![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
ভেজা কলাপাতার ঘ্রাণ,
ভেজা মাটি, পিচ্ছিল ঘাট,
কাণা ছুঁয়ে ওঠা খালের জল,
উঠোনে তক্তা বিছানো হাঁটাপথ,
তলা ফুঁড়ে জল গলানো একটি ডিঙি
আর কিছু শাপলার স্মৃতি
গলা সমান বিলে পায়ের নখে ভর করে
পাপড়ি মেলে হাসিমুখে মাথা উঁচিয়ে থাকে,
আরও আছে ঘরের দাওয়ায় বরষার স্রোত,
আর জালে ওঠা কতক পাঁচমিশালি মাছ,
পথভুলে রাস্তায় নেমে আসা সাপের ছানা!
আমার এই রূপকথার মতন
উপন্যাসের পাতায় লেপ্টানো
স্ফটিকের বিকিরণে তাতানো
জল-কাদার গ্রামীণ স্মৃতিগুলোই
বরষা-বিলাস।
এইসব প্রাচীন গল্প আজ আবেদনহীন,
আজ বরষার মানে পাল্টেছে ঢের!
এখন একটি হুড তোলা রিকশা দেখা যাবে,
তাতে পর্দা টানা, জড়াজড়ি করে বসে থাকা
এক জোড়া মানব-মানবী, কিছু সীমারেখা মেনে নিয়ে
কিছু মৌনতায় লঙ্ঘন, লজ্জা আর শিহরণের মিশ্রণে নতমুখ;
কিংবা পুরো পরিবার মিলে ছাদে গিয়ে বরষায় স্নান,
কিংবা অফিস ফেরত মানুষগুলোর কাকভেজা মাথা,
বরষার ফোটায় ফোটায় নেয়ে ধুয়ে সাফ হয়ে ওঠা
পিচঢালা পথে পাথরের কুচিগুলো যেন মার্বেল মণি!
বড় বড় দালানগুলোর দেয়াল ভিজে মলিনতার আঁচড় পড়া,
রাস্তার দু'ধারে জমে ওঠা পানি!
বড়জোর কিছু হেঁড়েল বখাটে ছেলের দল
অখ্যাত কোন কোরাস ধরে হেঁটে যাবে পুরো রাস্তাটা
জানালায় উঁকি দেওয়া কোন ষোড়শীর লোভে!
এর বেশি প্রত্যাশা করি না এ সভ্যতার কাছে,
সেই একই আকাশ, আকাশের মেঘ,
মেঘের গর্জন, একই বৃষ্টির ঢল আজও আছে,
শুধু মাটি নেই, সাপ নেই, শালুক নেই,
ডিঙি নৌকাটি নেই, জলে ভেজা সুপারির খোল নেই,
একটি উঠানও নেই, আমার সে গ্রাম নেই,
আমার সে প্রেম নেই,
মৃত প্রেমিকার কবরটিও এখন ভেঙে সমান হয়ে গেছে!
আমি বেঁচে আছি, ভূষণ্ডির বয়েস নিয়ে,
বুকে একটা গ্রাম নিয়ে,
স্মৃতির জঙ্গলে অজস্র গাছপালা নিয়ে,
কাদামাটি নিয়ে, সেই যৌবনের প্রেমের গল্প নিয়ে,
এইসব বরষার রাতের
প্রতিটি গ্রামীণতার ভুশুড়ি ভাঙা সাক্ষী হয়ে
আমি বেঁচে আছি বরষা বিলাসের নামে
প্রতিবার বরষাতে বিলাপে ভিজব বলে!
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ভুষুড়ি বা ভুশুড়ি হল একপ্রকার আগাছার শস্য, যা দেখতে অনেকটা গমের মতোন হয়। ভুশুড়ি ভাঙা মানে হল, অলস সময় যাপনের নিমিত্তে গল্প আউড়ানো। খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে গল্প করা আর কি!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
মিথী_মারজান বলেছেন: সেকাল অথবা একাল, বর্ষা সুন্দর তার নিজ মহিমায়।![:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_03.gif)
শেষ স্তবকটা হৃদয় ছোঁয়া।
আচ্ছা, ভুশুড়ি অর্থ কি?
কবিতায় ভালোলাগা।