নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ন হি সর্ববিদ: সর্বে \"

খোলা মনের কথা

স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!

খোলা মনের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘এপ্রিল ফুল’ কি???

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

শুধু মাত্র বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে ‘এপ্রিল ফুল’ জাকজমক ভাবে পালন করা হয় ।এপ্রিল (APRIL) ইংরেজী বর্ষের চতুর্থ মাস , ফুল (FOOL) একটি ইংরেজী শব্দ , যার অর্থ বোকা । এপ্রিল ফুলের অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’ । সহজ ভাষায় ‘এপ্রিল ফুল’ এর মুলমন্ত্র হল কাউকে কোন ভাবে বোকা বানানো । যেটি প্রতি বছর অন্যতম উৎসবের মত পালন করে কোটি কোটি মানুষ ।
ইহুদী, খ্রিস্টানদের মত মুসলিমরাও বাদ যায় না এ উৎসব পালন করতে ।কিন্তু মুসলিম ভাইবোনরা আপনারা কি জানেন ‘এপ্রিল ফুল’ কি? আপনি কি জানেন “এপ্রিল ফুল” মুসলিম ইতিহাসের একটি জঘণ্যতম, ঘৃণ্য এবং হৃদয়বিদারক লোমহর্ষক ইতিহাস । আসুন জেনে নিই ‘এপ্রিল ফুল’ এর ইতিহাস, উৎপত্তি ।
ইতিহাস বলে, হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকে । যখন সারাবিশ্ব মুসলমানদের অধিপতির বাতাস বয়ে চলছে । যে বাতাস ইউরোপের মাটিতে দোলা দিতে বাদ দেয়নি । ইউরোপের একটি দেশের নাম আন্দুলুস (বর্তমান স্পেন)। স্পেন অবস্থিত ইউরোপের দক্ষিন পশ্চিমে । উত্তরে ফ্রান্স, পশ্চিমে র্পতুগাল , র্পূবে ও দক্ষিনে ভূমধ্যেসাগর । তখন স্পেনের রাজা লডারিক ছিলেন একজন কট্ররপন্থী জালিম খ্রিস্টান শাষক । তার জুলুমে জনগন ছিল অতিস্ঠ । তখন মুসলিম রণক্ষেত্রে কমান্ডার প্রধান ছিলেন মূসা বিন নুসায়ের । মূসা বিন নুসায়ের সাথে কাউন্টার রাজা জুলিয়ান সাক্ষাত করে মাজলুম মানবতাকে রক্ষা করার জন্য মূসা বিন নুসায়েরকে আহবান করেন তিনি ।মূসা বিন নুসায়ের তার অধিনের সেনাপতি তারেক বিন জিয়াদের নেতৃত্বে ৭,০০০ (সাত হাজার) সৈন্যর একটি মুজাহিদ বাহিনী প্রেরন করেন । ৯২ হিজরী ২৮ রমযান মোতাবেক ৭১১ খ্রিঃ জুলাই মাসে স্পেনে অবতরন করেন মুসলিম বাহিনী । শুরু হয় খ্রিস্টানদের সাথে প্রচন্ড লড়াই । দীর্ঘ জিহাদের পর খ্রিস্টান বাহিনী পরাজিত হয়। সলিল সমাধি হয় জালিম শাসকের ।
তারপর থেকে ১৪৯২ সাল পযর্ন্ত প্রায় ৮০০ বছর মুসলমানেরা শান্তি আর সাম্য বজায় রেখে স্পেন শাসন করে।তাদের ন্যায়-ইনসাফ আর ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে মানুষ দলে দলে আশ্রয় নেয় ইসলামের ছায়া তলে । শিক্ষা-সাংস্কৃতি ,জ্ঞান-বিজ্ঞান ,শিল্প-বাণিজ্যে ইত্যাদির কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণিত হয় স্পেন ।
