![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটি যে অসম্ভব সুন্দর ছিল, তা না। তবে তাকে অসুন্দরও বলা যায় না।
হালকা-পাতলা শরীরের গঠন। চিপচিপে কটি।
শাড়িটা পড়েছিলো গাঢ় লাল রঙ্গের!
নড়াচড়ার সাথে সাথে শ্যামলা মুখটার উপর চুলের কিছু অংশ বারবার চলে আসছিল, আর ঈষৎ বিরক্তির ভাব নিয়ে কখনও ডান হাত কখনও বাম হাত দিয়ে সে চুল গুলো সরাচ্ছিল।
তবে প্রকৃত ভাবখানা দেখে মনে হল, মেয়েটি বাবা-মায়ের খুবই বাধ্য, কখনোও বাড়ির বাইরে পর্যন্ত বের হয় নি।
তবে আজ বিশেষ কোন কারণ ছাড়াই সাভার থেকে ঢাকায় এসেছে।
ঢাকার খুব নিকটে বাসা তারপরেও দুই থেকে তিনবার এসেছে ঢাকায়!
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি
এক বান্ধবীর সাথে ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে এসেছে মেয়েটি!
আসার আরো একটা কারণ আছে! কি কারণ?
আচ্ছা! যাইহোক,মেয়েটার একটা নাম দেয়া যায়!
মেয়েটার নাম জান্নাত (কাল্পনিক নাম)।
বেশ কিছু দিন হলো আরিয়ান নামের একটা ছেলের সাথে তার ফেসবুকে পরিচয়! অনেক দিন যাবত ফেসবুকে চেটিং করছে!
হঠাৎ একদিন আরিয়ান মেয়েটার কাছে তার ছবি চেয়ে বসলো!
ও একটা কথা বলে রাখি মেয়েরা জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত বিয়ে করতেও এতো বেশি চিন্তা করে না! যত বেশি চিন্তা করে একটা ছেলেকে তার মোবাইল নাম্বার আর একটা ছবি দিতে!
যাইহোক! দুইদিন মেয়েটা আরিয়ানের ম্যাচেজের কোন রিসপন্স করেনি! দুইদিন পরে হঠাৎ করে জান্নাত আরিয়ানকে দুইটা ছবি দিয়েছে!
আরিয়ান ছবিগুলো স্যামসাং মোবাইলের স্কিনে জুম করে দেখছে আর লজ্জা পাচ্ছে এমন স্টাইলে হাসতেছে!
পাশ থেকে আরিয়ানের খুব কাছের বন্ধু সৌরভ বলে উঠলো ----মামা! ডুবে ডুবে জল খাও! দেখি কি দেখতেছো?
এই বলে মোবাইলটা টান দিয়ে নিয়ে নিলো সৌরভ!
মোবাইল স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা তার পরিচিত!
সৌরভ! আরিয়ানকে কি বলবে বুঝতে পারছে না!
আরিয়ান সৌরভের কাছে এসে বললো দোস্ত মেয়েটা কেমন রে!
----হুম! দোস্ত দেখতে তো অনেক সুন্দর! কিন্তু!
-----কিন্তু কি? আরিয়ান প্রশ্ন করলো।
----- না দোস্ত! মানে!
-----আরে মানে মানে করস কেন?
কি হয়েছে সেটা বল?
-----এই মেয়েটা আমার মোটা মুটি পরিচিত!
-----কি! আরিয়ান বলে উঠলো!
----হুম! মেয়েটা তো আমার এক বন্ধুর ভাবি! কিছু দিন আগে তার ভাই বিয়ে করেছে সাভারে! উনার নাম আফসান মিমি!
কথাটা শুনে আরিয়ান মনে হলো আসমান থেকে পড়েছে!
হঠাৎ আরিয়ানের মনে হলো ছবিটা তো ভুলও দিতে পারে! হু! আসলে তাই হয়েছিল! জান্নাত আরিয়ানকে ভুল ছবি দিয়েছিল! আর আফসানা মিমি নামের যে মেয়েটা সেটা হলো জান্নাতের আন্টি!
আরিয়ান জান্নাতকে ফেসবুকে নক করেছে!
----হেলো! জান্নাত!
----হুম! বলো!
কোন ভূমিকা না তৈরি করে আরিয়ান সরাসরি বলে দিলো! তুমি আমাকে ভুল ছবি দিয়েছো কেন?
---- নো রিপ্লে! (জান্নাত)
-----ওই! মেয়ে কথা বলো!
