নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্ধ,আমি বোবা, আমি সাধারন এক আম জনতা।

আমি যাযাবর বলিছ

আমি যাযাবর বলিছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হত্যা এবং ইসলাম ধর্ম

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে তারা কোন দিনই মুসলিম হতে পারে না। আল্লাহ পাক আল কুরআনে স্পষ্ট ঘোষনা করেছেন " যারা কোন মানুষ হত্যা করল তারা যেন সমগ্র মানব জাতীকে ই হত্যা করল" অথচ অনেক সংঘঠন আছে যারা ধর্মের নামে ইসলামের নামে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে নির্বিচারে হাজার হাজার লোক হত্যা করে । নিচে বিশ্বের কুখ্যাত ৫ জংঙ্গি সংগঠনের তালিকা দেওয়া হলোঃ


বোকো হারাম
ইসলামিক স্টেট বা আইএস নয়, বিশ্বের ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠনগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে নাইজেরিয়ার বোকো হারাম ৷ ২০১৫ সালে আবু বকর শেকাউ-এর নেতৃত্বে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি ৬ হাজার ৬৪৪ জন মানুষকে হত্যা করেছে ৷ তাদের হামলায় আহত হয়েছে ১,৭৪২ জন৷ বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক ৷ এছাড়া হাজারো কিশোরীকে অপহরণ করেছে বোকো হারাম ৷

ইসলামিক স্টেট
যদিও বোকো হারাম আইএস-এর তুলনায় বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, কিন্তু আতঙ্ক সৃষ্টির দিক থেকে সবচেয়ে উপরে আছে আইএস ৷ বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলা হচ্ছে আইএসকে ৷ ২০১৫ সালে তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজার ৭৩ জন মানুষ এবং আহত হয় ৫ হাজার ৭৯৯ জন ৷ ১০৭১টি হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ব জুড়ে৷ আবু বকর আল-বাগদাদির নেতৃত্বে সংগঠনটি সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক ও ইউরোপ জুড়ে এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ৷

তালেবান
১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ চলার সময় এই জঙ্গি সংগঠনটির আবির্ভাব ৷ বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ জঙ্গি সংগঠন বলা হয় এদের ৷ ২০১৫ সালে তালেবানের হাতে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৪৭৭ জন এবং আহত হয়েছে ৩ হাজার ৩১০ জন ৷ গত বছর বিশ্ব জুড়ে ৮৯১ টি হামলা চালিয়েছে তারা ৷ হিবাতুল্লাহ আকন্দজাদা এখন তালেবানের নেতৃত্বে রয়েছেন ৷

ফুলানি জঙ্গি গোষ্ঠী
বিশ্বব্যাপী এদের তেমন পরিচিতি নেই ৷ এরা নাইজেরিয়ার ফুলা সম্প্রদায়ের মানুষ৷ এদের লক্ষ্য ফুলানির ভূমি মালিকদের হত্যা করা ৷ ২০১৫ সালে ১৫০ টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে ফুলানি, তাদের হামলায় মারা গেছে ১ হাজার ২২৯ জন ৷

আল-শাবাব
বোকো হারামকে যদি আইএস-এর সাথে তুলনা করা হয়, তবে আল শাবাবকে তুলনা করা যায় আল-কায়েদার সঙ্গে ৷ পূর্ব আফ্রিকায় এদের আধিপত্য অনেক বেশি ৷ সোমালিয়াকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোই তাদের মূল লক্ষ্য ৷ গত বছর জঙ্গি গোষ্ঠীটি ৪৯৬টি হামলা চালিয়েছে, হত্যা করেছে ১ হাজার ২১ জন মানুষকে, আহত হয়েছে ৮৫০ জন ৷
প্রতিবেদন: আরজেডএন/এপিবি(ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস)


এখন আমার প্রশ্ন হলো যারা এই বেসামরিক মানুষগুলোকে হত্যা করল তারা কি আদো ও মুসলিম হতে পারে?

