নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদেখা আকাশ

অদেখা আকাশে হারিয়ে যাওয়া মেঘ আমি।

স্বপ্ন ছায়া

গানে গানে লেনাদেনা রাস্তোমে ঘুমকে গানা Full-time Professional বেকার । নিয়মিত অনিয়মে Careless খাবোমে International Dreamer...। STREET SINGER...

স্বপ্ন ছায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩০০০ লাশ, মতিঝিল আর কোরআন শরীফ

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

সব মৃত্যুই দুঃখজনক। বেশী দুঃখজনক যখন কেউ উদ্দেশ্য না বুঝে অন্যের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে গিয়ে মারা যান।



একটা হিসাব মেলাতে চেষ্টা করছি। ঢাকায় বিএনপি বলছে ৩০০০ জন নিহত আর সিডনীতে বিএনপি সমর্থকরা বলছেন ২৫০০ লাশ পাঁচটা ট্রাকে করে গুম করা হয়েছে। বিএনপির দলীয় পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক যদি এটা ত্রিশ লাখ লোকের সমাবেশ হয় তাহলে তাদেরকে হঠাতে ৩০০০ লোক মারা যাওয়ার হিসাবটা ঠিকই আছে। হিসাবটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে অন্য যায়গায়। বিভিন্ন হিসেবে শোনা ৫, ৮, ৯, ১০ ট্রাক। যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম ট্রাক ছিল আটটা। এখন আটটা ট্রাকে ৩০০০ কিংবা ২৫০০ লাশ ধরে কিনা সেই হিসাব করতে যাচ্ছি না।



হিসাবটা সময়ের। একেকটা লাশ টেনে এনে ট্রাকে উঠাতে যদি নূন্যতম দেড় মিনিট করেও লাগে তাহলে ২৫০০ লাশ ট্রাকে উঠাতে সময় লাগার কথা ৩২৫০ মিনিট বা ৬২.৩০ ঘন্টা।

যদি আটটা ট্রাকের জন্য আটটা টিম কাজ করে তাহলেও সময় লাগবে প্রায় আট ঘন্টা।



রাত তিনটা থেকে লাশ গায়েবের কাজ শুরু করলেও সকাল এগারোটা পর্যন্ত ট্রাকে লাশ ভরতে হবে। মিডিয়া এবং সাধারন মানুষ যারা অভিযানের পর এবং এগারোটার আগে শাপলা চত্বরে গিয়েছেন তারা কয়টা লাশ দেখেছেন কেউ বলবেন কি?



এ পর্যন্ত পাওয়া ভিডিওগুলা দেখেছি।তাতে আমার মনে হয় নি যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মানুষ মারার ইনটেনশন নিয়ে ওখানে গেছেন।তাদের লক্ষ্য ছিল ভয় পাইয়ে স্থান ত্যাগে বাধ্য করা।



----------------------------------------

ওকে, আসেন মানলাম মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২৫০০ হেফাজতী মারা গেছে। নিহত তিন হাজার হলে আহত কয় হাজার? তারা কোন হাসপাতালে গুম হয়ে আছেন? শাপলা চত্তরে লাশ গুম করা কি খুব সহজ ছিল? বিপরিত পক্ষের বিভ্রান্তিকর ও হিসাব ছারা মন্তব্য করা আমাদের একটি সহজাত অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।



সাভার ট্রাজেডিতে কত জন মানুষ মারা গেছে? আমার জানামতে.. এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন ছাড়িয়েছে।আচ্ছা.. তাদের পরিবারের মানুষজন তাদের জীবিত অথবা মৃত ফিরে পাওয়ার জন্য কেমন করেছে.. অধরচন্দ্র বিদ্যালয়ে গিয়ে? আমার জানামতে, এই উত্তর কাউকেই আর দেয়া লাগবে না। কারণ, আমরা সবাই জানি ও দেখেছি যে.. কতটা ছটফট করেছে তারা, তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার জন্য!



কিন্তু এখানে সেই রকম কিছুই ঘটলো না, অথচ বিএনপি বলছে হাজার হাজার লোক মারা গেছে, এ থেকে খুব সহজে ধরে নেওয়া যায়, তাদের লাশের দরকার ছিল, যা তারা পায়নি, বিএনপি চেয়েছিল হেফাজতে ইসলামের হাজারখানেক লোক শহীদ হলে তাদের আল্টিমেটাম সফল হত !!

--------------------------------------------------



দিনভর ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রেহাই পায়নি পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থের বিপণিবিতানগুলো। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশে কোরআন-হাদিসের ৮২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফুটপাতের ক্ষুদ্র এসব দোকানে থাকা কোরআন শরিফ, তসবিহ, জায়নামাজসহ অনেক কিছুই আগুনে পুড়ে যায়। হতাশা আর আক্ষেপের সুরে দোকান মালিক আফসার জানান, 'আমার দোকানের সবই কোরআন শরিফ ও ধর্মীয় বই। হেফাজতের কর্মীরা যখন আগুন লাগাতে আসে, তাদের হাতে ধরে বলি, ভাই আমার দোকানে সব ইসলামী বই, কোরআন শরিফ। ভাই, আমার দোকানে আগুন দেবেন না। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। আগুন ধরিয়ে দেয়।' - বাংলাদেশ প্রতিদিন



