![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী একজন মুসলিম।
বছর ঘুরে আবার আসছে একটি দিবস/উত্সব পহেলা বৈশাখ।
চাষাবাদও এজাতীয় অনেক কাজ ঋতু নির্ভর বিধায় তত্কালীন ভারতের মোগল সম্রাট আকবর প্রচলিত হিজরী চন্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।
পিছনে ফিরে দেখা।
""""""""""
বাংলার প্রাচীন মানুষেরা ছিলেন দ্রাবিড় বা হযরত নুহ (আ) এর বড়ছেলে সামের বংশধর।
খৃস্টপূর্ব ১৫০০ সালের ইয়াফিসের সন্তানদের একটি গ্রুপ আর্য নামে ভারতে আগমন করে।
ভারতের দ্রাবিড় এবং অনার্য ধর্ম সভ্যতাকে হাইজ্যাক করে আর্যগন।
তারা বাংলাভাষা এবং বাঙালীদের ঘৃনা করতো।
ক্রমান্বয়ে অর্যপন্ডিতগন বাঙালীত্ব বলতে হিন্দুত্ব ও বাঙালী সংস্কৃতি বলতে হিন্দু সংস্কৃতিমনে করে।
এজন্যই তারা মুসলিমদের বাঙালী বলে স্বীকার করে না।
শরত্চন্দ্রের শ্রীকান্ত গল্পে আমরা দেখেছি যে বাঙালি বলতে শুধু হিন্দুদের বুঝানো হয়েছে এবং মুসলিমদের তাদের বিপরীত দেখানো হয়েছ।
এখন ও পশ্চিমবঙের মুসলিমদের জাতিতে বাঙালী লিখলে ঘোর আপত্তি করা হয়।
ঘটা করে প্রথম বাংলা নববর্ষ পালন করা হয় ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময়।
বিট্রিশরাজ্যের বিজয় কামনা করে ১৯১৭ সালে পহেলা বৈশাখে হোমকীর্ত্তন ও পুজার ব্যবস্হা করে কলকাতার হিন্দুমহল।
আবার যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজল স্বাধীনতাকামী সুভাষ বসু ব্রিটিশ তাড়াতে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের জন্য দুনিয়া চষে বেড়াতে লাগলেন তখন হিন্দু সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ১৯৩৮ সালে পহেলা বৈশাখ পালন করে পূজায় পূজায় ইংরেজদের জন্য বিজয় কামনা করল।
(প্রথম আলো 14/04/08)
১৯৬৭ সালে ছায়ানট শুরু করল প্রকৃতি পূজার নবধারা।
রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রার্থনাগীতিতে তারা কামনা করল;
"বৈশাখ যেন মুমূর্ষের দেয় উড়ায়ে"
এরপর
"এসো হে বৈশাখ এসো এসো" কতকি।
কিন্তু আফসোস !!!
শিক্ষিত স্রষ্টায় বিশ্বাসী মানুষ কিভাবে বৈশাখকে এমনভাবে ডাকতে পারে,
অথচ এটা সম্পুর্ণ শিরক ।
বৈশাখের কি কান আছে ??
সেকি শোনে ??
না ডাকলে সে কি আসবেনা ??
মোগল সময় থেকেই বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে জমিদারগন প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতো,
ব্যবসায়ীরা হালখাতা করতেন।
অনুষ্ঠান এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
কিন্তু বর্তমানে যা যা করা হচ্ছে যার অধিকাংশই মুসলিমদের ধর্মীয় মুল্যবোধের সাথে প্রচন্ড সাংঘর্ষিক।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নামে যুবক যুবতী শিশু কিশোরদের অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে শিক্ষিত প্রগতিশীল মানুষেরা যুবকযুবতী শিশু বূদ্ধ সবাই রাস্তায় মঙল শোভাযাত্রে করে মুখোশ পরে পশুপাখির ডামি মূর্তি আর সোয়াস্তিকার চিহ্ন নিয়ে ঢোল বাদ্য বাজিয়ে হিন্দুদের ধুতি শাড়ী পোশাক পরে মিছিল করে অমঙ্গল তাড়িয়ে বেড়ায়...
(নাউজুবিল্লাহ।)
হিন্দুবৌদ্ধ খৃস্টানের সাথে মুসলমানের পার্থাক্য কি থাকল ?
আল্লাহ বলেন,
যে ব্যক্তি তাদের (অমুসলিমদের) সাথে মিশে গেল,
সে নিশ্চয় তাদের একজন
সুরা মায়েদা
আয়াত ৫১
আর সারা বছর গরম খেয়ে
একদিন পান্তা-ইলিশ খেয়ে উল্লাস করা কি গরীব, বঞ্চিত কৃষকদের সাথে উপহাস করার শামিল নয় ??
