![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের কথা কি আর বলবো ...... নিজে সুখী মানুষ, পৃথিবীর সবাই সুখী হওক এই কামনা করি...... কয়লার মধ্যে কালো খুঁজি না, হীরা খুঁজে বেড়াই .......
১. মিশন: (বর্তমান)
মধ্য রাত, গভীর ঘুমে অচেতন রাইসা, এ্যালান চোখ খুলে ঘুমন্ত রাইসার মুখের দিকে অপলক চেয়ে থাকে কিছুক্ষণ; জানালা খোলা, চাঁদের আলোয় সারা ঘর ঝলমল করছিলো, সবচেয়ে বেশি ঝলমল করছিলো রাইসার মুখ, যেন জলের বুকে চাঁদের ছায়া, ছুঁয়ে দিলেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। অপার্থিব এক ভালোবাসায় বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে এ্যালানের, আজকের পর কি রাইসা আগের মত ভালোবাসতে পারবে তাকে, সব জেনেও কি তাকে একান্ত আপন করে নিতে পারবে? ক্ষণিকের তরে মানবীয় আবেগ গ্রাস করে এ্যালানকে, মনে মনে ভাবে, থাক না সব কিছু আগের মতই ! কি দরকার শতবছর ধরে চলে আসা এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে একা লড়াই করার ! পরমুহূর্তেই মন থেকে সব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে সে, পা টিপেটিপে বিছানা থেকে নামে এ্যালান। খুব সন্তর্পনে বিড়ালের মত পা ফেলে কোন রকম শব্দ না করে ঘর থেকে বের হয়ে আসে সে। পরবর্তী দশ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যায়, কালো স্কিন টাইট ট্রাউজার, কালো ফুল হাতা স্কিন টাইট টি-সার্ট, কালো হাত মোজা পড়ে অন্ধকারে ঘর থেকে বের হয়ে আসে এ্যালান। ডান হাতে ধরা বড় একটা ব্রিফকেস, তাই ঐ দিকে একটু ঝুঁকে আছে তার দেহটা, বুঝা যাচ্ছে অনেক ভারী কিছু আছে হাতের ব্রিফকেসটায়। রাস্তায় নেমেই প্রথমে পকেট থেকে বের করে তার ফিউশন ট্রেকিং গোলকটা; এক সেন্টিমিটার ব্যাসের ছোট একটি গোলক, তার মধ্যে থেকে হাজার খানেক চুলের মতন চিকন গোল্ডেন তার বের হয়ে আছে, কিছুক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকে এ্যালান এই ফিউশন গোলকটির দিকে। কি অপরিসীম ক্ষমতা ছোট এই গোলকটির! আয়তনে মার্বেলের মতন এই গোলকটি পৃথিবীর দুইশত কোটি মানুষকে একটি অদৃশ্য কারাগারে বন্দী করে রেখেছে গত দুইশত বছর ধরে ! সবকিছু ঠিকমত ঘটলে আজই এর অবসান ঘটবে, এ্যালানের উপর নির্ভর করছে বিশ্বের সমগ্র মানুষের স্বাধীনতা, সে না পারলে জীবিত আর কারও পক্ষেই এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব না, নাহঃ তাকে কোন ভাবেই বিফল হওয়া চলবে না !
চরম আক্রোশে ফিউশন গোলকটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে বুট দিয়ে মাড়িয়ে গুঁড়াগুঁড়া করে দেয় এ্যালান, মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত সিস্টেমের কাছে অদৃশ্য হয়ে যায় সে, পৃথিবীর কোন কম্পিউটার, কোন রোবট, বায়োবট বা কোন স্ক্যানিং সিষ্টেমই আর তাকে চিহ্ণিত করতে পারবে না। চরম তৃপ্তির একটা আবেশ এ্যালানের সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, আহঃ ! স্বাধীনতার এত আনন্দ ! একটু আবেগ প্রবন হয়ে উঠে এ্যালান, আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছা করে তার, মুহূর্তেই নিজেকে সংযত করে সে, এখনও আসল কাজ বাকী ।
হাত ঘড়িতে সময় দেখে নেয় এ্যালান, এখন বাজে একটা, তিনটা বাজার আগে ফিউশন সেন্টারে পৌঁছাতে হবে। প্রতিটি গাড়িতেই ট্রেকিং ডিভাইস লাগানো থাকে, গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার সাথে সাথেই ট্রেকিং এ্যাকটিভ হয়ে যাবে। তাই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কোন উপাই নেই, হেঁটেই যেতে হবে তাকে।
টানা দুই ঘন্টার মত হেঁটে হাঁপিয়ে উঠে এ্যালান, ফিউশন সেন্টারের দেয়ালে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় সে, তারপর ছয় ফিট উঁচু দেয়াল টপকিয়ে ঢুকে পরে পৃথিবীর ভয়ংকরতম জায়গা ফিউশন সেন্টারের সীমানায়। বিশাল এলাকা নিয়ে এই সেন্টার, সমগ্র এলাকা জুড়ে এটোমিক ব্লাস্টার হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ংকর দর্শন সামরিক রোবট। এ্যালনের সাথে ফিউশন ট্রেকিং গোলকটা না থাকার কারনে এদের কেউই তাকে দেখতে বা ট্রেক করতে পারবে না, এইসব রোবটেদের কাছে আসলে এ্যালানের কোন অস্তিত্বই নেই। তারপরেও স্বাভাবিক আত্মরক্ষার তাড়নায় তার বুকটা ধুকধুক করছিলো, কাঁপা কাঁপা পদক্ষেপে সে একটা রোবটের সামনে দাড়ায়, কিন্তু রোবটটার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখতে না পেয়ে তার ভয় আস্তে আস্তে উবে গিয়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। এবার মেইন রোড দিয়ে দীপ্ত পদক্ষেপে হেঁটে গিয়ে মূল ফটকের সামনে দাড়ায় এ্যালান। মূল ফটকে দাড়ানো রোবট গার্ডের পকেট থেকে টান দিয়ে পাঞ্চিং কার্ডটা বের করে আনে সে, রোবটের কোন বিকার নেই। মূল বিল্ডিং এ ঢুকে লিফটে দিকে এগিয়ে যায় এ্যালান, লিফটে ঢুকে ভূগর্ভস্হ পঞ্চাশ তলা নিচে, সেন্টারের হৃৎপিন্ড উপস্হিত হয় সে। বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে যায় সে ! আলোতে চারদিকে মধ্যাহ্ণে মত ঝলমল করছে ; প্রায় পঞ্চাশ মিটার ব্যাসের একটা গোলক, ঠিক ছোট ফিউশন ট্রেকিং গোলকের মতই দেখতে শুধু আকারে বিশাল, তরল হিলিয়ামের উপর ভাসছে, আর চারদিক থেকে লক্ষ কোটি তার এসে এই গোলকের বহিরাবরনে মিশেছে। এ এক অপার্থিব অপূর্ব দৃশ্য ! পৃথিবীর কোন জীবন্ত মানুষ গত দুইশত বছরে এই খানে আসতে পারেনি !
বিহ্বল ভাব কেটে গেলে, কালক্ষেপন না করে কাজে লেগে যায় এ্যালান। ব্রিফকেস খুলে কাঁপা কাঁপা হাতে বের করে আনে ছোট কিন্তু ভয়ংকর বিধ্বংসী টাইম বোমাটা। এই সেন্টার ধ্বংস করার জন্য এত পাওয়ারফুল বোমার কোন দরকার ছিলো না, কিন্তু এ্যালান কোন রকম ঝুঁকি নিয়ে রাজি নয় । বোমাটা জায়গা মত বসিয়ে হাত ঘড়ির সাথে মিলিয়ে ঠিক ছয়টায় সময় সেট করে সে। এখন বাজে সাড়ে চারটা, এখান থেকে বের হয়ে, সাতটার মধ্যে ব্রডকাস্টিং সেন্টারে পৌঁছাতে হবে তাকে। টিভি, রেডিও, ইন্টারনেটে বিশ্ববাসীর কাছে এক যোগে প্রচার করতে হবে তাদের মুক্তির সুসংবাদ। হাতে সময় কম, সবকিছু আবার চেক করে ঠিক পাঁচটার সময় লিফটে করে গ্রাউন্ডফ্লোরে উঠে আসে এ্যালান।
সেন্টারের দেয়াল টপকিয়ে বাইরে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় এ্যালান, অধৈর্য্য হয়ে একটু পরপর হাতের ঘড়িতে সময় দেখতে থাকে সে, শেষে এসে ঘড়ির সাথে সুর মিলিয়ে কাউন্ট ডাউন শুরু করে এ্যালান ...... ফাইভ, ফোর, থ্রী, টু, ওয়ান .... এক সেকেন্ড, দুই সেকেন্ড, তিন সেকেন্ড কোন সারা শব্দ নেই ! হঠাৎ পায়ের নিচে মাটি কেঁপে উঠে, থরথর ! পাঁচ সেকেন্ড পর বিকট শব্দের কানে তালা লাগে যায় এ্যালানের।
মুচকি হেসে পকেট থেকে আট পাতার ভাষণের পান্ডুলিপিটা বের একটু চোখ বুলিয়েই আবার পকেটে চালান করে দিয়ে ব্রডকাস্টিং সেন্টারের দিকে পা বাড়ায় এ্যালান, মিশন সফল।
২. ফিউশন গোলক:
একবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে পৃথিবীতে যখন অরাজকতা সীমা ছাড়িয়ে যাবার উপক্রম হয় তখন একদল নিবেদিত প্রাণ বিজ্ঞানী ফিউশন ট্রেকিং ডিভাইসটি আবিষ্কার করে। প্রাথমিক ভাবে আইন করে বাধ্য করা হয় যে, প্রত্যেকেই এই ডিভাইসটি সাথে রাখতে হবে। এতে সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে ট্রেকিং করা সম্ভব হয়। প্রতি মুহূর্তের কে কোথায় আছে, কি করছে, কি কথা বলছে, তার সব বিস্তারিত ইনফরমেশন ফিউশন সেন্ট্রালে চলে যেত। ফলে, অবিশ্বাস্য রকম ভাবে কমে আসে অপরাধের সংখ্যা। কিন্তু এর কয়েক বছর পর, আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই এর হার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এবার অপরাধ সংগঠিত হওয়ার স্হানে কাউকে ট্রেক করা সম্ভব হচ্ছে না । পরে জানা গেলো যে, অপরাধীরা এক স্হানে ফিউশন ট্রেকিং ডিভাইসটা রেখে অন্য কোথাও অপরাধ সংগঠিত করে আবার আগের স্হানে ফিরে এসে ট্রেকিং ডিভাইস পকেটে ভরে নেয়। এতে করে ফিউশন সেন্টারে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার স্হানে কোন অপরাধীর উপস্হিত থাকার কোন ইনফরমেশন পাওয়া যায় না।
আবার আইন পরিবর্তন করা হলো, প্রতিটি শিশুর জন্মের সাথে সাথে অস্ত্রোপচার করে মস্তিষ্কের ঠিক কেন্দ্রে ফিউশন ট্রেকিং গোলক বসানো বাধ্যতামূলক করা হলো। এতে করে জীবিত অবস্হায়, মস্তিষ্ক অক্ষত রেখে কেউ এই গোলক অপসারন করতে পারবে না। ফলাফল স্বরূপ এক প্রজন্ম পরেই পৃথিবীতে অপরাধের সংখ্যা একেবারে শূণ্যের কোঠায় নেমে আসে। সমগ্র মানব জাতী এক হয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কাজ করতে থাকে, কোথাও কোন অপরাধ নেই, নেই কোন বিশৃঙ্খলা, সবাই যার যার কাজ করে যাচ্ছে সুশৃঙ্খলভাবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মানুষের জীবন হয়ে উঠে ভয়ংকর রকম বৈচিত্রহীন, একঘেঁয়েমি পূর্ণ, আত্মহত্যার হার বেড়ে যায় ভয়ংকর রকমভাবে
ধীরে ধীরে বিশ্ববাসী অনুধাবন করতে পারে, সবাই একেকটা জৈবিক রোবটে পরিনত হয়ে গেছে; কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে, মানুষ নিজের অজান্তেই নিজের বানানো পরাধীনতার শিকলে বাঁধা পড়ে গেছে। সম্পূর্ণ ট্রেকিং সিস্টেম এমন ভাবে ডেভেলপ করা হয়েছিলো যে, সে নিজেই নিজেকে আপডেট করতে ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে। এই ট্রেকিং সিসটেম এমন ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের ফিউশন গোলক তৈরী করে যে, মস্তিষ্কে বসানো এই গোলকের মধ্যেমে একটি নির্দিষ্ট কম্পনের সিগনাল দিয়ে যে কোন মানুষকে মুহূর্তেই হত্যা করা সম্ভব।
কিছু সাহসী যুবক ছোট খাটো বোমা নিয়ে মাঝে মাঝেই সেন্টারে হামলা করে, কিন্তু সেন্টারের কাছে পৌছার আগেই অসহ্য মাথা ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে আর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরনে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে পরম অবহেলায় এদের দেহকে ইলেক্ট্রিক চুল্লীতে পুড়িয়ে ফেলা হয়। মানুষের স্বাধীনতা স্পৃহা কল্পনাতীত, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কত টগবগে তরুন যে এভাবে জীবন জলাঞ্জলি দিয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।
৩.এ্যালান: (এক বছর আগের ঘটনা)
ফিউশন সেন্টার পার হয়ে এ্যালানের অফিস, প্রতিদিন সকালে এটার পাশ দিয়ে গাড়ী চালিয়ে তাকে অফিসে যেতে হয়, যাবার পথে একরাশ ঘৃণা নিয়ে ফিউশন সেন্টারের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। শুধু ঘৃণার যদি নিজস্ব কোন শক্তি থাকতো, তাহলে পৃথিবী দুইশত কোটি মানুষের ঘৃণায় মুহূর্তেই গুঁড়াগুঁড়া হয়ে ধূলির সাথে মিশে যেতো মানুষের নিজের হাতেই তৈরী ইতিহাসের জঘন্যতম এই সেন্টারটি। আফসোস, মানুষ ঘৃনাকে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলেও ঘৃনার নিজস্ব কোন শক্তি নেই।
আজকেও মনে হয় দেরি হয়ে যাবে অফিসে, ভাবে এ্যালান। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি পার্ক করে অফিসের দিকে দৌড়ে যায় সে। ঢুকার মুহূর্তে ডিং করে একটা শব্দ হয়ে স্পিকারে আওয়াজ ভেসে আসে, "মিস্টার এ্যালান, আপনি ১ মিনিট দেরি করে অফিসের এসেছেন, আপনার এক ঘন্টার বেতন মাস শেষে কেটে নেওয়া হবে।"
জাহান্নামের যাও তুমি, নিজের অজান্তেই গালিটা মুখদিয়ে বের হয়ে আসে এ্যালানের।
মিস্টার এ্যালান, আপনি এই মাত্র মহামন্য ফিউশন সেন্টারকে কটুক্তি করেছেন, আপনাকে একশত ইউনিট জরিমানা করা হলো।
রাগে গজগজ করতে করতে নিজের ডেস্কের গিয়ে বসে এ্যালান। একটা ঘন্টা যেহেতু বেতন থেকে কাটাই যাবে তাই এই একটা ঘন্টা একটু টিভি দেখা যাক। চ্যানেল বদলাতে বদলাতে একটা চ্যানেলের বিজ্ঞাপন তার চোখ আটকে যায়। মাথাটা একটু ঝাকি দিয়ে আবার শুনার চেষ্টার করে এ্যালান, সে কি ঠিক শুনছে ? নাহঃ ! ঠিকইতো শুনছে !
