নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Eccentric's Blog

ভাইরাস 007

আমি কিছুই পারি না :(

ভাইরাস 007 › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে এফএম রেডিও চ্যানেলের সূচনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট..................

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯



বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেকোনো মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। ফেসবুক,ব্লগ, নিউজ সাইট গুলোর প্রতিনিয়ত আপডেট বেশিরভাগ মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দিচ্ছে মুহূর্তে। এমনই যখন পরিস্থিত, তখন দেখা যাক কেমন চলছে এফ. এম. রেডিও স্টেশনগুলো। ২০০৬ সালে দেশের প্রথম প্রাইভেট রেডিও চ্যানেল হিসেবে আগমন ‘রেডিও টুডে’র। প্রথম হিসেবে দেশের মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়েই চলতে থাকে চ্যানেলটি। এরপর ধীরে ধীরে হাটি হাটি পা পা করে আরও বেশ কয়েকটি চ্যানেলের জন্ম। নতুন একটা ধারার সূচনা ঘটে। আর যেখানেই নতুন সেখানেই তরুনের অগ্রযাত্রা। তরুণদের ব্যাপক উৎসাহে চ্যানেলগুলো সে সময় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ‘রেডিও টুডে’ ছাড়াও, ‘রেডিও ফুর্তি’, ‘রেডিও আমার’, ‘রেডিও এবিসি’-স্কুল,কলেজ আর ভার্সিটি পড়ুয়াদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। রাস্তায় গাড়িতে বসে এফএম এ গান কিংবা খবর শোনা যেন নতুন মাত্রা দেয়। তাই এফএম রেডিও হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টিভি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি রেডিওর জন্য ও আলাদা বিজ্ঞাপন নির্মাণে উৎসাহী হয়ে উঠে। প্রতিষ্ঠান ছাড়াও “ক্লোজআপ ওয়ান” কিংবা টেলিভিশনের আরও অনেক বড় অনুষ্ঠানের প্রচার প্রচারণার কাজে এফ রেডিও গুরুত্ব পায় আগের থেকে অনেক বেশি। আর তাই জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বাড়তে থাকে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের কলেবর। খবর, গান, টক শো, বিশেষ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যানেলগুলোর প্রতিযোগিতাও সমান তালে বাড়তে থাকে। এর মাঝে আরও কিছু চ্যানেল যোগ হয় এই দলে। ঢাকা এফএম, পিপলস রেডিও, রেডিও ভূমি নতুন চ্যানেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এসব এফএম চ্যানেলের পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও, অনলাইন রেডিও ও আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।











কিন্তু প্রশ্ন হল তারা তাদের এই জনপ্রিয়তা কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছে এই ২০১৩ পর্যন্ত??? উত্তরটা আসলে আমার থেকে ভালো আপনারাই দিতে পারবেন, কেননা, নিজেকে এত বিজ্ঞ মনে হয় না যে এই প্রশ্নের উত্তর এক আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব। তারপরও নিজের অনুভূতি জানাতে তো র দশ নেই...............এফএম চ্যানেলগুলোর এক সময়কার জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পরলেও একবারে যে কমে গেছে সে কথা বললে অনেকেই বেঁকে বসবেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললে বলব, শুরু থেকে অনেকটা একই ধাঁচের অনুষ্ঠান চলতে থাকায় মানুষের একটু একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই আরও বেশি দর্শক সম্পৃক্ত করতে চ্যানেলগুলোর উচিত নিত্যনতুন অনুষ্ঠানের দিকে আরেকটু পদক্ষেপ নেয়া। দরশকপ্রিয়তা কিছুটা কমলেও ব্যবসা কিন্তু খারাপ যাচ্ছে না এদের। আজকাল ছোট বড় বিভিন্ন প্রোগ্রামেই চোখ রাখলে দেখা যায় মিডিয়া পার্টনার বা রেডিও পার্টনার হিসেবে এই চ্যানেলগুলোর নাম। ব্র্যান্ডিং এর এই যুগে ব্যাপারটা আসলেই পজিটিভ, কিন্তু দর্শকের ব্যাপারটাও মাথায় রেখেই এগুতে হবে। যত কিছুই হোক, আমি ভাই ‘দেশি পণ্য কিনে হন ধন্য’ এই মতবাদে বিশ্বাসী। তাই আশা করব বাইরের দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর দৌরাত্ম্য থেকে আমাদের বের করে আনতে দেশি টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি এই রেডিও চ্যানেলের বহুমুখী অনুষ্ঠান সহায়ক হিসেবেই কাজ করবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: টপিকটা কিন্তু সুন্দর ছিল। উপস্থাপনটি আরো ভাল এবং তথ্য বহুল হলে দারুন একটি প্রতিবেদন হতে পারত। :)

আশা করছি, আগামীতে হয়ত এই টপিকেই ভাল একটি লেখা পাব। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.