নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্তন সমাচার

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯

স্তনের কথা শুনে চোখ কুঁচকে গেল? সুড়সুড়ি লাগলো?

আমার বড় খালা অজপাড়াগাঁয়ে থাকলেও চলনে বসনে অত্যন্ত আধুনিকা ছিলেন। খালা একদিন কথায় কথায় বললেন, নারীর প্রতি পুরুষের প্রধান আকর্ষণ কাজ করে যে ভরাট স্তনের কারণে, নারীর মৃত্যুর পর সেই স্তনই প্রথম পচেগলে তা থেকে পোকা বের হয়! সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটাই তখন সবার আগে কুৎসিত হয়ে যায়!

নারী আর পুরুষের মধ্যে প্রধান বাহ্যিক দৃশ্যমান তফাত হল স্তনে, এ আমরা সবাই জানি, বুঝি, কিন্তু নারীমাত্রেই যে স্তন থাকবে এটা সম্ভবত সবাই মানতে পারি না। চলতি পথে কোন নারীর ওড়না বেসামাল হয়ে গেলে আমরা একদল চেঁচিয়ে উঠি, একদল লোলুপ হয়ে উঠি, কেউ কেউ তো ওটাকে একটা ইঙ্গিত ভেবেও বিচার করে বসি! একজন নারীর স্তন থাকবেই, এই সত্যটা আমরা মানতে চাই না, স্তন থাকাটা অপরাধ, ওকে ঢেকে রাখতে হবে, ওটার অস্তিত্ব যেন কোনভাবেই বোঝা না যায়!

এখন স্বভাবতই একদল ক্ষেপে যাবেন এই কথাতে, কেউ কেউ গালমন্দ করবেন, কেউ বা খানিক ভদ্রতার সুর ধরে তর্কের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করবেন, তবে কি মশায় সব মা বোনকে বুক বের করে হাঁটাতে চাইছেন?

তা চাইছি, না। শুধু চাইছি, বিষয়টাকে আপনি সহজভাবে নিতে শিখুন। মা বোনের যে স্তন আছে, এটাকে গর্হিত, অচ্ছ্যুত, ঢেকে রাখার মত পাপের বস্তু না ভেবে স্বাভাবিক একটি অঙ্গ হিসেবে যদি মেনে নিতে পারতেন তবে মা বোনই আরো বেশি নিরাপদ হত সমাজে। অনেকে তো মাথার মধ্যে এতই যৌন ফ্যান্টাসি গাদাই করে বসে থাকে যে, মা কিংবা বোনের দিকেও সরাসরি তাকাতে সংকোচ বোধ করে! কথাটা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে?

আমি বেশ আগে একবার লিখেছিলাম, দুগ্ধপান করানো নারীর স্তন কখনও যৌনবস্তু হয় না, যেকোন নারীই যখন সন্তানকে দুধপান করান তখন তিনি মা হয়ে যান। একান্ত পারভার্ট না হলে সম্ভবত কেউ সেই মায়ের স্তনের প্রতি উঁকি দেয় না! সমরেশ মজুমদার একবার বলেছিলেন, দেবীমাতার হাতে যদি খড়গ না থাকত, তবে দেবীর যে অঙ্গসৌষ্ঠব তাতে দেবীমূর্তিও অনেকের কাছে লালসার বস্তু হয়ে যেত! খড়গ উপেক্ষা করে খেয়াল করলে দেখবেন, সব দেবীমাতারই স্তন ভরাট, পরিপুষ্ট! কেন জানেন? কারণ, সনাতনীরা দেবীকে মা বলেন! মায়ের মাতৃরূপ ওই পরিপুষ্ট স্তনেই নিহিত। বলুন, স্তন ঘৃণ্য বস্তু?

