জ্বালাতে পারতেন! আসলে কি পারতেন কিনা সেটা ইতিহাসবিদদের ব্যাপার। তবে সঙ্গীত যে মানুষের আবেগকে প্রবলভাবে নাড়া দিতে পারে একথা অনস্বীকার্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আমাদের ভাষার দাবি থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান হয়ে স্বাধীনতা পর্যন্ত সবগুলো সংগ্রামে সঙ্গীতকে করা হয়েছিল হাতিয়ার। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পরিবেশিত মুক্তির গান শুনে যোদ্ধারা মৃত্যুর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ত অকাতরে। এখন সেটা অতীত তবে তার আবেদন এখনও অটুট। মনে পরে জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রাম ক্লোজ আপ ওয়ান এর কোনও এক আসরের কোনও এক প্রতিযোগীর গানে মুগ্ধ হয়ে এক ভিক্ষুক তার সারাদিনের সংগৃহীত টাকা দিয়ে সেই প্রতিযোগীকে ভোট করেছিল। খবরটা তখন পত্রিকা মারফত সারাদেশে খুব সাড়া ফেলেছিল। বাঙ্গালীর চেতনার কত গভীরে এই সঙ্গীতের বাস তা হয়ত এ ঘটনা থেকে কিছুটা আঁচ করা যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে কিছু উগ্রপন্থী ও সাম্প্রদায়িক পরাশক্তি সঙ্গীত চর্চাকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বাঙ্গালীর চেতনায় মিশে থাকা এই সঙ্গীতকে আলাদা করা কতটা অসম্ভব তা বোঝানোর সময় এসেছে। শুদ্ধ সঙ্গীতের জয় হোক।
©somewhere in net ltd.