নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারনের মাঝে অসাধারণ খুজেঁ বেড়াই। হেয়ালি একটা জিনিসের মাঝেও শিক্ষনীয় কিছু খোজার চেষ্টা থাকে । জানিনা কতটা পারি, তবে চেষ্টা করে যাই অবিরাম।

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার

শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীমনিকে যারা “মক্কার খেজুর” মনে করেন, ছবি এবং কথাগুলো তাদের জন্য।

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৬


মাস দেড়েক আগে রোজার ভেতর সারাদেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা আসলো, তখন পরীমনি দুবাই গিয়েছিলো অবকাশ যাপন করতে । সোশ্যাল মিডিয়ায় সে তখন এমন কিছু আয়েশী জীবনের ছবি পোস্ট করে, যেটা বাংলাদেশের সে সময়কার করোনা পরিস্থিতি এবং রমজানের ভাবগাম্ভীর্যের যাতে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। একটা ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সে একটা বিলাসবহুল প্রমোদতরীর ড্রাইভিং সিটে বসে আছে এবং ক্যামেরার ঠিক সামনে একটা বোতল Blur করে তোলা। তার উদ্দেশ্যই ছিলো, তার এসব কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হোক, মিডিয়াতে লেখালেখি হোক, এবং সমালোচনার মাধ্যমে হলেও কিছুদিন আলোচনায় থাকুক। এবং সে এ ব্যপারে সফল।

বিপত্তিটা ঘটলো কয়েকদিন আগে বোটক্লাবে গিয়ে। এটা নিয়ে মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি করে ঘটনার বিচার চাইলো, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে “মা” সম্বোধন করে জড়িয়ে ধরার খায়েশ প্রকাশ করলো ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর সঙ্গে সঙ্গেই দেশের অনেক বুদ্ধিজীবিরাই মায়াকান্না করে ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলো। কিন্তু এই ঘটনার জন্য যে পরীমনির অনিয়ন্ত্রিত জীবনও দায়ী , সেইসব মানুষ সেটা বলছেনা। এমনকি খোদ পরীমনিও তার দুবাই ট্যুরের ছবি থেকে এই ছবিটা ডিলিট করে দিয়েছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে হাজার খুজেও এই ছবিটা আর পেলাম না। কিন্তু মুখের কথা/ বন্দুকের গুলির মতো ফেসবুকে পোষ্ট করা ছবিও যে পরে আর ধামাচাপা দেওয়া যায়না, সেটা ওই সুন্দরী নারীর মাথায় একদমই নাই। শুধু তাই না, এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মদের বোতলটার ছিপি দেখেই যে তার ব্র্যান্ড বের করা যাবে, এটাও সেই বোকা মেয়েটার মগজের আওতায় নাই । ব্র্যান্ডের নাম হলো Chivas Royal Salute. গুগলে সার্চ দিলেই এর বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।

পরীমনির সাথে যা ঘটেছে তার নিন্দা আমিও জানাই। কিন্তু এটাও বলি, তার বেলেল্লাপনা জীবন, অশ্লীলতায় ভরপুর লাইফস্টাইল, সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্ধনগ্ন ছবিগুলোও এর জন্য দায়ী। আর দায়ী হলো, সেইসব ছাগল মার্কা বুদ্ধিজীবি, যারা নারী স্বাধীনতার নামে ওয়েস্টার্ন কালচার এদেশে আমদানি করতে চায়, কুকুরের জীবনে তো বছরে একবার ভাদ্রমাস আসে, তারা চায় মানুষের জীবনে যাতে সারাবছর ভাদ্রমাস লেগে থাকে। তারই সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের শেষ পরিনতি হলো সেদিনের সেইসব ঘটনা। একজন সুস্থ এবং বিবেকবান মানুষ অবশ্যই স্বীকার করবেন, একটা মেয়ের পক্ষে কোনভাবেই ওই সময়ে ওই জায়গায় থাকার কথা নয়। নিজের দেহটাকে ওইসব শকুনের মুখে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার দায় পরীমনিকেই উপরেও একটু আকটু পড়বে বৈকি। এছাড়া তার মনে যদি সততা থাকতো তাহলে এই ঘটনার অভিযোগ তোলার আগে কিংবা পরে মদের বোতলের ওই ছবিটা সে ডিলিট করতোনা। নিশ্চই ঘটনার পেছনে আরও ঘটনা আছে জন্যই সে এই কাজটা করেছে। তবে আমাদের আল্ট্রা মর্ডান বুদ্ধিজীবি সমাজ এটা বেমালুম চেপে গেছে।