এ দিকে মুসলমানদের উচ্ছেদ করার জন্য ইউরোপিয় অন্য খ্রিস্টান শাসকরা উম্মদ হয়ে ওঠে ।মুসলিম শক্তি বেশি হওয়ার কারনে খ্রিস্টান ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য পর্তুগিজ রাণী ইসাবেলা এবং পার্শ্ববর্তী রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিবাহ বন্ধনে অবদ্ধ হয় । তারপর রাণী ইসাবেলা এবং রাজা ফার্ডিন্যান্ডের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে ১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিল কৌশল করে মুসলমানদের কেন্দ্র স্থান গ্রানাডার তিন দিক থেকে মুসলমানদেরকে ঘেরাও করে মুসলমানদের নৃসংশভাবে হত্যা করতে থাকে । মুসলমানদের বাচার একমাত্র পথ থাকে মহাসমুদ্র পথটুকু । মুসলমানরা দিশেহারা হয়ে সে দিকে ছুটতে থাকে ।মুসলমানেরা পালিয়ে বেচে যাবে ভেবে ধূর্তবাজ ফার্ডিন্যান্ডে ঘোষনা দেয় , যে মুসলমানেরা অস্ত্র সর্মপণপূর্বক মসজিদ সমূহে আশ্রয় নিবে তাদেরকে পূর্ণ্য নিরাপাত্তা দেওয়া হবে এবং যারা সমূদ্রের জাহাজ সমূহে আশ্রয় নিবে , তাদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে । নেতৃত্বহীন অসহায় মুসলমানেরা অস্ত্রবিহীন ক্ষুধা- পিপাসা কাতর হয়ে অর্ধৈয্য হয়ে পড়েছিল । তারা নরপিচাশ খ্রিস্টানদের প্রতরানা না বুঝে সরল মনে মসজিদ এবং জাহাজ সমূহে আশ্রয় নেয় । তখনই জালিম , নরপিচাশ প্রতারক রাজা ফর্ডিন্যান্ডের নির্দেশে খ্রিস্টান সৈন্যরা মসজিদ সমূহে তালাবদ্ধ করে দিয়ে ভিতরে ও বাহিরে চতুরদিক আগুন লাগিয়ে সেখানে আশ্রয় নেওয়া লক্ষ লক্ষ মুসলমানদেরকে পুড়িয়ে নির্মম ভাবে শহীদ করল এবং জাহাজগুলোতে আশ্রিত মুসলমানদেরকে গহীন সমূদ্রে ডুবিয়ে মারলো ।
ইতিহাস সাক্ষী, প্রায় ত্রিশ লক্ষ মুসলমানদের কে পুড়িযে মেরেছিল এক সাথে । আসহায় নারী- পুরুষ আর শিশুদের আত্নচিৎকারে ঐদিন আকাশ- বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। মুসলমানদের দুর্দশা দেখে জালিম , নরপিচাশ , প্রতারক রাজা ফর্ডিন্যান্ড ও তার স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ উল্লাসে বলে উঠে ( Oh Muslim ! How fool you are . ) হায় মুসলমান ! তোমরা কত বোকা ।
সে দিন টি ছিল এপ্রিল মাসের ১ তারিখ । আর সেই থেকে মুসলমানদেরকে উপহাস করার জন্য খ্রিস্টানেরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিলকে অত্যন্ত জাকজমকের সাথে ‘এপ্রিল ফুল’ বা এপ্রিলের বোকা উৎসবের দিন হিসাবে পালন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় , যে এপ্রিলের এ দিনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান ভাই-বোনেরা নির্মমভাবে প্রান হারিয়েছিল ,আজ মুসলমানের সন্তানেরা খ্রিস্টানদের অনুসরনে সে দিনটিকে হাসি-খুশির দিন হিসাবে পালন করে থাকে। এপ্রিলের এই নির্মম ও হৃদয় বিদারক ইতিহাস জানার পরও কোন মুসলমান এই দিনকে হাসি খুশির দিন হিসাবে উদযাপন করতে পারে ?? আপনি কি মুসলিম হওয়ার পরও এ দিনটি পালন করতে পারবেন ????

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, কিন্তু তথ্যের সূত্র উল্লেখ করলে আরো ভালো হতো।
আপনার প্রথম পোস্টে এসে ব্লগে আপনাকে বিলম্বিত সুস্বাগতম জানিয়ে গেলাম। ব্লগে আপনার বিচরণ আনন্দদায়ক হোক, দীর্ঘস্তাহ্যী হোক!

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'দীর্ঘস্তাহ্যী হোক' - কথাটা দীর্ঘস্থায়ী হোক হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.