![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
একটা খুবই ব্যক্তিগত ঘটনা। প্রকাশ করাটাও উচিত না। আবার না করেও পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হলেই নিজে নিজেই হেসে উঠি। তাহলে পড়ুন গল্পটাঃ-
বিয়ের ১৫/২০ দিন পর মা বললো খালার বাড়ি (মায়ের ছোট বোনের বাড়ি) বেড়াতে যেতে। আমি রাজি হলাম মায়ের বেড়াতে যাবার আগ্রহ দেখে। তাছাড়া অনেকদিন খালার হাতের পিঠা খাই না। এইবার তাহলে পিঠা খাওয়া যাবে। তো ঠিক হলো মা যাবে, আমার বালিকা বধু যাবে আর আমি যাবো। খালার বাড়ি গফঁরগাঁও থানাধীন কোন এক প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো পৌছায় নাই। বাড়ির খুব কাছেই একটা নদী, নদীর ওই পাড় থেকে ত্রিশাল থানা শুরু। সেদিন ময়মনসিংহে আমার কি যেন একটা কাজ ছিল তাই খালাতো ভাইকে বলি সে যেন আমাদের বাড়ি তাদেরকে নিয়ে যায়। আর আমি আমার বালিকা বধূকে আমার ব্যাকপ্যাকটা বুঝিয়ে দিয়ে আমি সকালেই চলে যাই ময়মনসিংহে। বালিকা বধূ সেটা আর তেমন কোন প্রকার চেক না করেই কিছু জামা-কাপড় ঢুকিয়ে নেয় ব্যাকপ্যাকে। কিন্তু ব্যাকপ্যাকের গোপন ছোট কম্পার্টমেন্টে যে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ রাবার ছিলো সেটা হয়তো সে জানে না অথবা জেনেও সরায়নি কারণ কখন কাজে লেগে যায় তার তো ঠিক নেই। গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় তো তাই বলে। তো তারা চলে যায় খালারবাড়ি। রাতে আমিও আসি সেখানে। নিরবে, নিভৃতে, নিরুপদ্রবে সেই রাত কাটে আমাদের। তারপরের দিন সকালে খালা পিঠা বানাচ্ছে, আমি, খালাতো ভাই, খালাতো বোন, আম্মা, খালা, ভাবী সবাই রান্না ঘরে বসে আছি আর গরম গরম পিঠা খাচ্ছি। এমন সময় খালাতো ভাইয়ের ৫/৬ বছরের বিচ্ছু/পাগলা মেয়ে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বলে, ফুটকা দে আমারে ফুটকা দে। আমার তো ভেতরে ধ্বক করে উঠেছে। কয় কি? মান-সম্মান তো আর রাখা গেল না। যা বোঝার আমি বোঝে ফেলেছি। সবাই ওর আর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি না বোঝার ভান করে ওকে জিজ্ঞেস করি, আমি ওইটা পাবো কই? ওই গাঢ়ল বলে কি, আমি তোর ব্যাগের ভিতর দেখছি, আছে। আমি নিতে চাইছিলাম, কাকি দেয় নাই। এখন তুই আমারে ফুটকা দে। আমি আর কি বলব। হাসুম না কান্দুম বোঝবার পারতাছি না। এমন ফাজিল মেয়ে তো আর দেখি নাই। বউরেও টাইট দেয়া দরকার। রাবার সে এমন হাতের কাছে কেন রাখল। কোনমতে তোতলাতে তোতলাতে ঘরের বাইরে এসে তাকে বললাম চুপ কোন কথা বলো না। আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি, দোকানে গিয়ে কিনে নিয়ে আসো। ও বলে না দোকানের গুলি ভালো না, সাদা। তোর ব্যাগেরটা সুন্দর রং ওইখান থেকে দে। তারপর ওরে কোলে নিয়া দোকান থেকে ১০টা ফুটকা কিনে দিয়ে ওর মাথা ঠান্ডা করি আর বউরে একটা চোখ রাঙ্গানি দেই। বউ কয় আমার কি দোষ, আমি ব্যাগ রেখে একটু পুকুর পাড়ে গিয়েছিলাম। ঘরে ফিরে দেখি তান্ডবে সব উল্টাপাল্টা কইরা ফালাইছে। আমি বললাম ও নাকি তোমার কাছে চাইছিলো, একটা ওরে দিয়া দিলেই তো হতো তাহলে আমাকে এই লজ্জায় পড়তে হতো না। বউ বলে ওতো একটা চায় না, সবগুলোই চায়। সবগুলি তারে দিলে তুমি কি আবার রাতে দোকানে যাইবা? এখানকার মানুষ কি বলবে? তাই দেই নাই। আমি বললাম ভালো করেছ। আমার মান-সম্মানের উপর এখন ৭ ট্রনি ট্রাক উইঠ্ঠা গেছে। তারপর বিকেলেই সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে আমার বাড়ি ফিরে আসি। শালার বেড়ানোর শিক্ষা হয়ে গেছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
