নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোলা চিঠি

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২২

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমান্ত আদায়ে আপনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা এদেশের ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা থাকবে। সমুদ্র সীমান্ত আদায়ের জন্য আপনি যে শক্তিশালী রাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস দেখিয়েছেন এবং সেই মামলায় জয়লাভ করে মহীসোপানসমেত বিশাল এক সমুদ্র সীমান্ত বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যোগ করেছেন, আমি নিশ্চিত তা অনেকেই জানে না! কিংবা জানলেও স্বীকার করবে না।

আপনি বাংলাদেশের শাসনামল বিচারে নিজেকে লৌহমানবী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ভারতের কাছ থেকে ছিটমহল আদায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূ-সীমাকে সমৃদ্ধ করার সাফল্য আপনারই দৃঢ়চেতনার পরিচায়ক! ভূ-সীমা এবং সমুদ্র সীমান্তের এই দুটি বিজয় আনতে যে বুকের পাটা দরকার, তা আর কারও হত কিনা সে বিষয়ে দেশবাসী দলমত নির্বিশেষে সন্দিহান।

আমরা জানি, আপনি নির্ভীক। দেশের স্বার্থ আদায়ে আপনি অবশ্যই পেছাবেন না। এই বন্যা এখন আপনাকে সেই চুড়ান্ত স্বার্থ আদায়েরই তাগাদা দিচ্ছে মাননীয় বঙ্গমাতা! এবারই সময় আপনি ফারাক্কা ও তিস্তা বাঁধের একটি বিহিত এবারই করে ফেলুন!
নিন্দুকেরা বলে, বাঁধ সংক্রান্ত এই জটিলতা এদেশের রাজনীতিবিদেরা ইচ্ছে করেই ঝুলিয়ে রেখেছে যাতে করে দেশে বন্যা হয় প্রতিবছর এবং ত্রাণের নামে তাদের পকেট ভরার একটি সুযোগ আসে নিয়মিত!

মাননীয় নেত্রী, আপনি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আপনার দল হতেও দুর্নীতিবাজ ছেঁকে বের করা হবে, আপনার চোখের সামনে ত্রাণ নামক এই চাক্ষুষ দুর্নীতি এবার আপনি হতে দেবেন না আশা রাখি।

হে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, আমরা আশা করি, এই বন্যাই বাংলাদেশে বাঁধজনিত বন্যার শেষ নজির হবে। বঙ্গবন্ধুর তিলের ব্যাপারটি যাঁরা জানে না, তারা হয়ত এটাও জানে না যে, এই তিস্তার নদীচুক্তি বঙ্গবন্ধুর প্রধান স্বপ্নেরই একটি ছিল। বঙ্গবন্ধু ভারতের কাছ থেকে বারবার প্রবঞ্চিত হয়ে জাতিসংঘে পর্যন্তএই বাঁধ নিয়ে বিচার দিয়েছিলেন। প্রিয় মুজিবকন্যা, সেই স্বপ্নকে এবার সফল করার সময় এসেছে।

আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিন্দা করে বলে, আপনি ভারতকে অসংখ্য আনুকূল্য তথা সুবিধা ক্ষমতা লাভের পর থেকে দিয়ে এসেছেন, বিনিময়ে কিছুই চাননি কেবল আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সহায়তা পাবার আশায়! প্রিয় নেত্রী, ভোট আপনাকে এদেশের মানুষ দেবে, ভারত নয়। আপনি এদেশের মানুষকে তিস্তা ও ফারাক্কা সমস্যা মিটিয়ে দিন, তারপর ভারত সরকার আপনার বিরোধিতাও যদি করে (কথার কথা), তবুও আপনি এদেশের আশিভাগ মানুষের স্বচ্ছ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন -এ আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি রাজনীতি বুঝি না, কেবল বুঝি, জনগণের সুবিধা করে দেওয়ার মত বড়ো রাজনৈতিক অস্ত্র আর নেই। এটুকু করতে পারলে, মিছিল লাগে না, পোস্টারও লাগে না, জনগণ কৃতজ্ঞতা থেকেই ভোট নিয়ে আপনার দুয়ারে হাজির হবে।

পুনশ্চ:-

১. অনেকেই হয়ত জানেন না, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা সমস্যায় বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যাতে প্রাপ্য পানি পায় তার সপক্ষে রায় দিয়েছে, কেবল পশ্চিম বঙ্গের প্রাদেশিক সরকারের নোংরা কুটিলতার কারণেই আমরা সুবিধাটা পাচ্ছি না। এমনকি পশ্চিম বঙ্গ ও সিকিমের সাধারণ মানুষও পানি বণ্টনের বিচারে বাংলাদেশেরই পক্ষে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর অধিকার আদায় কঠিন হবার কথা নয়।

২. আমরা পদ্মাসেতু যদি নিজেরাই করতে পারি, তবে বন্যা ঠেকাতে সীমান্তে আরেকটি বাঁধ কেন তৈরি করি না? ত্রাণের পয়সা পকেটে নেবার আশায় আর কত বছর এদেশের মানুষকে বন্যার কবলে নিঃস্ব করতে হবে?
যাইহোক, রাজনৈতিক আলোচনা সমালোচনা আমার উদ্দেশ্য নয়, আমি কথা বলি দেশের স্বার্থে।
একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে ঘুমুতে গেলাম।
শুভ রাত্রি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে ঘুমুতে গেলাম।
শুভ রাত্রি। "

-আজকেই সেই মহান রাত্রী, যা ১০ হাজার রাত্রি থেকে মুল্যবান; আপনি ঘুম থেকে উঠে পানির ট্যাপ ছাড়লে দেখবেন দুধ বের হচ্ছে, আপনার ফলের টবে আংগুর ফল ঝুলছে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: হাজারটা সমস্যা আছে, আমরা প্রত্যেকেই জানি; তবু তো আশায় বুক বাঁধতে হয়। আর আমার মনে হয়, নিন্দার চেয়ে প্রশংসার মাধ্যমে কাজ আদায় সহজ!

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: Zeon Amanza ,



"একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে ঘুমুতে গেলাম ।"

এ স্বপ্ন অলীকই থেকে যাবে । যে কর্ণের জন্যে আপনার এই আহ্বান সে কর্ণে এর প্রবেশ দুঃসাধ্য !!!!!


২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: একটি জাতি আর কত মরবে! সুবোধ জাগবেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.