আঃলীগ আর বিএনপি থেকে পালটাপাল্টী বক্তব্য দেয়া হয়েছে। আঃলীগের বক্তব্যে আমরা টিভিতে যা দেখেছি তাই। আর বিএনপি ও হেফাজত থেকে বলা হয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসী আগুন দিয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফে। আমার কথা হল ওখানে যারা দাবী নিয়ে এসেছিল তাদের অন্যতম দাবী ছিল ধর্ম নির্ভর। তাদের সামনে কেও কোরআন পোড়াবে আর তারা তাকিয়ে দেখবে এটা বিশ্বাস করতে পারলাম না।



আবার আমরা সারাদিন লাইভ যা দেখেছি যে আগুন কারা কোথায় লাগাচ্ছে, তাতে করে আগুন, ইট আর গুলতির জন্য পুলিশ পর্যন্ত কাছে যেতে পারেনি। পারেনি সিপিবি ভবনের আগুন নেভাতে। সেখানে বাইরের কেও গিয়ে কোরআন পুড়বে ব্যাপারটা হাস্যকর।



ঐ এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রন, আগুন লাগানো সব কিছুই ভিডিওতে এসেছে, এবং প্রত্যক্ষ্যদর্শী দেখেছে, কেউ যদি এখন বলে এই কাজ হেফাজত শিবির করে নাই, তাইলে কি যারা বলত বিশ্বজিত কে ছাত্রলীগ মারে নাই - তারাও ঠিক ?



আবার সবচে হাস্যকর ব্যাপার, ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে যাদের ধর্মানুভুতিতে এতও আঘাত লাগল যে তারা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এসে সরকার নামিয়ে ফেলল প্রায়, তাদের সামনে পেছনে কোথাও কোরআন পূড়ল, আর ওরা এখনো চুপ??

মানতে পারছিনা।

--------------------------------------------



শেষ কথা, সরকার কেন এতও অ্যাকশান এ গেল? শাহবাগের আন্দোলন বন্ধ করলনা কিন্তু হেফাজত করল। আর গেলই যদি এতও রাতে কেন গেল? দিগন্ত কেন বন্ধ করল?



১) আপনাকে কেও বলল দ্যাখ তুই আমার কথা শোন(যেটা শোনা সম্ভব না কারন যৌক্তিকতা কম) নয়তো তোকে তোর বাসা থেকে উতখাত করব। যা দূর হ তোর বাড়ি থেকে। বলে বাড়ি অবরোধ করল। আপনার শক্তি আছে তাকে প্রতিহত করার, আপনি নিশ্চই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন না। তাকেই তাড়িয়ে দিবেন।



২) শাহবাগের আন্দোলনে আজ পর্যন্ত কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। না কোন গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, না গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। রাস্তা খোড়া হয়নি, ডিভাইডার ভাঙ্গা হয়নি, এটিএম বুথ ভাঙ্গা হয়নি, কোন কোরআন পোড়ানো হয়নি। সব মানুষ একনা। তাই শাহবাগের আন্দোলনে সহিংশতা নেই, সরানো হয়নি। যেসব মানুষ ফু দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার উৎখাত করতে চিটাগাং থেকে দু বেলা খাবার, ফিরে যাবার গাড়ি ভারা ছাড়াই ধাকায় আসে , আবার এসে শহর ধ্বংস করে তাদের কি চুম্মা দিবো নাকি ?



৩) সারাদিন টিভিতে দেখলাম দিনের বেলায় পুলিশ কোন কাজে আসেনি, মানে এফেক্ট ভাল ছিল না। তাদের ওয়ার্নিং দেয়ার পরো চলে যায়নি। উলটো সরকার উতখাতে হুমকি দেয়া সহ নাশকতা করেছে অনেক।



৪) মানুষ যদি জাগনা থাকে একটা সাউন্ড বোমার শব্দে যতটা প্যানিকড হবে, সদ্য ঘুম থেকে ওঠা কেও তারচে বেশি হবেই। ঘুম থেকে উঠে ২-৪ মিনিটের মধ্যে আপনার কাছাকাছি কেও বেলুন ফোটালেও আপনি চমকে লাফ দিতে বাধ্য। তাই আমার কাছেও মনে হয়েছে ভয় দেখানোর জন্য অন্ধকার, ঘুম আর গভীর রাতটাই বেস্ট অপশন।



৫) আসেন দেখি দিগন্ত বন্ধ কেন করা যৌক্তিক, আরো আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল, যে চ্যানেল মানুষকে উস্কে দেবার মত মিথ্যে খবর বার বার প্রচার করে তাদের দিয়ে মানুষকে ভরকে না দেয়াই ভাল। অনেক আগে থেকেই দিগন্ত, ইসলামিক এবং একুশে টিভি কিছু কিছু জামাতী প্রপাগান্ডা ফলোয়াপ করে প্রচার করে যাতে দেশে অস্থিতিশিলতা তৈরি হয়। সেদিন দিগন্ত বন্ধ না হলে, দিগন্ত আর বঙ্গভাড় কাদের সিদ্দিকি নিশ্চিত লাশ ৩০,০০০ বলতেন। কারন জামাত-লন্ডনের একটা ভিডিওতে দেখলাম ওরা দাবী করছে ৩০,০০০ লাশ গুম করা হয়েছে।

কিছুই বলার নাই।



Last but not the least, "বঙ্গবন্ধু" নামটার সাথেই ওদের সমস্যা আছে। এর আগেও বি এন পি এত চমৎকার একটা ক্রিকেট ভেন্যুকে শুধু মাত্র নামের জন্য ফুটবলে দিয়ে দিয়েছিল ভেবেছিল ধংশ হয়ে যাবে, হয় নি। এবার কপ্টার শফি বাহীনি এটাকে ধংশ করার ট্রাই করেছে... ইদানিং যুদ্ধাপরাদী মামলার রায় গুলো হওয়ার পর এতও এতও কাহীনি একটু হলেও তো কনফিউশ্নের জন্ম দেয়। কারা এর পেছনে?