মেয়েটি একনাগাড়ে বলে যাচ্ছে, "আপনি কি বিষাদগ্রস্ত? নাগরিক বিনোদনের অভাব অনুভব করছেন? আপনি কি নিজেকে বন্দী মনে করছেন ? আপনি কি আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে খুন করতে চান ? তাহলে আমরা আপনাকে খুঁজছি না, আপনিই আমাদের খুঁজছেন, চলে আসুন আমাদের এখানে, জীবনকে উপভোগ করুন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মাত্রায়"
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না এ্যালান, ফিউশন সেন্টারের অনুমোদন ব্যাতিত কোন কিছু প্রচার করা যায় না, তাহলে খুনের বিজ্ঞাপন কিভাবে প্রচার করছে এই সংস্হা ! এটা নিশ্চই নতুন কোন ব্যাবসায়ীক ধন্দাবাজী। তারপরও ওদের ঠিকানাটা টুকে রাখে এ্যালান। খুন করার স্বাধীনতা ! ওহ! নিশ্চই খুব থ্রিলিং কোন খেলা হবে; গতানুগতিক থিম পার্ক, সী বীচ, পাহাড় ট্রেকিং এইসবের আর মানুষ কোন মজা পায় না, এখন দরকার অপরাধ করার আনন্দ, তার উপর সেটা যদি হয় খুন করার মত অপরাধ তাহলেতো সে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা !
৪. সি.এন্ড.কে:
"ক্রাইম এন্ড কিলিং সেন্টার" এর বাহিরে দাড়িয়ে আশপাশটা বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে এ্যালান, বিশাল এলাকা জুড়ে এই সংস্হা, অনেকটা থিম পার্কের মত। ভিতের ঢুকে এ্যালান ইনফরমেশন কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যায়।
"হ্যালো স্যার, আমাদের সি.এন্ড.কে সেন্টারে আপনাকে স্বাগতম"
কি সুন্দর মেয়েটা ! কিন্তু হাসিতে কোন প্রাণ নেই কেন? যেন জীবন্ত মমির হাসি! একটু চমকে উঠে এ্যালান। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, আমি আজ প্রথম এসেছি এই সেন্টারে, আমাকে কি আপনাদের সার্ভিসের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবেন ?
আপনি ঐখানে একটু অপেক্ষা করেন, আমাদের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাকে ব্রীফ করবে।
এ্যালান আরও পনের জনের সাথে বসে অপেক্ষা করছে একটা ঘরে, কিছুক্ষণ পর একজন সুদর্শন যুবক এসে মমির হাসি দিয়ে বললো, "আমি এই কোম্পানীর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, আপনাদের ব্রীফ করতে এসেছি।"
"এটা হলো ডি.এন.এ. ব্যাংক; এখানে পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত ও কুখ্যাত সব ব্যাক্তিদের ডি.এন.এ সেম্পল আছে; আলেকজেন্ডার, সক্রেটিস, প্লেটো, একেলিস, সিজার, ক্লিউপেটরা, কলোম্বাস, রাইট ব্রাদারস, নিউটন, নেপোলিয়ান, আইনস্টাইন, হিটলার, পেলে, সাদ্দাম হোসেন, বিন লাদেন, মিলেট দম্পতি, পিয়েলা কি নেই এই ব্যাংকে ! " দর্শনার্থীদেরকে বাহির থেকে একটা বড় ভবন দেখিয়ে বললো মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ।
এইটা হলো ক্লোন সেন্টার, এখানে আপনাদের পছন্দমত শিকারকে ক্লোন করা হয়। সবাই কেমন যেন একটু চমকে উঠলো। স্মিত একটা হাসি দিয়ে এক্সিকিউটিভ বললো, "জ্বী, আপনারা ডিএনএ ব্যাংক থেকে সেম্পল পছন্দ করে কাকে হত্যা করতে চান আমাদের জানাবেন, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা তাকে ক্লোন করে ফেলবো।
সবশেষে এগুলো হলো আমাদের কিলিং জোন, দুর থেকে কতগুলো প্রাচীর ঘেরা জায়গা দেখিয়ে বললো এক্সিকিউটিভ। প্রতিটা ব্লক আয়তনে দুশত বর্গ মিটার, একেকটায় একের রকম পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে, কোনটায় পাহাড়ি এলাকা, কোনটা আবার শুধু মরুভূমি, আবার কোনটা ঘন জঙ্গল। নির্দিষ্ট দিনে ক্নোন করা প্রাণীটাকে এখানে ছেড়ে দেওয়া হবে, আর আপনি আপনার পছন্দমত যেকোন একটা অস্ত্র নিয়ে তাকে শিকারে নেমে যাবেন। সে এক ভয়ংকর রকম এডভেঞ্চার !
দর্শনার্থীদের মধ্যে থেকে একজন প্রশ্ন করলো, আচ্ছা যদি শিকারী নিজেই শিকার হয়ে যায় ?
না, এমন হবার কোন সম্ভবনা নেই। আপনাদের হাতে একটা এলার্ম বাটন থাকবে, কোন বিপদ হলে এই বাটনে চাপ দিবেন; সাথে সাথে আমাদের সার্প-শুটার স্নাইপার ক্লোনটাকে গুলি করে ভূপাতিত করে ফেলবে।
এ্যালান একে একে সবার চোখের দিকে তাকায়, সেখানে জ্বলজ্বল করছে অজানা এক আভা, মুহূর্তেই যেন সবার মধ্যে নতুন এক প্রাণের সঞ্চার হয়। হাজার হোক, খুন করার নেশা পৃথিবীর প্রাচীনতম ভয়ংকর নেশা। দুইশত বছর কেন, হাজার বছরেও এই নেশা মানুষের রক্ত থেকে যাবার নয়।
আপনারা আজকে বুকিং দিয়ে গেলে আগামি সপ্তাহে এসে আমাদের এই অভূতপূর্ব খেলায় অংশগ্রহন করতে পারবেন, নির্বিকারভাবে বলে এক্সিকিউটিভ।
সবার মত এ্যালনও বুকিং দেওয়ার জন্য লাইনে দাড়ায়। বেশিভাগই হিটলার আর আলেকজেন্ডারকে বুকিং দেয়। বুকিং এর লোকটা একটু অবাক হয়ে এ্যালানের দিকে তাকায় যখন সে বুকিং দেয় সক্রেটিসকে। একটু নার্ভাস হাসি দিয়ে এ্যালান শুধু বলে, "আমি প্রাচীন গ্রীক দর্শনশাস্ত্রের ভক্ত"।
সঞ্চিত ইউনিটের প্রায় অর্ধেক খরচ করে যখন এ্যালান বাড়ি ফিরলো তখন রক্তের মধ্যে একটা আলোড়ন অনুভব করছিলো সে, এ এক অন্যরকম অনুভূতি। অনেক দিন পর আজ তার শান্তির ঘুম হয় । আহঃ ! এমন শান্তির ঘুম কত দিন হয় না !
৫. প্রথম খুন:
"স্যার, আপনাকে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রস্তুত হতে হবে, সক্রেটিসকে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই মাত্র" বললো লোকটা আর আপনি এখান থেকে যেকোন একটা হাতিয়ার বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
এ্যালান দেখে তার সামনে তীর ধনুক, তলোয়ার, বিংশ শতাব্দির রিভলবার থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক এটোমিক ব্লাস্টার পর্যন্ত থরে থরে সাজানো আছে। সব ঘুরে সে শেষমেষ একটা বিটক দর্শন দুইটা তলোয়ার হাতে তুলে নেয় ।
জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকে, তারপর ঘন জঙ্গলে ঢুকে যায় এ্যালান। দুই হাতে দুইটা তলোয়ার নিয়ে সন্তপণে এগিয়ে যাচ্ছে সে, সতর্ক দৃষ্টি, নিজের নিঃশ্বাসের শব্দ নিজেই শুনতে পাচ্ছে । হঠাৎ চোখের কোনে কি যেন নড়ে উঠতে দেখে সে, এক লাফ দিয়ে গাছে আড়ালে চলে যায় এ্যালান, তারপর ধীরে ধীরে উকি দিয়ে দেখে একটা কাঠবিড়ালী জানপ্রাণ দিয়ে দৌড়াচ্ছে । নিজের মনেই হেসে উঠে এ্যালান।
আরও এগিয়ে যায় সে, বুকের ভীতর ড্রাম বাজানোর শব্দ হচ্ছে, লাফ দিয়ে একটা বালির টিবির উপর উঠে সে, একটু ধাক্কার মত খায় এ্যালান সাথে সাথে, দেখে পনের বিশ মিটার দুরে একটা গাছের নিচে বসে আছে একটা পৌড় লোক, নির্বাক নিশ্চল। এত অল্প বয়সী কাউকে আশা করেনি এ্যালান, কত হবে লোকটার বয়স ! চল্লিশ বিয়াল্লিশ !
খোলা তরবারী নিয়ে সক্রেটিসের দিকে এগিয়ে যায় এ্যালান, সমানে দাড়িয়ে হুংকার দিয়ে উঠে, "আমি আপনাকে হত্যা করতে এসেছি"
মৃদু হেসে উঠে সক্রেটিস, কিছক্ষণ আগে হেমলক পান করিয়ে আমাকে হত্যা করা হয়েছে, তুমি এখন আবার আমাকে কিভাবে হত্যা করবে ? আর আমি এখানেই বা এলাম কিভাবে ? এটা কি মৃত্যুর পরবর্তী জীবন ?
আপনাকে আবার সৃষ্টি করা হয়েছে, আপনাকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রথমবার হত্যা করা হয়েছিলো, মানুষ এখন মানুষ তৈরী করার প্রযুক্তি আয়ত্বে নিয়ে এসেছে ।
বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে, মৃদু হেসে সক্রেটিস বললো, "ও! পুনঃপুনঃ যদি সৃষ্টিই করা যায় তাহলে মৃত্যুর কি স্বার্থকতা রইলো ? ঠিক আছে কর হত্যা আমাকে, তবে মৃত্যুর আগে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও, আমাকে কেন হত্যা করতে চাও?