নারীর স্তন থাকবেই, চলাফেরা করার সময় সেই স্তন তাকে লুকাতেই হবে —এতটা ঘৃণ্য বস্তু আমরা একে কেন বিবেচনা করি? আমার লেখা যাঁরা পড়েন, তাদের একটা বিরাট অংশ অবশ্য পর্দা প্রথাকে অবশ্যপ্রতিষ্ঠিতব্য মনে করেন। সেটা অবশ্যই একজন নারীর পছন্দ ও অভিরুচির বিষয়। পর্দাপ্রথার ইতিবাচক দিক হল, এর দ্বারা অবাধ সংস্পর্শজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে একটা দেয়াল তোলা সম্ভব হয়। ওই পজিটিভ দিকটা মাথায় রেখেই বিধানটি এসেছে। ইসলামের বিধান পালনকারী নারীরা এটা করতেই পারেন আমল আক্বীদাকে মাথায় রেখে, কিন্তু সমাজে তো সবাই ইসলামপন্থী নয়, সবাই তো ইসলাম ধর্মের অনুসারী নন, সেই বাকি নারীরা তো পর্দা না করতেই পারেন, তাই না?

এই বিশাল নারীরূপী মাতৃসমাজের কথা মাথায় নিয়েই আমি স্তন সমাচার লিখতে বসেছি। পর্দার প্রশ্ন তো গেল, আপনি মুসলিম আপনি পর্দা চাইছেন, আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া নারীটি মুসলিম নন, তিনি পর্দা করেননি, এ নিয়ে আপনি ছ্যা ছ্যা গেলো গেলো করার চেয়ে আপনার উচিত হয় নিজের আখলাক বাঁচাতে দৃষ্টি সংযত করা। আল্লাহ আপনাকে পাঠিয়েছেনই একটা পঙ্কিল সমাজে, যেখানে প্রতি পদে পদে পাপের পায়তারা থাকবে, আপনাকে সেই পাপ থেকে নিজেকে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে হবে, তবেই না আপনি আখেরাতে পুরস্কার পাবেন— আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখি। আজীবন নারীর পর্দা, নারীর টিপ- লিপস্টিক নিয়ে ওয়াজ শোনা যায়, কিন্তু কোন বয়ানেই আমি কোথাও কাউকে বলতে শুনি না যে, নারীর পর্দা নিয়ে বহুত বলা হয়েছে, এবার পুরুষ তুমি তোমার চোখের পর্দা ঠিক কর! নারীকে নির্যাতন শ্লীলতাহানি তো পুরুষই করে, অথচ পুরুষকে সংযত হতে কেউ বলে না, সব দায় নারীর— এ কেমন কথা!

আমরা নারীকে নারী হিসেবে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে গ্রহন করলে নারীর নিতম্ব বা স্তন এসব নিয়ে লোলুপতা আসত না। হ্যাঁ, প্রসঙ্গটা ক্রিটিকাল, নারী পুরুষের এই আবেদন আকর্ষণ চিরন্তন, এটা আছে বলেই প্রেম হয় ভালোবাসা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। আকর্ষণের কথা বলতে গেলে শরীর সৌষ্ঠবের প্রতি যে মোহ বা রঙিন নেশা তার বিভিন্ন ধাপ আছে যা পুরুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অতিক্রম করে বা অভিজ্ঞতা লাভ করে। একজন কিশোর উঠতি বয়সে নারীর খোলা বাহু দেখেও কাতর হয়ে ওঠে ভেতরে ভেতরে, একদিন তার কাছে খোলা বাহু স্বাভাবিক হয়, খোলা শরীরও স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠে, যখন সে বিবাহিত হয়, যখন সে পিতা হয়, বিশেষত কন্যার পিতা!