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০০

লিচপেথ বলেছেন: sad but true

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: আমাদের প্রজন্মটাই এমন। অনেক কিছু দেখি কিন্তু কিছু করতে গেলেই যে কোন একদলের দিকে চলে যেতে হয়। নিজে না গেলেও অন্যের বক্তব্যে মনে হয় আমি আসলে আঃলীগ কিনবা বিএনপি। আমার কোন সকীয়তা নেই।

খুশির খবর হল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফাসির রায় ঘোষনা করা হয়েছে। এটি চেতনার বিজয়।
-জয় বাংলা। জয় জয় জয় বাংলা।

২| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: একটা ইদুর খেতে একটা বিড়ালের যদি এক মিনিট সময় লাগে,
১০০ ইদুর খেটে ১০০ বিড়ালের কত মিনিট সময় লাগে ?


০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: নিচে দেখুন ডিম দিয়ে সেইম প্রশ্ন একজন করেছিলেন ফেইসবুকে তার জবাব দিয়েছিলাম, সেটা দেয়া হল।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: হিসাবটা সময়ের। একেকটা লাশ টেনে এনে ট্রাকে উঠাতে যদি নূন্যতম দেড় মিনিট করেও লাগে তাহলে ২৫০০ লাশ ট্রাকে উঠাতে সময় লাগার কথা ৩২৫০ মিনিট বা ৬২.৩০ ঘন্টা।


আপনার পোস্ট নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আপনার হিশাব মতে ২/১ জন মিলে লাশ তুলছিল। এটা সিমপ্ল গুণ ভাগের ম্যাটার না। লাশ যেই তুলুক, আর যত সংখ্যাই হোক, দু'জন লাশ তুল্বে অন্যরা দাঁড়িয়ে থাকবে না।

ওই যে ছোটবেলায় ম্যাথ করেছেন না, A B C এক্টী কাজ করে দেড় মিনিটে, কিন্তু একসাথে করলে তাদের দেড়X৩ মিনিট নয়, বরং আরও কম সময় লাগবে।

প্রোপাগান্ডা বিজনেসে ভাই, অঙ্কটা এক্টূ হলেও জানা লাগে। নাইলে আজগুবি হিশাব দিয়ে হাস্যোস্পদ হবেন।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: নিচে দেখুন ডিম দিয়ে সেইম প্রশ্ন একজন করেছিলেন ফেইসবুকে তার জবাব দিয়েছিলাম, সেটা দেয়া হল।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: আমি কিছু জবাব আগে দিয়েছি, একজন ডিম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন,1 ta egg boil hote 2 min lagle 1000 egg boil hote time koto lagbe?

তাই সেই উত্তরটাই আবার দিচ্ছি,

আপনি তো সব ডিম একসাথে সেদ্ধ দিচ্ছেন। এখন যদি এমন হত পুরো ২ কিমি এলাকা জুড়ে ডিম আছে আর আপনাদের আটটা টিমের কাজ হল একটা করে ডীম (একটার ওজন কম্বেশী ৫০ কেজি তাই একা পারছেন না টিম) ডিম সংগ্রহ করে পাত্রে রাখা, এখন আপনি ২০০০ ডিম যদি একবারে পাত্রে রাখতে যান তাহলে আপনা ২০০০ টিম লাগবে, কিন্তু আপনার এতও মানুষ নেই, সবাই মুরগী তাড়াতে ব্যাস্ত তাই আপনারা একটা একটা ডিম তুলে রাখছেন। তখন কি হল ব্যাপারটা? একট্টা ডিম পাত্রে তুলতে যদি ২ মিনিট লাগে ২০০০ ডিম কি আপনি ঐ দ্যুই মিনিটেই তুলতে পারবেন? না। একটু খেয়াল করে পড়ুন, ক্লীয়ার হবে আশা করি।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ফালতু ফালাফালি। পুরা ঘটনা কারো কাছে শুনসেন ? নাকি নেট পড়ে লাফালাফি করেন.।.।.।.।.।.।।??

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: ভাইয়া মিডিয়া তো আজকাল ঘড়েই, তাছড়া মতিঝিলে বাসা হওয়ার সুবাদে বেশ কাছে থেকে দেখেছি বলতে পারেন।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: পোস্টের মাইনাস বাটন কই???

