এভাবেও ব্র্যানডিং হয়!!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

আমার পরিচিত এক বড় ভাই ক এফ সি তে পার্ট টাইম চাকরি করে।এর ফলে মাঝে মাঝে তাকে একটু বিব্রত হতে হয়।এই ধরুন হুট করে তার এক ছোট ভাই ভালোবাসার মানুষ টার হাত ধরে সেখানে হাজির। আবার ধরুন তার বিশ্ব্যবিদ্যালয় এর কিছু বন্ধু বা ছোট ভাই গিয়ে হাজির। এতে সে যতই বিব্রত হউক না কেন একটা ব্যাক্তি কিন্তু মনে মনে দারুন খুশি। কে এফ সির মালিক বেচারা। দারুন চালাকি কইরা দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রাইভেট বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ছাত্রি দের কে নিয়োগ দিয়ে রাখছেন।এতে করে তার রেস্টুরেন্ট টা ওটোম্যাটিক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে।মনে করুন আমি জানতামই না যে ওই নামে কিছু আছে।একদিন হটাত করে ওই ভাই আমারে কইল আজকে এক কাস্টমার এর লগে ভাল খাতির হইছে।আমি কিন্তু বিস্তারিত জানার আগ্রহ থেইকা কাস্টমার কুথা থেইকা আসল সেই প্রশ্ন আগে করেছিলাম।আমি সেদিন জানলাম কে এফ সি নামে কিছু আছে।ব্র্যানডিং!!!!
আবার ধরুন আমাদের দেশের স্বনাম ধন্য একটা ব্রান্ড হইল ইয়োলো। বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।এরা একবার দেশের কিছু বাচাল টাইপ এর ছাত্র দের কে নিয়োগ দিলো।বাচাল ছাত্র গুলো বেশ দাপটের সাথে তাদের গুণকীর্তন গুলো বলে বেরাতে লাগলো।তা্রা এখন স্যেলসম্যান।টাকা কামাচ্ছে। আবার পরাশুনাও করতাছে।কী দারুন! আর এই ফাক তালে ইয়োলো কিন্তু তাদের উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতাছে। মাসখানেক এর মধ্যে তারা দেশের সবাচাইতে বেশি বিক্রি হউয়া ব্রান্ড গুলোর পাশে যায়গা করে নিল। ব্র্যানডিং!!!
সবই কল্পনাতে থাকে।বাস্তবে রুপ নেয় নাহ।কখনই নেয় নাহ।আমাদের চিন্তা কেমন যেনো একটু আলাদা।বাইরের দেশে নাকি এমন হয় ছাত্র-ছাত্রী রা ইচ্ছা করলে পার্ট টাইম জব করতে পারে। এতে সে যেমন একটু বাচে সাথে কিন্তু অই কোম্পানি টাকেও তুলে দেয়।তারা কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছে নাহ।তারা এগিয়েই আছে।তারা একটু টেকনিক এ প্রচার টা করে ফেলছে এই যাহ। একবার ভাবুন যে আমি ইয়োলো তে পার্ট টাইম চাকরী করছি এটা আমার চারপাশের লোকজন জানছে, আমি এটা আমার সযতনে গরা ফেবুতে ঝুলাইয়া রাকলাম সবাই দেখল।প্রচার টা অটম্যাটিক হতে থাকল।আর এই আমি এক জনের যায়গায় যদি কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী এই কাজ করে তাইলে একবার ভাবুনতো কি ঘটবে। ব্র্যানডিং!!!
শুনেছি ব্রান্ডিং এর জন্যই কিছু কিছু কোম্পানি তাদের আয়ের বেশীরভাগ অংশ ব্যায় করে থাকে।সেই ব্রান্ডিং টা যদি ফ্রীতে হয় তাইলে।

২ টি +০/-০