পহেলা বৈশাখসহ এ জাতীয় উত্সব দিবস পালন করা অনৈসলামিক কাজ। কারণ,
সুনানে আবু দাউদের একটি হাদীসে আছে
আনাস (রাঃ) বলেন,
যখন রাসুল (সাঃ) মদিনাতে এলেন তখন তাদের দুটি দিনে খেলাধুলা করতে দেখলেন তিনি তাদের কাছে জানতে চাইলেন এই দুই দিনে কী ?
তারা উওর দিল আমরা অন্ধকার যুগে এদিন গুলোকে উদযাপন করতাম।
রাসুল (সাঃ) বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের এর পরিবর্তে এমন দুটি দিন দিয়েছেন যা এর চেয়ে উওম আল আযহার ও আল ফিতরের দিন।
-যে মদিনাবাসী তাকে দুর্দিনে সাহায্য করেছিল
একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সূচনা করেছিল তাদের ও জাতীয় উত্সবকে ছাড় দেয়া হয়নি, বদলে দেয়া হয়েছিল।
কারণ..??
প্রত্যেকটি উত্সবেরই কোন না কোন ইসলাম বিরোধী উত্স আছে।
ইমাম ইবনে তাইম্যিয়া ইকতিদা আল সিরাতাল মুস্তাকিম গ্রন্হে বলেন,
উত্সব উদযাপন ইসলামী শরীয়ার অংশ কারন আল্লাহ বলেছেন,
"তোমাদের প্রত্যেক সম্প্রদায়েরজন্য আমি নির্দিষ্টশরীয়া এবং নির্দিষ্টমিনহাজ নির্ধারন করেছিলাম।"
সুরা মায়েদা
আয়াত ৪৮
আচ্ছা তাহলে কি পহেলা বৈশাখ পালন করা যাবে না ?
বাঙালী হওয়া যাবে না ?
প্রিয় বন্ধু
হিন্দুরা মূর্তি পূজা উত্সব করে আর শয়তান এখন আমাদের দ্বারা প্রকৃতি পূজা ও মূর্তি বহন করাচ্ছে তা কি বুঝছেন না ?
আল্লাহর বানী,
"হে মুমিনগন ইয়াহূদী ও খৃস্টানদের তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহন করো না।
তারা একে অপরের বন্ধু যে ব্যক্তি তাদের সাথে মিশে গেল সে নিশ্চয়ই তাদের একজন।"
সুরা মায়েদা
আয়াত ৫১
এবার চিন্তা করুন আপনি কি মুসলমান থাকবেন নাকি বাঙালী হতে যেয়ে অমুসলিমদের অনুসরন করবেন ??
যদি আল্লাহকে প্রতিপালনকারী স্বীকার করে থাকেন তাহলে ইসলাম নিষিদ্ধ এমন কাজ করতে যতই ভাল লাগুক সেটা পরিহার করতে হবে।
বাঙালী হওয়ায় কোন গর্ব নেই,
আসল গর্ব হলো প্রকৃত মুসলিম হওয়ায়..
তবেই দুনিয়ায় আসবে প্রকৃত সম্মান কর্তৃত্ব।
ইমাম যাহাবি রাহ বলেন
"যদি কেউ বলে আমরা এগুলো ছোট বাচ্চা ও নারীদের জন্য করি, তাকে বলা হবে;
সবচেয়ে হতভাগা সে ব্যক্তি, যে আল্লাহর গোস্বার রাগের অপছন্দের বস্তু দ্বারা পরিবার ও সন্তানকে সন্তুষ্ট করে।
হে বন্ধু আপনার আমার মালিক হুশিয়ার করে দিয়েছেন কোন ব্যক্তিকে তার প্রতিপালকের নিদর্শনবলী স্মরন করিয়ে দেওয়ার পরেও সে যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তার কৃতকর্মসমুহ ভুলে যায় তবে তার অপেক্ষা অধিক সীমালঙ্ঘনকারী আর কে আছে ??
সুরা আল কাহাফ
আয়াত ৫৭
রাসুল সাঃ আরো শক্ত ভাষায় বলেছেন,
"তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন,
মাদকাসক্ত পিতা মাতার অবাধ্য এবং দাউস-যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যাভিচার অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়।
মুসনাদে আহমদ ২/৬৯
ব্যবসায়িক প্রশাসনিক রাজনৈতিক বা সামাজিক কোন স্বার্থে অনেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা গান বাজনা ও বেহায়াপনার পথ খুলে দেওয়ার জন্য রালী মেলা মূর্তি বহন করা ইত্যাদির পক্ষে অব্স্হান নেন এবং পালন করেন।
আপনারা দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের জন্য এর চেয়ে ভায়ানক আর কি হতে পারে ??
অশ্লীলতা প্রসার সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
"যারা চায় যে মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রচার ঘটুক,
তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি।
সুরা নূর
আয়াত ১৯
©somewhere in net ltd.