নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় উলুবন, আমি এখন সিএনজিতে

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

ট্টগ্রামে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নামে একটা জায়গা আছে।
কে কে চেনেন, হাত তুলুন!

চট্টগ্রামে ফয়েজ লেক নামে আরেকটা জায়গা আছে।
কে কে চেনেন, হাত তুলুন!

চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত বা ফয়েজ লেক কী জিনিস?
ওখানে মানুষ যায়!

কেন যায়?
ঘুরতে যায়।

ওখানে কি অস্ত্র টস্ত্র আমদানী করতে যায় কেউ? কিংবা মাদক??

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, পতেঙ্গা থেকে বের হতে দুইটি জায়গায় এবং ফয়েজ লেক থেকেও বের হতে দুইটি জায়গায় কিছু মহান কর্মকর্তাঅপেক্ষাকৃত অন্ধকার রাস্তার পাশে টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন! প্রতিটা সিএনজিকে তাঁরা টর্চ নাচিয়ে থামান এবং সিএনজির ভেতরে টর্চের আলো ছুড়ে বুঝে ফেলেন এই গাড়ির যাত্রী বৈধ না অবৈধ নাগরিক!! যদি আপনারা নারী পুরুষ মিলিয়ে দুইয়ের অধিক হন, বা আপনাদের সঙ্গে বাচ্চাকাচ্চা থাকে, তবে তাঁরা তাঁদের বিশেষ গোয়েন্দা জ্ঞান মোতাবেক বুঝতে পারেন যে, এই যাত্রীরা বৈধ বা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর নন!

কিন্তু যদি আপনারা নারী এবং পুরুষ দুইজন হন, তবে সে কর্মকর্তাগণ নিঃসন্দেহে বুঝে ফেলেন যে, আপনারা দেশের জন্য, আইনের জন্য অবৈধ বা ক্ষতিকর!! আপনাদের তখন সিএনজি থেকে নামিয়ে আলাদা করা হবে, গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হবে এবং কমপক্ষে এক হাজার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রমাণ হবে না যে আপনারা এদেশের বৈধ নাগরিক!!

যাত্রী যদি একজন বা দুইজন হন, তখনও আপনার চেহারার প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী আপনাকে সিএনজি হতে নামানো হতে পারে, তল্লাসী করা হতে পারে এবং আপনার কপাল যদি খারাপ হয়, তবে আপনার পকেট বা ব্যাগ হতে গাঁজার পুরিয়াও বেরিয়ে আসতে পারে!!
তবে হ্যাঁ, কর্মকর্তাগণ অত্যন্ত সুবিবেচক, আপনি কিছু টাকা হাতের মুঠোয় দিয়ে দিন, তবেই তাঁরা আপনাকে বিশেষ বিবেচনায় ওই সময়ের জন্য ছেড়ে দিতে রাজি হবেন!

না, না, ভয় পাবেন না, আপনি একা হলে বা দুই বন্ধু হলে কিছুটা বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আপনি যদি আপনার বোন নিয়ে বা আপনার বান্ধবীকে নিয়ে সিএনজিতে থাকেন তবে আমার ভরসা দেবার ভাষা জানা নেই, ভরসা একমাত্র হাজারখানেক টাকা!
মাস কয়েক আগে আমাদের এলাকার এক যুবক প্রেমিকা সহযোগে সিএনজি করে ফেরার সময় কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধে খুশি হয়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে এসেছে!

চট্টগ্রামের সল্টগোলা নামক ঈষৎ অন্ধকার একটি এলাকায় মহান কর্মমকর্তাগণ নিয়মিত থাকেন। তাঁরা কেবল সিএনজি নয়, রিকশাও থামাবেন; কেবল তাতে যুগল থাকলেই হল!! যুগলকে যুগলবন্দী করার কারণ নিশ্চয়ই আপনারা বোঝেন, মানসম্মানের ভয়ে সহজেই তারা টাকা দিতে রাজী হয়!

এই ঘটনাগুলো প্রায়ই দেখতে পাচ্ছি চলতি পথে! কাল একজন সিএনজি চালক এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনা শোনালেন, এবং তাঁর ক্ষোভও প্রকাশ করলেন এরূপ জুলুমের ওপর! আমি এই দেশে টাকা দিয়ে থাকা নাগরিক, আমার নাগরিক অধিকারের কথা পরে, আমি আগে উলুবনে একটা প্রশ্ন করতে চাই। (উলুবনে করার কারণ হল, কাকে করছি জানি না, কেউ আদৌ উত্তর দেবে কি না তা তো আরো জানি না!)

আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে সিএনজি করে নারী আর পুরুষ চলাচলে আইনের কোথায় বাঁধা আছে?? একজন কর্মকর্তা একজন যাত্রীকে কখন তুই করে বলার অধিকার রাখেন? আমি সবার আগে এই প্রশ্নটার উত্তর চাই! প্রেমিক প্রেমিকা একসাথে ঘুরতে পারবে না, একসাথে সিএনজিতে পেলে তাদেরকে সেখান থেকে নামিয়ে কর্তৃপক্ষের গাড়িতে তুলতে হবে এরকম আইন কোথায় আছে আমাকে কেউ একজন বিধানটা জানান! যদি আইন থাকেই, তবে দুয়েক হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া কেন হবে এই বিধানটাই বা কোন অনুচ্ছেদে আছে আমি জানতে চাই!

একজন গাড়ি চালককে কেন চাইলেই ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিতে পারেন? চালক ভুল করলে তাকে চোখ রাঙিয়ে শ খানেক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে এই বিধানটাই বা কোথায় আছে??

আহা, উনারা দিন রাত রোদে পুড়ে কষ্ট করে ডিউটি করেন, নগরের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখেন, উনারা এই পরিশ্রমের বিনিময়ে একটু উপরি ইনকাম নিতেই পারেন!! এই যদি কারো যুক্তি হয়, তবে মুচির মাথার ওপর একটা এয়ার কুলার কিনে দিন! বেচারাও তো কত কষ্ট করে!
কিন্তু চেইন অব কমান্ড হল, মুচি রাস্তার পাশে বসে জুতা সেলাই করার জন্যই, ওটাই তার কাজ, সে ওই কাজ জেনেবুঝেই গ্রহণ করেছে! একজন বিপননকর্মী বেশ শিক্ষিত হবার পরেও সে আর সবার মত দশটা পাঁচটা ডিউটি করার বদলে ষোল ঘণ্টা দোকানে ডিউটি করে! এজন্য কি তার গলা জড়িয়ে ধরে কেঁদে সান্ত্বনা দেবেন আপনি? ওর কাজই ওটা, ওকে ওটাই করতে হবে এবং ওটা করার জন্যই ও বেতন পায়!!

অতএব, ওইসব মহান কর্মকর্তাদের ঘুষের জন্যও সাফাই গাইবার কিছু নেই!
তাছাড়া, এখন তাদের বেতন স্কেলও তো নেহাত কম নয়। তারপরও লাগবে?

যাইহোক, মূল আলোচনায় আসি, এই সিএনজিতে নারী পুরুষ যাতায়াত করার আইনটা আইনপ্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টেলিভিশনে ব্যাখ্যা করে দেওয়া উচিত, যাতে নাগরিকগণ তা মেনে চলতে পারে! মাননীয় উলুবন, এদেশের মানুষ "নাগরিক অধিকার"ও বোঝে না, আপনাদের আইন কানুনও বোঝে না! যার কারণে আপনার কর্মকর্তাদের অন্ধকার অন্ধকার গলির মুখে টর্চ হাতে ওৎ পেতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কষ্ট করে!

যুগল দেখলেই সিএনজি রিকশা কেন আটকানো হবে তার একটা স্পষ্ট আইন হওয়া দরকার! আমার এক পরিচিতা দেশের টানে জার্মানি থেকে ছুটে এসেছিল গত বছর। ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে সন্ধ্যার সময় বাসায় ফেরার পথে এরকম দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের কাছে লাঞ্ছিত হয়ে টাকার বিনিময়ে ঘরে ফিরেছিল! সে এখন জার্মানিতে বসে বাংলাদেশের নিকুচি করে রোজ! সে জার্মানির প্রতি কৃতজ্ঞ, বাংলাদেশের প্রতি নয়! এরপর আর তাকে দেশে বেড়াতে আসার দাওয়াত দেবার উপায় কী?

আমি ঘটনা শুনে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যে কর্মকর্তা এরকম করেছে, তার নাম কী?
বলল, জানি না তো!
তাড়াহুড়োয় ওরা নামটাম খেয়াল করেনি!

আমার কাছে তখনই পাল্টা প্রশ্নে জানতে চাইল, নাম দিয়ে কী হবে?
বললাম, অভিযোগ তো করা যেত!

