![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একটি মিসকল, যেখানে আমি আমার নিজঃস্ব স্বত্তাকে পুরোপুরি নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, তবে সবার দৃষ্টিকোণ এক নয়। মানুষের চিন্তা/ধারনা পরিবেশ, সময়, স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন রকম হতেই পারে! সবাইকে আমন্ত্রন, বিশেষত যারা আমাকে পছন্দ করেন না তাদেরকে।
রাত ৯.৩০মিনিট। অবাক তার নিজের রুমে কানে হেডফোন লাগিয়ে ফুল সাউন্ডে গান শুনছে। খুবই চুপচাপ হয়ে আছে ছেলেটা, অন্যান্য সময় বাসার আর সবার সাথে কথা বলত এই সময়ে। কিন্তু আজ সে চুপ। একটা চরম ডিসিশন নিয়েছে ও...
সকালে ঘুম থেকে ওঠেই চিন্তা করেছিলো কি করবে, সবার সাথেই খুব বেশি নরমাল বিহেভ করছে অবাক। যথারীতি দুপুর ১২টায় বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলো। একে একে সব বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করে আড্ডা মেরে, রাতে বাসায় ফেরার আগে একটা ফার্মেসিতে গিয়ে ***** নামক ১২পাতা ঘুমের টেবলেট কিনলোও। বাসার ছোট ভাই বোন গুলোর জন্য কিছু চকলেটও কিনলো। বাসায় গিয়ে অন্য আট-দশটা দিনের মত সবার সাথেই দেখা করে নিজের রুমে চলে গেল...
গান শোনার মাঝখানেই প্রয় ১০.১০মিনিটে মামী রাতের খাবারের জন্য ডাক দিলো অবাককে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে চুপ-চাপ খাবার টেবিলে বসে খেয়ে নিল। তারপর আবারো চুপ করে নিজের রুমে। আবারো কানে হেডফোন। একটা সিগারেট ধরিয়ে, নিকোটিনের চাহিদাটা পূরণ করতে লাগলো। সবারই খাওয়া শেষে, বাকি খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে মামী এলো অবাকের রুমে, এমনটাই করেন সব সময় ভদ্র মহিলা। অবাককে বললেন,
"কি হয়েছে বাবা?"
"কিছু নাতো মামী। কেন??"
"মনটা মনে হয় খুবই খারাপ?? নীলার কথা মনে পড়লো নাকি খুব?"
"আরে না। ওর কথা মনে করলেও কি ও আসবে? তাই ওই সব নিয়ে আর ভাববো না।"
"কি যে বলে ছেলেটা। ভাববে না কেন? নতুন একটা প্রেম করো কিংবা বিয়ে দিয়ে দিই তোমার??"
"আমি আর বিয়ে?? দুইটা দুই মেরু... কখনোই এক হবে না।"
"মন খারাপ করো কেন বাবা?? একটা কথা বলি??"
"আমাকে কিছু বলার জন্য আপনার এতো ঢং দেখানো লাগে কবে থেকে মামী??"
"বাবা সিগারেটটা ছেড়ে দাও।"
একটু হেসে ওঠে অবাক,"আজই সব শেষ। কাল সকাল থেকে আর কিছুই খাওয়া লাগবে না।"
"সত্যি তো??"
"হুম মামী। একদম ডিটারমান্ড হয়ে গেছি। আর কিছুই খাবো না। আজই সব শেষ করে দিবো।"
"আচ্ছা বাবা ঘুমিয়ে পড়। কাল সকালে কথা হবে।"
"যদি বেঁচে থাকি।" বলেই হেঁসে দিল অবাক, সে এক রহস্যময় হাঁসি মামী যা বুঝতে পাড়লো না। সবাই যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েছে। পুরো বাড়িতে অবাক শুধু জেগে আছে গান শুনছে, "দুঃখ বিলাস"। একটা কাগজ বের করলো বালিশের নিচ থেকে। খুলে সেখানে লিখে রাখল দুটো লাইন...
"ক্ষমা করে দিও আমাকে সবাই। আমি একটা কাপুরুষ যার বাঁচার কোন যোগ্যতাই নেই।"
কাগজটা বালিশের পাশে রেখে গ্লাসে করে পানি আনলো অবাক, সব গুলো ঔষধ খুলে তাকিয়ে থাকলো কতটুকু সময়। নীল রঙা ঔষধ গুলো হয়তো কারোর ভালোর জন্য তৈরি হয়েছিল কিন্তু ওভার ডোজে এই ঔষধই কারো করো কাল হয়ে দাঁড়াবে। আর কোন চিন্তা না করেই সবগুলো মুখে পুরে দিল নিজের। পানি দিয়ে গিলে নিল সবগুলো ঔষধ। তারপর বসে রইলো, কানে গান বাজছে... কখন যেন নিজের অজান্তেই চোখ বুজে ফেললো অবাক। চোখের সামনে খুব পরিচিত মুখ গুলো দেখছিল, আর তার চোখের কোণ ঘেসে দুঃখ গুলো বেয়ে যাচ্ছে... শরীর হাল্কা হয়ে যাচ্ছে...
তারপর আর কিছুই বুঝে উঠছিলো না অবাক। হারিয়ে গেছে গাঢ় অন্ধকারের আলোতে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
একটি মিসকল বলেছেন: আসলে বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হাইলাইট হয়ে গেল। যদিও সত্যি বলতে কেউই চিন্তা করে সুইসাইড এট্যাম্পট নেয় না। তবুও বেপারটা লক্ষ্য করা এবং শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ...
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
কানিজ রিনা বলেছেন: এই যে মিসকল যতই আপনি মরতে চান আল্লার
চাইতে আপনার মৃত্যু ঘটবে না। আপনে খোলা মনের
মানুষ হোন বা প্রকাশক হোন। তাহলেই হবে দেখবেন
চাপাতি ওয়ালা আজারায়ল এককোপে আপনাকে
জান্নাতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
একটি মিসকল বলেছেন: ভাই বুঝতে পারলাম না, আপনি কি বুঝিয়েছেন... তবে আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আর হুমম... সেই অবাক কিন্তু আমি নই...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চিন্তা না করেই সবগুলো মুখে পুরে দিল নিজের।
এসব বিষয় হাইলাইট না করাই ভাল ।
চর্চা অব্যাহত রাখুন । শুভ কামনা জানবেন ।