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: আগে মাইনাস বাটন ছিল পোস্টে। এখন নাই :(
সর‍্যি

৭| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

শিপু ভাই বলেছেন:
পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষনে++++++++++++++

০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: স্রেফ দুর্দান্ত লিখেছেন ।

০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: স্রেফ ধন্যবাদ দিচ্ছি ঃপি

৯| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: আপনি ২০০০ ডিম যদি একবারে পাত্রে রাখতে যান তাহলে আপনা ২০০০ টিম লাগবে,

পাত্রটা যদি ট্রাক হয় তাহলে, ট্রাক নিশ্চয় একটা ছিল না।
আর কতজন লাশ উঠানোর কাজে নিযুক্ত ছিল সেই ডেটা পাইলেন কই???

ব্যাপ্স না। সরকার/বিরোধী সবাই মন গড়া/আন্দাজের উপর নির্ভরশীল ডেটা দিচ্ছে। আমরা ব্লগাররা বাদ থাকব কেন?

জাতিগত ভাবে আমরা আন্দাজের উপ্র খাই।

০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: ভাইজান আমি স্রেফ প্রশ্নটার উত্তর দিয়েছি।
আর সংখ্যা গুলো কোথায় পাওয়া তা তো পোস্টের প্রথমেই লিখেছি।

ট্রাকের সংখ্যা পরশুদিন পর্যন্ত শুনেছি ৮, পরশু রাতে ৮, গতকাল সকালে পর্যন্ত বাশের কেল্লা, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ইত্যাদিতে ৯ টা ছিল।

এখন বলেন আমি সংখ্যা কই পাইছি ক্লীয়ার তো?

১০| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

নবীউল করিম বলেছেন: এবার তা হলে ৩০,০০০,০০ শহীদের হিসাবটা করি, কেমন? ২৫, মার্চ ১৯৭১ থেকে ধরি ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৮ মাস X ৩০ দিন = ২৪০+৬+১০=২৫৬ দিন।
৩০,০০০,০০ ভাগ ২৫৬= ১১৭১৮.৭৫ প্রতি দিন। অর্থাৎ ১১৭১৮.৭৫ ভাগ ২৪ ঘন্টা= ৪৮৮.২৮ জন , মানে মিনিটে ৮.১৪ জন।
আপনার ওই হিসাব যদি ঠিক হয়, তবে এই হিসাব ঠিক। যদি ভুল স্বীকার করেন তবে এই হিসাবও ভুল

০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: হিসেব আপনারটা ঠিক আছে, চিন্তা করে দেখেন ৮ মাস সময়, এর মধ্যে কতগুলো গনহত্যা আছে, কতগুলো ফিল্ড ডেড আছে, কতগুলো ইঞ্জুরড ডেড আছে আর ২৫শে মার্চ রাতে কতগুলো মারা হয়েছিল।
শুধু কি তাই? রাজাকার ক্যাম্পে, পুলিশ ফাড়িতে, পাকি আর্মি ক্যাম্পে। এগুলোও কাউন্টেবল।
আবার দেখেন ৭১ এর ঘটনাটা কম আর বেশি ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি মি জুড়ে ঘটা আর মতিঝিলেরটা????
আবার আসেন ৩০০০ যদি মরে ১০ মিনিটে, তাহলে মিনিটে ৩০০ করে। এটা দেখলেন না?

আর বাদ রইল ব্যাপারটা, আমার হিসেব এটা প্রমান করার জন্য ছিল না যে সেদিন রাতে ৩০০০ মারা গেছে, আমি শুধু হিসেব মেলালাম এইযে ৩০০০ মারা গেল, মরতেও টাইম লাগছে, এদের মারতেও টাইম লাগছে আবার এগুলা পরিষ্কার করতেও টাইম লাগছে। এতও কম সময়ের মদ্ধ্যে মেরে সরিয়ে পরিষ্কারও করে ফেলল।

আবার তার পর কেও লাশ দাবীও করলনা, আবার কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে কিছু না বলে নেতাকর্মী গ্রেফতারের বিপরিতে হরতাল দিল। কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধেও না, ৩০০০ কিনবা ৩০,০০০ লাশের জন্যেও না। ফিশি

১১| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

মুণণা বলেছেন: কোন দুনিয়া তে আছি??? সরকার একটা অঙ্ক দিচ্ছে সেটা মিলানোর জন্য সবাই উঠে পরে লেগে আছি। যেমন পদ্মা সেতু ১০% নাকি ১২%। কে কত পেলো. বিরোধী দল একটা হিসাব দিলো সবাই অঙ্ক নিয়া বসে গেলাম।

আরে ভাই মানুষ মারা গেছে ধরলাম ৩০ জন। কেন মরলো? পুলিস বলছে বুলেট ব্যবহার করে নাই কিন্তু হসপিটাল এ র ওখানে অনেক মানুষ ই বুলেট বিদ্ধ। এই মিথ্যাচার কেন?