একটু থমকে যায় এ্যালান তারপর বলে, এটা একটা খেলা, আপনি শিকার আমি শিকারি, আপনি দৌড়ান ।
হো হো করে হেসে উঠে সক্রেটিস, দৌড়িয়ে এমন কোন জায়গায় কি যেতে পারবো যেখানে মৃত্যু আমাকে ছোঁবে না ! তুমি যদি আমাকে হত্যা করতেই চাও তাহলে চালাও তোমার তরবারী।
রক্তের মধ্যে কম্পন অনুভব করতে থাকে এ্যালান, মৃত্যু মুখেও শিকারকে এমন নির্বাক দেখে হিতাহিত জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে সে। ডান হাতে ধরা তলোয়ারটা গায়ের জোরে ঢুকিয়ে দেয় সক্রেটিসের বুকে, আর বা হাতের তলোয়ারটা সজোয়ে বসিয়ে দেয় মাথা বরারব।
উহঃ শুব্দ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সর্বকালের অন্যতম দার্শনিক সক্রেটিস, মৃত্যুর আগে শুধু একটা কথা মুখ দিয়ে বের হয় তার, "হায়! তিন হাজার বছরেও সভ্যতা একচুলও এগোয়নি"
এ্যালানের সারা শরীর রক্তে মাখামাখি, তার পায়ের কাছে পড়ে আছে সক্রেটিসের থেঁতলানো মগজ, পৈশাচিক উল্লাসে গগন চিৎকার দিয়ে উঠে সে। অপকৃতস্হের মত হাসতে হাসতে কিলিং জোন থেকে বের হয়ে আসে এ্যালান।
৬. দ্বিতীয় খুন:
পরবর্তী কয়েকদিন ঠিকমত ঘুমাতে পারেনি এ্যালান, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শুধু ভেসে উঠেছে মাটিতে পড়ে থাকা সক্রেটিসের মগজ। উহঃ কি বিভৎস দৃশ্য ! তার অবচেতন মন কিছু একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে তাকে, বারবার একই স্বপ্ন দেখিয়ে। কিন্তু ইঙ্গিতটা ধরতে না পেরে তার অস্হিরতা আরও বেড়ে যায়, মাঝে রাইসার সাথে বেশ কয়েকবার তুমুল ঝগড়া হয়ে গেছে তার।
একদিন তুমুল ঝগড়ার মধ্যে হঠাৎ রাগের মাথায় রাইসা বলে উঠে, ফিউশন গোলকের মাধ্যমে তোমার মগজে যদি তীব্র একটা ব্যাথা দিতে পারতাম তাহলে মনটা শান্ত হতো।
হঠাৎ এ্যালানের সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠে, "কি বললেন তুমি ? আবার বলো , আবার বলো।
"ফিউশন গোলকের মাধ্যমে তোমার মগজে যদি তীব্র একটা ব্যাথা দিতে পারতাম তাহলে মনটা শান্ত হতো।", কেন হুমকি দিচ্ছ নাকি ? যতবার বলতে বলবে ততবার বলবো, আমি কি তোমাকে ভয় পাই নাকি ? রাগে গজগজ করতে থাকে রাইসা।
ইউরেকা! ইউরেকা! চিৎকার দিয়ে বউকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে ধেঁই ধেঁই করে নেচে উঠে এ্যালান। তার সারা গালে, মুখে চুমু দিতে শুরু করে হঠাৎ।
একটা ঝাড়া দিয়ে এ্যালানকে সরিয়ে দিয়ে বলে "কি ব্যাপার ! পাগল হয় গেলে নাকি?"
পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে ভয়ংকর পরিকল্পাটা ফাইনাল করে ফেলে এ্যালান। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বার বার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সে। অবশেষে সন্তুষ্ট হয়, নাহঃ পরিকল্পনায় কোথাও কোন ফাঁক নেই; একদম ফুলপ্রুফ প্ল্যান।
অবশেষে সি.এন্ড.কে সেন্টারে হাজির হয়ে এ্যালান। এগিয়ে যায় ইনফরমেশন কাউন্টারের দিকে। মেয়েটির দিকে তাকিয়ে মৃদু একটা হাসি দিয়ে বলে, "আমি কি কোম্পানির টেকনিকেল ম্যানেজারের সাথে দেখা বলতে পারি ? "
ইন্টারকমে কিছুক্ষণ কথা বলে মেয়েটি বলে, "আপনি এই দিক দিয়ে পাঁচ নাম্বার রুমে যান, ওখানেই টেকনিকেল ম্যানেজার বসেন"
দরজায় নক করতেই ভিতর থেকে একটা ভরাট কন্ঠ বলে উঠে, "আসুন স্যার , আসুন"।
ভীতরে গিয়ে বসে এ্যালান।
তা এবার বলুন কি করতে পারি আপনার জন্য ?
আমি আপনাদের এখানে আগে একবার ক্লোন খুন করেছি, আমি আবারও করতে চাই।
ঠিক আছে, আপনি বুকিং দেন, সমস্যা কোথায় ?
আমি আসলে আপনাদের ডি.এন.এ ব্যাংকের কাউকে খুন করতে চাই না, আমি আমার নিজের ক্লোনকে খুন করতে চাই
কিন্তু আপনিতো বিখ্যাত কেউ নন, তার উপর আপনি কেন নিজের ক্লোনকে খুন করতে চান?
দেখুন, আমি যদি নিজের ক্লোনকে খুন করতে যাই, সেই ক্লোনটাও বাঁচার জন্য লড়াই করবে । কিন্তু দুইজনের চিন্তাধারা যেহেতু একরকম সেহেতু এই লড়াইটা হবে খুবই উচ্চমার্গীয় বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই। এতে আপনাদের এই প্রজেক্টে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আর আজ আমি বিখ্যাত কেউ নই, কিন্তু কাল যে হবো না সে গ্যারান্টিতো কে দিতে পারবে না , তাই না ?
হুমম, ভালো বলেছেন। ঠিক আছে , আমি টিকনিসিয়ানদের বলে দিচ্ছি , আপনি আজকে ডিএনএ সেম্পল আর বুকিং দিয়ে যান। আমরা আপনাদের লড়াই উপভোগ করতে চাই।
এক সপ্তাহ পর, ধীরে ধীরে চোখ খুলে এ্যালান। নিজেকে একটা ঘন জঙ্গলে আবিষ্কার করে সে । লাফিয়ে উঠে এ্যালান, সি.এন্ড.কে সেন্টারের টেকনিকেল ম্যানেজারের সাথে কথোপকথন পর্যন্ত তার মনে আছে, তারপর আর কিছুই মনে নেই তার। সে এখানে কিভাবে এলো ! দেখেতো জায়গাটা মনে হচ্ছে সি.এন্ড.কে সেন্টারের কিলিং জোন । মানে ! সে ক্লোন ! তাকে এখন হত্যা করতে আসবে সে নিজেই । ধীরে ধীরে সব স্মৃতি ফিরে আসে তার, মনে পড়ে গেলো তার ভয়ংকর সেই পরিকল্পনার কথা । মৃদু হাস্য মুখে সে অপেক্ষা করতে থাকে নিজের জন্য।
মুখোমুখী দুই এ্যালান, দুজনেই চুপ, কোন রা নেই কারো মুখে। দুজনেই জানে একটা টু শব্দ করলে আসল এ্যালনের মাথায় বসানো ফিউশন ট্রেকিং গোলকের মধ্যমে সব ইনফরমেশন চলে যাবে ফিউশন সেন্টারে। কোন কথা না বলে, হাতের তলোয়ারটা মাটিতে ফেলে দিয়ে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে আসল এ্যালান ।
প্রচন্ড বেগে মাথার উপর নেমে আসে বিকট দর্শন তলোয়ার, বিদির্ণ হয়ে যায় আসল এ্যালানের মাথা। মুহূর্তেই এ্যালানের মগজ থেকে ফিউশন ট্রেকিং গোলকটা বের করে পকেটে ভরে নেয় ক্লোন এ্যালান।
রক্ত মাখা শরীর নিয়ে কিলিং জোন থেকে বের হয় আসে দুই শত বছর পর, পৃথিবীর প্রথম স্বাধীন মানুষ
৭. পরিসংহার:
" .... বিশ্ববাসি, আজ আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের । আমাদের সামনে অনেক কাজ , আমাদের প্রিয় এই পৃথিবীকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন।" একদম শেষে এসে এ্যালান বলে, "আসল এ্যালানের পক্ষ থেকে আমি ক্লোন এ্যালান "। এই বলে দীর্ঘ বক্তৃতা শেষ করে ব্রডকাস্টিং সেন্টার থেকে বের হয়ে আসে এ্যালান।
চারদিকে উৎফুল্ল মানুষের ঢল ! মানুষ আজ মুক্তির আনন্দে পাগল প্রায়। রাস্তায় বের হয়েই এ্যালান দেখে রাইসা দুহাত প্রসারিত করে দাড়িয়ে আছে, তার চোখে বেয়ে ঝরছে জল।
এ্যালান এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, "তুমি কি আমাকে কখনো আগের মত ভালোবাসতে পারবে?"
কেন ?
আমি তো আসল এ্যালান নই, এ্যালানের ক্লোন।
কৈ নাতো ! কোন পার্থক্য তো নেই ! তুমিই আমার এ্যালান, শুধু আসল এ্যালান থেকে এক সপ্তাহের ছোট।
দুইজনেই হো হো করে হেসে উঠে, রাইসার এই কৌতুকে।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ... ভয় পাবার কিছু নাই .... সময় করে পড়ে নিয়েন
২| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
কালপুরুষ বলেছেন: বড় গল্প। সময় করে পড়বো। জ্বর শরীরে কিছুই ভাল লাগছেনা।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মনে হয় আমার ব্লগে আপনার প্রথম কমেন্ট .... অনেক অনেক ধন্যবাদ ...
পরে সময় করে পড়ে নিয়েন ... আপনার সমালোচনা পেলে ভালো লাগবে ...
আপনার তড়িৎ সুস্হতা কামনার করছি
৩| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৯
পলাশমিঞা বলেছেন: দেখেই ডর লাগছে
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনি ডারাইলে চলবে
...
আপনি তো আমাকে সুন্দর গাইড লাইন দেন ....
পরে সময় করে পড়ে নিয়েন .....
৪| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৫
পারভেজ বলেছেন: অনেক ভাবনা চিন্তা আর চমকের লেখা
সবটুকুই ভাল লাগলো।
তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও হতো। কারণ এখানটায় একটু বেমানান লেগেছে।
তবে কাহিনীর চমকটা উপভোগ্য।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ..... আপনি যে, এই এক দুই কথায় অনেক কিছু বলে দেন এটাই ভালো লাগে ....
কোন নিরাপত্তার কথা বলছেন ? ফিউশন সেন্টারে সামরিক রোবটদের ব্যাপারটা ?
৫| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫২
ইসানুর বলেছেন: ++++++++
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ .....
৬| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম। চমৎকার কাহিনী। ক্লোনিং, ট্র্যাকিং এই বিষয়গুলো এখনকার সময়েই খুব উত্তপ্ত ইস্যু। আমি অবশ্য মাঝামাঝি পর্যন্ত পড়ে, গোলকটা কী করে হাতে আসলো সেটা ভাবতেছিলাম। শেষে এসে কারণ জানলাম।
এখন একটু ক্রিটিক্যালি দেখি। আপনি বস্, গল্পের শেষে এসে একটা ভালোবাসার আবহ নিয়ে আসেন। এখানে রাইসার চেয়ে অ্যালান-এর সাথে বিশ্ববাসীর সদ্যমুক্ত মানুষের ইন্টার্যাকশনটা দিলে বেশি ভাল হইতো মনে হচ্ছে। মানে আসল মুক্তিটাতো মানুষের, মানবিক। এখানে মূল চরিত্রের অভিযানটাই বেশি ফোকাস পাচ্ছে। এটাকে বদলায় দেখতে পারেন।
লেখায় উত্তম জাঝা দিলাম!
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন সমালোচনা পেলাম .... অনেক অনেক ভালো লাগছে
খুবই খুবই জুতসই জায়গায় ধরেছেন .....
গল্পের প্রথমে আমি রাইসার ব্যাপারে এ্যালানের আগেব নিয়ে লিখেছি, অবচেতনমনে, মনে হয় ছিলো শেষে এসে আবার গল্পের প্রথম অংশের রিপিট হবে, অনেকটা চক্রের মত ..... পুরা প্লট যখন সাজাই তখন এমনও ভেবেছিলাম যে, শেষে এসে সদ্য মুক্ত জনতার নেতা হিসাবে এ্যালানকে দাড় করাবো .....
কিন্তু একটানে লিখে গেছি, কখন যে শেষে এসে আবার প্রথম অংশের প্রতিফলন হয়ে গেলো, চক্রের মতো বুঝতে পারিনি ......