ভিটামিন সি বলেছেন: দেখছেন, বউ কত ভালো। রাইতে যাতে দোকানে যাইতে না হয় সেই ব্যাবস্থা রাখছে। বিয়া করেন তাড়াতাড়ি এমন উষ্ণ ব্যবস্থা করা থাকবে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
এম আই এইচ রাজন বলেছেন: খালাতো ভাইয়ের ৫/৬ বছরের বিচ্ছু/পাগলা মেয়ে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বলে, ফুটকা দে আমারে ফুটকা দে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
ভিটামিন সি বলেছেন: বোঝেন ঠেলা, এর চাইতে বোমা চাইলেও একটা বানায়া দিতাম। শালির বেটি চায় ফুটকা।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
এন ইউ এমিল বলেছেন: আমিও প্রথম প্রথম শশুর বাড়ি গেলে ফুটকা শুন্যতায় ভুগতাম, শশুর বাড়ির এলাকার দোকানে ফুটকা কিনমু! মাথা খারাপ. দোকানদার আর তার আশেপাশের মানুষ গুলা রাতের একটা চিত্র মনের মাঝে আইকা শান্তি নিতে থাকবো এই ভাইনা ৭দিন ওই চিন্তা মাথা থেইক্কা ঝাইড়া ফালাই,
এখন আর সমস্যা হয়না, বউ আমার সমন্দির বৌর কাছথিক্কা জোগার কইরা রাখে
(গোপন কথা বইল্লা ফালাইলাম)
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১২
ভিটামিন সি বলেছেন: হায় রে কপাল! আমার তো আর সুমুন্ধির বউ নাই। তাই আমার প্রতিদিনই কমপক্ষে এক প্যাক কিনা লাগে। দুই তিন প্যাক রিজার্ভ ও রাখি। ওভার টাইম কখন হয় ঠিক নাই তো।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
ভিটামিন সি বলেছেন:
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
গোবর গণেশ বলেছেন: ভাই ভাল্লাগছে !!! আর আপনার খালার বাড়ীর ঠিকানা দিলে হয়তোবা চিনতেও পারি।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৭
ভিটামিন সি বলেছেন: চিনবেন বৈকি। রামপুর বাজার থেকে রসুলপুর যেতে প্রথম যে চৌরাস্তাটা পরে, সেটার পশ্চিম পাশের বাড়ি। মনে আছে আপনার, ২০০২-২০০৩ সালের দিকে হবে হয়ত, মেডিক্যালে পড়ুয়া একটা ছেলেকে ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো? সেই বাড়িড় দুই বাড়ি পরে। ওর জানাজায় আমিও অংশ গ্রহন করেছিলাম।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
দি সুফি বলেছেন:
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৭
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনারে ও ইচিং বিচিং ।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
আমি চাই বলেছেন: অখনো বিয়া করিনাই, আফসোস লাগতাসে
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
ভিটামিন সি বলেছেন: কামডা সাইরালাইন।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