০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: কেন মরল সেটা নিয়েই তো প্রশ্ন। জিরো ক্যাজুয়ালিটির যায়গায় একটা লাশই অনেক। সেখানে ব্যাপারটাকে ২,৫০০-৩,০০০ এবং শেষ পর্যন্ত ৩০,০০০ বলে হাস্যরসাত্মক করে ফেলা হয়েছে।
এখন মানুষের মৃত্যু আমাদের নাড়া দেয় না। আমরা সংখ্যা নিয়ে ব্যাস্ত থাকি।

আর হ্যা, বুলেট। জি বুলেট গুলো রবারের। তার মানে কি ছোট বেলার খেলনা? জি না, এত সস্তা না আবার। ক্লোজ রেঞ্জ শটে আপনার গায়ে ঢুকে যেতেও পারে। কিন্তু মাথায় গলায় না লাগলে জীবন নাশের ঝুকি থাকেনা।

ও হ্যা শেষ রাতে যখন মোষ তাড়াতে গিয়েছিল পুলিশ, মোষও কিন্তু কিছু তেড়ে এসেছিল, তাতে কন্সটেবল নিহত হয়েছে।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৮

মোঃ নূরুজ্জামান খান (সালেহীন) বলেছেন: মানুষের জীবন এখন খুব সস্তা হয়ে গেছে। এখন সবাই শুধু লাশের হিসাব করছে।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: :( :( :( :'(

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫২

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: নবীউল করিম বলেছেন: এবার তা হলে ৩০,০০০,০০ শহীদের হিসাবটা করি, কেমন? ২৫, মার্চ ১৯৭১ থেকে ধরি ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৮ মাস X ৩০ দিন = ২৪০+৬+১০=২৫৬ দিন।
৩০,০০০,০০ ভাগ ২৫৬= ১১৭১৮.৭৫ প্রতি দিন। অর্থাৎ ১১৭১৮.৭৫ ভাগ ২৪ ঘন্টা= ৪৮৮.২৮ জন , মানে মিনিটে ৮.১৪ জন।
আপনার ওই হিসাব যদি ঠিক হয়, তবে এই হিসাব ঠিক। যদি ভুল স্বীকার করেন তবে এই হিসাবও ভুল

০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
লেখক বলেছেন: হিসেব আপনারটা ঠিক আছে, চিন্তা করে দেখেন ৮ মাস সময়, এর মধ্যে কতগুলো গনহত্যা আছে, কতগুলো ফিল্ড ডেড আছে, কতগুলো ইঞ্জুরড ডেড আছে আর ২৫শে মার্চ রাতে কতগুলো মারা হয়েছিল।
শুধু কি তাই? রাজাকার ক্যাম্পে, পুলিশ ফাড়িতে, পাকি আর্মি ক্যাম্পে। এগুলোও কাউন্টেবল।
আবার দেখেন ৭১ এর ঘটনাটা কম আর বেশি ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি মি জুড়ে ঘটা আর মতিঝিলেরটা????
আবার আসেন ৩০০০ যদি মরে ১০ মিনিটে, তাহলে মিনিটে ৩০০ করে। এটা দেখলেন না?

আর বাদ রইল ব্যাপারটা, আমার হিসেব এটা প্রমান করার জন্য ছিল না যে সেদিন রাতে ৩০০০ মারা গেছে, আমি শুধু হিসেব মেলালাম এইযে ৩০০০ মারা গেল, মরতেও টাইম লাগছে, এদের মারতেও টাইম লাগছে আবার এগুলা পরিষ্কার করতেও টাইম লাগছে। এতও কম সময়ের মদ্ধ্যে মেরে সরিয়ে পরিষ্কারও করে ফেলল।

আবার তার পর কেও লাশ দাবীও করলনা, আবার কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে কিছু না বলে নেতাকর্মী গ্রেফতারের বিপরিতে হরতাল দিল। কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধেও না, ৩০০০ কিনবা ৩০,০০০ লাশের জন্যেও না। ফিশি



@ লেখক, আপ্নি তো ভাই চমতকার ড্যান্সিং ডাউন দ্য উইকেট খেল্লেন । দারুণ লাগসই প্রত্যুত্তর

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩১

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ
তবে " ড্যান্সিং ডাউন দ্য উইকেটে" শট করেই কি করতে পারলাম বলেন?
মুশি তো অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিল।

:( :( স্যাড-আ-স্যাড :( :(

১৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২২

অমৃত সুধা বলেছেন: খালেদা জিয়াকে তথ্যমন্ত্রীর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
http://dhakajournal.com/?p=6852

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২১

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: কি পুড়া কপাল লইয়া জন্মাইছি ভাই।
খালি সারাদিন আল্টিমেটাম দেহি, হ্যায় তারে দেয়, সে আবার তারে দেয়।
আগে গার্লফ্রেন্ডরে আল্টিমেটাম দিলে শুনত।
কিন্তু রাজনীতিবিদ দের দেখতে দেখতে এখন বুইঝা গেছে কেম্নে আল্টিমেটামের ১২টা বাজাইয়া আমার ১২টা বাজান যায়।
কিচ্ছু কওয়ার নাই, কাইন্দা কুল পাইনা।

১৫| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

শিপু ভাই বলেছেন:
@নবিউল করিম,

কলকাতার শরনার্থী শিবিরে কলেরা আর অন্যান্য রোগেই মারা গেছে ১০ লাখ মানুষ!!!


১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২২

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এই পয়েন্ট টা মনে ছিল না।

১৬| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

লোপা এসহক বলেছেন: আপনার. বিশ্লেষন সঠিক এবং সবচেয়ে বাস্তবসম্মত!