এই ঘটনায় আরেকজনের দায় আছে। এটা হচ্ছে তার অবিভাবকের । তারা যদি ছোট থেকে ধর্মীয় এবং এই দেশের সামাজিক শিক্ষাটা দিতো , তাহলে তাদের মেয়ে আজ এতোটা বখে যেতোনা এবং আজ এই দুর্ঘটনার দেখতে হতোনা।

যাইহোক, আমি পরীমনির সাথে ঘটা ঘটনার বিচার চাই, প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এবং সেইসাথে দেশে এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সকল অবিভাবক এবং জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা গজিয়ে উঠুক, এই কামনা করি। আর চাই, “বাংলাদেশ থাকুক বাংলাদেশের মতোই।“ এদেশকে যারা থাইল্যান্ডের পাতায়া কিংবা আমেরিকার লাস-ভেগাস বানাতে চান, তারা দয়াকরে সেসব জায়গাতেই চলে যান। এদেশ ষড়ঋতুর দেশ, সারাবছর ভাদ্রমাসের দেশ না ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: কিছু মানুষ পরীমনিকে মক্কার খেজুরই মনে করছে। আজকে আলো পত্রিকায় ফারুক ওয়াসিফ একটা কলাম লিখেছেন, কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি -

জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি যখন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে হয়রান হচ্ছিলেন, ঠিক তখন রংপুরের এক তরুণ ইসলামি বক্তা তিন সঙ্গীসহ নিখোঁজ হন। তাঁদের স্বজনেরাও থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে ব্যর্থ হন। ওই একই সময়ে মধুপুরের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এক নারীকে বর্বরভাবে ধর্ষণ করে তিন মদ্যপ। কাছাকাছি সময়ে সাভারে ছুটির দাবিতে আন্দোলন করার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে মারা যান দুই সন্তানের জননী জেসমিন। পরীমনির কান্না আমরা দেখেছি, কিন্তু জেসমিনের সন্তানদের কান্নার সামনে ক্যামেরা নিয়ে যাবে কে? কে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওই নারীকে চিকিৎসা করাবে, সুবিচার দেবে? তরুণ ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী ও মায়ের কাছে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার কি কোনো কর্তৃপক্ষ আছে?

২| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ২:১৫

স্প্যানকড বলেছেন: উনি দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন !

৩| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ২:৫০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সমাজের চারিদিকে যে প্রচুর মুখোশধারী গোল্ড ডিগারদের আনাগোনা রয়েছে সেটা বুঝতে খুব বেশী জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। কথা হলো উনি কোথায়, ক'টায় আর কেন গিয়েছিলেন সেটা আমার জানা নেই। উনি অভিযোগ করেছেন এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সম্ভাব্য দোষী যাকে বলা হচ্ছে তারও বক্তব্য থাকতে পারে। এক তরফা বক্তব্য শুনে আইন/আদালত সিদ্ধান্ত নেবে না। আইন যাকে দোষী মনে করবে তাকেই শাস্তি দেবে। সে পর্যন্ত সবাই ধৈর্য্য রাখুন।

৪| ১৬ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:২০

বিষন্ন পথিক বলেছেন: 'মক্কার খেজুর' টার্মটা বুঝলাম না

৫| ১৬ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ আমি সাজিদ।
ফরমায়েসি লেখক ফারুক ওয়াসিফ কামাল আহাম্মেদদের কথা বলে লাভ নেই।
এরা কয়েকদিন আগেও দলবেধে মামুনুলহকের আন্ডারওয়ার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার কাজে লেগেছিল ১০ ১২ দিন বিরামহীন ভাবে, তারপর সব প্রমানীত হওয়ার পর চুপসে গেছে।
এখন শুরু করেছে আধনান নিয়ে কান্নাকাটি।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২১ ভোর ৬:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: কোন নারী ধর্ষণের বা বা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হলেই এক ধরনের লোক নারীর চরিত্র হননের চেষ্টায় উঠে পরে লাগে।ধারনা করি তারাও ধর্ষক,এবং ধর্ষকে আড়াল করতেই তাদের এই প্রচেষ্টা।কারন সেও ভাবে তার এমন দিন আসতে পারে।

৭| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: কোন নারীকে তার গায়ে হাত তোলা বা গালাগালীর বিরুদ্ধে কথা বলা বিচার চাইতে হলে তাকে স্বতী সাবিত্রি হতে হবে?