এখন আসি বর্তমান রাজনীতির কথায়
বর্তমান বিশ্বে শুধু মাত্র ক্ষমতার লোভে তেল গ্যাস ও অন্যান্য বানিজ্যিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্য মধ্য প্রাচ্য সহ আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া,তিউনিসিয়া সহ অন্যান্য দেশে যে হত্যা যজ্ঞ শুরু করেছে যার ফলে লাখ লাখ লোক বসতবাড়ি হারা হয়েছে ,লাখ লাখ লোক নির্বিচারে হত্যা করেছে তাদের কে আপনারা কি নামে আখ্যায়িত করবেন?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ হত্যাঃ- জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাসবাদ,আগুনে মানুষ মারা, ইত্যাদি,ইত্যাদি।
হিন্দু,বৌদ্ধ,ইহুদী,খ্রিষ্টানরা যদি মুসলমানদেরকে খুন,ধর্ষন,গুম,পুড়িয়ে মারে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়,দেশছাড়া করে, তবে তাতে সুশীল সমাজ চুপ থাকে।
কারন, মুসলমান যে সবার শত্রু।
এক্ষেত্রে তাদের মানবাধিকার কোথায় থাকে, আমার বোধগম্য হয় না।
সিরিয়া,ইরাক,আফগান, লিবিয়ায় ইউএস-ইউকে যে বোমাবাজি করল, লাখ লাখ মুসলমান মারল, তাতে কোথায় থাকে তাদের মানবাধিকার ?
আর ইসরায়েলে প্রতিদিন ফিলিস্থিনি মুসলমানদের মারতেছে, এতে বিশ্ব গর্জে উঠে না, তাদের মানবাধিকার তখন ভোতা হয়ে যায়।
রোহিঙ্গা রা মরতেছে, বৌদ্ধরা মারতেছে, অং সান সুচি কে তারা নোবেল দেয়, তাও আবার শান্তিতে নোবেল?
কেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের কি বেচে থাকার অধিকার নেই।
এসময় কোথায় থাকে তাদের মানবাধিকার।
লাখ লাখ মুসলিম শরনার্থি হলো, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান হারা হলো, তখন কোথায় থাকে মানবাধিকার?

অতএব বলুন, হত্যা মুসলমান রা করে না, ইহুদি-খ্রিষ্ট্রান রা মুসলমানদের ব্যাবহার করে, আর মিডিয়া মুসলমানকে সন্ত্রাসী বানায়।
আমি বলি, ইসলাম অবশ্যই শান্তির ধর্ম এতে কোন সন্দেহ নাই।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

এই আমি রবীন বলেছেন: @লেখক:
কুরানে অন্তত পক্ষে 109 এর মত আয়াত আছে যা সকল মুসলিম কে উদ্বুদ্ধ করে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে অমুসলিম/অবিশ্বাসী দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে (Quran 2:191, 9:5, 9:123, 8:65, 9:29, 2:193, 5:51, 9:23, 3:28, 3:169, 2:216, 47:4, 8:12, 9:73, 9:111 … ইত্যাদি) ! যে সকল মুসলিম যুদ্ধে অংশ নিতে চায়না তাদের কে বলা হয় ‘hypocrites’ এবং তাদের এই বলে সতর্ক করা হয় যে আল্লাহ তাদের স্থান দেবেন দোজখে যদি তারা হত্যায় অংশ না নেয় (Quran 9:38-39) ! এসব জানার পরেও কি আপনার মনে হয় যে ইসলাম শান্তির ধর্ম?

@ মাকার মাহিতা : ".......কেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের কি বেচে থাকার অধিকার নেই।"
মানবাধিকার পানির মত, যার যার যেমন সুবিধা সে তেমন ব্যবহার করবে ।
যেমন :
বেলুচিস্থানে বিদ্রোহী মারলে সেটা জায়েজ,
পাকিস্থানীরা ৭১ এ বাঙ্গালী মারলে সেটা জায়েজ, কোন মুসলিম বিশ্বের মানবতাবোধ তখন জাগেনা।
পাকিস্থানে যখন এখনো একদল আরেক দলের মসজিদে বোমা মারে তখনো "মানবাধিকার" চুপ।
আর বললাম না।


"সিরিয়া,ইরাক,আফগান, লিবিয়ায় "ইউএস-ইউকে" যে বোমাবাজি করল, লাখ লাখ মুসলমান মারল, .........." তাতে কোথায় থাকে তাদের মানবাধিকার ?
খাইছে, ঠিকই তো। তবু ওরা আশ্রয় নেয়ার জন্য আমেরিকা ইউরোপের দেশ গুলুতেই ছুটে।
একটা গ্রুপও সৌদি, ইরান, কুয়েত, দুবাইর দিকে গেলনা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

আমি যাযাবর বলিছ বলেছেন: @ রবীন ভাই ধর্মের ভূল ব্যখ্যা করলে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে মানবতার মুক্তি এবং সমগ্র বিশ্বে শান্তির জন্যেই ইসলাম ধর্মের আভির্বাব।যদি আমার কথায় কোন দ্বিমত থাকে তবে আল কুরআন ভাল করে অর্থ সহকারে পুরোটা পরে দেখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.