---- নো রিপ্লে!
অনেক দিন যাবত মেয়েটা ম্যাচেজের রিপ্লাই করেনি! হঠাৎ একদিন মেয়েটা একসাথে তার ১২টা ছবি পাঠিয়েছে! আর সাথে একটা ম্যাচেজ লিখেছে এমন! আরিয়ান আমি আসলে সরি! তোমাকে ভুল ছবি দিয়ে কষ্ট দিয়েছি! আমাকে ক্ষমা করো! আমি আসলে সরি!
-----না! তোমাকে আমি ক্ষমা করবো না! তবে তোমাকে একটা সুযোগ দিতে পারি! আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তুমি ঢাকায় আসবে! তাহলে তোমার সব অপরাধ মওকুপ হয়ে যাবে! (আরিয়ানের রিপ্লাই)
----আচ্ছা! ঠিক আছে আমি আসবো!
হুম! আর এ কারনেই আজকে মেয়েটা সাভার থেকে এক বন্ধবীর সাথে ধানমন্ডি লেকে এসেছে! লেক থেকে বান্ধুবী তার বয় ফ্রেন্ডের কাছে গিয়েছে!
জান্নাত একা হয়ে গেলো! যে মেয়েটা ঢাকার রাস্তায় আগে কখনো একা চলে নাই! সেই মেয়েটা আজ আরিয়ানের সাথে দেখা করতে যাবে সাহবাগে!
হু! দূর থেকে দেখা যাচ্ছে জান্নাত সাহবাগের মোড়ে দাড়িয়ে আছে! আর মনে হচ্ছে তার মাঝে অনেক ভয় কাজ করছে!
আরিয়ান আজ জান্নাতের রূপেরই বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে! যে মেয়েটা ভালো করে শাড়ি পড়তে শিখেনি! চুলগুলো ভালো ভাবে বাধতে শিখেনি! এমন একটা মেয়েকে দেখে আরিয়ান নিজের অজান্তে তার প্রেমের সাগরে সাঁতার কাটছে! জান্নাতের পাশে গিয়ে দাড়ালো আরিয়ান! ও আচ্ছা বলাই হয় নি আরিয়ান নিজের ছবি ইতোপূর্বে জান্নাতকে দিয়েছে! তাই জান্নাত আরিয়ানকে দেখেই চিনতে পেরেছে এবং পাশে দাড়ানো মানুষটাকে পেয়ে মেয়েটা যেন প্রাণহীন দেহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে!
---চলো! তোমাকে আমাদের ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখাই!
উল্লেখ্য আরিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র!
----না! আমি যাবো না! আমি বাসায় চলে যাবো।
----আরে চলো! ভয় পাওয়ার কিছু নেই! আমার উপর ভরসা রাখতে পারো! এটা মনে রেখো আরিয়ান বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে জানে।
-----হু! আমার ভয় হচ্ছে!
------আরে বাবা! বললাম তো! ভয়ের কিছু নাই!
সুন্দর কিছু মূহুর্তের সাক্ষী এই দিনটি! সুন্দর কিছু স্মৃতি তৈরি করে দিলো এই দিনটি! আরিয়ান যে মেয়েটাকে ভালোবাসে সেটা আর বলা হয় নি মেয়েটাকে বাসে উঠিয়ে দিলো! মেয়েটা সাভার তার বাসায় পৌছে গেলো!
এদিকে আরিয়ান কিছুটা ব্যস্ততায় সময় কাটছে! পরীক্ষা, এসাইনমেন্টের প্যারায় ছিলো! ৪-৫ দিন যাবত মেয়েটার সাথে কথা হয়নি!
হঠাৎ একদিন মেয়েটা ফোন করে বলে! আরিয়ান তোমার দাওয়াত ৩রা মার্চ আমার বিয়ে!
প্রেমটা অসমাপ্ত রইলো গল্পটা শেষ হলো।
না বলা ভালোবাসার এরকম হাজারো গল্পকে আমরা কবর দিয়ে দেই। হয়তো জান্নাতও আরিয়ানকে মনে মনে ভালোবাসতো।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: খারাপ লাগে নাই। তবে বানানের দিকে যত্নশীল হউন।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
জেড এইচ সৌরভ বলেছেন: বানানগুলো ধরিয়ে দিলে খুশি হবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
জুন বলেছেন: একেবারেই অসমাপ্ত প্রেমের গল্প । আপনি ঠিকই বলেছেন এমন হাজারো প্রেমের গল্প সমাহিত ।