![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ই*সরাইল ও ইরানের মধ্যে যে সংঘাত চলছিল সেটা প্রায় এক সপ্তাহের কাছাকাছি গড়িয়েছে। শুরু থেকে ফলাফল একরকম মনে হলেও, এখন মোটামুটি নিশ্চিত ফলাফল সম্পূর্ণ অন্যদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ইরান তার শক্তিমত্তা প্রকাশ করছে আর ই*সরাইল অসহায়ের মতো পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে করুনা ভিক্ষা চাচ্ছে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য।
.
এবারের যুদ্ধ থেকে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে ই*সরাইলের আসলে সত্যিকার অর্থেই মুসলিম শক্তিশালী কোনো দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। পিছনে আমেরিকা না থাকলে ই*সরাইলের অবস্থা আসলে কতটা করুণ হয় এবারই সেটা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে।
.
গত সাত বা আট দিন ধরে যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে আমার যা যা মনে হল তা এখানেই সংক্ষেপে তুলে দিলাম। সবগুলোই যে সবার চিন্তাধারার সাথে মিলবে এটা নাও হতে পারে:-
১) রাশিয়া এবার নিশ্চিতভাবে যুদ্ধে ইরানের সাথে চরমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এতদিন ধরে চুপচাপ বসেছিল যুদ্ধের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় দেখার জন্য। ইসরাইল যে যুদ্ধে জিতে যাবে সেই ব্যাপার রাশিয়া নিশ্চিত ছিল। তাই এরা ভাব দেখাচ্ছিল যে আমরা নিরপেক্ষ অবস্থায় আছি, দুই দেশের সাথেই আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এখন যেহেতু ইসরাইলকে মেরে সাফ করে দিচ্ছে ইরান, এখন তাই ইরানের স্বপক্ষে উঁচু গলায় কথা বলা শুরু করেছে। তবে বেইমানদের প্রথমেই ভালোভাবে চিনে রাখা দরকার। এই বেইমান দেশ তার কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তায় এগিয়ে আসবে না। এবার আসেনি, ভবিষ্যতেও আসবে না।
২) শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে চীনের কোনো তুলনাই হয় না। এই মহাবিপদের মধ্যেও যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে ইরানকে সহায়তা করেছে চীন। জানা গেছে প্রায় প্রতিদিনই একটা করে প্লেন পাঠাচ্ছে চীন। নিশ্চয়ই সেই প্লেনে ফুল পাঠাচ্ছে না! বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে রাশিয়ার পরিবর্তে চীনকেই ইরানে বেছে নেওয়া উচিত এবং অতি দ্রুত চীনের কাছ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের অন্তত পাঁচ বা ছয় স্কোয়াড্রন যে ৩৫ বা ৪০ স্টিল যুদ্ধবিমান কেনা উচিত। আজ যদি এই বিমানগুলো ইরানের হাতে থাকতো তাহলে এফ ৩৫ কখনো ইরানের আকাশ সীমা ঢুকতে সাহস পেত না। ইরানের উচিত চায়না থেকে সর্বাধুনিক HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনা। কেননা এই ডিফেন্স সিস্টেমগুলো তৈরি করা হয়েছে তাইওয়ানের সাথে ভবিষ্যতের যুদ্ধে আমেরিকান স্টিলথ বিমানগুলোকে প্রতিহত করার জন্য।
৩) মধ্যপ্রাচ্যের বাকি যে সুন্নি রাষ্ট্রগুলোকে দেখা যাচ্ছে এরা প্রত্যেকটা হচ্ছে ই*জরাইলের দালাল। এতদিন চুপ করে অপেক্ষা করছিল কখন ইরানকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। বিশেষ করে সৌদি আরবিয়া এবং আমিরাত ই*সরাইলের সাথে মিলে প্যালেস্টাইনের উপর দিয়ে একটা করিডোর নেওয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে পারবে। ইরান খুব ভালো করে জানত এই সমস্ত বেইমান সুন্নি দেশগুলোর কাছ থেকে কোন সাহায্য কখনো পাওয়া যাবে না।