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৩

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: এটা স্রেফ আমার একটা মতামত।
আমি আমার অনুভুতিটা বলেছি
ধন্যবাদ একাত্ম হওয়ায়।

১৭| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বিশ্লেষণে প্লাস! +++++++++++++

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৪

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: আপনার নামটা তো চরম
উচ্চারন করতে পারতেছি না।
তাই ++++++++++++++++++++

১৮| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

দ্য েস্লভ বলেছেন: মৃতের সংখ্যাটা অত হবেনা,যতটা বলা হচ্ছে কিন্তু অনেককে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি কিছু ভিডিও দেখেছি তাতে পুলিশ পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে দেখলাম। এতটা নির্দয় পুলিশ আমি এর আগে দেখিনি। পুলিশের ভুমিকা যথেষ্ট আপত্তিকর। রাস্তায় অর্ধমৃত হয়ে পড়ে আছে কিছু লোক,তাদেরকে এরপরও কয়েকজন মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলল। এখানে সংখ্যার চাইতে বিবেচ্য হল পুলিশের নির্দয় আচরণ। আমাদের রাজনৈতিক সাংষ্কৃতি বলে কিছু নেই। এটি একটি খারাপ উদাহরণ হল। আর পরবর্তীতে আরেক সরকার এসে যখন এই সরকারের লোকদেরকে একইভাবে পেটাবে,তখন এই হিংসার রাজনিতির মধ্যে থেকে জনগনই বঞ্চিত হবে। তবে দুখের খবর হল,এরা জনগনের ট্যাক্সের পয়সায়ই চলে।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩২

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: আপনার কথা যেমন ঠিক তেমনি, যখন আপনি আমি রাজপথে মিছিলে যাই, তখন তার উল্টোও করি আমরাই।
২০০৮ কি ২০০৯ আমি নিজেও গিয়েছিলাম একসময়, ওরা আমাদের বলেছিল রাস্তা অবরোধ না করতে, আমরা ত্যাড়ামি করে বসে ছিলাম।
বলেছিল দোকানে ঢিল না দিতে, গ্যাঞ্জামটা বেধেছিল এক দোকানদার আমাদের এক স্টুডেন্টকে পিটিয়েছিল তার আবার এলাকার নেতার সাথে সখ্যতা, আমরা ঢিল মেরে দোকানের সাটার ভেঙ্গেচুরে ফেলেছিলাম, দোকানের এক কর্মচারীকে মেরে তো ভুত। তখন পুলিশ আমাদের আবার সরে যেতে বলেছিল। আমরা আবার ত্যাড়ামি করলাম। এইবার সুরু করল লাঠিচার্জ আর টিয়ার সেল
আমরাও ঈট,পাথর, বলতে পারেন বিশাল মারামারি।
হাতের কাছে কিছু ছেলেপেলে একটা পুলিশকে একলা পেয়েছিল
ওরে সেরকম মাইর। যে ওর ঠিকানা শেষে সোজা ল্যাব-এইড। আমি যদিও মারিনি কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখছি, কেমন করে কাত্রাচ্ছিল, ভিক্ষা চাইছিল, আর সবাই পশুর মত মারছিল।
পরে অন্য পুলিশরা আসলে সবাই ঐটারে ফেলে চলে যায়।
আমি চলে যাওয়ার পর চিন্তা করলাম, দোষ তো আমাদের ও। আমরা ভার্সিটিকে শান্ত ভাবে বলে বিচার চাইতে পারতাম, পুলিশে কমপ্লেইন করতে পারতাম, কিনবা শান্তিপুর্ন আন্দোলনও করতে পারতাম। আমরা ভাংচুর শুরু করার আগে ওরা আমাদের কিছু বলেনি।
আমরা ভাংচুর শুরু করলে ওরা আমাদের বলেছিল থামতে, কিন্ত.................