(আপাতত মোহ, লালসা বা চোখের ক্ষুধার কথাই হল, লালসা এক ব্যাপার, আর সফল রতিক্রিয়া নেহাতই আলাদা এক বিষয়, এ নিয়ে পরে কখনও লিখব, আপাতত এটুকু বলি, আপনার চোখের ক্ষুধা আপনার নারীকে ঘিরেই হোক, পরনারীর দিকে হলে সেটা অন্তত ভদ্রতা হয় না।) এই মোহ বা আকর্ষণটা কিংবা নারী শরীরের প্রতি ধ্যান ধারণা মানুষের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টায়। যে পুরুষ কখনই নারী স্পর্শ পায়নি তার কাছে নারীর হাত স্পর্শ করার অনুভূতি এক রকম আর যে পুরুষ পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে তার কাছে একজন নারীর খোলা শরীরের প্রতি অনুভূতি আরেক রকম। জানি, বোঝানো কঠিন, ঠিক আছে, আরো সহজ একটা দৃষ্টান্ত বলি, যে ছেলে আইবুড়ো বয়সেও মায়ের সঙ্গে এটাচড থাকে, নিঃসঙ্কোচে মাকে জড়িয়ে ধরে, সে ছেলেটা নারীর শরীর নিয়ে তুলনামূলক কম কুৎসিত ফ্যান্টাসিতে ভোগে। যে কখনও নারীর সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়নি, তার ফ্যান্টাসি বলাই বাহুল্য আকাশছোঁয়া হয়! আমার ধারণা, ভীড়ের মধ্যে নারীকে নোংরা স্পর্শ করা পুরুষের মধ্যে একটা বিরাট অংশ এই নারী সংসর্গ বঞ্চিত কৈশোরের ফ্যান্টাসিতে ভোগা অভাগা সম্প্রদায়! বলতে চাইছি, নারীর স্পর্শকে সহজ হিসেবে যে পেয়েছে, তার মধ্যে নোংরামিটা কম আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

বাঁশের চেয়ে বরাবরই আমার লেখাতে কঞ্চি বড়ো হয়, আরেকটু প্রাসঙ্গিক আলাপ দিয়ে মূল কথায় ফিরছি। কেউ যদি দাবি করেন তাঁর নারী দেখলেই লোভ তৈরি হয়, বা নারী দেখলেই তার কাপড় ভেদ করে এক্সরে করে ফেলার কল্পনা মাথায় ঘুরপাক খায়, সেই ব্যক্তিকে যদি সারাদিন কিছুসংখ্যক নগ্ন নারীর মধ্যে রেখে দেওয়া হয়, তখন দেখা যাবে তার আর ফ্যান্টাসি কাজ করছে না। আমরা জানি এটা সম্ভব না, এই সমস্যা এতই জনযুক্ত যে, পশম বাছতে গেলে কম্বলই উধাও হয়ে যাবে। একজন আমাকে একবার প্রশ্ন করেছিল, পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তি পাব কীভাবে? আমি তাকে বললাম, এক দিন ছুটি নাও, দরজা লাগিয়ে সারাদিন একটানা পর্ন দেখতে থাকো, পরদিন থেকে তোমার আর পর্ন দেখতে ইচ্ছে করবে না! যাহোক, উদ্দিষ্ট আলাপে আসি।

