![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
আমি ভিটামিন সি; মোটেও লোক ভালো নই। কি বিশ্বাস হলো না তো? আচ্ছা বিশ্বাস করাচ্ছি। এক ফোঁটা লেবুর রস আপনার ধারে-কাছে থাকা কোন বাচ্চার মুখে দিন তো, দেখেন তো কেমন তার অভিব্যাক্তি হয়?? কি বুঝলেন? আমি আসলেই লোক ভালো না। ভালো না হলেই যে জীবনে প্রেম আসবে না এমন তো নয়। প্রেম প্রেমের মতো। সে তার আপন কক্ষপথে আপন গতিতে চলতে থাকে। কোন কোন প্রেম চলে সরলরেখায়, কোনটা আবার বক্র রেখায়। তো আমার জীবনের প্রথম প্রেম এসেছিলো সরল রেখায়। সেই গল্পই তো লিখছি। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কাকাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো ভাই-বোন ছিলাম একদঙ্গল। একসাথে ফুটবল টিম তো হবেই তারপরে আবার অন্য কোন টিমও গঠন করা যাবে আর দুই-একজন আউট থেকে নিলে। আমার বাবার বাড়ি আর দাদার বাড়ি পাশা-পাশি দুটি ইউনিয়নে। হেটে যেতে লাগে ৪ মিনিট। কলেজে গেলে কাকাদের উঠোন দিয়েই যেতে হয়। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েই কেমন যেন মনের দখিনা দুয়ার খুলে গিয়ে হিমেল হিমেল একটা সুখানুভুতি মনের কোন দিয়ে বয়ে চলল। কি যেন একটা নেই নেই ভাব মনের কোনে অবস্থান করে আছে। ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এরই মধ্যে অনেক উপন্যাস পড়ে ফেলা হয়ে গেছে আর বাংলা, হিন্দী সিনেমা তো আছেই। দু চারজন সিনিয়র ভাইয়া-আপুর জটিলজ প্রেম কাহিনী ও জানা হয়ে গেছে। তখনও মোবাইল ফোনের বিস্ফোরণ গ্রাম বাংলায় ঘটে নি। তাই তারা চিঠি-পত্তরের মাধ্যমে অথবা আমাদের মতো বিশ্বস্ত পিয়নের মাধ্যমে তাদের মনের উষ্ণ আবেগ বিনিময় করতো। আমাদের দেখে যাওয়া বা দু/চার/দশ টাকা বকশিস নেয়া ছাড়া আর কোন ফায়দা ছিল না। তো যা বলছিলাম, দাড়ি-গোঁফ ভালোভাবে না উঠলেও জিলেট ব্লেড চালিয়ে দিয়েছি যাতে করে তাদের আত্মপ্রকাশের গতি ত্বরান্বিত হয়। একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি মাথার চুলও ব্যাক ব্রাশ হয়ে গেছে। যাহ, বড় তাহলে হয়েই গেছি। তবে গায়ে গতরে না, টিঙটিঙে গড়নের হালকা পাতলা বডি, লম্বায় মাশাল্লাহ। তার উপর একখান ফনিক্স সাইকেল চালাই। ধানক্ষেত, কলাক্ষেত, মুলাক্ষেত, সবজিক্ষেত আর ক্ষেতের আইল সবকিছুর উপর দিয়েই আমার দ্বি-চক্র যান আপন গতিতে চলে। গ্রামে এমন একখান দ্বি-চক্রযান যার আছে সে-ই নিজেকে হিরো মনে করে, তো আমি ভাবতে দোষ কি? ভালো রেজাল্ট করার কারণে এলাকার ভাবী, কাকা, কাকী বা ভাই সম্পর্কের সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো তাদের ছেলে মেয়েকে পড়ানোর জন্য। আমি সবাইকে না করে দিলাম। কিন্তু একদিন আমার কাকা বললো বিকেলে তো বসেই থাকিস। তো বাড়িতে মেয়েগুলিকে তো একটু অঙ্ক-টঙ্ক দেখিয়ে দিলেই পারিস। না হয় তারা তোদের বাড়িতেই গিয়ে পড়ে আসবে। আমিও কিছুই না বোঝে বলে দিলাম আচ্ছা ঠিক আছে। তো সব মিলিয়ে আমার ছাত্রঅ সংখ্যা হলো ৬ জন। ক্লাশ সেভেন থেকে ক্লাশ নাইন পর্যন্ত। তাদের মধ্যে রানী আর সুরাইয়া ক্লাশ এইটে পড়ে। কিছুদিন পড়ানোর পর মনে হলো আমার শূন্যতাটা কেমন যেন কেটে যাবার উপক্রম হলো। কেউ যেন আমাকে লক্ষ্য রাখে, জামা-কাপড় ধোয়া আছে কিনা, খোজ খবর নেয় কলেজে কি করি, মেয়েদের সাথে গল্প করি কিনা ইত্যাদি। এই বিষয়ে দুইজনই সমান সমান কাজ করে।
আমি তো মনে মনে বলেই ফেলি, "আমি পাইলাম, আমি তাহদেরই পাইলাম।" কিন্তু সমস্যাটা হলো তারা দুজনেই আমার দাদা বাড়িতে থাকে; আমরা তিনজনই কাকাতো ভাই-বোন। এখন কাকে রেখে কাকে কি বলি??? তো এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে না আসতে পেরে আমার চার বছরের ভাগ্নে কে জিজ্ঞেস করি "বলোতো মামা, কে তোমাকে বেশি আদর করে? তোমার রানী আন্টি না সুরাইয়া আন্টি"। ভাইগ্না বলে নানি আন্টি। আমাকে চকলেট, চানাচুর দেয়। তারপর আর আমার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয় না কাকে কি বলব। কিন্তু সমস্যা হলো বলবটা কি? আমি তো তাকে তুই বলে ডাকি। যার সাথে প্রেম করবো তাকে কি আর তুই বলে ডাকা যায়? হঠাত করে তুমি ডাকতে শুরু করলে তো আবার আমার ছাত্রী সকল মাইন্ড খাবে।