৪) এই যুদ্ধে মহান ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ খামিনি যে শক্তি, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে নির্দ্বিধায় তাকে পুরো মুসলিম সমাজের একজন শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা হিসেবে মেনে নিতে যে কোনো মুসলমানের কোনো দ্বিধা থাকা উচিত না। তাকে নিশ্চিতভাবেই আমি প্রচন্ড শ্রদ্ধা করি এখন।
৫) divide and conquer. ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা সারা বিশ্বে যখন উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করছিল তখন তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল এটা। আর ঠিক এই অস্ত্র এর সাহায্যে এখন ব্রিটিশদের সহযোগিতায় সৌদি আরব ইত্যাদি সালাফী, ওহাবী ইত্যাদি ধর্মমত প্রচার করার মাধ্যমে সারাবিশ্বের বাকি মুসলিমদের কাছে শিয়াদেরকে খুব জঘন্য হিসাবে পরিচিত করতে চেয়েছিল। এই সমস্ত বেইমান আরবদের চিনে রাখুন। এইসব ভন্ড আরবদের তুলনায় ইরানি শিয়ারাও আমার কাছে অনেক বেশি সম্মানীয়। অন্তত ইরানিদের মধ্যে এত বড় ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামি নেই।
৬) সম্ভবত ইরানের জন্যই প্যালেস্টাইনের জনগণ এই যাত্রায় বেঁচে গেল। ই*সরাইলে যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে প্যালেস্টাইনে এদের অভিযান আর চালিয়ে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিজাতি তত্ত্ব মেনে এখানে প্যালেস্টাইনদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র গঠন করা হতে পারে। যদি হয় তার পুরো কৃতিত্ব আমি ইরানকে দেব।
৭) সারাবিশ্বে চীন এখন আমেরিকার মুখোমুখি হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই জিনিসটা আরো ভয়াবহ অবস্থায় দেখা যাবে। আগে যেমন মুখোমুখি দুটা পরাশক্তি আমেরিকা ও রাশিয়া ছিল, সেখানে রাশিয়া এখন অনেক দূর পিছিয়ে পড়েছে। রাশিয়ার সেই শক্তি ও সামর্থ্য এবং অর্থনৈতিক কাঠামো নেই আমেরিকার মুখোমুখি হওয়ার। সুতরাং দ্বিতীয় অবস্থান থেকে তারা নিজেরাই সরে গিয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভালো, তার সাথে তারা এখন সামরিক দিক থেকে দ্রুত উন্নতি করছে। আগামী বছরগুলিতে চীনের সাথে টেক্কা দিতে যে আমেরিকা শুধু অতঃপতনই হবে। মানব ইতিহাস বলে কোন সম্রাজ্যই অনন্তকাল ধরে টিকে থাকে না।
৮) এই যুদ্ধটা থামার পর, যা আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই সম্ভব। ই*সরাইল এবং ইরান এই দুইটা দেশেরই নতুন করে দেশ গঠন করার কাজে প্রচুর অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার হবে। আপনারা অবাক হয়ে দেখবেন যে, ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য আমেরিকার সাথে সবগুলো খ্রিস্টান রাষ্ট্র কিভাবে উদার হয়ে এগিয়ে আসে। কিন্তু ইরানকে এই কাজটা করতে হবে নিজেদের টাকা পয়সা দিয়েই। মনে হয় না কোন মুসলিম দেশ ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যে আরব দেশগুলোর তো প্রশ্নই উঠে না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে এদের চেয়ে বড় বেইমান রাষ্ট্র আর কে আছে?
৯) আজ বা কাল যখনই হোক, ইরানকে অবশ্যই জর্দানের বাদশা এবং তার ইসরাইল সমর্থিত দালালদের জর্দান থেকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে। ইরানের আর কোন বিকল্প নেই এক্ষেত্রে। ঘরের শত্রু যে বিভীষণ এটা ইরানের চেয়ে ভালো আর কে টের পেয়েছে?