আপনার পয়েন্টটা মাথায় থাকলো ......
অনেক ধন্যবাদ ....
শেষমেষ, ভালো আছেন তো ?
৭| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: জোশ। অনুবাদ নাকি নিজের এইটা লেখেন নাই। দুই ক্ষেত্রেই দশে দশ। অনুবাদ না হইলে আমার একটা কথা। আগামীদিনে কি বাংলা নামগুলো সত্যি থাকবে না?
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: সম্পূর্ণ নিজের লেখা, বস ....
ভালো একটা পয়েন্ট ধরছেন ... আগামীতে সাইফাইতে বাংলা নাম ব্যাবহার করতে হবে ....
আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো ... অনেক ধন্যবাদ
৮| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৭
সৌম্য বলেছেন: ট্রেকিং শব্দটা দেখে ঢুকছিলাম। ঢুকে দেখি সাই ফাই।
তবে ভালো লাগলো। এই প্রথম ব্লগে একটা অত্যন্ত উচু মানের সাই ফাই পেলাম। যেটা মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রভাবমুক্ত।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ....
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের প্রভাব মুক্ত হয়ে লেখা আসলে খুবই কঠিন একটা কাজ ..... উনি এত এত লিখেছেন যে , কি বলবো
....
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো ....
মাঝে মাঝে আসবেন এখানে .....
৯| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০০
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: জোস হইছে গল্পটা...অসাধারণ!! আমি নির্বাক!
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ..... অনেক
আপনাদের এমন প্রশংসা পেয়ে পেয়েই তো দিন দিন সাহসী হয়ে উঠছি এত বড় বড় গল্প লেখায় ....
১০| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০২
মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: চমৎকার,কঠিন...সেই রকম হইছে।+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাপরে ! আপানর প্লাসতো দেখি সীমানা ছাড়াইয়া চইলা গেলো .... হা হা হা
অনেক ধন্যবাদ .....
আপনারা পড়েন বলেই ব্লগে এত বড় বড় গল্প লেখার সাহস পাচ্ছি ......
আপনার গল্প পাচ্ছি না অনেক দিন ধরে .....
১১| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১২
জানজাবিদ বলেছেন: ভাল লাগছে, সত্যিই ভাল। লেখা চালিয়ে যান, কাহিনীর সাথে সাথে টেকনিকালি নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করলে আরো ভাল।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: যতটা সম্ভব চেষ্টা করি টেকনিকালি নিখুঁত লিখতে, পাশাপাশি চেষ্টা করি কঠিন কঠিন টেকনিকেল টার্মগুলো যাতে না ব্যাবহার করতে হয় , এতে সাধারন পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হয় .... দুই দিক মিলিয়ে লিখতে হয় আর কি ....।
ভালো লাগলো শুনে খুবই ভালো লাগলো ...
অনেক ধন্যবাদ , আপনাকে
১২| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১৭
সাইফুর বলেছেন: ফাটাফাটি
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:১৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ , সাইফুর ভাই .....
ওমা ! আপনি তো দেখি কচ্ছোপের চোখে চশমা লাগাইছেন !
১৩| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২১
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: ভালই বলা যায়। তবে আজ সকালের একটা ঘটনায় আতংকে আমার হাত পা... আমার ব্লগে আছে একটা পোস্ট, পড়ে দেইখেন সময় করে।
গল্পটা আরেকবার পড়লাম। এবারও ভাল লাগতেছে। আপনি তো আর কয়েকটা গল্প লিখলে একটা পূর্ণাঙ্গ বই ছাপিয়ে ফেলতে পারবেন!
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: দেখেছি আপনার পোস্ট, সময় পাচ্ছি না এই মুহূর্তে , রান্না করছি আর ফাঁকে ফাঁকে শুধু কমেন্টের রিপ্লায় দিচ্ছি , ২ ঘন্টা পরে ব্লগ পড়া শুরু করবো ....
বই !! বাপরে !! এই মুহূর্তে চিন্তাই করছি না ...
আর ভবিষ্যতের
কথা জানি না .....
১৪| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২১
ওয়ার হিরো বলেছেন: ব্যাপকসসসসসস
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ......
আপনাদের ভালো লাগলে , কষ্টটা স্বার্থক মনে হয়
১৫| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২২
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: দেবদূত'দা, আসেন আমরা ধইরা সাইফুর ভাইয়ের মাথায় একটা ট্রেকিং বসায় দেই!
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ...... একবার কচ্ছপের খোলের ভিতর মাথা ঢুকাইলে বাইর বা করবেন কিভাবে ট্রেকিং ই বা কিভাবে বসাবেন .....
১৬| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২২
মেঘবাজি বলেছেন: সুপার্ব!
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মেনি মেনি থেংক্স .....
কষ্টটা স্বার্থক মনে হচ্ছে ....
১৭| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: লেখাটা যে দারুণ হয়ছে । অসম্ভব সুন্দর। আপনি দেখায়া দিছেন। এক নিশ্বাসে পড়ে গেলাম পুরাটা। +++++++++++++++++++++
শেষে দিয়ে রাইসার কথায় মনটা খারাপ লাগল। আসল এলানের জন্য ওর কোন মায়া নেই? হাসি দেয় কীভাবে? রাইসার আইপিসহ ব্যানের দাবী।
বস, আমি যতদূর জানি, স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে মস্তিষ্কে। ডিএনএ দিয়ে ক্লোন করার পর, সেই ক্লোন তার আগের স্মৃতি ফিরে পাবে কী করে??
একটা ভেড়াকে ক্লোন করা হয়েছিল খেয়াল আছে? ওটা কী ওর মাকে চিনতে পেরেছিল? আমি ব্যাপারটা পরিষ্কার জানিনা। আপনি ব্যখ্যা করলে ভাল লাগবে।
আমি আর আমার ক্লোন কী এক হব? মানে, আমি কীভাবে চিন্তা করব সেটার ৮৫% নির্ধারিত হয় আমার পরিবেশ দ্বারা।বংশুগতি থেকে শুধু তার রিএকশান পাই আমরা। মানে, আমি আর আমার ক্লোন এক হওয়ার কথা না।তাকে একই পরিবেশ কোন একটা সিস্টেম করে দিতে হবে। মানে, রাইসার খুশি হবার কিছু নাই। এই এল্যান আর সেই এল্যান এক না। রাইসা পঁচা। হাজব্যান্ড মইরা গেছে, সে খুশি। হুহ। এল্যানের ভাইয়ের সাথেও ত ওর মিল থাকতে পারে। বংশগতি আর পরিবেশ। এই মেয়ে ত ক্লোনকে না পাইলে ল্যানের ভাইকেই মনে হচ্ছে বিয়ে করত। আসল এল্যান যে কষ্টটা পেলো ওটা কী মিথ্যা!
আবারো বলি, লেখাটা দারুণ, এক নিশ্বাসে পড়ছি।
আসল এল্যানের জন্য খুব খুব মায়া লাগতেছে।
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওরে বাপরে ! একেবারে তেড়ে এলেন .... ডরাইছি
....
অনেক ধন্যবাদ ... এমন সমালোচনা করলে খুবই ভালো লাগে, মনে হয় পাঠক মনযোগ সহকারে পড়েছে লেখাটা
আসলে পঞ্চবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে মানব ডিএনএ তে ম্যামরি জিন নামে একটা জিন পাওয়া যায়, যার ফলে যেই মুহূর্তের জিন থেকে ক্লোন করা হয়, সেই সময়ের ম্যামরি রিস্টোর করা সম্ভব হয়েছে ...... ..... ( আসলে ভবিষ্যতে কি হবে আমি জানি না, তাই একটা চাপা মেরে দিলাম
) ....
যুগে যুগে মানব সমাজের ক্রান্তিকাল এ্যালানের মত এমন কিছু মানুষ জন্মায়, তারা সর্বস্ব উৎসর্গ করে দের মানব সমাজের মুক্তির নিমিত্বে .... আসল এ্যালেনের জন্য আমার নিজেরও খারাপ লেগেছে .....
আর যেহেতু পঁঞ্চবিংশ শতাদির ক্লোন পদ্ধতিতে মেমোরি ও পারসোনালিটিলিও এক হয় সেহেতু রাইসার কাছে দুই এ্যালানই এক .... তাকে দোষ দিয়ে লাভে নেই ....
আবার ও জোরে সোরে একটা ধন্যবাদ দিলাম .......
১৮| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৬
অন্য কেউ বলেছেন: সেইরা'ম হইসে। দারুণ!
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ......
১৯| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫১
বৃত্তবন্দী বলেছেন:
থীম ইউনিক, লেখা ফাটাফাটি...
দু'য়ে মিলে...
বিচ্ছিরী...
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১:০২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .... আপনার ভালোলাগা জানানোর এই আইডিয়াটাও ইউনিক ও ফাটাফাটি .... হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ
২০| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ২:১০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সৌম্য বলেছেন: ট্রেকিং শব্দটা দেখে ঢুকছিলাম। ঢুকে দেখি সাই ফাই।
---
আমি ঢুকেছিলাম ফিউশন শব্দটি দেখে, অবশ্যই ভয়ে ভয়ে! ঢুকে দেখি গল্প। আল্লাহ বাঁচাইছে!
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ২:১৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ..... ভয় নাই আমি সহজ সরল মানুষ, কারো আগে পিছে নাই ....
গল্প দেখে আবার না পড়েই চলে গেলেন না তো ?
২১| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৫৮
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
দারুণ তো!
এক দমেই পড়ে গেলাম........
পেনসিলের ব্লগে মন্তর্যের ঘরে ফেসিয়াল এর কাহিনী পড়ে বিষয়টা নিয়ে লেখার অনুরোধ করতে এসে এই গল্প পেয়ে গেলাম..........।
খুব ভালো হয়েছে........
চিন্তা এবং লেখার গতি একই ছিলো.......
মনে হলো সব ঘটনা দেখলাম চোখের সামনে.........বর্ণনায় তেমন ব্যাপার ছিলো।
"আফসোস, মানুষ ঘৃনাকে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলেও ঘৃনার নিজস্ব কোন শক্তি নেই। "
সুন্দর অনুধাবন।
শুভকামনা রইলো।
আর হ্যা ফেসিয়াল নিয়ে লেখাটার আশায় রইলাম।
ভালো থাকবেন।
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:০৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনি এত গুছিয়ে মন্তব্য করেন যে, কি বলবো !! খুব ভালো লাগে
এত বড় লেখা একদমে পড়েছেন, শুনে খুব গর্ব হচ্ছে ... নিজেকে কেমন যেন সত্যি সত্যি লেখক মনে হচ্ছে ....
ফেসিয়ালের কাহিনীতো ঐ টুকুই .....
সবটুকুইতো পেন্সিদার ব্লগে লিখে এসেছি .....
আপানর গুছানো কমেন্ট সবসময় উপভোগ করি .....দোয়া করবেন ....
আপনিও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব খুব ভালো থাকেন ..... শুভকামনা রইলো ....
২২| ১৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৯
পারভেজ বলেছেন: নিরাপত্তার ব্যাপারটা এমন, যেখানে ২০০ বছর মানুষের প্রবেশ ছিল না বা নেই সেখানে অক্সিজেনবিহীন রাখাটাই বড় নিরাপত্তা হতে পারে। ফিউশন ট্রেকিং থাকলে রোবোটদের অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করাটা একটু বেশী মানবিক ঠেকেছে। এরা হয়তো রোবোট না হয়ে মানুষ হলে মন্দ হতো না। লেখার ভেতর ঢুকে পড়া গেছেই দেখে বিষয়গুলি মাথায় ঢুকলো।
চলুক লেখালেখি।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
এর জন্যেই আপনাকে গুরু মানি .....
অক্সিজেনের ব্যাপারটা আমার মাথায় আসলো না !
একটা পরে একসময় এডিট করে দিয়ে দিতে হবে, যে "এ্যালান লিফট থেকে বের হওয়ার সময় অক্সিজেন মাস্কটা মুখে লাগিয়ে ঢুকে" ....
আর রোবটদের অস্ত্র হাতে পাহারা এই জন্য যে, যাতে কেউ রিমোট কন্ট্রোল্ড কোন গাড়িবোমা বা এই জাতিয় কিছু দিয়ে হামলা না করতে পারে .....
আর রোবটের বদলে মানুষ দেওয়া যাবে না , কারন এই জায়গায় মানুষের প্রবেশ নিষেধ দুই শত বছর ধরে .... তাই মানুষের পাহার দেওয়াটা মনে হয়ে বেমানান হতো .....
পারভেজ ভাই, এই রকম সমালোচনাই কিন্তু আপনার কাছ থেকে আশা করি...এতে মনে হয়, পাঠকের কাছে আমার লেখাটা গুরুত্ব পেয়েছে, পাশাপাশি লেখার মানও বাড়বে দিনদিন ..... অনেক ধন্যবাদ .....
২৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আসলে ভবিষ্যতে কি হবে আমি জানি না, তাই একটা চাপা মেরে দিলাম
হাসতে হাসতে শেষ।
ভাই তেড়ে আসব কেন? রাগ করছেন নাকি? আমি খারাপ অর্থে বলিনি।প্লাটফর্মটা পুরোপুরি বুঝতে চাচ্ছিলাম।
গল্পের এক জায়গায় দিতে পারেন কিন্তুক এই মেমরি জিনের ব্যাপারটা। ভালই হবে। আরও শক্ত হবে প্লাটফর্ম।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ধুর ! পাগলা বলে কি !!
রাগ করবো কেন ?? আমিতো মজা করলাম .... আপানর সেন্সঅফ হিউমার নিয়েতো আমার অনেক উচ্চ ধরনার ছিলো
.....
যাক, আসলে এমন খুটিনাটি টেকনিকেল ব্যাপারগুলো ব্যাখা করতে গেলে পাঠকরা অনেক সময় বোরড় ফিল করে ...... তবে এই বিষয়টা আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে এইটাও কিন্তু খুব ভালো একটা দিক ...... পরে কখনো আরও বড় করে লেখার চেষ্টা করলে বা প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই এটা যুক্ত করে দিবো ....।
অনেক অনেক শুভকামনা .....
২৪| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩
ফেরারী পাখি বলেছেন: প্রথমে শুরু করেই, ভীষন ভালো লাগছিল----------কিন্তু আপাততঃ পরিধিল কাছে হার হল। পরে পড়ে নেব ঠিকই।
লেখার ধরণ অনেক শক্তিশালী এবং ঝরঝরে। পড়ে বাকীটা বলবো।
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:০৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ....
ব্লগের এইটাই সমস্যা , বড় লেখা পড়ার জন্য ধৈর্য্য থাকে নে ... আমি নিজেও মাঝে মাঝে বড় লেখা এড়িয়ে চলে যাই .....
তবে, আপনি যেহেতু কিছু অংশ পড়েছেন, তাই সমালোচনার অপেক্ষায় রইলাম ...
২৫| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:১৬
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: ফাটাফাটি! বেশ ভালো লাগলো!
ধন্যবাদ.....সাথে প্লাস
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:২৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ....
প্রথম প্রথম খুব ছোট ছোট গল্প পোষ্ট দিতাম, কারন ব্লগে অনেকেই বড় পোষ্ট পড়ে আরাম পায় না ....।
এক্সপেরিমেন্টালি, এ পর্যন্ত দুইটা বড় গল্প পোষ্ট দিয়ে আপনাদের ব্যাপক সারা পেয়েছি ... কষ্টটা খুব স্বার্থক মনে হচ্ছে .... তাই সামনে বড় বড় পোষ্ট দেওয়ার সাহস পাচ্ছি
.....
এত বড় গল্প পড়ার জন্য ও কমেন্ট করার জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ ....
২৬| ২০ শে মে, ২০০৯ রাত ৩:৩২
আজম বলেছেন: ....এখন ঠিক মত পড়তে পারলাম না। তবে বুকিং দিলাম।
২০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৮:১৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওকে
অনেক বড় লেখা ..... .....
২৭| ২০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
রোহান বলেছেন: বস আপাতত প্রিয়তে রাইখা গেলাম... কাল সকালে পড়বো...
২০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওকে .....
গল্পের পরিধি দেখে আমারই ভয়ে হাত পা ....... .....
২৮| ২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮
রোহান বলেছেন: কি আর কমু.... যা লেখছেন.... পুরা ইউনিক... বিশেষ করে স্বাধীন হবের অংশ টুকু তো রীতিমতো ভয়ংকর ভালো হইছে
কাল তো বিশাল গল্প দেইখা ডরে হাত পা.... তয় আইজ অফিস আওনের পথে সিএনজি তে বইসা বাইসা মোবাইল দিয়া পড়ছি জোস হইছে... পারভেজ ভাই এর কমেন্ট আর পাগলার কমেন্টে রিপ্লাই ও জোস...
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ....
এখন থেকে ভাবছি আরও বড় বড় গল্প দিবো
......
পারভেজ ভাই অক্সিজেনের জটিল একটা আইডিয়া দিছে আর পাগলাও
কিছু ক্রিটিকেল পয়েন্ট ধরেছে..... পরে যদি কখনো এই গল্পটা আর বড়
করে লিখার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এমন কিছু জটিলতা যুক্ত করে দিবো ...
.. সেই সাথে আকাশ_পাগলা আর পারভেজ ভাইয়ের বরাবর একটা কৃতজ্ঞতার নোট চলে যাবে .....
২৯| ২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯
রোহান বলেছেন: লন আপনের গল্প পইড়া মুগ্ধ হইয়া জুপিটারের মহান জাদুকর মহামান্য ক্রিং ক্রিং ধইন্যা জানাইছে.... ফটুতে উনি আপনার দিকে হাত নাইড়া শুভেচ্ছা জানাইতাছে..
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:১৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: উরে বাপরে !! এতো ভয়াবহ শুভেচ্ছা !! সত্যি ডরাইছি
৩০| ২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: আসলেই ভাল একটা গল্প! দু'টা কাহিনী-র মার্জিং পয়েন্টটাও ভাল। মাঝখানের ডিটেইল কম হলে আরো ভাল লাগতো। তারপর-ও অনেক টান-টান উত্তেজনা লেখাটায়। ভাইয়া, এডিট প্যানেলে গিয়ে বানানের ভুলগুলো ঠিক করে দিন তাহলে আগাগোড়া পলিশড্ একটা লেখা হবে।
[আশা করি অনর্থক মাতাব্বুড়িটায় রাগ করবেন না। কারন আমার মনে হয়েছে তাতে লেখাটায় পারফেনশন আসবে আরো। ]
ভাল থাকবেন ভাইয়া!
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনারদের প্রশংসা পেয়ে পেয়ে দিনদিন তো মুটিয়ে যাচ্ছি .... হা হা হা ...
বানান নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি .... আমার দুই পর্যায়ে ভুল হয়, টাইপিং এ ভুল আর বাংলায় ভাষায় দখল কম বলে ...... হাতের কাছে কোন অভিধান নেই ... টাইপোগুলো না হয় ঠিক করে দিলাম কিন্তু বানান গুলো নিয়ে কনফিউশন আছে সেই গুলোর কি করবো .....
সেই জন্যে আসলে আপনাদের উপর নির্ভর করে আছি, কোথায় কোন বানানটা ভুল হয়েছে দেখিয়ে দিলে খুব উপকার হতো .....আর এতে তো রাগ করার কোন প্রশ্নই আসে না, বরং সত্যি সত্যি খুব খুব কৃতজ্ঞ থাকবো .....
আবারও, মাতাব্বুড়ির জন্য বিশেষ একটা ধন্যবাদ .... অনেক অনেক ধন্যবাদ
৩১| ২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
আজম বলেছেন: "আকাশ_পাগলা & পারভেজ "ভাই ট্যকনিক্যাল দিক গুলো ভালো ভাবে বিশ্লেষন করেছেন।
আপনি আর একটি ভবিষ্যত বানী করেছেন.......
এখন ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রায় ৬৭০ কোটি।
আর ভবিষ্যত পৃথিবী ২০০ কোটির........
"কারনটা অবশ্য আমি জানি, ২৩৭৮ সালে এক্স ফ্লু পৃথিবীতে
আঘাত হানে আর সব শেষ .....আর কি ;-)
মজা করার জন্য এটা বললাম....
"""সম্পূর্ণ ট্রেকিং সিস্টেম এমন ভাবে ডেভেলপ করা হয়েছিলো যে, সে নিজেই নিজেকে আপডেট করতে ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে। এই ট্রেকিং সিসটেম এমন ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের ফিউশন গোলক তৈরী করে যে, মস্তিষ্কে বসানো এই গোলকের মধ্যেমে একটি নির্দিষ্ট কম্পনের সিগনাল দিয়ে যে কোন মানুষকে মুহূর্তেই হত্যা করা সম্ভব।"""
এখানে মানুষ হত্যা করার সিদ্ধান্ত টা কে নেবে, ফিউশন গোলক নাকি মানুষ?
যাহোক চমৎকার লিখেছেন ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আপনার সাই ফাই বই চাই ......
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: জনসংখ্যা ২০০ কোটিতে নেমে আসাটা ভালো ব্যাখা করছেন .... ধন্যবাদ ... আসলে এমনিতেই লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেছে, তার উপর এমন বিস্তারিত লিখলে দৌড়ানি খেতে হবে ব্লগে .... হা হা হা ....
সেই জন্যেই আপনার মত বুদ্ধিমান পাঠকদের চিন্তা করার জন্য কিছু জিনিষ উহ্য রেখে লিখতে হয় ..... তার উপর আলোচনা, মন্তব্য থেকে অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যায় .....
হত্যা বিষয়টা শুধু মাত্র ফিউশন ট্রেকিং সেন্টারের হামলাকরীদের জন্য প্রযোজ্য....একটা জায়গায় বলেছি, যে কিছু তরুন প্রায়ই এমন ছোট খাটো হামলা করে এবং তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় .... গল্পে মানব সমাজের ক্রাইম কন্ট্রোলের সব ডিসিশন ফিউশন সেন্টার থেকে নেয়া হয়..
বই ! উরে বাবা !! এখনো চিন্তাই করতে পারি না .... আরো অনেক অনেক লিখতে হবে ..... তবে ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে ..... লিখে লিখে আরো পেঁকে নেই .... হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ..... সুন্দর গুছানো একটা কমেন্ট করার জন্য
৩২| ২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
অলস ছেলে বলেছেন: মাথা খারাপ করে দিলেন। এত বড় গল্প পড়তে হবে।
পড়লাম। মন্তব্যগুলো আপাতত পড়লাম না।
বাপরে বাপ, কত্ত আইডিয়া। সক্রেটিসের সঙ্গে মারামারি, নিজের ক্লোনকে খুন, আরো কত্ত কি!! সাধু সাধু। এত ধের্য্য আর মাথা খাটিয়ে লেখেন কেমনে?
ঘটনার বাঁকগুলো মজাই লেগেছে। খালি একটা খটকা, এমন মহামুল্যবান ট্রেকিং এর হেডকোয়ার্টার এত অরক্ষিত হওয়ার কথা না। যাইহোক, অরক্ষিত হওয়াতে আমি অবশ্য মাইন্ড করিনাই, নাহলে এ্যালান মিয়া মুশকিলে পড়ে যেত। ক্লোন এর স্মৃতি নিয়েও একটু খটকা আছে, তবে ব্যাপার না, উড়ায়া দেন। মেয়েটাকে পিডাইতে মন চাইছে হালকা, হেতে মানুষ না আমি কনফার্ম।
একটাই মন্তব্য। মধু, মধু।
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনাদের এত এত প্রশংসা !! কৈ রাখি ..... অনেক ধন্যবাদ
....
ক্লোনের স্মৃতি আর মেয়েটাকে নিয়ে "আকাশ_পাগলার" ১৭ নাম্বার কমেন্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ..... ...... কোন রকম ঠেক দিয়ে একটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি আর কি , আসল কথা হলো, সাই-ফাই , তার উপর ৪/৫ শত বছর পরের ঘটনা ..... কত কিছুই সম্ভব ! সেটার দোয়াই দিয়েইতো , গল্পে হাতি ঘোড়া মারছি ..... হা হা হা
আর ট্রেকিং হেডকোয়ার্টার কিন্তু অরক্ষিত নয় .... সেখানে সামরিক রবোটরা অস্ত্র হাতে পাহারে দিচ্ছে, মাটির পঞ্চাশ তলা নিচে মূল সিস্টেম অবস্হিত....পৃথিবীর সব মানুষকে ২৪ ঘন্টা ট্রেক করা হচ্ছে, কে কি করছে কি খাচ্ছে , কার সাথে দেখা করছে, এই ট্রেকিং এর উপরই আসলে মূল নিরাপত্তাটা নির্ভর ছিলো ..... আড় এ্যালান এইটাকে ফাঁকি দিতে পারায় আর কেউ তাকে ট্রেক করতে পারেনি ..... সে তখন তাদের রেসপেক্টে অদৃশ্য .....
একজন অদৃশ্য মানুষকে কি কোন ভাবে আটকানো যাবে ?
এমন সমালোচনা পেলে কিন্তু খুব ভালো লাগে ..... লেখক হিসাবে মনে হয় আমার গল্পটা যে পড়েছে সে খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছএ ....
গঠনমূলক সমালোচনার করার জন্য একটা স্পেশাল স্পেশাল থেংক্স
৩৩| ২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:০২
চাঙ্কু বলেছেন: কোবতে ?? আইচ্ছা
২১ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওরে চাঙ্কুরে আজকা খাইছি ..... একটা লাঠি নিয়া দরজায় খারামু আর দেখা মাত্র মাথায় ধাম
.