১৯| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২২

ম্রিয়মাণ বলেছেন: দেখুন ৩০০০ মারা গেছে এই দাবি থন্ডন করলেই হবে না। ১০ মিনিটে লক্ষাধিক লোক সরিয়ে দেয়া হল, কেউ মরল না (প্রথমে মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি); বাংলাদেশের সেনাবাহিনী (RAB ফ্রন্ট লাইনে ছিল) এতটা দক্ষ এটা মনে করা যাচ্ছে না।
কতজন মারা গেছে কিভাবে মারা গেছে সেটা কিন্তু স্পষ্ট করা হচ্ছে না।
সাংবাদিকরা ছিলেন তবে অন্ধকারে একদম ফ্রন্ট লাইনে কি ঘটছে সেটা তারা কতটা ধরতে পেরেছেন?
ইরাক যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর এম্বেডেড সাংবাদিকদের রিপোর্টিং এর কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এসব ক্ষেত্রে সদিচ্ছা থাকলেও সত্যিটা অনেক সময় সাংবাদিকের কাছে ধরা দেয় না।
সাভারের ঘটনাতেও আমরা দেখেছি মৃতের সংখ্যা যখন ৩০০ ছুঁই ছুঁই, তখন সরকারীভাবে নিখোঁজের সংখ্যা ১০০-১৫০ হতে পারে বলে বলা হচ্ছিল। কিন্তু বেসরকারী হিসাব কিন্তু ১০০০ এর ওপরেই ছিল।
এরশাদ সরকারের শেষ পর্যায়েও কিন্তু সেনাবাহিনী ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু তারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে রাজি হয়নি।
মিশরের সেনাবাহিনীও পারেনি, কারাণ তারা রক্তপাত ঘটাতে চায়নি।
আমাদের বাহিনী তবে এতই দক্ষ হয়ে উঠেছে? রক্তপাত ছাড়াই.।
বাংলাদেশের মিডিয়া এবং সাংবাদিক সমাজও অন্য পেশাজীবিদের মত রাজৈনতিক কর্মীতে (প্রচারকর্মী) পরিণত হয়েছে। দু'শিবিরেই হলুদ সাংবাদিকতা হচ্ছে। যেমন বছরের শুরুতে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগে জামাতীদের মৃত্যুর খবরগুলো অনেক মিডিয়া সেভাবে দেয়নি।
এসব কারণে মিডিয়া তার মর্যাদা হারিয়েছে।
দু'শিবিরের সমর্থকরাই অন্য শিবিরের কর্মীদের সম্মান করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
কোথাও প্রত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, প্রথম অলো সহ বিভিন্ন পত্রিকা পোড়ানো হচ্ছে। আবার কোথাও আমারদেশ, নয়া দিগন্তের কপি পোড়ানো হচ্ছে।
জবাই করা বা চামড়া তুলে নেয়ার মত শ্লোগানও দেয়া হয়েছে শাহবাগ থেকে।
শাহবাগে সহিংসতা ঘটেনি কারণ সেখানে পুলিশ সহযোগিতা করেছে। জামাতী গুন্ডারা জানে ওখানে গেলে পুলিশ এবং শাহবাগীদের হাতে মার থেতে হবে।
কিন্তু বিরোধীদের সমাবেশের চিত্র ভিন্ন। পুলিশ এবং সরকারী গুন্ডা একযোগে হামলা চালিয়েছে (বিরোধী গুন্ডাদের ওপর) অনেক জায়গায়। এটা বিবিসির প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে।
যেখানে ঢাকার দু'টি বড় হাসপাতাল সেখানে দিনের পর দিন রাস্তা বন্ধ করে ২৪ ঘন্টা উচ্চস্বরে মাইক বাজানো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
পরমত সহিষ্ণুতা আজ নেই বাংলাদেশে। (কেবল এ সরকার নয়)
আপনার আমার একটা মত থাকতে পারে কিন্তু অন্যের তো ভিন্ন মতও থাকতে পারে। অসাড়তা থাকলো এমনিতেই তা বাতিল হয়ে যাবে।
পরিশেষে বলি পৃথিবীর অনেক গণহত্যার চিত্রই সঠিকভাবে জানা গেছে পরে। মৃতের সংখ্যা নিয়েও সংশয় থেকেছে। অনেক জায়গায় গণহত্যার বিষটি পরিষ্কার হয়েছে গণকবর পাওয়ার পরে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৭১-এ ৩০ লাখ লোক মারা যাওয়ার কথা বলা হলেও পাকিস্তানীরা সেটা মানে না। আর দেখবেন আন্তর্জাতিকভাবেও সংখ্যাটিকে বাংলাদেশের দাবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ একটি রক্তাক্ত যুদ্ধ তা নিয়ে বিতর্ক নেই, কিন্তু সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থেকে গেছে।
শাপলা চত্বরেও রাতের অন্ধকারে চালনো অভিযান নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার অনেক কারণ আছে।
আমরা দেখেছি বিগত বিএনপি সরকার যখন কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বানাতে মরিয়া তখন লগি-বৈঠাধারীদের তাড়াতে পারেনি পুলিশ। তারা কি চায়নি? নাকি সরকারের শষ সময়ে রক্তপাত ঘটাতে অনিচ্ছুক ছিল?

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫০

স্বপ্ন ছায়া বলেছেন: যেটাকে গনহত্যা বলছেন। ভেবে চিনতে বলুন। সত্য গোপন থাকেনা। যাদের লোক মরল তারা এখনো দাবী করল না, করল বি এন পি। হাস্যকর।

সাংবাদিকরা ছিলেন তবে অন্ধকারে একদম ফ্রন্ট লাইনে কি ঘটছে সেটা তারা কতটা ধরতে পেরেছেন?

আপনি যদি লাইভ দেখে থাকেন সময় কিংবা ৭১এ, তাহলে আমি বলব আমি কোন ট্রাক দেখিনি যেটাতে লাশ তুলে সরিয়ে ফেলে ২/৩ মিনিটের মধ্যে চ্যানেলে কভার করে ফেলেছে।
কারন মিডিয়া থেমে ছিল না। হাটছিল, যদিও নিরাপদ দুরত্ত বজায় রেখে, তবু হাটছিল, যেখানে পুলিশ খালি করে ফেলেছে সেখানেই হাজির হয়েছে, পুলিশের আর্মর্ড কার ছিল দুটো, তাতে ১০০০-৩০০০ লাশ আটবে বলে মনে হয় না।

সাভারের ঘটনাতেও আমরা দেখেছি মৃতের সংখ্যা যখন ৩০০ ছুঁই ছুঁই, তখন সরকারীভাবে নিখোঁজের সংখ্যা ১০০-১৫০ হতে পারে বলে বলা হচ্ছিল।

