কাচের চুরি

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:২৮

একটু আগে যে হালকা বৃষ্টি হয়ে গেছে।বিকেল বেলার ভ্যাপসা গরমের সেই ভাবটা এখন আর নেই।বরং এখন পরিবেশ একটু বেশীই ঠান্ডা।আকাশে এখন আর মেঘ নেই।মেঘ কেটে গিয়ে একটা অদ্ভুত সুন্দর আকাশের সৃষ্টি হয়েছে।শীতল বাতাস বইছে।চারদিকের দোকানীদের ভীর বেড়ে গেছে।
আজকে কী নীলা কে একটু বেশীই সুন্দর লাগতাছে।নাকি পরিবেশের সাথে মিশে গেছে।ঠিক বুঝে উঠতে পারছে নাহ অমিত।কিন্তু ও আজকে শাড়ী পরে আসছে কেন?বাঙ্গালী মেয়েরা সাধারনত বীয়ের আগে শাড়ি পরতে অভ্যাস্ত নয়।তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে পড়তে খুব বেশীই ভালোবাসে তারা।
নাহ আজকে কুনো বিশেষ দিনতো নয়।আমিত আসার সময় ডাইরী টা চেইক করে আসছে।ভুলে যাবার বাতিক আছে তার এজন্য সব লিখে রাখে সে।তবে এতে ঝামেলা টা আরো বেড়ে গেছে এখন প্রতিদিন ডাইরি চেক করাটাও কেমন জানি লাগে।
এই সব সাত পাচ ভাবতে ভাবতেই নীলা প্রায় অমিতের কাছে চলে আসছে।এমন সময় অমিতের মাথায় আসছে,আজকে কুনো বিশেষ দিন নয় তবে নীলা আগেই বলেছিল আজকে সে শাড়ী পরে আসবে।আর তখনই বিপত্তি টা ঘটলো।নীলাতো এসেই চুরি চাইবে।কী জবাব দিবে সে?
সেই প্রথম যেদিন নীলা শাড়ী পড়েছিল সেইদিন অমিত তাকে কাচের চুরি কিনে দিয়েছিল।তখন থেকেই শুরু।নীলা আর চুরি পড়ে আসেনাহ।সেই চুরিগুলো সবসময় অমিতের কাছেই থাকে।অমিতও খুব যত্ন করে রাখে সেই চুরি গুলো। একটা চুরি ভেঙ্গে গেলে তার উপযুক্ত কারন দেখিয়ে তার মুক্তি মেলে।নতুবা নয়।অনেক দিন রাখতে রাখতে চুরির সংখ্যা কমে গেছে এখন মাত্র ৯ টা চুরি আছে তার কাছে।গতকাল রাতেই একটা ভেঙ্গে গেছে যেটার কথা নীলা জানে নাহ।ওকে জানালে বিপত্তি আরো বাড়বে।
নীলা এখন অমিতের সামনে।হাত টা বাড়িয়ে দিলো।
-অ্যা...
-তুমি ভুলে গেছো?
-না।
-ও তাইলে তুমি চুরিগুলা ফেলে দিয়েছো?এতো ঘৃনা করো আমায়!!!
-আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো এতোদিনে চুরি কিনেছো।
-কিন্তু আমিতো কখোনই চুরি কিনি নাই।
-তবে কি এতো দিনে তুমি চুরি ছাড়াই থাকছো?
-না,আমি সব সময়ই ভাবতাম আমার হাতে চুরি আছে।তুমি আমাকে পড়াইয়া দিতাছো।
এর বেশী সে কিছু বলিতে পারে নাই। চোখের পাতার নড়াচড়া বেড়ে গেল তার।তার চোখের দিকে তাকিয়ে অমিত বুঝতে পারে কি ভুল সে করিয়াছে।

২ টি +০/-০