![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হইছে এবার থামেন, প্রেম-ভালবাসা নিয়ে লিখি বলে ভাবার কোন কারণ নেই যে আমি প্রেম করসি!!! আমি সেই হতভাগাদের দলে যারা প্রেম না করেও প্রেমের গল্প লিখে!!!
মা দরজা খুলে দিয়ে নিহিনের সাথে অগ্নি দৃষ্টি বিনিময় করে চলে গেলেন।
রাতের সাড়ে তিনটা বাজে ছেলে সুন্দরী মেয়ের সাথে এক গাদা লাকেজ নিয়ে বাড়িতে আসলে মনে হয় এমনই হয় যে কারো দৃষ্টি!!!
উকি দিয়ে দেখলাম বাবা ঘুমে।
“নিহিন, তুমি একটু বসো, আমি আসছি” আমি এই কথা বলেই মার পিছু নিলাম!
সারা এলাকার গুম ভাঙ্গানর আগে কিছু একটা করতে হবে!
-“বিয়েটা তাহলে করেই ফেলসিস। চিনিনা, জানিনা, একটা মেয়েকে রাত ৪ তা বাজে ধরে এনে বললেই বউ হল নাকি!!!” মা বলল।
-“না মা, ওর আমার কলেজ ফ্রেন্ড, রাস্তায় বাস খারাপ হয়ে গিয়েছিলো! তাছাড়া এতো রাতে একা ওকে যেতে দেওয়া ঠিক হতো না” আমি বললাম।
“থাক! আর হাতেম তাই এর মত পরোপকারী সাজতে হবেনা!”
“আমি খাবার দিচ্ছি। খেয়া নিস” মা বলল
“অনেক রাত হয়ে গেছে আর খিদে পেয়েছিল, তাই খেয়ে এসেছি” আমী বললাম
“ওওওওওও! খেয়েতো আসারি কথা!সাথে সুন্দরী মেয়ে ছিলো বলে কথা!!! সুন্দরী মেয়ে দেখলে আর হুশ থাকে না!!! “
“যা ওকে ফ্রেশ হয়ে নিতে বল, আমি খাবার দিচ্ছি।“ মা বলল
বাধ্য হয়েই নিহিনের কাছে গেলাম।
“তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও, অল্প কিছু খেয়ে নাও, আমি সকালে তোমাকে বাসায় দিয়ে আসব।“
আমিও ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম।
ভেজা চুলে কাউকে এতো অপরূপ লাগে জানতাম না!!!
প্লেটে মাছ তুলে দিতে দিতে বলল “এখনো তোমার মাছ না খাওয়ায় বদ অভ্যাস গেলনা!!”
“এখনো মনে আসে তোমার???” আমি বললাম।
“হম।“ আর কিছু বলল না নিহিন
“এটা তোমার রুম?” নিহিন বলল
“হুম।।“ যদিও একদিন চেয়েছিলাম তার উল্টো। আমি বললাম।
নিহিন তার জবাব দিলো না।
আমি ঘুমাতে এলাম গেস্ট রুমে। কিন্তু ঘুম কি আর আসে! স্মৃতি গুলো যে আজ আমাকে ঘুমাতে না দেওয়ার পণ করেছে!!!
রান্না ঘরে মার সাথে নিহিনকে দেখে অবাকই হলাম, তাও আবার এত সকালে!
ভোরের সিগ্ধতায় নিহিনকে অন্য রকম লাগছে। জানালা দিয়ে ভোরের আলো যখন মুখে এসে পড়ছিলো, সেই সুন্দযের তীব্রতা যেন সূর্যের আলোর তীব্রতাকেও হার মানায়!
নিহিন নাস্তা বেড়ে দিতে দিতে মার মুখে হাসি দেখেই বুঝলাম নাশতা নিহিন বানিয়েছে!
নাস্তা একটু মুখে দিতেই কাশি এসে পড়ল।
“শোনো ছেলে, এত ভাব নিতে হবে না! ভাব নেওয়া এবার একটু কমালেও চলবে!
খিচুড়ি অ্যান্টি বানিয়েছে, আর সবজিটা আমার করা!” নিহিন বলল।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলোনা! মা মুচকি হাসলেন।
মা আর নিহিনকে কথা বলতে দেখে মনে হচ্ছে তারা কত দিনের চেনা-জানা !!
“নিহিন মেয়েটা অনেক ভালো” মা বলল।
“মা, নিহিন আমার শুধু বন্ধু!”
“বন্ধু না কি অন্য কিছু গত কাল রাতে খাবার সময়ই দেখেছি!”
“আমি তোকে মার পিট করে এক পিস মাছ খাওয়াতে পারি নাই তোকে, আর সেই তুই চুপচাপ নিহিন মাছ দেওয়াতে মাছ খেয়ে গেলি!”
“ আমাকে তোর শেখাতে হবেনা!!! ” মা বলল
“মা, বাদ দাও তো এসব!” আমি বাসা থেকে নামতে শুরু করলাম।
“তোর মত হতভাগার কপালে এমন সুন্দরী মেয়ে জুটবেনা।“ আমি আর কথা বাড়ালাম না।
মা একে বারে ভুল বলে নি। এখনো যত মেয়েকেই দেখি, তাদের সথে নিজের অজান্তেই নিহিনের সাথে তুলনা করি। এতাই মনে হয় জগতের নিয়ম!
এটাই মনে হয় নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ভালোবাসার শাস্তি! সব কিছুতে শুধু এক জনকেই খুঁজে ফেরা! চারপাশে এত আলো, তারপর ও যেন অন্ধকার লাগে! চারপাশে এত মানুষ, তারপরও নিঃসঙ্গতা গ্রাস করে ফেলে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে প্রথম কমেন্ট
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং............