নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লীর লাল কেল্লা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

পৃথিবীপৃষ্ঠে তাজমহল গড়ে ইতিহাসে অমর হবার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছেন মোগল সম্রাট শাহ জাহান তবে তাজমহল ছাড়াও তিনি বহু উল্লেখযোগ্য ইমারত গড়েছেন যার মধ্যে দিল্লীর জামা মসজিদ ও লাল কেল্লা অন্যতম। তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেবের কাছে ক্ষমতা হারিয়ে আগ্রা দুর্গে জীবনের শেষ আট বছর গৃহবন্দী না থাকলে হয়তো আরো কিছু ইমারত গড়তেন। মূলত প্রেমের উপাখ্যান এর জন্য বিখ্যাত হলেও সম্রাট শাহ জাহানের শাসন ব্যবস্থা, শিল্প সংস্কৃতি এবং স্থাপনার প্রতি আকর্ষণ, দুর্দান্ত রণকৌশল, ক্ষমতায় আসার কুটকৌশল, বাবা সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং একমাত্র মোগল সম্রাট হিসেবে নিজের ছেলের কাছে ক্ষমতা হারানোর কাহিনী কম কৌতুহলউদ্দীপক নয়।

ছিলেন দাদা সম্রাট আকবরের প্রিয় পাত্র; আকবর নিজে রণকৌশল এবং তলোয়ার চালানো শিখিয়ে ছিলেন শাহ জাহানকে; কিন্তু মা নুরজাহান উত্তরাধিকার হিসেবে যুবরাজ শাহরিয়ারকে পছন্দ করতেন বেশি; মুঘল সাম্রাজ্যের রীতি অনুযায়ী ক্ষমতা দখলের জন্য এক সময় বাঁধে যুদ্ধ, হেরে যান শাহজাহান, দেশ থেকে বিতাড়িত হন; তবে শেষ পর্যন্ত বাবা সম্রাট জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর শশুর আসাফ খানের সহযোগিতায় মুঘল সাম্রাজ্যের অধিপতি হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করেন; ভাই শাহরিয়ারকে করেন হত্যা, মা নুরজাহানকে করেন গৃহবন্দী।

১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় লাল কেল্লার নির্মাণ, ১৬৪৮ এ তা শেষ হয়; ওস্তাদ আহমেদ লহরী ছিলেন এর স্থপতি; এই ওস্তাদ আহমেদ লহরী তাজমহলেরও স্থপতি। ২৫৫ একর জায়গা নিয়ে এই দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল যার প্রথম নাম ছিল কেল্লা ই মোবারক। মোঘল সাম্রাজ্যের পতাকা ও ক্ষমতা তথা লাল কেল্লার জৌলুস কমতে থাকে শাহ জাহান পুত্র আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর। ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে পারস্য সম্রাট নাদির শাহ দখল করে নেন এ কেল্লা, লুট করেন এর ভেতরে থাকা সকল সম্পদ, ধ্বংস করেন যা নিতে পারেননি; বাকি যা কিছু ছিল, ব্রিটিশরা১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কেল্লা দখল করে তা ধ্বংস করে, মুঘল সম্রাটের বাসভবনকে বানায় আস্তাবল; লাল কেল্লার চূড়ান্ত অবমাননা এবং ধ্বংসের সাথে সাথে অস্ত যায় মুঘল সাম্রাজ্যের পতাকা



আগ্রার তাজমহল, দিল্লীর জামা মসজিদ এবং লাল কেল্লার মতন নিখুঁত, নিপুণ, দৃষ্টিনন্দন ইমারত গড়ার কারিগর সম্রাট শাহ জাহান অদৃষ্টের নির্মম পরিহাসের মতন রয়ে গেছেন তাজমহলের একমাত্র খুঁত হিসেবে কারণ তার কবরটি তাজমহলের মূল নকশায় ছিল না।

সম্রাট বাবর থেকে শুরু করে আউরঙ্গজেব পর্যন্ত সবাইকে নিয়েই বিস্তারিত লেখা যায় কিন্তু শুধু একজনকে বেছে নিতে হলে আমি হয়তো নিতাম শাহ জাহানকে; এর মানে অবশ্য এই না যে আমি শাহ জাহানকে নিয়ে বড় পরিসরে কিছু লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আরো কিছু ছবি দিতে পারেন।

শুভ কামনা রইল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ছবি দিয়ে দিচ্ছি আরও...

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

বাংলার মেলা বলেছেন: শাহজাহানের মা নূরজাহান নন, জগত বাই - যিনি একজন রাজপুত কন্যা। রাজপুতদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের স্ট্রাটেজি হিসেবে আকবর তার পুত্র সেলিমের সাথে দুই রাজপুত কন্যার বিবাহ দেন। প্রথম কন্যা মানবাইয়ের পুত্রদ্বয় রাজকার্যে অনীহা প্রকাশের কারণে দ্বিতীয় কন্যা জগৎবাইয়ের পুত্র খুররমকে তিনি উত্তরাধিকারী করে যান। ঘরে দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মদ্যপ সম্রাট জাহাঙ্গীর সেনাপতি শের খানের স্ত্রী মেহেরুননিসার প্রতি অনুরক্ত হন। মেহেরুননিসাও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শের খানকে হত্যা করিয়ে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরেই তিনি খুররমকে হুমকী ভেবে তাকে দেশছাড়া করেন। মেহেরুন নিসার আসল উদ্দেশ্য ছিল মুঘল সালতানাতের সম্রাট হওয়া। সে উদ্দেশ্যেই স্বামীকে বাধ্য করেন সন্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।

নূরজাহান নামটি সম্রাট জাহাঙ্গীরের দেয়া। শাহজাহানের পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল খুররম। সেলিমের আরেক নাম জাহাঙ্গীর।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আগামী বছর যাবো ইনশাল্লাহ।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: বড় পরিসরে লেখেন ভাই! ভালো হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.