![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একটি মিসকল, যেখানে আমি আমার নিজঃস্ব স্বত্তাকে পুরোপুরি নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, তবে সবার দৃষ্টিকোণ এক নয়। মানুষের চিন্তা/ধারনা পরিবেশ, সময়, স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন রকম হতেই পারে! সবাইকে আমন্ত্রন, বিশেষত যারা আমাকে পছন্দ করেন না তাদেরকে।
অনেক গুলো বই পড়ার বাকি ছিল, "এ্যাভেঞ্জার্স এ্যান্ড গেইম" মুভিটাও দেখার ইচ্ছা ছিল। অনেক কথা বলার থাকলেও বলা হয়নি কখনোই। না বলাই থাকলো কিছু কথা.. তাতেই মঙ্গল হয়তো সবার। আচ্ছা নিজেকে মেরে ফেলাটা কি এতোই সহজ সবার জন্য? একটা কারনও থাকে না বাঁচার তাগিদে? হয়তোবা না, থাকলে আমি এসব কিছু লিখতাম না। কিভাবে আত্মহত্যা করলে কষ্ট বেশী হয়? গলায় ফাঁসি দিলে? নাকি রক্ত নালী ব্লেড দিয়ে কেঁটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে? ঘুমের ট্যাবলেট খেলে মরতে কষ্ট হয়? মনে হয় অনেক বেশী কষ্ট হয় তখন, বাঁচার একটু ইচ্ছা জাগে কখনো। তখন বমি করার বৃথা চেষ্টায় মগ্ন হয়ে যায় মানুষ, কখনো আবার হাসপাতালে যেতেও ইচ্ছা হয়। কিন্তু লোক-লজ্জার ভয়ে হয়তো যায়না কেউ। যাদের মনোবল বেশি তারা হয়তো যায়। আচ্ছা কিভাবে মরা সহজ? ট্রেনের নিচে কাঁটা পরে? নাকি মহা-সড়কে কোন গাড়ীর নিচে পরে? নাকি বিশাল কোন অট্টালিকার উপর থেকে ঝাঁপ দিলে? কিংবা সাঁতার না জেনে পুকুরে/নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে?
আচ্ছা মৃত্যুর পরে কি আছে? বেঁচে থাকলেও যে ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে কিংবা বর্তমান থেকে ভালো থাকবো এর কোন প্রমান আছে কি আদৌ? বেঁচে থেকেও কারো কষ্টের কারন হওয়ার কি দরকার? কারো মুখেইতো হাঁসি ফোঁটাতে পারিনি... আচ্ছা অনেকেই বলবে আমাকে যে আমার বাবা-মা'র কথা চিন্তা করতে, আমি মারা গেলে সন্তানহীন তারা কেমন অনুভব করবে। তাদের কতটা খারাপ লাগবে। তাদেরকেই বলছি, আমার কেউই নাই। আমি একটা "ব্রোকেন ফ্যামিলি"এর সন্তান। বাবা-মায়ের ভালোবাসার ফসল না আমি, আমি একটা কম্প্রোমাইজের ফসল। আমি একা না, আমার ছোট ভাই একটা সেও। বাবা-মা দু'জনই নিজেদের মত করে নিজেরা সুখেই আছে। আচ্ছা ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তানদের কাছে কোন নরমাল ফ্যামিলি তাদের সন্তানের বিয়ে দেয় না কেন? খুব ভালো বন্ধু গুলোও দূরে চলে যায় কেন সব কিছু জানার পরে? আচ্ছা আমি মাথা উঁচু করে কারো সামনে কথা বলতে পারি না কেন? নিষিদ্ধ পল্লীতে আমি নেহায়েত একটা দেহ ভাড়া করতাম কথা বলার জন্য। ঘন্টা-দুয়েকের জন্য মনে হতো কেউ আমাকে শুনছে, কখনো কখনো আমিও শুনতাম তার কথা। শারীরিক কোন মোহ্ আমার ছিল না তাদের প্রতি। তবে আর দশজনের মতন আমার পুরুষত্বের প্রকাশ আমি টাকায় করিনি। ভালোবেসে ছিলাম এক মানবীকে, পাইনি। ভালোবাসাটা ছিল একতরফা। ঘেণ্যা লাগে নিজের মুখটা আয়নায় দেখতে। নিজেকে কখনো জংলী মনে হয়, ভয় পাই আমি সেই বুনো শুয়োরটার মতন। কেউ হয়তো আমাকে ভেঙ্গে ফেলতে চাইবে। তাই আলাদা হয়েই থাকি সবার কাছ থেকে। একা থাকাটাই আমার জন্য চরম তৃপ্তির। কিন্তু এখন সেই চরম তৃপ্তিটাই আমার মৃত্যুর কারন হয়ে যাচ্ছে। আমি আটকে রাখতে পারছি না। নিজেকে সামলে নিতে প্রচন্ড হিমসিম খাচ্ছি আমি। পারছি না, না কেউ আমাকে বোঝার চেষ্টা করেছে, না আমি কাউকে বোঝার চেষ্টা করছি। বেঁচে থাকার জন্য যে একটা কারন প্রয়োজন। সে কারন আমার নেই।
এক সময় প্রচুর নেশা করতাম, ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা প্রতিদিন খেতাম। রিহ্যাব যাইনি, একা একাই নিজেকে সামলে নিয়েছি। সিগারেট ছাড়া কিছুই খাইনা এখন, শুধু মাঝে মধ্যে ৫/৬ প্যাক মদ খাই টেষ্টটা জিহ্বাকে মনে করিয়ে দেবার জন্য। তাও বছরে ২/১বার। কেউই পাশে থাকে নি, আর আমি থাকতেও দেইনি কাউকেই। আমি চাইনি কেউ থাকুক, কারো করুনার পাত্র হতে আমি বরাবরই নারাজ। আমার হজম হয়না করুনা বেপারটা। একা থাকাটাই আমার জন্য ভালো, অন্তত আমার মতন জংলী এই অমানুষের জন্য। আমি অনেক দূর্বল চিত্ত্বের মানুষ। পেছন ফিরে তাকালে ২৬ দেখি। কিন্তু তবুও কেন যেন আমি অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে গেছি। অনেক বেশি একা হয়ে গেছি। আর এইভাবে তিলে তিলে মরার চেয়ে মরে যাওয়াই ঢের ভালো নয় কি?
আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী সম্পূর্নরূপে, আর দায়ী একান্তই আমার প্রতিটা অব্যাক্ত মুহূর্তগুলো।
আমি সেই,
অবাক
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৫
একটি মিসকল বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা ভাই, চিন্তা বিপরীত না ভাই আমার... ধরেন ছেলেটার বাবা-মার ছাড়া-ছাড়ি ছেলের বয়ঃসন্ধি কালের শুরুতেই হয়েছিল। বয়ঃসন্ধি সময়টা কেমন সেনসিটিভ সেটা চিন্তা করেই বলুন কতটা থ্রিল খুঁজে পান?
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: Salam, I can imagine the trauma you might be going through right now but please try to see the gifts of life. Dark days too shall pass. We all had our own big little pain and secrets. But that should not stop us from breathing. You can pour your heart here. I, along with other are listening.
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩
একটি মিসকল বলেছেন: রিম সাবরিনা জাহান সরকার ধন্যবাদ, আমার কিছু হয়নি। হঠাৎ করে কথা গুলো মাথায় ঘুর-পাক খাচ্ছিল। আসলে মানুষের ডিপ্রেশন লেভেলটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। আমার লেখা প্রতিটা গল্পের নায়ক অবাক, তাই সুইসাইড নোট টাও তার নামেই লিখে চালানোর চেষ্টা... কথা গুলো গল্প ভেবে ঝেরে ফেলে দিন, তবে ভালো থাকবেন। ব্রোকেন ফ্যামিলি গুলোর প্রতি আমার নিজস্ব কিছু হয়তো ভুল ধারনা আছে। সবার সাথে নাও মিলতে পারে। সুইসাইড সলুশ্যান না সেটা আমি সর্বদাই বিশ্বাস করি। তবে, কখনো কখনো ভুল গুলোই শান্তি নিয়ে আসে...
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: I am waiting for your response.
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: নেশা করার মধ্যে কোনো বাহাদুরী নেই।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
একটি মিসকল বলেছেন: রাজীব নুর ভাই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৫
রাফা বলেছেন: বাস্তবতা আরো বেশি কঠিন।অনেক সময় কল্পনাকেও হার মানায় কঠিন বাস্তব।মানুষ যদি প্রত্যেকেই অন্যের জিবনের সংগ্রাম দেখতে পেতো তাহলে আমি চ্যালেন্জ করে বলছি পৃথিবিটা অন্যরকম হইতো।অনেক উপমাই দেওয়া যায় -একতলা বাড়ির বাসিন্দা চায় অট্টালিকার মত বিশাল কিছু। কিন্তু তার বাড়ির পাশেই যে ঝুপড়ি আছে সেদিকে ফিরে তাকায় না।কেউ একজোড়া স্যান্ডেলের জন্য কষ্ট পায়।কিন্তু বিপরিতে কারো যে দ'টো পাই নেই সেটা দেখার চোখ নেই আমাদের।আমার কথাগুলো বাস্তবতায় দাড়িয়ে বলা।
সবচাইতে বড় কথা যা আমার সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই।তা-কি ধ্ংস করার অধিকার বিধাতা আমাকে দিয়েছেন? দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনে পাল্টে যেতে পারে পুরো জিবনটাই।আমরা যে মানুষ সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব আমাদেরই।
ধন্যবাদ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
একটি মিসকল বলেছেন: রাফা ভাই, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার লেখা গুলো পরার আমন্ত্রন রইল।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্রোকেন ফ্যামিলির এই ছেলে মেয়েদের কষ্ট কেউ কখনো অনুভব করতে পারবে না, কখনো না। তবে, শত প্রতিকূলতার মাঝে ডুবে না গিয়ে অবিরাম সাঁতার কেটে ভেসে থেকে নীলাকাশ এর ছায়ায় এক পলক চেয়ে দেখার পরিতৃপ্তি'র যে প্রাপ্তি তার জন্যই বহু বছর বেঁচে থাকা উচিত। তার তুলনা হয় না কখনো।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
একটি মিসকল বলেছেন: আসলেই তাই... উত্তর দিতে বড্ড দেরী করে ফেললাম। ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ব্লগে নিয়মিত না আমি। তবুও ব্লগটা পরার আমন্ত্রন রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৯
রাফা বলেছেন: এমন ভাবনাকে স্বাগত জানানোর কোন কারন নেই।বরং এর বিপরীত জিবনকে চ্যালেন্জ হিসেবে গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়াটাই অনেক বেশি থ্রিল।ব্রোকেন ফ্যামিলি একটা অজুহাত মাত্র।মানুষ পৃথিবিতে একাই আসে আবার একাই চলে যায়।এটাই চিরন্তন সত্য।মানুষ সবার মাঝে থেকেও আসলে সে একা। জিবন একটাই কিছু না পেলেও দেওয়ার আছেই কিছু না কিছু।নেগেটিভিটি নয় পজেটিভিটই হোক জিবনের লক্ষ্য।
ধন্যবাদ,এ.মিসকল।আপনার চিন্তার বিপরিত চিন্তা আমার।