নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক কে?

এই প্রশ্নের উত্তরে সবার আগেই একদম সবার মনে যে উত্তরটি প্রথম উঁকি দেবে, সে নামটি সালমান শাহ এর।

ফিল্ম নিয়ে বেশ ঘাটেন, এমন কেউ হলে মাথা নাড়িয়ে বলবেন, তিনি জাফর ইকবাল।
কথা সত্য। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুদর্শন নায়কের তুলনা দিতে গেলে অভিনয় গুরুগণ জাফর ইকবালের নামটিকেই স্মরণ করেন। সাম্প্রতিক নায়ক ইমন কেবল তাঁর চেহারার সঙ্গে জাফর ইকবালের চেহারার মিলের কারণেই অনেক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। জাফর ইকবালের মত সুদর্শন নায়কের তুলনা এখনও মেলে না।

তবে আমার মন্তব্য ব্যতিক্রম। বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সর্বাপেক্ষা সুদর্শন নায়ক হলেন বুলবুল আহমেদ। এটা আমার কেবল আবেগের কথা নয়। অতখানি সুদর্শন মুখশ্রীর কোন নায়ক আমি এ উপমহাদেশে কেন জানি মেলাতে পারিনি আর।

একজন নায়ক অবশ্য কেবল মুখের সৌন্দর্যে বিবেচিত হতে পারে না। সেক্ষেত্রে অভিনয় মাত্রার হিসেব করলেও বুলবুল আহমেদের ধারে কাছে আমি অন্যান্য সুদর্শন কোন নায়ককে পাইনি। যথেষ্ট প্রতিভাবান নায়ক জাফর ইকবাল ছিলেন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট। আর্টিস্টিক আর্টিস্ট (শব্দটা কেবল আমিই ব্যবহার করি) ছিলেন বুলবুল আহমেদ। দেবদাস প্রথম চলচ্চিত্রাকারে মুক্তি পায় ভারত থেকে ১৯৫৫ সালে। এর অনেক পরে বাংলাদেশ থেকে বুলবুল আহমেদ দেবদাস করেন। দিলীপ কুমারের চেয়ে বুলবুল আহমেদ সেখানে এত সফলভাবে আধিপত্য করেছেন, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। উত্তম কুমারের জয়জয়কারে বুলবুল আহমেদ হয়ত তখন অতটা আলো পাননি। কিন্তু শ্রীকান্ত রাজলক্ষ্মী নামক যে একটা মুভ্যি বুলবুল করেছেন, সেটাকে আমি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের তালিকার উপরের দিকের একটি মুভ্যি হিসেবে বিবেচনা করি। এই মুভ্যির মত মুভ্যি বাংলাদেশে একটিই হয়েছে, কেবল ওই একটিই! অদ্ভুত বিষয় হল, শ্রীকান্ত রাজলক্ষ্মী, আমার জানামতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি।

আমি যদি বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ মুভ্যির তালিকা করতে বসি তবে অবশ্যই প্রথম মুভ্যিটি দাঁড়াবে শ্রীকান্ত রাজলক্ষ্মী।
দ্বিতীয় মুভ্যিটি কী হবে কেউ অনুমান করতে পারেন?

দ্বিতীয় মুভ্যিটি অবশ্যই মহানায়ক!
মহানায়কের তুলনা অমিতাভ বচ্চনের "ডন" মুভ্যিটির সঙ্গে সমান প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা তখনও রেখেছে, এখনও রাখে! এবং এটা বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না যে, ডন এর চেয়ে মহানায়কের কাহিনী বৈচিত্র্য আর অভিনয় পারদর্শিতা হাজারগুণে এগিয়ে। সেই ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের মত ছোট্ট একটি দেশ অমিতাভের ডনকে টক্কর দিতে চার চারটি দেশের অভিনয় কুশলী আর বিশেষ করে বিদেশি সব চোখ ধাঁধানো রূপসী নায়িকা নিয়ে একটি বিস্তৃত মানের মুভ্যি করেছে ভাবলেই বুকটা ফুলে ওঠে! তাছাড়া, তখনকার বুলবুল আহমেদ অঙ্গভঙ্গী এবং ড্রেসআপে যে আধুনিকতা দেখিয়েছেন, এখনকার নয়করাও ততটা আধুনিক হতে পারেনি, আরো কত বছরে পারবে অনুমান নেই কোন। এখানেও আবারও সেই একই অদ্ভুত বিষয়, মহানায়কও জাতীয় পুরস্কার পায়নি।
কেন পায়নি আমি ভেবে পাই না, কিংবা হয়ত তখনকার সবটা খবর আমার স্মৃতিতে রক্ষিত নেই।

(নোট:- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশটি বইয়ের তালিকা করা হয়েছিল ২০০৭এ। প্রথম বইটি ছিল টলস্টয়ের আন্না কারেনিনা। দ্বিতীয় বইটি কার মনে নেই। কিন্তু মজার এই ব্যাপারটা মনে আছে যে, তৃতীয় বইটাও টলস্টয়ের এবং চতুর্থ বইটাও টলস্টয়ের।)