৩৪| ২১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
রাশেদ বলেছেন: একটা জিনিস বুঝলাম না। অরিজিনালটার ফিউশন গোলক বের করে নিছে। কিন্তু ক্লোনের মাথায় তো আছে। তাইলে মুক্তি পেলো কিভাবে?
২১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আরে রাশেদ ভাই ! অনেক দিন পরে .....
ফিউশন গোলক বসানো হয় প্রত্যেক শিশুর জন্মের পরপরই .... ক্লোনগুলোকে মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই, (তাহলে তো খুনই করতে পারতো না ) ... তাই ক্লোনের মাথায় কোন ফিউশন গোলক থাকতো না .....।
এই জিনিষটাই এ্যালান যখন সক্রেটিসকে হত্যা করে তার মগজ দেখতে পায়, তখন বুঝতে পারে ...... ......
ক্লিয়ার করতে পারলাম ? .....
আপনি এত বড় গল্প পড়ছেন ! খুব খুশি লাগতেছে ..... অনেক ধন্যবাদ
....
৩৫| ২১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
রাশেদ বলেছেন: ও আচ্ছা। এম্নে তো চিন্তা করে দেখি নাই।
ক্লিয়ার হইছে।
হু, মেলাদিন বাদে আপনার পোস্ট পড়লাম।
২১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হ, মেলা দিন বাদে এই পাড়ায় দেখলাম ..... ভিজিটর হিসাবে নিশ্চই থাকেন, লগইন করেন না মনে হয় .... যেভাবে আমি ঐ পাড়ার ব্লগ পড়ি
....
৩৬| ২২ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০৫
রাশেদ বলেছেন: হা হা! নাহ, তেমন আসি না। কোনো পাড়াতেই তেমন লগইন আর করি না। পড়ালেখা নিয়ে বিজি।
২২ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওহ ! তাইলে তো ভালোই .... এখন আবার রাশেদ ভাইরে ফিরা পামু ....
৩৭| ২২ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১২
রাশেদ বলেছেন: হা হা! আসলেই ভেজালে আছি পড়ালেখা নিয়ে। তাই মাঝে মাঝে চোখ বুলাইয়া যাই। লগইন করলেই ভেজাল! খালি কমেন্ট দিতে মুনে চায়।
২২ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ....
৩৮| ২২ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৫১
অলস ছেলে বলেছেন: কমেন্ট গুলো আস্তে আস্তে পড়ে এত মজা পেলাম, হাহা হাহাহা ।আমি দেখি পুরাই নকল করছি।
এইবার নেক্সট বাটনে চাপ দিয়ে কাজে নেমে পড়েন।
সমালোচনা এত পছন্দ করেন, তাহলে ঠিক আছে, মনে যা আসে তাই বলে ফেলবো সামনে, বলে দিলাম।
এই সামুতেই একবার এক গল্পের কিছু সমালোচনা করে কান ধরেছিলাম, বাংলাদেশের গল্পকাররা নিজেদেরকে অনেক সময় ও হেনরীর চেয়েও বড় মনে করে, সহ্যই করতে চায় না। আর আমি নিজেও মুর্খ, তাই আবুল তাবুল বলতে আর যাই না। আপনাকে বলা যাবে দেখা যাচ্ছে।
২২ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: .... কোন ব্যাপার না, মনে যাই আসে তাই বইলা দিয়েন ... এই বান্দা ভালোই ভার সইতে পারে .....
হেনরীর চেয়ে বড় ! হা হা হা .... এক কাজ করতে পারেন, অন্য সবার উপর ক্ষোভটা আমার গল্পের উপর দিয়েই চালিয়ে নিয়েন .... হা হা হা
৩৯| ২২ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৩
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: ফোনেটিক টাইপিং এর জন্য-ও বানান ভুল হয় মাঝে মাঝে। আমার চোখে যতগুলো পড়লো সেখান থেকে বলছি : দুর্বলতা, সম্পূর্ণ, ঝুঁকে, চিহ্ণিত, অস্তিত্ব, মূল ফটক, পঞ্চাশ, হৃৎপিন্ড, বিস্ময়ে বিহ্বল, মধ্যাহ্ণে, মস্তিষ্ক, শূণ্যের কোঠায়, স্বরূপ, নিয়মতান্ত্রিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, একঘেঁয়েমি, চুল্লী, স্পৃহা, জলাঞ্জলি, ইয়ত্তা, কটুক্তি, থেঁতলানো, উচ্চমার্গীয়, হাঁটু, বিজ্ঞাপন, বিষাদগ্রস্ত।
ভাইয়া, আপনার সুবিধার জন্য বাংলা ডিকশনারীর লিংক দিয়ে দিচ্ছি, এখান থেকে বানান দেখতে পারবেন।
http://www.ovidhan.org/
২২ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৫০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাপরে ! এতভুল
....
আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো ! এত সময় নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে ভুলগুলো বের করেছেন ..... ঠিক আছে, একটা স্পেশাল থেংক্স দিয়ে দিলাম .....
ভুলগুলো দুইএক দিনের মধ্যে ঠিক করে নিবো .....
২৩ শে মে, ২০০৯ সকাল ৮:৪১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: সবগুলো ঠিক করে দিলাম ....
উফ্! খুঁজে খুঁজে ভুলগুলো বের করে ঠিক করতে জান বের হয়ে গেছে .... আর আপনাকে কি পরিমান ইফোর্ট দিতে হয়েছে বুঝতে পারছি ....
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ....
৪০| ২২ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আরে আরে, আনি যাওয়ার পরেও আপনার কমেন্টের উত্তরে আমার নাম কতবার এসেছে দেখে খুশিতে আমার লাফ দিতে ইছা করতেছে। ''>>
বস, আজিমভের কালেকসন আমিও চাই। চাই। না দিলে কেঁদে দিব।
কী করতে হবে ? মানে, ওই ফরম্যাটকে পরিবর্তন করব কীভাবে ??
[email protected]
ফ্রী থাকলে পাঠিয়ে দিয়েন বস।
২২ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৫১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: পাঠিয়ে দিয়েছি ..... সবগুলো বই .... সাথে কনভার্টারও দিয়ে দিয়েছি ....
৪১| ২৩ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩
রোহান বলেছেন: ওরে এক সাইফাই লিখলে কত্ত কত্ত পরীক্ষা দিতে হয় রে...
সাইফাই এ সব কিছু লিইখা দিলে কেমনে হয়??? কিছু কিছু পাঠকের জন্যও রাইখা দিতে হয়... পড়তে পড়তে পাঠকও যেনো সাইফাই চিন্তা করতে পারে এই জন্য
২৩ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .... ভালোই বলেছেন .... তবে পাঠকদের এই একটু হেপাতো সামলাতেই হবে .... আমিতো আরও বেশি মাইর আশা করছিলাম .... অন্তত পক্ষে দুই চারটা কংফু কিক তো মনে করছিলাম অবধারিত ..... মনে হচ্ছে আপাতত বাইচা গেছি ... খেক খেক খেক ...
.....
উপরের কমেন্ট আর রিপ্লায়গুলো কিন্তু পাঠকদের চিন্তারই আউটপুট ....সেই জন্যেইতো গল্পে সব কিছু খুলে না বলে কিছু অংশ এবস্ট্রাক্ট করে রেখেছি
...
৪২| ২৩ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
মন মানে না বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম । টেকা পয়সা দিতে পারুম না কইলাম ?
২৩ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .... কি যে কন না ভাই , টেকা পয়সা লাগবো কেন ... পড়ছেন এতেই খুশি
.....
অনেক ধন্যবাদ ... এভাবেই উৎসাহ দিতে থাকুন
৪৩| ২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:১২
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: অসংখ্য ওয়েলকাম! আপনার সাই-ফাই লেখার হাত ভাল, বানানগুলোর জন্য সুর কেটে যাচ্ছিল। তাই জোড়া লাগানোটা আর্জেন্ট মনে হলো!
ভাল থাকবেন ভাইটা!
২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:৪১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
.....
আপনিও ভালো থাকবেন .....
৪৪| ২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫২
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: পুরাই পড়লাম অনেক কস্টে!!
পান্খা হইছে!!
২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .... অনেক ধন্যবাদ ....
কষ্ট করে হলেও এত বড় গল্প পড়েছেন সে জন্য একটা স্পেশাল থেংক্স ...
৪৫| ২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
মার্ক জুবাবের বলেছেন: অসাধারন ফিকশন। কাহিনী বেশ জটিল ফেঁদেছেন, যদিও ম্যানেজ করেছেন স্বার্থক ভাবেই...
উপভোগ্য আপনার লেখা, সন্দেহ নাই।
২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ...
ব্লগের সাপেক্ষে বেশ বড় গল্প, তারপরেও আপনি পড়ে উৎসাহ দিয়েছেন সে জন্য অনেক কৃতজ্ঞ .....
শুভেচ্ছা রইলো .....
৪৬| ২৪ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:৩৬
মন মানে না বলেছেন: বস, একটু সমালোচনা করি ।
নামের ব্যাপারে আমার একটা আপত্তি আছে ।
ফিউশন ট্রাকিং এ ফিউশন শব্দ টার প্রতি আমার প্রবল আপত্তি আছে ।
অন্য কোন টার্ম ব্যবহার করা যেতো । এই শব্দ টা বেশি কমন হয়ে গেছে ।
যেহেতু আপনি নতুন ধারার সাই ফাই লেখক নতুন টার্ম একবারে উইনক হওয়া চাই ।
আরেক টা কথা নিজে প্রেমিক মানুষ তো তাই সাই ফা্ই লিখলেও ভালবাসার ব্যাপার টা মাথা থেকে দূর করতেই পারেন না ।
শেষের দিকে আইসা একবারে এইসব ব্যাপার যাতে আবার না ঢুকে ।
মনে থাকে যেন । জাফর ইকবাল স্যার ও তার ইকারাস গল্পে শেষের দিকে এই সব প্রেম ভালবাসা দিয়া পুরা মজা টা নষ্ট করে দিছে ।
আপনে মিয়া সাবধান । এর পরে যেন ভুল না হয় ।
তা
ভাবি সাহেবার পায়ের কি অবস্থা ?
২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: নামটা নিয়ে বেশি কিছু চিন্তা করিনি .... মনে যেটা এসেছিলো সেটাই দিয়ে দিয়েছি.... খুব ভালো একটা পয়েন্ট ধরেছেন ... পরের বার খুব সতর্ক থাকতে হবে।
ইরাকাস পড়া হয় নি ... অনেক দিন নতুন কোন উপন্যাস পড়া হচ্ছে না ....
প্রেম বেশি হয়ে যাচ্ছে ? ..... ঠিক আছে সামনে মার দাঙ্গা একটা লেখা দিবো
আপনার ভাবী হাতের অবস্হা ভালোর দিকে ....
৪৭| ২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
মন মানে না বলেছেন: বস, রিপ্লাই দিতে দেরি করেন কেন ?
২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: শরীর একটু খারাপ, ঠান্ডা লেগেছে .... আজ সারাদিন সামুতে লগইন করা হয়নি .... একটু আগে লগইন করেই আবার একটা কাজে বের হতে হয়েছিলো ... তাই আজকে রিপ্লাই দিতে দেরি হয়ে গেলো
.... না হলে সাধারনত আমি রিপ্লাই দিতে দেরি করি না
.... মাপ করে দিয়েন ভাই
৪৮| ২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
মন মানে না বলেছেন: বস, গুরুতর ভুল করছি । ভাবির ভাঙ্গা হাতের কি অবস্থা ?
২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বুঝতের পারছি, ব্যাপার না ....
হাত ভালোর দিকে .... আমাকে মাইর দেওয়ার জন্য নাক হাত চুলকাচ্ছে
৪৯| ২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মন মানে না বলেছেন:
তাই তো কই লগ ইন দেখাচ্ছে অনেকক্ষণ , রিপ্লাই নাই কেন ।
ইস কবে যে ভাবীর হাত টা পুরা ভালো হবে !
২৪ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .....
৫০| ২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৯
পলাশমিঞা বলেছেন: দেবা আমি পুরাটা পড়তে পারনি তবে যা পড়েছি তা থেকে বলছি ভালো লেগেছে আমার। আমি অদ্য সমস্যায় আছি, বাইরাসে আমারে শ্যাষ কইরা ফালাইল
এই এটু আগে রিকাবি করছি এখন আপডেইট করতাছি, সব কিছু ইনস্টল করতে হবে মানে এক দিনের কাজ।
ভিস্টা কিনে বিপদে পড়ছি
২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওহ ! এখান থেকে সহনুভুতি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছিনা ....তাড়াতাড়ি সমস্যা কাটিয়ে উঠুন, সেই দোয়াই করি ...
ব্যাপার না, আমি মাঝে মাঝেই হার্ডডিক্স ফরমেট করি, এটা সেটা ইন্সটল করি....মজা লাগে .....