১০) এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও ভয়ানক বিপদে পড়বে আরেকটা দেশ, সেটা হচ্ছে ভারত। ঐতিহ্যগতভাবে ইরানের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। বিশ্বাস করে ইরান ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজেদের চাবাহার নৌবন্দর দিয়েছিল পরিচালনার জন্য। আর এদের মাধ্যমেই ই*সরাইল ভারতীয় গোয়েন্দাদের দ্বারা মো*শাদের এজেন্ট ঢুকিয়েছিল। এটা নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া যায় ইরান তাদের দেশ থেকে প্রতিটা ভারতীয়কে পশ্চাদদেশে লাথি দিয়ে বের করে দেবে। দেওয়াই উচিত, কারণ এই পৃথিবীতে ভারতীয়দের মত বেইমান রাষ্ট্র আর কোনটাই নেই। ইতিমধ্যে খবর পেলাম ৭ লক্ষ ভারতীয়কে সময়সীমা বেধে দিয়েছে ইরান থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার জন্য।
১১) মধ্যপ্রাচ্য সহ প্রত্যেকটা মুসলিম দেশে ইরানের ঘটনা থেকে চরমভাবে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতীয়দের দেশের ভিতরে রাখলে এরা যে নিশ্চিতভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চর হিসেবে কাজ করে, এই ব্যাপারে আর কোন সন্দেহ রাখা উচিত না কারো।
১২) আমেরিকা ইরানকে আক্রমণ না করার পিছনে আরেকটা বড় যৌক্তিক কারণ ছিল পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরালায় আলাপ করা। সম্ভবত আসিফ মুনির ট্রামপকে ইরানের সামরিক শক্তিমত্তার ব্যাপারে স্পষ্ট ও নিখুঁতভাবে ধারণা দিতে পেরেছে, যেটা ট্রামপকে তার সিদ্ধান্ত বদলাতে সহায়তা করেছে। ইরানের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে পাশ্চাত্য দেশ ও আমেরিকার তথ্যের মধ্যে যথেষ্ট বিভ্রাট ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মিলিটারি এ্যাসেট আছে। পাগল হলেও প্রত্যেকেই নিজের ভালোটা বুঝে। পাকিস্তানি সামরিক প্রধানকে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম সমাজের পক্ষে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে চাই। নিশ্চয়ই উনি বুঝিয়েছিলেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও জনগণকে কোনভাবেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে না ইরানকে সাহায্য করার ব্যাপারে। আগামী দিনগুলোতে উপমহাদেশে ট্রাম্প ভারতের তুলনায় পাকিস্তানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিবে। মোদির কপালে শনি আছে সামনের দিনগুলিতে!
১৩) পাকিস্তানের ও তুরস্কের অতিদ্রুত ইরানের সাথে মিলে ত্রিদেশীয় সামরিক বাহিনী গঠন করা উচিত এতে প্রত্যেকটা দেশই উপকার পাবে। ভারতের আর কোনকালে সাহস হবে না পাকিস্তানে আক্রমণ করার। ঠিক তেমনি ইসরাইলও একসাথে তিনটা শক্তিধর মুসলিম দেশে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আর সাহস পাবে না।
১৪) সামনের দিনগুলিতে বাংলাদেশের যে হুজুররা সৌদি আরবকে অনুসরণ করতে বলবে তাদের যেখানে পাবেন সেখানে জুতা দিয়ে পিটাবেন। এটা হবে এদের ন্যায্য পাওনা।
১৫) শিয়া ও সুন্নি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোন সংকোচ রাখবেন না। দিনশেষে মনে রাখবেন এরা উভয়ই আল্লাহকে একক খোদা হিসেবে বিশ্বাস করে এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসালামকে শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করে। এরপর বাকি বিশ্বাসের জন্য আল্লাহ কাকে কি পুরস্কার দিবেন সেটা মৃত্যুর পর কিয়ামতের দিনই নির্ধারিত হবে। এটা নিয়ে ভন্ড হুজুরদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার করার কোন দরকার নেই। আমার কাছে মধ্যপ্রাচ্যের ভন্ড আরবদের তুলনায় সাহসী ইরানিদের কাছে অনেক বেশি মুসলিম মনে হয়েছে।
.