পরিমনির কাহিনিতে ঘাপলা আছে। তিনি ঐখানে যদি বন্ধুদের নিয়ে মদ খেতে গিয়ে ছিলো এবং পাশের টেবিল থেকে এক লোক এসে তাদের সাথে কথা বলার চেস্টা করে ঝামেলা করে তাদের গায়ে হাত তোলে তবে সেটার বিচার কি চাইতে পারবে না?

দেশে মেয়ে মদ খেলে তাকে যা খুশি করার অনুমুতি আছে? তার বিচার চাইবার অধিকার নাই নাকি?

ফেসবুকের কিছু মানুষের কমেন্ট দেখে তাই মনে হয়।

৮| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

অক্পটে বলেছেন: "এখন শুরু করেছে আধনান নিয়ে কান্নাকাটি।"
হাসান কালবৈশাখী কবে মানুষ হবেন। পঁচে যাবার একটা লিমিট থাকে। আপনার সব চেয়ে প্রিয় আপনার পরিবারের কেউ আধনানের মতো হারিয়ে যাক তখন হয়তো আপনার মতো বেকুবদের হুস হবে।

৯| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

অক্পটে বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী যাকে আপনি ফরমায়েসী লেখক বললেন তার লেখা হজম করা আপনার মতো অন্ধের জন্য অবশ্যই শক্ত। একজন ফারুক ওয়াসিফ হতে তীক্ষ্ ব্রেনের দরকার হয়। আর তাকে সহ্য করা স্বৈরাচারীর দোষরদের অন্তর্জ্বালার কারণ হতেই পারে।

১০| ১৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রতিটি জায়গার কিছু নিজস্ব প্রটোকল থাকে ।

বার , ক্লাব , মসজিদ মন্দির এর ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকল ।

অমির দালালিতে নাসির সাহেব লোডেড অবস্থায় রঙ নাম্বারে ডায়াল করেছেন ।

হাতাহাতি লাথি ঘুষি ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে না ।

গতকাল পরি ডি বি অফিসে যাওয়ার পর থেকে সব কিছু চুপচাপ , আজ কোন নিউজ নেই কোথাও ।

১১| ১৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

সাসুম বলেছেন: না মানে না।

রাস্তার পতিতা ও না বললে সেটা না ই থাকে। হ্যা হবেনা।

এই নরমাল জিনিষ যে বুঝবেনা তারা প্যারাটক্সিকাল মজিদ, পটেনশিয়াল রেপিস্ট।

পরী বুবসে ধোয়া তুলসি পাতা না। সে ও দুবাই গিয়া মদ খায়, তামাশা করে। একজন এডাল্ট কি করবে , কারে লাগাবে, কার লগে শুইবে সেটা ফেসবুক আর ব্লগস মুমিন দের জিজ্ঞেস করবে না।

কিন্তু না মানে না এটা বুঝা সকল এর জন্য ফরজে কেফায়া।

না বললে, নিজের বউ কে লাগানো জায়েজ না সেখানে পরীমনি তো বহুত দুরের কথা।

১২| ১৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: কে ভাই আপনি?

একজন নারী সে যদি বদ্ধ উন্মাদ ও হয় তার গায়ে হাত তোলা তো দুরের কথা তাকে তার অনুমুতি ব্যাতিরেক ছোয়াও অপরাধ।

পরিমনি মক্কার খেজুর না হন তিনি দেশি ডুমুর নিশ্চই তাই তো আপনাদের মত ব্যাক্তিদের ইচ্ছা শক্তি জেগে ওঠে প্রবল ভাবে।

একটা অন্যায় কে ঢাকতে যাবেন না।

পতিতা যে তাকেও তার অনুমতি ব্যাতিরেক ছোঁয়ার অধিকার আপনাকে দেয় আহয় নাই। ঘরের বউ ও যদি "না" বলে তার অর্থ না। এই সব নাকি কান্না বন্ধ করেন।

দোষি শাস্তি পাবেই। এতে আপনার যদি ইগো হার্ট হয় তা হলে আপনিও সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে যান।

১৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার বলেছেন: সম্পুর্ন লেখা পড়ে এরপর কমেন্ট করুন। আমি নিজেও তার সাথে ঘটা ঘটনার বিচার চেয়েছি। এরসাথে তাকেও ওই ঘটনার সুযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করার জন্য দুষেছি

১৩| ১৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: মানে বলতে চাচ্ছেন যদি কেউ আইনের আওতায় বিচার চায় তাহলে তাকে কিছু সারটেইন বিষয় মেইনটেন করে জীবনযাপন করতে হবে ? আইন সবার জন্য সমান না? প্রশ্নটা থিওরিটিক্যাল।
বাংলাদেশে আইনের শাসন কেন সেটা আমরা সবাই জানি, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

১৪| ১৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: সমসাময়িক সময়ে তিন চারটা ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু কে করবে কার বিচার?
আ্যা মিলিয়ন কোয়েশ্চেন???