স্তন যৌনবস্তু তো, আচ্ছা, একটা গল্প বলি। একটা আশ্রমের গল্প, আশ্রমটা খুবই গহীন এক জঙ্গলে, যেখানে সন্ন্যাসীরা থাকেন, শুধুই সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী নয়। এক দুধের শিশু ভাগ্যক্রমে সেই আশ্রমে বড় হয়, সে কখনও নারী দেখেনি। বালক বয়স হবার পর ছেলেটি দেখে যে, সন্যাসীদের একটা অংশ রোজ মুষ্ঠি চাউল তুলতে যায়, বা অন্নভিক্ষা করে নিয়ে আসে আশ্রমের জন্যে। সারাদিন অপেক্ষার পর সেই অন্ন এলে তবেই বাকিদের খাবারের যোগান হয়! এই খাবারের দুশ্চিন্তা দেখে ছেলেটি গুরুকে বলতে থাকে, আমরা এমন জঙ্গলে কেন থাকছি, আমরা এমন কোথাও গিয়ে কেন থাকছি না যেখান থেকে বাকি সাধুরা গিয়ে খাবার নিয়ে আসছে?
তখন গুরু একদিন ছেলেটিকে নিয়ে লোকালয়ে গেলেন অন্নভিক্ষা করতে। এক বাড়ির উঠোনে দাঁড়ালেন, গৃহকর্ত্রী চাউল নিয়ে এলো। ছেলেটি প্রথমবারের মত একজন নারীকে দেখার পর আঁৎকে উঠে বলল, গুরুজী ওর বুকে তো ফোঁড়া হয়েছে!
গুরুজী বললেন, ফোঁড়া নয় বেটা, ও হল স্তন!
ছেলে বললে, এমন স্ফীত কেন?
গুরুজী বললেন, যখন নতুন শিশু পৃথিবীতে আসে, তখন তার খাবারের ব্যবস্থা ঈশ্বর মায়েদের এই স্তনের মধ্যে দিয়ে থাকেন!
ছেলেটি তখন বলল, একটা নবজাতকের খাবারও যখন ঈশ্বর অগ্রিম দিয়ে রাখছেন, তাহলে আমি কী অবুঝ এতদিন খাবারের চিন্তায় আশ্রম ছেড়ে চলে আসতে চাইলাম!!
গল্পটা শেষ।

স্তনের পরিচয় মাতৃরূপে। স্তন যৌনবস্তু হয় কেবল রতির সময়ে। এটুকু মনেপ্রাণে মানতে পারলেই আপনি একজন ভদ্রলোক। কথা সোজা! নাহলে ওই যে আকর্ষণের কথা বলেন, তা আপনি নারী পুরুষের স্বাভাবিক আকর্ষণের দোহাই দিয়ে পথেঘাটে এর ওর শরীরের দিকে লোলুপ চোখে তাকিয়ে নিজেকে স্মার্ট বা রোমান্টিক মানুষ যদি ভেবে থাকেন তাহলে আপনার সে কদাচারের দায় আমাদের গোটা পুরুষ সমাজকেই বইতে হয়! নারীর শরীর স্ফীত হবে, তুলতুলে হবে, নারীর স্তন থাকবে, নিতম্ব থাকবে এই সহজ সত্যগুলো আমরা যত সহজে মেনে নিতে পারব, আমাদের সহাবস্থানও তত সাবলীল হবে, নোংরা চেতনা তত লোপ পাবে। আর ওই যে, স্তনের কথা শুনেই যদি সুড়সুড়ি বোধ করেন, তাহলে আর কী, কিছুই না!

ওহ, আচ্ছা, অতি সুড়সুড়িতে কিন্তু প্রিম্যাচিউর এজাকুলেশন হয়।

পুনশ্চ:—
ছবি দেখে হাসবেন না প্লিজ, আমি স্তন image লিখে সার্চ করেছিলাম, গুগল আমাকে পাত্থর ধরিয়ে দিলো!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: সুড়সুড়ি আপনার লাগছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২২

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: আলবাত, ভাই।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবই ঠিক আছে কিন্তু বড়ো ব্লগ অনেক B:-)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৪

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ইদানীং রিলসের যুগ আসায় এখন লেখার চলন আবেদন হারাচ্ছে। এর ফলে লেখার আগ্রহ যেমন কমে যাচ্ছে, লেখার গঠনও তার রসবোধ হারাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও আমরা এরচেয়ে লম্বা লেখা নিয়ে বসতাম।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভালো লিখেছেন। সমাজের প্রতিচ্ছবি। দেশে “কন্যা জায়া জননী” সম্পর্কে পারিবারিক শিক্ষা ও পড়ালেখা থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত ছিলো।

মৃত মানুষের সবচেয়ে আগে পঁচে মস্তিস্ক ও নাড়ীভুড়ি। বড় লেখা পড়ার মতো হলে অবস্যই তা সকলেই পড়ে, মনে হয়। নারীর প্রতি সন্মানবোধ থাকলে তখন এই ধরনের বাজে চিন্তা কাজ করবে না।