সবশেষে, বিগত এক বছরের উপরের সময় ধরে যে সমস্ত মুসলিমরা প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, লেবানন এবং সবশেষ ইরানে ইসরাইলের বোমা বা গুলির আঘাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ শহীদ হিসাবে গ্রহণ করুক, আমিন। আল্লাহ তাদের বেহেশত নসিব করুন, আমীন।
কপি রাইট @ নীল আকাশ / মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ
২১শে জুন ২০২৫
২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: এখন শিয়া সুন্নি মতভেদ বৃহত্তর মুসলিমদের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনবে। এটাই চাইছে ইসরায়েল। আমি সুন্নি। তবুও আমি চাই এই বিভেদ আর না হোক। এই বিচারের দায়ভার আল্লাহর কাছে দিয়ে দিয়েছি।
২| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইরানের জেনারেল ও বিজ্ঞানী মারা গেছে অন্তত এক ডজন। ইহার যে ক্ষতি তা পূরণ হওয়ার নয়।
২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: কথা সত্য। তবে এই ক্ষতি ইরানকে কাটিয়ে উঠতে হবে দ্রুত।
৩| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মুসলমানরা চলতে পারছে না। এর কারন ধর্ম। ধর্মের কারণে মুসলিম দেশ গুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। এরা কোনো কিছুতেই পারে না। না পেরে সমস্ত দায় ভার আল্লাহর কাছে দিয়ে দেয়।
২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ঠিক ইসরায়েলের মতো ইসলামকে আক্রমন করেন। পাল্টা জবাব দেওয়ার সাথে সাথেই কাপড় তুলে পালান।
৪| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
রাসেল বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।
অনুমান করা যায়, প্রদর্শিত শক্তিমত্তায় পেরে উঠেনি তাই ইস্রায়েল পিছুটান দিয়েছে। যেমন কিছুদিন আগে ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, পারিবারিক সকল ক্ষেত্রেই মুনাফিক রয়েছে। ইরানের গোয়েন্দা তৎপরতায় দুর্বলতা রয়েছে, যার দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। মুনাফিকদের বিষয়ে সচেতন না হলে, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী, তা সকলের ক্ষেত্রেই।
বাংলাদেশেও তেমন অনেক স্বঘোষিত চিহ্নিত মুনাফিক দেশপ্রেমিক রয়েছে।
২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: অন্যদেশে ভারতীয় থাকার মানেই হচ্ছে এরা হয় 'র' অথবা 'মোশাদ' এর এজেন্ট। ভারতীয়রা হচ্ছে বেইমান আর মুনাফিকের জাত। এদের কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না।
ইসরায়েল আশা করেছিল ওদের বাবারা সব সময়ের মতো এবারও বাঁচাতে আসবে। সমস্যা হচ্ছে বাবারাও এবার কিছু ভয় পেয়েছে ইরানের কিছু হাইপারসনিক মিসাইল দেখে। হাইপারসনিক মিসাইল ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা নাই কোনো দেশের।
৫| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭
ফারমার২ বলেছেন:
সব বাহিনীর কমান্ডার শেষ, আজকে কুদ বাহিনীর কমান্ডারও শেষ; এসব মোল্লা জেনারেলরা কি ভেড়া চরাতো?
৬| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
ফারমার২ বলেছেন:
ইরান ৪ দেশের মিলিত সেনাবাহিনী করতে চাচ্ছে ও মুসলমানদের ভলনটিয়ার হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে; বালুচ সীমান্তে ফিক্রুট হচ্ছে; পারলে সুযোগ নেন।
২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে পাঠিয়ে দেই। যাবেন?
