![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইয়াছির মিশুক এছাড়া পরিচয় দেয়ার মতো উল্লেখ যোগ্য কিছু নেই আমার। লেখালেখির অভিজ্ঞতা বলতে পরিক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর লেখার অভিজ্ঞতাটাই উল্লেখ যোগ্য। ভালোলাগে মানুষের হাসিমুখ দেখতে। মলিন, রুক্ষ, বেদনাময় পৃথিবীতে একটু হাসির উপলক্ষ তৈরি করার জন্য লেখার চেষ্টা করি। সফলতা নিয়ে কোন ভাবনা আসেনা তাই লেখতে দ্বিধা করিনা।
তমালএর কাব্য প্রতিভা
..
সমস্যার শুরু হয় সেদিন থেকে যেদিন আমার বন্ধু তমালকে নিয়ে গিয়েছিলাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করতে।
তমাল ঢাকার ছেলে হয়েও এখনো আমাদের
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর দর্শন করেনি, কথাটা শুনার পরেই আমার মাথাটা গরম হয়ে গেল। সাথে সাথে তমালকে নিয়ে রওনা হলাম।
কবরের পাশে দাড়িয়ে প্রথমে দুজনে মিলে দোয়া করলাম। উক্ত দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে আমার মাঝে কদাচিৎ বড় হুজুর বড় হুজুর ভাব চলে এলো।
দোয়া শেষে কবির বৈচিত্রময় জীবনের উপর একটা আলোচনা সভা হলো। সেই সভার একমাত্র বক্তা ছিলাম আমি আর একমাত্র শ্রোতা ছিল তমাল।
আমি মহা পন্ডিতের মত কবির জীবনের সুখ, দুঃখ, সংগ্রাম, প্রেম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বয়ান করছিলাম আর তমাল মনোযোগী শ্রোতার মত সব শুনছিল। যদিও কবি নজরুলএর জন্ম-মৃত্যু তারিখ বলতে গিয়ে ভুলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরএর জন্ম-মৃত্যু তারিখ বলে ফেলেছিলাম কিন্তু কপাল গুণে তমাল তা বুজতেই পারেনি।
আমার বয়ান যে এতোটা প্রভাব বিস্তার করবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। সেই বয়ান শুনে তমালের উপর রিতিমত নজরুল প্রতিভা ভর করলো। তারপরই শুরু হল অঘটন! এখন তমাল হাটতে, চলতে, উঠতে, বসতে সারক্ষন শুধু কবিতা বলে আর কাগজ কলম পেলেই কবিতা লেখে।
সেদিন ক্লাসে ম্যাডাম লেকচার দিচ্ছিলেন আর তমাল ম্যাডামএর দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ ম্যাডাম চিৎকার করে বললেন "এই ছেলে তুমি আমার দিকে হা করে চেয়ে আছ কেন? "
তমাল দাড়িয়ে ম্যাডামএর দিকে হাত বাড়িয়ে বলল "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়া
সেকি মোর অপরাধ? "
ম্যাডাম বললেন "আমি তোমার টিচার, টিচারএর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা? "
তমাল বলল " মোর প্রিয়া হবে এস রানী
দেব খোপায় তারার ফুল। "
ম্যাডাম রাগে গড় গড় করতে করতে বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল স্যারের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানালেন।
তোফায়েল স্যার তমালকে ডেকে নিয়ে বললেন "এটা ইউনিভার্সিটি, এখানে নিয়মকানুন আছে, তুমি যা ইচ্ছে তাই করতে পার না। "
তমাল বলল
"আমি জানিনা তো কোন আইন কানুন
মানিনা তো কোন বাধা,
তবুও আমায় শাসন করেন
আপনি একটা গাধা! "
সাথে সাথে তোফায়েল স্যার ফোন করলেন তমালএর বাবার কাছে।
বিকেলে তমাল বাসায় ফিরতেই তার বাবার হুঙ্কার -
"তমাল এদিকে আয়। "
তমাল এগিয়ে গেল। তখনো সে মৃদু স্বরে কবিতা আবৃত্তি করছে। তমালএর বাবা বললেন "কিরে তুই নাকি মস্ত বড় কবি হয়েগেছিস? যেখানে সেখানে কবিতা আবৃত্তি বেড়াস? "
তমাল বলল
"ভাইরে,
এই সমাজে কবি দের
কোন মূল্য নাইরে। "
তমালএর বাবা -"হারামজাদা, নিজর বাবাকে ভাই বলছিস! " বলেই তমালএর কান টা ধরে গালের মাঝে পাঁচ আঙ্গুলের কারুকার্য করে দিল।
তমাল বলল
"ভয় করিনা, ভয় করিনা
জুলুম অত্যাচার
গাল টা আমার পেতে দিলাম
মারবি কত মার। "
তারপর ধপাস ধপাস আরো দুটি শৈল্পিক থাপ্পড়।
দু'দিন ধরে তমালএর দেখা নেই তাই ওকে দেখতে ওর বাসায় গেলাম।
গিয়ে দেখি তমালএর বাবা তমালকে ঘরে তালা মেরে রেখেছে। তমাল ভেতর থেকে দরজায় লাথি মারছে আর বলছে
"লাথি মার, ভাঙ্গরে তালা!
যত সব বন্দী শালায় আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা... "
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
ইয়াছির মিশুক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা!!!
পুরাই নজরুল পাগল হয়ে গেছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
ইয়াছির মিশুক বলেছেন: পাগল তমাল
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: জটিল----- হা হা