ব্লগে আপনার লেখাটি প্রয়োজন ছিলো।
ধন্যবাদ।


১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২২

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ডিকম্পোজ ইনার পার্ট হতেই হওয়া শুরু করে, ব্রেইন এ্যান্ড বাওয়েলস দিয়ে শুরু হয়। বাহ্যিক অঙ্গ হিসেবে স্তন আর নিতম্বকে দ্রুত পচনশীল অঙ্গ ধরা হয়।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার পোস্ট টি হয়তো অনেকের নজরে পড়বে না, ছবি নিচে থাকার কারণে। চেষ্টা করুন প্লিজ, পোস্টের ছবিটি লেখার শুরুতে পেস্ট করে দিন।

ব্লগে কেমন মানের লেখা আসা উচিত আপনার লেখাটি একটি উদাহরণ। ৭১এর যুদ্ধে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী বহু বাঙালী নারীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে আনন্দ উল্লাস করেছে।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৫৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: একজন নারীর পরিচয় কণ‍্যা, জায়া ও জননী হিসেবে চির সত্য । কারো কারো কাছে যখন নারী শুধুই ভোগের বস্তু সমস্যা সেখানেই । সচেতন করার জন‍্য ভালো লেখ, ধন্যবাদ ॥

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩০

কিরকুট বলেছেন: নারী কে একজন পরিপূর্ণ মানুষ রুপে দেখুন। কন্যা জায়া জননীর বাহিরেও নারী অনেক পরিচয় আছে। সেই পরিচয় গুল কে সিকৃতি দিন। কারন যেহেতু সে একজন মানুষ সেহেতু তাকে নিদ্রিষ্ট পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখার কোন প্রয়োজন নাই।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

Ruhin বলেছেন: আমার মনে হয় দক্ষিন এশিয়ার মুসলিমরা ড্রেস দিয়ে সবচেয়ে রক্ষনশীল। ভারত উপমহাদেশের বাইরে অন্য কোথাও উড়না পড়তে দেখিনা। হিজাব পড়লেও আরব, ইরানিয়ান, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া, মালেয়শিয়া, ব্রুনাই উড়নার মতো কিছু দিয়ে আবার অতিরিক্ত বুক ঢেকে রাখেনা। অথচ ভারত উপমহাদেশে হিজাব- নন হিজাবী সবার‌ই উড়না দিয়ে বুক ঢেকে রাখা একটা আবশ্যিক রীতি, নাহলে সে দু:চরিত্র হয়ে যায়।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: নারীরা ভালো থাকুক। কুকুর পুরুষেরা ভালো হোক।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: খুবই সিরাম লিখা। এসব সুন্দর লিখার একটাই কারণ থাকে, সিস্টেমে নারী ভোগ!
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) যা বলেছেন সেটা মানাতেই কল্যাণ। মানুষকে আল্লাহ বানিয়েছেন। ফলে কোনটা কি কখন ও কিভাবে এর নির্দেশনা তাঁরটাই একমাত্র ঠিক।

পুনশ্চ, নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, গান, ইত্যাদি বেশি না কেউ যদি এগুলা থেকে মাস ছয় দূরে থাকে, নিজ দায়িত্ব পালন করে, স্কিল শিখে তার উন্নতি আবশ্যক।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: এসব সুন্দর লেখার যখন একটাই কারণ আপনার মাথায় উঁকি দেয়, তখন আপনার সিস্টেম আর আমার সিস্টেম আলাদা হয়ে যায় ভাই। আল্লাহর বিধান আপনি আমি মানতে পারি, বিধর্মীরা মানবে না, তাই না? সব কিছুর পরও আপনার মাথায় যে সিস্টেমে নারী ভোগের আইডিয়াটা এলো, এটাই আপনাকে ডিফাইন করে দিয়েছে ভাই।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



নারীর স্তন নিয়ে কোনো নারী লেখাটা লিখতে ভালো হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.