৭| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
ফারমার২ বলেছেন:
আমি যেতে চাচ্ছি, আমি তো সাধারণ সৈনিক; আপনি হচ্ছেন জেনারেল; আপনি কমান্ড হাতে নেন।
সব বাংগালী জন্ম থেকে ডাক্তার, আল্লামা ও জেনারেল। এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ২০ কোটী বাংগালী জেনারেল বাস করেন।
আপনার লেখাটি আমেরিকান ও বৃটিশ জেনারেলদের চেয়েও ভালো বিশ্লেষণ।
৮| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫
ফারমার২ বলেছেন:
বিনা যুদ্ধে ৯ জন জেনারেল কি করে শেষ হলো, আপনার বিশ্লেষণ? এখন বুঝেন মাদ্রাসায় কি পড়ায়!
৯| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬
ফারমার২ বলেছেন:
মোল্লারা উটের রাখালদের ধরে এনে জেনারেল বানায়েছিলো?
১০| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
নিরপেক্ষ বিশ্লেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাত শুধু দুইটি দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধ নয়—এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, ধর্মীয় বিভাজন, এবং বৈশ্বিক শক্তির ভূমিকার একটি জটিল বহুমাত্রিক প্রতিফলন।
এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমি যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপলব্ধি করেছি:
১. ইরান এখন আর নিছক এককোণা দেশ নয়—এটি একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে, এবং পশ্চিমা প্রভাবিত নিরাপত্তা কাঠামোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
২. ইসরায়েল, দীর্ঘদিন আমেরিকার সহায়তায় শক্তিশালী থাকলেও, এবার এককভাবে দাঁড়াতে গিয়ে কিছুটা কাঁপুনি খেয়েছে। এটি তাদের দুর্বলতা নয়, বরং পশ্চিমা মিত্রদের নির্ভরতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
৩. চীন ও রাশিয়ার ভূমিকা ছিল ভিন্নধর্মী—রাশিয়া বরাবরের মতো দ্ব্যর্থপূর্ণ থেকেছে, কিন্তু চীন তাদের কৌশলগত স্বার্থে স্পষ্টতই ইরানের দিকে ঝুঁকেছে। এতে বোঝা যায়, বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্য এখন ধীরে ধীরে পূর্বের দিকে সরছে।
৪. আরব রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা হতাশাজনক—বিশেষত সৌদি আরব ও আমিরাতের নীরবতা বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ একে রাজনৈতিক সুবিধাবাদের স্পষ্ট উদাহরণ করে তুলেছে।
৫. ধর্মীয় বিভাজনকে পুঁজি করে অনেকেই নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে, অথচ মুসলিম সমাজের বৃহৎ অংশের ঐক্য এবং নিরাপত্তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
৬. ভারতের ভূমিকাও সন্দেহজনক—বিশেষ করে তাদের কৌশলগত অবস্থান এবং চাবাহার ইস্যুতে ইরান তাদের প্রতি হতাশ হয়েছে। এতে ভারত মধ্যপ্রাচ্যে কিছুটা প্রভাব হারাতে পারে।
৭. এই যুদ্ধের পরিণতিতে একটি বিষয় পরিষ্কার—মধ্যপ্রাচ্য আর আগের মতো থাকবে না। নতুন মিত্রতা, নতুন শত্রুতা, এবং নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে উঠবে।
৮. সর্বোপরি, সাধারণ মানুষের মৃত্যু এবং মানবিক বিপর্যয় আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক। কেউ যদি শহীদ হয়, কেউ যদি শত্রু হয়—তার চেয়ে বড় সত্য হচ্ছে, মানুষ মরছে। আমাদের সবচেয়ে আগে এই দিকটাই দেখতে হবে।
শেষ কথা—রাজনীতি, যুদ্ধ, ধর্ম—সবকিছু বাদ দিলে, এই পৃথিবীটা এখনো মানবিকতা ও বিবেকের জন্য জায়গা রাখে কি না, সেই প্রশ্নটিই সবচেয়ে বড়।
১১| ২১ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬
ফারমার২ বলেছেন:
@নকীব,
ইরানের মোল্লারা ইরানের স্বাভাবিক উন্নয়নকে "ইসলামিক" করাতে ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়া শেষ। এখন নিজেরা শেষ হচ্ছে। ইসলাম একটি পুতান সমাজের সংস্কৃতি, ইহা আধুনিক বিশ্বের জন্য বাতিল। মোল্লারা আমাদের দেশও দখল নিয়েছে আমেরিকান ক্যু'এর পর; আমাদের অবস্হা ইয়েমেনের পর্যায়ে গেছে।
১২| ২১ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফারমার২,
আপনার এইসব উগ্রতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে অচিরেই ফারমার২ও কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে!