এটা মানতে পারলাম না। সরকারী ভাবে একজ্যাক্ট সংখ্যা বলেই হল কবে। বার বার মিডিয়া জানতে চাইছিল। আর সরকার থেকে, স্পেশালী নানক সাহেব ও টুকু সাহেব, বলছিলেন বি জি এম ই এ কে বলা হয়েছে তারা আশা করি দিবে।

শাহবাগে সহিংসতা ঘটেনি কারণ সেখানে পুলিশ সহযোগিতা করেছে। জামাতী গুন্ডারা জানে ওখানে গেলে পুলিশ এবং শাহবাগীদের হাতে মার থেতে হবে।

মনে হয় আপনি দেখেন নি কেন পুলিশ একশনে গেছে। সকালে তো কারো সাথে গেঞ্জাম লাগল না। কেন? কারন তারা ভাংচুর করেনি। সমাবেশে তারা গেছে কি যায়নি আগুন, ভাংচুর, গাছ কাটা।
ও আপনারা এগুলো করতে পারবেন আপনাদের কিছু বলতে পারবে না?


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশের অনেকেই তো মানে না। তারা আজো পারলে দেশটা পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে। বি এন পি এর এক নেত্রি(নিলুফা) সেদিন ৩০,০০,০০০ কে ৩,০০,০০০ বললেন আবার বললেন ৩০০০ মরলেই নাকি বেশী। এসব মানুষ আবার এম পি। ছিঃ
আপনারা তো আজকাল সবকিছুকেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করেন। কিছু বলার নাই। দেশটাকে যেদিন ভালবাসবেন সত্যিকারের, আশা করি সেদিন বুঝবনে।


আর বাদ রইল আপনার রাজণৈতিক ইস্যু। সেখানে আমি কিছুই বলব না। শুধু এটা বলব। আমাদের ধর্ম অত্যন্ত পবিত্র। দয়া করে রাজনিতীর কাদা ছুড়ে এটা কে ময়লা করে ফেলবেন না।
আর প্লীজ যাচ্ছে তাই বলে কোরআন পোড়ানোটা জায়েজ করার চেষ্টা করবেন না।

এতও ব্যাখ্যা দিলেন, কোরানের কথাটাও বলতেন। এটা জায়েজ হয়ে গেল কিভাবে? এত ব্যাখ্যা দিলেন কিন্তু কোরান পোড়ানো তো এখনো জায়েজ হল না। :/

২০| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

এস আর সজল বলেছেন: ৯ ট্রাকে তো ২৫০০ তরমুজও লইব না, লাশ তো দূরে থাক......

২১| ১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

ম্রিয়মাণ বলেছেন: ও আপনারা এগুলো করতে পারবেন আপনাদের কিছু বলতে পারবে না?
আক্রমণাত্নক ভাষা! বিএনপি বা হেফাজতী সম্বোধন করুন, 'আপনারা' নয়।
আমার লেখা মন দিয়ে পড়ে থাকলে দেখবেন আমি বিএনপির বন্দনা করিনি। বরং সমালোচনাই করেছি।

কিছু বলার নাই। দেশটাকে যেদিন ভালবাসবেন সত্যিকারের, আশা করি সেদিন বুঝবনে।
মানে আপনার মতের অনুকূলে যারা কথা বলে তারা দেশপ্রেমিক। অন্যরা নয়।
বুশ ডকট্রিন, 'তুমি আমাদের দলে এসো, নইলে তুমি আমাদের শত্রু।'
যে দু'টি টেলিভিশনের কথা বলেছেন, দিগন্ত টেলিভিশনের মত সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন আছে।
ওখানে রাস্তা তো একটি নয়। অনেক। সবক'টি রাস্তা কি সিসিটিভির মত দেখিয়েছে (লাইভ)?
যেটাকে গনহত্যা বলছেন। ভেবে চিনতে বলুন।
আমি গণহত্যা বলিনি, বলেছি কি ঘটেছে সেটা জানা দরকার। বড়সংখ্যায় মানুষ মারা যায়নি এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার মত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও যুক্তি নেই।
সহিংসতা কে ঘটিয়েছে এটার চিত্রই যথেষ্ট নয়। ওরা কারা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
হেফাজতিরা কোরআন পুড়িয়েছে এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ মরেনি তাই তৃপ্ত হতে হতে চান। ০/১০/১০০/১০০০/৩০০০ যাই হোক মরবে কেন?
সরকারীভাবে সাভারে নিখোঁজের সংখ্যা দেয়া হয়নি বটে, তবে হতে পারে বলে একটি ধারণা তারা দেবার চেষ্টা করেছেন। আমি সেটিই বলেছি।

হ্যাঁ এটা খুবই দুঃখের যে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন অনেকে। আবার এই বাংলাদেশেই অনেকে দুই বাংলা একত্রীকরণ বা ভারত বাংলাদেশ একত্রীকরণের স্বপ্ন দেখেন। অবশ্য খোলাখুলিভাবে কোনপক্ষই কিছু বলেন না।

যা হোক ভুলেই গিয়েছিলাম, যুক্তিহীন,পক্ষপাতদুষ্ট ব্লগ পোস্টে যুক্তি নির্ভর আলোচনার চেষ্টা করতে নেই।

২২| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২০

পীপিলিকা বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঙালিরা যে হুজুগে জাতি তা আবারো প্রমাণ করলো এই লাশের সংখ্যার বিভ্রান্তির মাধ্যমে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.