১৫| ১৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওয়েস্টার্ন কনসেপ্টে ব্যাপারটা চিন্তা করেন। পরী মনির যদি মদ খায় এবং যৌন স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে সেই ক্ষেত্রে আপনার আমার বলার কি আছে। আমাদের সমাজেও একটা শ্রেণীর কাছে এটা স্বাভাবিক। পরী মনি যে পরিবেশে চলাফেরা করে সেখানেও এটা স্বাভাবিক। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু বলতে পারন যে এটা অনৈতিক। এরা ধর্ম কর্ম তেমন মানে না। এই রকম মানুষ আমাদের সমাজে অনেক আছে। পরী মনি অন্য কোন ধর্মের অনুসারী হলে সেটাও বলতে পারতেন না। লাইফ স্টাইল একটা মানুষের যাই হোক তার মানে এই না যে সে ধর্ষিত হতে চায়। ধর্ষণ একটা অপরাধ। মদ খাওয়া সবার জন্য অপরাধ না। যৌন স্বাধীনতা বিষয়টা আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে আপেক্ষিক, এটা অপরাধ নাকি অপরাধ না। অনেকে এখানে রক্ষণশীল জীবন যাপন করে অনেকে যৌন স্বাধীনতা উপভোগ করে। এটা আমাদের সমাজে এই জুগে অনেকের কাছে অনৈতিক আবার অনেকের কাছে এটা কোন অপরাধ না। তাই পরিমনির লাইফ স্টাইলের অজুহাতে এটা বলা যাবে না যে যা হয়েছে ভালো হয়েছে। সে কোন অন্যায় করে থাকলে সেটার জন্যও আইন আছে। তবে ধর্মীয় দৃষ্টিতে পরীমনি বা তার মত অনেকের লাইফ স্টাইল গ্রহণযোগ্য না। ধর্ম না মানলে আপনি আমি জোর করে মানাতে পারবো না।

১৬| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পরীমনিকে কেউ 'মক্কার খেজুর' মনে করছে বলে মনে হয় না। তবে, দেশের যে-কোনো নাগরিক, তিনি 'মক্কার খেজুর' হলে যেমন বিচার চাইতে পারেন, 'মক্কার খেজুর' না হলেও বিচার চাইতে পারেন, বিচার চাওয়া এবং বিচার পাওয়া যে-কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার। ধরে নিলাম, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় নাই, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাহলে কি তিনি বিচার চাইতে পারবেন না? এটা রাত দুটা না হয়ে দিন ২টায় হলে কি বিচার চাওয়ার যুক্তি বেশি সাবলীল হতো? কিংবা, একজন বোরকা পরিহিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হলে তার বিচার চাওয়ার অধিকার কি বেড়ে যায়? অবশ্যই তা না। তিনি রাত ২টা বা ১২টায় কোথায়, কীজন্য গিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কোনো অপরাধ করে থাকলে ক্ষতিগ্রস্তরা সেটারও বিচার চাইতে পারেন পরীমনির বিরুদ্ধে।

কেউ মদ খেয়ে, বা স্বাভাবিক অবস্থায়ও রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে হাঁটলেও তাকে ধর্ষণের অধিকার নেই কারো। তাকে নির্যাতনেরও কোনো অধিকার নেই। তবে, তার এই অশোভন আচরণের জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারেন, প্রতিকার বা বিচারের জন্য।

তবে, মূল বিষয় যেটা তা হলো- পরীমনি একজন বিখ্যাত সেলিব্রেটি বলে তার ঘটনাটা ফ্ল্যাশ হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। অখ্যাত কতজন এভাবে কত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, নীরবে নিভৃতে, তা কি আমরা জানি? তাদের বিচার কে চাইবে, তাদের বিচার কবে, কীভাবে হবে? আদৌ কি হবে?

উপরের প্রায় সবগুলো কমেন্টই ভালো লেগেছে, বিশেষ করে ৬, ৭, ১২ নাম্বার কমেন্ট। আর ১৫ নম্বর কমেন্টে সাড়ে চুয়ায়ত্তর ভাই খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন কথাগুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.