যাইহোক, তৃপ্তির ব্যাপার হল, বুলবুল আহমেদ প্রায় পরপর চারবারই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছন।

কয়েকটা দিন ধরে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে একটি গানে, মহানায়ক ছবিরই গান; আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, কিংবা, হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে- এ দুটির কোনটিই নয়, গানটি হচ্ছে, তুমি চাওপিয়া নদী হয়ে, যাও বয়ে, আমার মনের তীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে...
আপনার নিশ্চিতভাবেই এই গানটি মিস করেছেন। আমি ভেবেছিলাম, গানটি রুনা লায়লার, কিন্তু আজ ভুল ভাঙল, গানটি আসলে হৈমন্তী শুক্লার! পান খাওয়া শ্রদ্ধাতুল্যা হৈমন্তী যে ওই সময়ে যুবতী ছিলেন, মনেই ছিল না :-)

গানটি আপনারা শুনে দেখতে পারেন, সৌন্দর্যের ব্যাপারটাই এই যে একা উপভোগ করে মজা নেই, আরো কয়েকজনের মাঝে সেই মজাটা ছড়িয়ে দিতে পারলেই তৃপ্তি অধিক পূর্ণতা পায়।

আরেকটা জিনিস ভাল হল, লিখব লিখব করে শেষমেষ শুরু করতে পারলাম। এবার সময় এসেছে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে গভীর কিছু লেখার।

অপেক্ষা করুন...
শুভরাত্রি!

পুনশ্চঃ-
আরেকটি সংযুক্তি দিয়ে যাই।
বাংলা সিনেমার সুদর্শন নায়কের তালিকা করলে সেটি হবে-
বুলবুল আহমেদ
জাফর ইকবাল
সালমান শাহ
মাহমুদ কলি
এবং অবশ্যই শাকিব খান।

শাকিব খান অবশ্যই একজন ভাল মানের অভিনেতা। সমস্যা হল, তিনি খারাপ একটি যুগে জন্মেছেন, যে যুগে ভাল সংলাপ নেই, ভাল কাহিনী নেই, ভাল মননশীলতা নেই। আর হ্যাঁ, শাকিব খানের অহঙ্কারটা নিন্দনীয়।

সংযুক্তি ২-
শ্রেষ্ঠ মুভ্যির তালিকায় তৃতীয় মুভ্যিটি হচ্ছে "ভাত দে!"
শ্রেষ্ঠ মুভ্যির তালিকা নিয়ে যখন লিখব তখন এসব নাড়ী নক্ষত্র তুলে ধরব।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: এক কথায় অনস্বীকার্য হ্যাঁ বুলবুল আহমেদ বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুদর্শন , বুদ্ধিদীপ্ত, প্রতিভাবান নায়ক। বুলবুল আহমেদের মতো আর এক জন নায়ক এর প্রতিক্ষ্যায় আছি।

শুভদা সিনামাটাও উল্ল্যেখ যোগ্য সিনামা।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

মেহেদী রবিন বলেছেন: উফ! একদম মনের কথা বলেছেন। আমি কিন্তু সে যুগের দর্শক নই। তবু বুলবুল আহমেদের একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনি সীমানা পেরিয়ে নিয়ে কেন কিছু বললেন না ! ! কষ্ট পেলাম। বিমূর্ত এই রাত্রি আমার গানটা আমার অনেক সময়ের সঙ্গী। আর চাওপিয়া নদী গানটাও আমার অনেক পছন্দের। আমি এখনও মাঝে মাঝেই শুনি। গানের পরের দু'টি লাইন "আমি গান শুনিয়ে যাবো, সুরের কাঁকন বাজিয়ে"। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্যে

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

মেহেদী রবিন বলেছেন: আর সুদর্শন নায়কদের মাঝে রাজ্জাক নাই !! বয়সকালে উনি তো অনেক সুন্দর ছিলেন

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক একজনের চিন্তাধারা পছন্দ এক এক রকম। আপনি ৫ জনের মধ্যেও রাজ্জাককে রাখলেন না। তাহলে আপনার চিন্তাধারা আর পছন্দ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে মিলবেনা বলাই যায়...

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২২

কালীদাস বলেছেন: আমার লিস্টে টপে জাফর ইকবালই থাকবে, সেকেন্ডে সালমান শাহ। বুলবুল আমার লিস্টে খোমার জন্য অনেক পরে আসবে, এক্টিং-এর লিস্টে অনেক উপরে থাকবে অবশ্য। রাজ্জাককেও আশা করেছিলাম আপনার লিস্টে, ষাট/সত্তরে অনেক ড্যাশিং ছিলেন রাজ্জাক।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: রাজ্জাক, শওকত আকবর এবং খান আতাউর রহমান- এঁরা আসবেন ভিন্ন লিস্টে। লেখার তো আরো অনেক বাকি আছে।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: হ্যান্ডসাম, স্টাইলিশ, সুন্দরর বাচনভঙ্গি, ধীর স্থির ব্যক্তিত্বের জন্য নায়ক আলমগীর সবচেয়ে প্রিয়।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: হ্যাঁ, বেশ ব্যক্তিত্ববান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.