গোবর গণেশ বলেছেন: ভাই দুঃখিত; মেডিক্যালে পড়ুয়া, ঢাকায় গুলি করে হত্যা !!! ঠিক মনে করতে পারছি না; তবে যে লোকেশন বললেন ওখানে আমার জালাল স্যারের বাড়ি। ওনার এক ছেলেকে রাতের বেলায় ঘরের ভিতরে ডাকাত গুলি করে মেরে ফেলেছিলো সেটা মনে আছে।
ওখানে আরো আছে লালুর বাজার।
ধন্যবাদ
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ভিটামিন সি বলেছেন: হ্যাঁ, আমারই ভুল হয়েছে। আপনারটাই ঠিক। বায়েজিদ নাম ছিল ছেলেটার। লালুর বাজারের পশ্চিম পাশের আইজির বাড়ি। আপনার মেইল এড্রেস দিলে আরো বলতে পারবো।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
গোবর গণেশ বলেছেন: আমার বাড়ী কিন্তু রসুলপুরেই।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাদের বসুলপুর বাজারে আমি অনেক গিয়েছি।
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
মশিকুর বলেছেন:
আপনের দেখি পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পরেনাই। তয় ভালই সামাল দিছেন। কি আর করবেন জীবনটাই একটা পরীক্ষা, কঠিন পরীক্ষা। থাকতে হয় সদা প্রস্তুত। হা হা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
ভিটামিন সি বলেছেন: মুই তো প্রস্তুতই আছিলাম। বিচ্ছু যে ওইহানে হাত দিবো কেডায় জানে। আর বউই বা ওইটা ধরতে দিবো কেন?
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
এন ইউ এমিল বলেছেন: ভাই মজার বিষয় হইলো ইয়াহু ইইডি খুলতে গিয়া দেখি সিকিউরিটি কোয়েশনের উত্তর চায়, প্রশ্নটা হইলো
হয়ার ডিড ইউ মিট ইউর স্পাউস?
কথা হইলো আমার এই আইডিটার বয়স ৪ বছরেরও বেশি, বিয়া করছি ১ বছর তাইলো তাইলে
৪ বছর আগে এই প্রশ্নের উত্তর আমি কেমতে দিছিলাম?
এহনতো আইডি খুলবার পারতাছিনা, কি মাইনকা চিপায় পরলামরেভাই? যাউগ্গা, আফনে দয়া করিয়া আমারে [email protected] খানে মেইলা আবার পাঠাইয়া দেন প্লিজ প্লিজ .
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনে ৪ বছর আগে কেমনে এই প্রশ্নের জবাব দিছিলেন, সাংবাদিকদের জিগান। ওরা সব জানে। নাইলে ভাবীরে জিগান, ৪ বছর আগে যে আর এক বিয়া করছিলাম, সেই বউয়ের সাথে আমার কোথায় দেখা হয়েছিলো? ভাবী বইলা দিবে নে... হি হি হি। যাউগ্গা আপ্নের মেইলে পাডায়া দিছি।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: বইডার কিন্তু সেন্স ভাল ভাই!
হ্যাপী কনজ্যূগাল লাইফ! +
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
ভিটামিন সি বলেছেন: থেংকস দিমু না ধন্যবাদ দিমু তা বোঝতে অপরাগ। প্রথম লাইনটা বুঝি নাই। ২য় লাইনের জন্য থেংকস।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ঐ সব ফুটকা/টোটকা বাদ দিয়ে এখন ঘরে বিচ্ছু আনার চিন্তা করেন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাইগ্না, তাই করুম। হেই চিন্তাই হেড অফিসে প্রবেশ করাইছি।
১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২
গোবর গণেশ বলেছেন: [email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
ইলুসন বলেছেন: সবগুলি তারে দিলে তুমি কি আবার রাতে দোকানে যাইবা? এখানকার মানুষ কি বলবে? তাই দেই নাই।