জিজ্ঞেস করল, কার কাছে অভিযোগ করবেন??
আমি চুপ করে রইলাম। সত্যিই তো! কার কাছে করব??

এখন, মাননীয় উলুবন, আমি জানতে চাই এরকম হয়রানিগুলোর অভিযোগ মানুষ কোথায় করবে? কার কাছে??

এর জন্য একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট হওয়া উচিত, যেখানে নাগরিক তার হয়রানির বিবরণ দিয়ে অভিযোগ লিখবে এবং সেই লিখিতের এক কপি নিজের সংগ্রহে রাখবে! অভিযোগের এক কার্যদিবসের মধ্যে তার বিহিত হতে হবে! সম্ভব, মাননীয় উলুবন??

জনগণকে অনেক আইনের আওতায় আনা হয়েছে, এবার একটু নিজেদের আইনের আওতায় আনুন দয়া করে!!

রাত একটার দিকে চট্টগ্রামের দুই নং গেইট এলাকায় কোন কারণে বের হলে পুলিশকে টাকা দিতে হবে এমনটা কোন আইনে আছে?? একজন নাগরিক, মাঝরাতে রাস্তায় বের হতে পারবে না, বের হলেই সে দেশ ও জাতির জন্য হানিকর হয়ে যাবে এমনটা কোথাও স্পষ্ট করে লেখা হয়নি কেন?

লিখে দিন মাননীয় উলুবন!!

আমি প্রায়ই মাঝরাতে বাসায় ফিরি মাননীয় উলুবন, চট্টগ্রাম সন্ত্রাস-ছিনতাইকারী মুক্ত নগরী নয়, কিন্তু আমি মাঝরাতে সন্ত্রাসের খপ্পরে পড়ার চেয়ে আপনার দায়িত্ববানদের খপ্পরে পড়ে টাকা গচ্চা দেওয়ার ভয়টা বেশি পাই!!

আমি এই দেশে টাকা দিয়ে বসবাস করি। সরকার আমার সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আমার কাছ থেকে টাকা নেয়, না নিজে চলার জন্য টাকা নেয় তা আমার জানা নেই! মাননীয় উলুবন, আমি একটা ছোট্ট চাকরী করি, বেতন পাই, আমার সংসার চলে, আর দশজন বাসিন্দাদের মাঝে মাথা গুজে বসবাস করছি, আমরা বসবাস করি সমঝোতার ভিত্তিতে, আমাকে কেউ বাড়ি থেকে তুলে দেয় না, তুললে আপনিই তুলতে আসেন! আমার বাড়ির দরজায় আপনি কখনও এসে পাহাড়া দেন না, বরং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আপনার কর্মকর্তাদের তদন্তের নামে আরো কিছু টাকা দিতে হয়!! মাননীয় উলুবন, আমার এরকম নাগরিক সেবার দরকার নেই, আমি বেতন পাই, বাজার করি, খরচ চালাই, ঘর টু অফিস, অফিস টু ঘর যাই। আমার আপনার সেবা সারা জীবনেও একবার চাওয়ার ইচ্ছে নেই। তবুও আমি এদেশে থাকার জন্য টাকা দিই! টাকাটা তো পাচ্ছেনই তারপর আমাকে বরং আমার মত ছেড়ে দিন আমি কেঁদে বাঁচি!

আচ্ছা, তল্লাসী প্রসঙ্গ দিয়েই শেষ করি! মাননীয় উলুবন, সমুদ্র সৈকতে প্রকাশ্য এ্যালকোহল বিক্রয় হয়, তাতে আপনার সমস্যা হয় না, কিন্তু কেউ যদি খেয়ে ফেরে তবেই আপনি তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে থানায় নেবার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করবেন কেন?

মাননীয় উলুবন, মদ বিক্রয়ের জন্য যদি বার বৈধ হয়, তবে সেখান থেকে মদ খেয়ে ফেরার সময় কেন পুলিশে ধরবে? উলুবন, বারে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গড়াতে গড়াতে বাড়ি ফেরার চেয়ে যদি কেউ একটা বোতল কিনে নিয়ে বাসায় গিয়ে নির্বিঘ্নে খেতে চায়, তবে তাকে পুলিশে ধরবে কেন??

আমি মদ বহনের পক্ষে নই, আপনি গোটা মদের বারই বন্ধ করেন না কেন? এটাও খোলা রাখবেন আবার ওটাকেও নিষিদ্ধ বলবেন কেন?

