![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একটি মিসকল, যেখানে আমি আমার নিজঃস্ব স্বত্তাকে পুরোপুরি নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, তবে সবার দৃষ্টিকোণ এক নয়। মানুষের চিন্তা/ধারনা পরিবেশ, সময়, স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন রকম হতেই পারে! সবাইকে আমন্ত্রন, বিশেষত যারা আমাকে পছন্দ করেন না তাদেরকে।
নীরা সন্ধ্যে বেলা একটা ঘুমের ট্যাবলেট
খেয়েছিল। এখন রাত একটা। এখনও ঘুম আসে নি। নীরার খুব বিরক্ত লাগছে। আজ রাতে ঘুম হওয়াটা খুব দরকার। কাল তার বিয়ে। আর ঘুম না হলে বিয়ের দিন তাকে নেশাখোরের মত লাগবে। এক রাত ঘুম না হলে তার চোখের নিচে কালি পড়ে। কপালে ও গায়ে তেলতেলে ভাব চলে আসে। যেকোন মুল্যে তাকে ঘুমুতে হবে কিন্তু ঘুম আসছে না। নীলা কি করবে বুঝতে পারছে না। “আচ্ছা অবাক কে ফোন দিয়ে বলব ঘুম আসছে না! কাল আমাকে দেখতে আশি বছরের বুড়ির মত লাগলে সে বিয়েতে কোন আপত্তি করবে কি
না?” নিজ মনে ভাবতে থাকে নীরা।
না! অবিক কে ফোন দেয়া যাবে না। সে
নিশ্চই ঘুমাচ্ছে! বিয়ের আগের রাতে সে ঘুম
ছেড়ে নীরার সঙ্গে কথা বলতে বসে থাকবে
কেন। আর এত রাতে ফোন দিয়ে এসব কথা বললে সে খুব হাসবে। সে হাসি আর থামানো যাবে না। অবাক অকারণেই হাসে। আর একবার হাসতে শুরু করলে সারা রাত জেগে কাটাতে হবে। নীরা আবার ঘুমের চেষ্টা শুরু করলো। সে ঠিক করলো আধাঘণ্টার মধ্যে ঘুম না আসলে আরেকটা ঘুমের ট্যাবলেট খাবে সেটায় কাজ না হলে আরেকটা। দানে দানে তিন দান!! ফোন বেজে উঠল। এমন সময় ফোন আসাটা তার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। ভার্সিটির বন্ধুরা গভীর রাতে ফাজলামি করতে ফোন দেয়। কিন্তু আজও কেন ফোন দিতে হবে তাদের? নীরা খুব বিরক্ত হচ্ছে। একবার ফোন বেজে বন্ধ হল। আবার ফোন বাজছে। বিরক্ত হয়ে ফোন হাতে নিতেই নীরা একটা ধাক্কা খেল। অবাব ফোন দিয়েছে! এত রাতে অবাকের ফোন দেয়াটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। দু’বছরের পরিচয়ে/প্রেমে একদিন ও যে কাজটা হয় নি সেটা আজ কিভাবে সম্ভব? অবাক রাত জাগতে পারে না। সে পৃথিবীর ঘুমন্ত শ্রেণীর জীবদের একজন। তবে সেটা শুধু রাতের বেলায়।। নীরার স্পষ্ট মনে আছে;
একদিন সে অবাকের সঙ্গে কথা বলে সারা
রাত চাঁদ দেখবে ঠিক করেছিল। কিন্তু অবাক ফোনে দশ মিনিটের বেশি কথা বলতে পারেনি। সে রাতে অবাক বারান্দার
মেঝেতেই ঘুমিয়েছে। সেই অবাক এত রাতে
কেন ফোন দিল? সে নিশ্চই কোন বিপদে
পড়েছে। এসব ভাবতে ভাবতে তৃতীয় বার ফোন বেজে উঠল। রিসিভার চেপে ফোন কানে নিল নীরাঃ
:হ্যালো
:এই ঘুমুচ্ছ?
:না।
:তাহলে ফোন রিসিভ করতে এত দেরী হল যে?
:না এম্নিতেই!
:ঘুম আসছে না?
:হু!
:আমারও!
:কেন? তোমার শরীর খারাপ? গ্যাস্ট্রিকের
ব্যাথা বেড়েছে?
:কোনটাই না। কেন জানি ঘুম আসছে না।
তোমার কথা শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
:আমার কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। আমার এখন ঘুমুতে ইচ্ছা করছে।
:আচ্ছা। আমি তাহলে ঘুমুতে গেলাম। শুভ রাত্রি।
ফোন রেখে দিল অবাক। নীরার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। অবাক কেন ফোন রেখে দিল। তার উচিত ছিল জোর করে নীরাকে কথা বলতে বাধ্য করা। কিন্তু সে কখনোই নীরাকে জোর করে না, নীরার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করে না। দু’বছরের ঘটর ঘটরে অবাককে খুব ভালো ভাবেই চিনে ফেলেছে নীরা। তার ভালো খারাপ সব ধরনের অভ্যাস নীরার জানা । তবু
তার আজ এভাবে ফোন রেখে দেয়াটা নীরার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু অবাকের উপর তার রাগ পাচ্ছে না। সে নিজেকে এর জন্যে দায়ী করছে। একটু কথা বলতেই তো চেয়েছিল অবাক। আর নীরা এভাবে তাকে তাড়িয়ে দিল!!
পর্দার ফাঁকে চাদের আলো নীরার বিছানায়
পড়ছে। আকাশের চাঁদটা আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে। নীরা আর বিছানায় থাকতে পারল না। বারান্দায় রকিং চেয়ারে গিয়ে বসল সে। আজ আর ঘুমাবে না। কাল তাকে দেখতে উলুম্বুষের মত লাগুক; তবু কিছু আসে যায় না তার। আজ সারা রাত সে জেগে থাকবে; চাঁদের সঙ্গে ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
একটি মিসকল বলেছেন: ভাই লজ্জা দিচ্ছেন নাকি??? :p উনার মত হওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না...
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সাবলীল, স্বচ্ছ, সুন্দর লেখনী। ভাল লেগেছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
একটি মিসকল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই...
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
হোয়াইট টাইগার বলেছেন: হুমায়ুন স্যারের দেখা পাইলাম