তারপর কোন কিছু বলাবলী ছাড়াই শুরু হল দুজনের পথ চলা। কোথাও বেড়াতে গেলে সে আমাকে নিয়ে যায়। সেখানে একসাথে বসে গল্প করি। গাছ থেকে ফল-টল পেড়ে দিই। পুকুরে যখন জাল দিয়ে মাছ ধরি সে পেছনে ঘুর ঘুর করে। রাতে তাদের বাড়িতে টিভি দেখি। সে আমার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ডেকে নিয়ে খাওয়ায়। আবার কোনদিন যদি বাড়ি ফিরতে বেশী রাত হয়ে যায় তাহলে সুরাইয়াদের ঘরে তার ছোট ভাইয়ের সাথে ঘুমাই। এভাবেই না বলে প্রথম প্রেম তার গতিতে চলতে থাকল।
একটা কলেজ ব্যাগ কিনেছি নিউমার্কেট থেকে কাধে ঝোলানো। সেটা কাধে ঝুলিয়ে কলেজে যাই। সাইন্সে পড়ি। পদার্থ, রসায়ণ, জীব, গণিত সব বিষয়েই প্রাইভেট পড়ি। তবে মেয়েদের ব্যাচে। মেয়েরা আমাকে নিরাপদ মনে করে তাদের ব্যাচে নিয়ে নেয়। এখানে আছে তন্দ্রা, ন্যান্সি, পলি, শারমিন, ঝুমা, সোমা, নাদিয়া ও আমি কেবলাকান্ত। ব্যাগ ঝুলানোর কারণে আমার নাম হয় কবি। শুরু হয় নতুন জগতের সন্ধান কাব্য জগত। প্রতিদিন পড়া ফেলে রেখে মন দিই কাব্য জগতে। প্রসব করি নতুন নতুন কবিতা। কবিতা পড়ে খুশি হয় সুতন্নী ছিপছিপে গড়নের তন্দ্রা।
বাকিটুকু আসবে পর্ব ২ এ। ভালো থাকবেন সবাই।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই একদিনে পুরোটা দিলে পোষ্ট বড় হয়ে যায় এবং অনেকেই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ধন্যবাদ এমিল ভাই। যান শুধু আপনার জন্যই পর্ব ২ আগামীকাল প্রকাশ করবো। অফিসে একটু কাজও তো করতে হয়। এটা লেখা শুরু করেছি সেই সকাল ৯ টায়।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাইগ্না বলে নানি আন্টি - বাট বুঝা গেল না আপনে সাথে প্রেম করলেন - রানি না সুরাইয়া ! তারপর তন্দ্রা ----- আশা করছি নেক্সট পর্বে আরও নাম আসবে
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
ভিটামিন সি বলেছেন: সমাধান তো ভাইগ্না দিয়াই দিল, নানি আন্টি। আমি ও তাকে নিয়ে ভাবতে থাকলাম। হ্যাঁ আগামী পর্বে আসবে তন্দ্রা + ইভা, তার পরের পর্ব শুধু রুমাকে নিয়ে।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
জাতির মামু বলেছেন: খুব ভালো । নক্সট পর্ব জলদি চাই ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই আপনার নিক নেমটা দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। জাতির দুলাভাই নিকটা আমার তো। আর আপনি জাতির মামু। কেমন একটা সম্পর্ক তৈরী হলো আপনার আর আমার হা হা হা হা।
পাবেন, আগামীকালই ২য় পর্ব প্রকাশিত হবে ইনশাল্লাহ। তারপর চলতেই থাকবে--- চলতেই থাকবে।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
সোহানী বলেছেন: চালিয়ে যান..আছি আপনার সাথে............
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
ভিটামিন সি বলেছেন: থাকবেন তো? আপনি যে আমার সাথে আছেন কাউকে বলবেন না যেন। কে আবার কি মাইন্ড করে বোঝেন না? সিরিয়াল চলতেছে তো। আপনার বুয়া সমস্যার কি সমাধান হয়েছে?
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২
অহন_৮০ বলেছেন: চলতেছে............. চলুক
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
ভিটামিন সি বলেছেন: চলবে মানে পুরা বাংলালিংক এর মতো চলবে।
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: বাহ............. পরের পর্বে যাইতাছি।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
ভিটামিন সি বলেছেন: যান........
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
এন ইউ এমিল বলেছেন: ভাই আজই কেন বাকিটা দিলেন না? পরে কখন কবে দিনে আমিতো বাটে পাবো না