ইরানের মোল্লাদের ভুল নীতি ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়ার ক্ষতি করতে পারে কিন্তু ইসলামকে এককভাবে দায়ী করা কি ঠিক? আমাদের দেশের অবস্থা খারাপ, তবে তা আমেরিকান ক্যু বা মোল্লাদের একক দোষে নয়; আপনার পেয়ারের হাসিনা গংদের দুর্নীতি ও অপশাসনও বড় কারণ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
আমি নই বলেছেন: বেশ ভালো বিশ্লেষন।
রাশিয়া এখন মরা হাতি, ইউক্রনের সাথেই কুলাতে পারতেছেনা, এর চাইতে চীন অনেক অগ্রগামি এবং পরিকল্পিত। সুতরাং চীনের সাথে বন্ধুত্ব যেকোনো দেশের জন্য টেকশই হবে।
ফিলিস্তিনের ভাগ্য মনে হয় না খুলবে, ইরানের সাথে মার খাওয়ার প্রতিশোধ ইজরাইল ফিলিস্তিনিদের উপরই নেবে। ইজরাইলের ক্ষমতাই নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা।
ভারতের বিষয়টা আসলেই হাস্যকর, নিজে অস্বীকার করলেও তার অকৃতিম বন্ধু ইজরাইল বলেছে র এর সাহায্যেই মোসাদ অপারেশন প্লান এবং এক্সকিউট করেছে। বন্ধু কিভাবে ভারতকে বাশটা দিল।
আমার মনে হয় এই যুদ্ধই ইজরাইল-আমেরিকার শেষের শুরু। ইজরাইল আমেরিকার সাহায্য ছারা ৭ দিনও টেকার ক্ষমতা রাখেনা , এটা প্রমান হয়ে গেছে। আর আমেরিকার ঋণ যেভাবে বাড়তেছে তাতে মনে হয় খুব দ্রুতই মারাত্বক ক্রাইসিসে পরে যাবে।
আমি শিয়া আকিদাকে ভ্রান্ত বলেই মনে করি, কিন্তু ন্যায়-অন্যায়ের যুদ্ধে সবসময় ন্যায়ের পাশেই থাকা উচিৎ। আমার মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বরাবরই ন্যায়ের পক্ষে থাকতে ব্যার্থ হয়েছে এবং এটা তাদের অনেক ভোগাবে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া গেছে এখন ইরান যদি যায়, মধ্যপ্রাচ্যের লোভি শাষকরা ভুলে গেছে ইরানের পর শয়তানের আবার নতুন টার্গেট করবে এবং সেটা সৌদিও হতে পারে।
ভাই, সৌদিকে অনুসরন করা বলতে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয় গুলোই অনুসরন করা উচিৎ, একজন সুন্নির কোনো ভাবেই শিয়া মতবাদের সিস্টেমে চলা উচিৎ নয়। সুতরাং ঢালাও ভাবে সৌদিকে অনুসরন করলেই পিটাতে হবে এটা বেশি হয়ে গেল। ন্যায়-অন্যায় বিবেচনায় শুধু শিয়া কেন খৃষ্টানদের সমর্থন (ধর্মীয় বিষয়ে সমর্থন নয়) করাতেও মনে হয় না ধর্মীয় কোনো নিশেধ আছে।