শেষকথা হল, এদেশের সব অপরাধ সিএনজিতে- এই তত্ত্ব আপনাকে কে দিয়েছে আমার বড় জানতে ইচ্ছে হয়!! জ্বী, পতেঙ্গা থেকে মদ শহরে আসে। আপনার সামনে দিয়েই আসে, আপনি তাদের একবারও ধরেন না, আপনি ধরেন সিএনজি! সেখানে মধ্যবিত্তরা বসে, আর মধ্যবিত্তদের সহজেই ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানো যায়! আপনারা মাদক ধরতে বসেন না ওখানে, কেবল যুগল ধরতে বসেন!

আরেকটু, মাননীয় উলুবন, আপনি তো জানেনই, আপনার এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ক্রিমিনাল বিশেষজ্ঞগণ অনেকবারই, ক্যান্টনমেন্টের বয়স বা মুখ দেখে বোঝা যায় না এমন লেফটেন্যান্ট, মেজরদের সাধারণ যাত্রী ভেবে রাস্তায় নামিয়ে স্মরণীয় অনেক ঘটনা ঘটিয়ে রেখেছেন!!
আপনাকে সিএনজি থামাতে কেউ মানা করছে না, তবে সাধারণ যাত্রীদের সাথে তুই তুকারি না করে একটু সম্মান দিয়ে কথা বলতে শিখিয়ে দিন, বলা তো যায় না, কোথায় আবার কোন ক্যাপ্টেন মেজরের ইগোতে লেগে যায়!! আমাদের ভয় না পান, তাঁদের কথাটা নাহয় বিবেচনায় রাখুন।
শুভরাত্রি!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: হালাগো বিদেশে কামলা খাটকে পাঠিয়ে দিন।
দেশের উপকার হবে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২০

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: : ;)

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: মিরপুর ১ এ রিকশা থেকে নামিয়ে আমার কাছ থেকে পুলিশের একটা টিম দুই হাজার টাকা খাইছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আমার কী অপরাধ। তারা আমাকে বলছিল- "অপরাধ খুঁজে পেতে দেরি হবে না। তখন দুই লাখ টাকা লাগে মত মামলা দেব। ছোটভাই, ভাল পরামর্শ দিচ্ছি, টাকা দুই হাজার দিয়ে চলে যাও।"
জীবনের প্রথম ও একা পুলিশের হাতে পড়লাম, তার উপর আবার চট্টগ্রাম থেকে দুই দিনের জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম, তাই ভয় পেয়েছিলাম। টাকা দিয়ে সরে পড়াটাই ভাল মনে করেছিলাম। কিন্তু এই ক্ষোভ ভুলতে পারি নি আজও।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: এইসব নিয়ে লিখলাম বলে আমার আবার বিপদ হয় কি না সেটাও আমি জানি না, মাননীয় উলুবন!

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নতুন বলেছেন: পুলিশ যে নিজেই মানুষ এবং সবার সাথে যে ভালো ব্যবহার করতে হয় সেটাই তো ভুলে গেছে।

কয়েক দিন আগেই একটা নিউজ দেখলাম... আমিরাতে এক পুলিশ নিজেই একটা গাড়ীর সাথে নিজের গাড়ীর ধাক্কা লাগায় নিজের নামে জরিমানার টিকিট লাগিয়ে রেখে গেছে ক্ষতি হওয়া গাড়ীতে।

একটা জাতি কখনো উন্নতি করতে পারেনা যতক্ষন তার জনগন নিজের থেকে ভালো হয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ভালো অবশ্যই আছে, এবং কেবল মন্দটা দেখিয়ে উস্কানি সৃষ্টি করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি কেবল এই প্রকারের হয়রানির একটা সুষ্ঠ সমাধান আশা করেছি। একজন নাগরিক হিসেবে আমি এটুকু তো চাইতেই পারি!

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১০

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: X((

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

মানিজার বলেছেন: আমাদের পুলিশরা শক্তের শিষ্য নরমের জল্লাদ ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: নাগরিক অধিকার আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন দরকার!

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মাননীয় উলুবনের কোনো উত্তর কি পাওয়া গেলো আপনার প্রশ্নগুলোর? দোয়া করি বিগ ব্যাঙের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে হলেও বিলিয়ন বছর বাঁচুন | তবে যদি কোনো উত্তর পাওয়া যায় !

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: অরণ্যে রোদনের সান্ত্বনা এই যে, নির্ভয়ে বলতে পারা যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.