৫১| ২৫ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:০৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: নতুন গল্প দেখি!!!
কালকে পড়তে হইবো ...
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম বস আপনার সমালোচনার
৫২| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৪২
তারার হাসি বলেছেন:
অনেক ভাল লিখছেন। সবার মন্তব্য অনেক সুন্দর, আন্তরিক।
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ....
আপনাদের ভালো লাগে বলেই লেখার সাহস পাই .....
আবারও অনেক ধন্যবাদ ....
৫৩| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৬
মনজুরুল হক বলেছেন:
গল্প নিয়ে পরে বলব। আপাতত ব্লগের মাথার উপরে একটা বানান ঠিক করে নিন।
"চারিদিকে দেখ চাহি হৃদয়ও প্রসারে".....প্রসারে > প্রসারি।
আপনি এমন রবীন্দ্রভক্ত। অথচ কি সুন্দর কার্ল সেগানের মত লিখে গেলেন...থ্যাংকস।
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১:০৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ .... এখনি ঠিক করে দিচ্ছি .....
আসলে এই লাইনগুলো বন্যার গাওয়া গানটা থেকে কোট করেছি, শুনে শুনে লেখার সময়ই কনফিউশন হয়েছিলো , 'প্রসার' নাকি 'প্রসারি' .....
আপনি এখন বলার পর গানটা আবার শুনলাম, এবারও কনফিউশন .... কেমন যেন প্রসারে আর প্রসারি এই দু'য়ের মাঝামাঝি মনে হলো এবার .....
তবে আপনি বলাতে আর কোন কনফিউশন নেই ..... ঠিক করে দিলাম .....
৫৪| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১:১৫
মনজুরুল হক বলেছেন:
বন্যার টা শুনলে অমন আমারো মনে হয়। কণিকার টা শুনুন। চাহি / লহো / বহিছে ....
এই মত থাকলে প্রসারের বদলে "প্রসারি" সঙ্গত না ? অর্থাৎ প্রমিতরূপ।
এই গানটা আমার অসম্ভব প্রিয়'র একটি।
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১:২৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: স্কুলে থাকতে, তখনো সিডির যুগ আসেনি, আমি এইগানটা ৬০ মিনিটের টি.ডি.কে. এর ক্যাসেটের এক পাশে ৮ বার রেকর্ড করে ছিলাম :#> ..... আরেক পাশে "সখি ভাবোনা কাহারে বলে, সখি যাতনা কাহারে বলে" এই গানটা ছিলো ৮ বার :#> ....
বুঝেন এইবার কি পাগল ছিলাম .... বন্যার প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলাম ঐ সময় :#> ....
৫৫| ২৬ শে মে, ২০০৯ ভোর ৫:৩৪
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "বন্যার প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলাম ঐ সময়" -- তারপর?
২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: তারপর একদিন আম্মুর সামনে চোখ বড়বড় করে বন্যা গানের, রুপের খুব প্রশংসা করছিলাম, তখন আম্মু বললো, "হু, আমরাও স্কুলে থাকতে বন্যার গান খুব শুনতাম" ..... এতেই প্রাথমিক প্রেম কেটে গেলো .... তারপর মানবেন্দ্র, জগন্ময় মিত্রের চোটে কিছুদিনের মধ্যেই বন্যা প্রেম উধাও ......
৫৬| ২৬ শে মে, ২০০৯ ভোর ৫:৫৩
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "হায়! তিন হাজার বছরেও সভ্যতা একচুলও এগোয়নি" -- চমৎকার
আপনার এই গল্পটা বেস্ট ... থিমটা খুবই ভালো ... মুভি হওয়ার মতো
তবে একটা ছোট্ট সমালোচনা ... ডিএনএ থেকে সাতদিনে ক্লোন তৈরী করতে হলে বায়োলজিকাল গ্রোথরেটকে হাজার গুণ বাড়াতে হবে ... এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব কিনা সেই প্রশ্নটা থেকে যায়
আর যদি টেলিপোর্টেশন টাইপের টেকনিক দিয়ে পার্টিকল লেভেলে কপি করে ক্লোন তৈরীর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, তাহলে যে সমস্যাটা থেকে যায় সেটা হলো, সেক্ষেত্রে ক্লোনের মাথার ভেতরও ফিউশন ট্র্যাকিং ডিভাইসটা তৈরী হয়ে যাবে
এই জায়গাটায় আরেকটু প্যাঁচ মারেন ...
২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বস, আপানর কি হলিউডের কারও সাথে যোগাযোগ আছে .... ভাবতেছি স্কিপ্টটা যদি খাওয়ানো যায়
.....
৭ দিনে ক্লোনটা আসলে করে টিসু প্লানশনের মাধ্যমে, সবকিছু সিসটেম করাই থাকে, শুধু কেউ অর্ডার দিলে প্লানটেশন শুরু করে .... এই বিষয়টা আমার "রোবসেপিয়ান্সের ভালোবাসা" গল্পে একটু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি ....
তবে আপনি ভালো একটা ট্যাকনিকে দিক ধরেছেন .... ভবিষ্যতে কাজে দিবে
"টেলিপোর্টেশন","পার্টিকল লেভেলে কপি" !! মাপ করে দেন ভাই ... এখনতো ভাবছি এই গল্পটা হলিউডে না পাঠিয়ে মেডিকেল বা আই.ই.ই.ই.-তে জার্নাল হিসাবে পাঠানো দরকার ......
অনেক ধন্যবাদ , বস .... আপনার কমেন্ট পেলে খুব ভালো লাগে
....
৫৭| ২৬ শে মে, ২০০৯ ভোর ৬:২২
চাঙ্কু বলেছেন: হিল্লু শহীদ ভাই
২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: চাঙ্কু ... গড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড় .....
৫৮| ২৬ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫
রোহান বলেছেন: জ্বিনের বাদশার পয়েন্টো ভালো হইছে.... শান্তির পাখি কুতায়???
২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: সবাই যেভাবে আমারে বাইন্দা রাইখা, টার্গেট প্রেকটিস করতেছে .... তাতে, শান্তির দিন শেষ
.....
৫৯| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪
চাচামিঞা বলেছেন: এবার জনগনের ঠেলা খইয়া বড় কইরা লিখসেন....
আস্তে ধিরে পড়তে হবে.....পড়ে মন্তব্য করবো।
২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ঠিক ধরছেন, আগের গল্পে ভালোই ঠেলা খাইছিলাম .... তাই এইবার বড় কইরা লেখছি ....।
আপনার সমালোচনার অপেক্ষায় রইলাম .....
৬০| ২৭ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
পলাশমিঞা বলেছেন: দেবা কেমন আছ। আমি আসলে এটা সেটা ইনস্টল করে বাজি মেরেছি, এখন আমি এক্কেবারে গায়ক হয়ে গেছি।
কেমন চলছে?
২৭ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: গায়ক হয়ে গেছেন ... আলহামদুলিল্লাহ .... কিন্তু আপনিতো আগে থেকেই গায়ক ছিলেন, নতুন করে হলেন কিভাবে আবার ?
চলছে ভালো, আপনাদের দোয়ায় .....
৬১| ২৭ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঙ্কু বলেছেন: শহীদ ভাই @ ভালানি ?? উর্পে দেখলাম আপনার মুখ লাল হইয়া গেছে । কিতা হইছে ??
২৭ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ....
কয়দিন ধইরা খালি দেখতাছি, চাঙ্কু আমার পিছে লাগছে !
৬২| ২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:০৩
পলাশমিঞা বলেছেন: আরে দেবা কও কি!!!! আমিত মাত্র কয় মাস হল গান গাওয়া শুরু করেছি, প্রথম মজা করছিলাম এখন সাড়ে বারটা বেজেছে
২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:০৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা .... কি যে বলেন ! আপনার গান আমি শুনেছি, আপনার ভোকাল কিন্তু খুব ভালো, তবে মিউজিকের, ড্রাম, কিবোর্ডের এত আধিক্য !!! আমার মাথা ধরে গিয়েছিলো .... আপনি সফট ধরনের গান গেয়ে দেখতে পারেন ...
৬৩| ০৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩২
শিট সুজি বলেছেন: প্রথমেই ...........
চরম। আপনার অন্য লেখাগুলোর মতই প্রচন্ড উপভোগ করেছি। এক নিঃস্বাসে পড়লাম। আপনার লেখার স্টাইল খুব চমৎকার।
রোবোটরা গার্ড দিচ্ছিল। ট্র্যাকার নেই তাই বলে সামনে দিয়ে একজন চলে যাবে কিন্তু দেখতে পাবে না এই ব্যাপারটা একটু দর্বল ঠেকেছে। বর্তমান জামানায় রোবোটদের দেখা, শোনা এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ল্বষন করার ক্ষমতা প্রদানের চেষ্টা হচ্ছে ভবিষ্যতে তা আর বৃদ্ধি পাবে বলেই আশা করা হয়।
যারা ফিউশন ট্র্যাকার ডিজাইন করেছে, তারা নিশ্চই খুব বুদ্ধিমান। সমগ্র পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা - সাধারন মানুষের নাগালের এত ভিতরে হবে, লোকজন এর পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করবে এটা হতেই পারে না। এত গুরত্বপুর্ণ স্থাপনা কি কি কারনে কারা কারা আক্রমন করতে পারে এই বিষয় গুলো ভেবেই সব করা হয়েছে সেই বিষয়টি অনুপস্থিত।
সম্পুর্ণ স্বয়ংসম্পুর্ন সিস্টেম। একসাথে ২০০ কোটি মানুষ এটা অপছন্দ করে এই বিষয়টি প্রচন্ড দুর্বল। নিজেকে তার এমনভাবে আপডেট করার ক্ষমতা থাকতে হবে যেন আমজনতার মাথায় সব না ঢুকে। আমজনতা কি ভাবছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন এবং মানুষকে খুশি রাখা হতে হবে স্বয়ংসম্পুর্ন সিস্টেমের অন্যতম বৈশিষ্ট । একসাথে ২০০ কোটি মানুষ একে ঘৃনা করে যাচ্ছে এবং সে জরিমানা করতেই থাকছে এই ব্যপারটা একটু দৃষ্টিকটু।
আপনার লেখায় এই প্রথম গল্পের মাঝখানে বুঝে গিয়েছি কি ঘটতে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটিতে একটু হতাশ। যাহোক এটা কোন বড় ব্যাপার না।
একটু সমালোচনা করলাম ।মাইন্ড খাইয়েন না।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৫৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রথমত, সমালোচনাই কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি বেশি উপভোগ করি.... এতে এমন একটা বোধ মনে জাগে যে, পাঠক গুরুত্ব সহকারে লেখাটা পড়েছে এবং আমাকে লেখক হিসাবে গুরুত্ব দিচ্ছে .... সবচেয়ে বড় কথা, সমালোচনা করলে সত্যি মনে হয় যে, পাঠক আমার সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষি। আর আপনি যেভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সমালোচনা করেছেন, আমি অসম্ভব খুশি হয়েছি।
এইবার দেখি আপানর সমালোচনাগুলোর কতটুকু মিনিমাইজ করতে পারি।
১) কোন কিছুর উপর আলোর প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পতিত হলে আমাদের দেখার অনুভুতি হয়, ট্রেকিংটা এই কনসেপ্ট থেকেই ডেভেলাপ করা। প্রত্যেকটা মানুষের মস্তিষ্ক থেকে প্রতি মুহূর্তে একটা সিগনাল জেনারেট হবে আর সেন্ট্রাল সিসটেম তাকে ট্রেক করবে। আর সাথে সাথে সেন্ট্রাল সিসটেমের নিয়ন্ত্রনে রবোটগুলোও তাদেরকে ট্রেক করবে। এখন কোন মানুষের মধ্যে যদি এই ট্রেকিং ডিভাইসটা না থাকে, তাহলে সিসটেমের কাছে তার কোন অস্হিত্ব নেই। সেই সাথে রোবটরাও তাকে ট্রেক করতে পারবে না। তবে আপনি যে পয়েন্টটা ধরেছেন, যে রোবটরাতো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত চোখের মাধ্যমে দেখতেও পারে। এইখানে গল্পের একটু দুর্বলতা সত্যিই এখন ধরা পড়েছে। পরবর্তিতে যদি আবার রিরাইট করি তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই ব্যাপারটা মাথায় রাখবো।
আপাতত এভাবে মনে করে নেই, যেহেতু ক্লোন এ্যালানের মাথায় কোন ট্রেকিং ডিভাইস নেই তাই রোবটরা তাকে দেখেও ট্রেকিং করতে না পেরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে কিছুক্ষণের জন্য হ্যাং হয়ে গিয়েছিলো। কারন এমন কোন পরিস্হিতিতে তারা পড়বে এটা কারোই জানা ছিলো না।
২) আসলে মূল সিসটেমটা কিন্তু এমন নয় যে লোকজনের একেবারে নাগালের কাছে। আমি যখন গল্পটা লিখি তখন আমার মাথায় কিছুটা অংশ জুড়ে ছিলো আমাদের সংসদ ভবনের ডিজাইন। বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এই সেসটেম, লোকজন পাশ দিয়ে হেটে যায় মানে কিন্তু একেবারে এমন না যে, কোন ছোট একটা বিল্ডিং । আসলে বিশাল এলাকাজুড়ে এই মূল সিসটেমটির অবস্হিত, লোকজন শুধু বাহিরের বাউন্ডারীর বাইরে দিয়ে চলাচল করে। এখানে একটা পয়েন্ট আবার উল্লেখ করি, দেখেবেন এ্যালানের কিন্তু দেয়াল টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে তিনটার সময়, আর ভূগর্ভস্হ মূল সিসটেমে সে পৌছে সাড়ে চারটার সময়। মানে এই দেড় ঘন্টা সময়ের বেশিভাগ সময়ই সে হেটেছে মূল ফটকে পৌছতে। এইবার মনে হয় ক্লিয়ার করতে পেরেছে কত বিশাল এলাকা নিয়ে এই সিসটেম অবস্হিত । আবার মূল ফিউশন সিসটেমটি ভূগর্ভস্হ পঁঞ্চাশ তলার নিচে অবস্হিত, যাতে এটোমিক ব্লাস্টেও কোন ক্ষতি না হয়।
তারপরও নিরাপত্তা জনিত অনেক জটিলতা যোগ করা যেতো। এই বিষয়ে উপরে দেখেন পারভেজ ভাইয়ের সাথে কিছু আলোচনা হয়েছে। তারপরও আপনি যেভাবে খুটিনাটি ফাক ফোকরগুলো ধরেছেন তাতে পরবর্তিতে অনেক সুবিধা পাবো। এই জন্যে স্পেশাল একটা থ্যাংক্স।
৩) ২০০ কোটি মানুষ এটাকে অপছন্দ করে কিন্তু এই জন্যে না যে, তারা কোন কিছুতে বঞ্চিত হচ্ছে। বরং এই কারনে যে তাদের কোন চাহিদা নেই, সবকিছু পরিমিত। তাদের জন্যে যথারীতি আছে গতানুগতিক থিম পার্ক, সী বীচ, পাহাড় ট্রেকিং কিন্তু এইসবের আর মানুষ কোন মজা পায় না। কারন আমি এই বিষয়টা হাইলাইট করতে চেয়েছি মানুষ সবচেয়ে সে জিনিষটা চায় তা হলো স্বাধীনতা। আর মানুষ নেচারাল ভাবেই অপরাধ প্রবন। তাই অপরাধ করতে পারার স্বাধীনতাটাও একটা দিক আমার এই গল্পে। অপরাধ যত ছোটই হোক না কেন, (হতে পারে ছোট খাটো মিথ্যা বলা, কারও বাগান থেকে একটা আম চুরি করা ইত্যাদি) এটাতে এক ধরনের অপার্থীব আনন্দ থাকে। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে থাকলে যেটা করা সম্ভব না। সেই কারনে পৃথিবীর সব মানুষ ফিউশন ট্রেকিং এর উপর নাখোস ।
তবে এই বিষয়টা মনে হয় আরও একটু বিস্তারিত লিখলে পাঠকের জন্য সুবিধা হতো, এখন বুঝতে পারছি। আসলে ব্লগে লেখার সময় এই জিনিষটা খুব পীড়া দেয়, সব সময় অবচেতন ভাবে মনে হতে থাকে যে, "এই না খুব বড় হয়ে গেলো গল্পটা"
৪) গল্পে, কাহিনীর শেষের অংশটা আমি আগে লিখেছি। এইগল্পে মুল চমকটা হলো এ্যালান কিভাবে স্বাধীন হলো, মানে সে কিভাবে ট্রেকিং গোলকটা মাথা থেকে খুলতে পেরেছে...... এইটাই কি মাঝখানে এসে বুঝে গেছেন ?
শেষে, আবারও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, গঠনমুলক সমালোচনার করার জন্য.....অনেক উপকার হলো।
৬৪| ০৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩৪
শিট সুজি বলেছেন: খুটিনাটি বাদ দেওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। আমার ব্যক্তিগত মতামত আরো সময় নিয়ে আরো বড় গল্প লিখুন। আরো পরিপুর্ণ গল্প লিখুন।
আপনার সবকয়টি গল্পই খুব এনজয় করেছি।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:০৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপানর মত মনোযোগী পাঠক পেয়ে এখন ভরসা পাচ্ছি খুটিনাটি সহ বড় গল্প লেখার.....
আসলে আমার নিজস্ব কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন আমার বাংলা লেখালেখির হাতেখড়ি এই সামু ব্লগে এসে, প্রায় দেড় বছর হলো ..... আস্তে আস্তে চেষ্টা করছি লেখার মান বাড়াতে। এখন ধীরে ধীরে বড় লেখা লেখারও চেষ্টা করছি ....
আপনাদের উৎসাহ পেলে ইনশাআল্লাহ চালিয়ে যেতে পরবো ......
৬৫| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ভাল্লাগছে।
তবে, সিকিউরিটি রোবটগুলারে গাধাটাইপের মনে হইছে। ক্লোনের স্মৃতি বিষয়ক ব্যাখ্যাটা মূল গল্পে আসলে কেমন হয়?
৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ... আপানর কাছে থেকে প্রশংসা পাওয়া মানে বিশাল ব্যাপার। খুব খুশি হয়েছি।
হুমম, সিকিউরিটি রোবটগুলো নিয়ে উপরে (৬৩ নং কমেন্টে) বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মুটামুটি জোড়াতালি দিয়ে একটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে আসলেই এই অংশে কিছুটা দূর্বলতা রয়ে গেছে।
সময় নিয়ে গল্পটাকে একটু রিরাইট করতে হবে, সেই সাথে ক্লোনের স্মৃতি বিষয়ক ব্যাখ্যাটাও মূল গল্পে যুক্ত করে দিবো।
আপনাকে অনেক মিস করি, বস্ । একদমই অনিয়মিত হয়ে গেছেন। সময় করতে না পারলে আমাদের পোষ্টগুলো নাই বা পড়লেন, কিন্তু আপনিতো নতুন গল্প পোষ্ট করতে পারেন , না কী ? অন্তত পাঠক হিসাবে আমাদের বঞ্চিত করা আপনার একদমই উচিত না।
৬৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০০
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: চ্রম লাগ্লো!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ .....
শুভেচ্ছা রইলো.....
৬৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৬
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা বলেছেন: "ফিউশন গোলকের মাধ্যমে তোমার মগজে যদি তীব্র একটা ব্যাথা দিতে পারতাম তাহলে মনটা শান্ত হতো।" বসকে কি আপু এমনে হুমকি দিসে নাকি
০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর !! যাক তাও যে দেখা পাওয়া গেলো।
না রে ভাই, আমার "ফিউশন গোলক" মাথায় না, বুকে ফিট করে দিছে তোমার আপু, আর এর ব্যাথা মগজের ব্যাথার চেয়ে হাজার গুণ বেশি .....ট্রেকিং পাওয়ারও অনেক বেশি, ব্যাথার স্থায়ীত্বকালও বেশি, তীব্রতাও বেশি
শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থেকো।
৬৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
দাদা, আপনার এই গল্পটা দিয়ে আপনার লেখা পড়া শুরু করলাম।
গল্পটার থিম প্রথমদিকে অনেকটাই আমার অনিকেত সৈনিকের মত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কাহিনি যেভাবে ঘুরে গেল! তবে ক্রাইম এন্ড কিলিং সেন্টার এ এলান যাওয়ার পর থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম যেই এলান টাইম বোমা ফিট করে ফীঊশন গ্লোব উরিয়ে দিয়েছে সে আসল নয়, ক্লোন। কারন আসল এলান কাছে গেলে তার মাথা ব্যাথা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কথা হচ্ছে ফিউশন গ্লোব যদি মনের কথা জানতে পারে তবে কি সে এলানের পরিকল্পনা বুঝতে পারবেনা?
আপনার নতুন গল্পটি দেখেছি। এখনও পড়া হয়নি। রাতে পড়ব। অনেকদিন পর ব্লগে ফিরেছেন দেখে খুব ভাল লাগছে
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পের মুল চমকটাই ছিল এলানের মাথা থেকে কিভাবে হাতে এল ট্রেকারটা। ক্লোন এলান আসল এলানকে হত্যা করে ট্রেকারটা নিয়ে নেয় আর সব সময় সেটা সাথেই রাখত, তাই ফিউশন ট্রেকারের মুল কম্পিউটার বুঝতে পারেনি যে আসল এলান মারা গেছে। ট্রেকার শুধু অবস্থান, কথা, দৃষ্টি এইগুলোকে ট্রেক করতে পারে, মানুষের চিন্তার ত আসলে ফিজিক্যাল কোন কিছু না, তাই এটাকে ট্রেক করতে পারে না এই ট্রেকার। যখন আসল এলান ফিউশন ট্রেকারকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে তখনকার মেমরী ক্লোন এলানও পেয়ে যায়, এবং এলান এই ব্যাপারে কোন কথা বলে না, এমনকি মৃত্যুর সময়ও মুখ বন্ধ করে অপেক্ষা করতে থাকে কখন ক্লোন এলান এসে তাকে হত্যা করবে আর তার মুল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। আপনি গল্পের আসল প্যাচটাই ধরে ফেলেছেন অর্ধেক পড়েই, গ্রেট এন্ড স্মার্ট থিঙ্কিক।
অনেক শুভেচ্ছা রইল, আপনার গল্পগুলোও বেশ উপভোগ করছি।
৬৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আম্মানসুরা বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আসল এলানের জন্য খারাপ লাগছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
এলানরা তো এমনি হয়। অনেক ভাল লাগল আপনার কমেন্ট। আপনার নিত্য আনাগোনা, সুন্দর কমেন্ট, ভাললাগা সবই উপভোগ্য ও উৎসাহব্যঞ্জক।
ভাল থাকুন প্রিয় সহব্লগার।
৭০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
ইলুসন বলেছেন: আমার মতে গল্পটায় একটা ত্রুটি আছে। কাউকে ক্লোন করা হলে তার সব স্মৃতি তার মাঝে থাকবে কিভাবে? স্মৃতি তো মস্তিষ্কে থাকে। কাউকে ক্লোন করা হলে তার সব কিছুই মূল মানুষটার মত হবে শুধু স্মৃতি এক হবে না। কারণ দুইজনের মস্তিষ্কের গঠন উপাদান, নিউরনের বিন্যাস সব প্রায় এক হলেও ক্লোনের নিউরনে সেই তথ্যগুলো থাকবে না যেগুলো মূল মানুষটাতে ছিল। তাকে আবার সব কিছু নতুন করে শিখতে হবে বাচ্চাদের মত।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার একটা পয়েন্ট পিক করেছেন। ঠিক এই পয়েন্টটা নিয়েই ১৭নং কমেন্টে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ব্লগার আকাশ_পাগলার সাথে। ঐখানে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি এটা আবার এখানে তুলে ধরছি।
আসলে পঞ্চবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে মানব ডিএনএ তে ম্যামরি জিন নামে একটা জিন পাওয়া যায়, যার ফলে যেই মুহূর্তের জিন থেকে ক্লোন করা হয়, সেই সময়ের ম্যামরি রিস্টোর করা সম্ভব হয়েছে ...... ..... ( আসলে ভবিষ্যতে কি হবে আমি জানি না, তাই একটা চাপা মেরে দিলাম
)
ম্যামরি জিন বাস্তবে কতটুকু সম্ভব জানি না, তবে কল্পগল্প হিসাবে চালিয়ে নেয়া যায়, কী বলেন?
আসলে এই গল্পটা প্রথম দিকের লেখা, সে সময় ব্লগে বড় বড় পোষ্ট খুব কম পাঠকই পড়ত। এখন যেমন হাত খুলে লেখা যায় তখন সেটা তেমন একটা করা যেত না। এই গল্পটা সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে লেখা, তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেক ব্যাখ্যা এড়িয়ে গেছি, আর কিছু আইডিয়া/ব্যাখ্যা লেখা পোষ্ট করার পরে পাঠকদের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার সময় এসেছে। এখন এই গল্পগুলো একটু মডিফাই করে এই সব বিস্তারিত এড করার ইচ্ছা আছে।
ইন্টিলিজেন্স পাঠকে এই কারনে আমার খুব পছন্দ, এরা লেখকের দৃষ্টি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ইলুসন ভাই। ভাল লাগছে আপনার চমৎকার বিচরন আমার ব্লগ জুড়ে।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৫
জোহান বলেছেন: ওরে বাবারে কত্ত বড়।
এখানে কিছু -
Click This Link