নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

--“সুহে থাকতে ভূতে কিলায়” মেন্টাল হসপিটাল--

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ"

E-mail : [email protected]

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব ধর্মের সব মানুষের জন্য- বাহাই

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১



--মহান বাহাউল্লাহ’র পবিত্র সমাধি--



তোমার হৃদয় বাগানে প্রেমের গোলাপ ব্যাতিত , অন্য কিছুই বপন করো না ।

*

ঘৃনার মনোভাব কে তার থেকে “শক্তিশালী ভালোবাসা”র মনোভাব দিয়ে অবশ্যই ধ্বংশ করতে হবে ।

*

…আমার প্রার্থনাকে একটি অগ্নিতে পরিনত কর , যা তোমার সৌন্দর্য দর্শন হতে বাধা প্রদানকারী পর্দাগুলো (বিভ্রান্তি গুলো) পুরিয়ে ফেলবে এবং একটি আলোকে পরিনত কর যা আমাকে তোমার উপস্থিতির মহাসাগরের দিকে পরিচালিত করবে ।

*

তোমরা একি বৃক্ষের ফল এবং একই শাখার পত্রসমূহ ।

*



তোমারি দিকে তোমার চক্ষু ফিরাও , যেন তুমি আমাকে তোমারি মধ্যে অবস্থানকারী শক্তিসালী , প্রতাপসম্পন্ন ও চীরস্থায়ী দেখতে পাও ।

*

যদি আমার ভৃত্য তোমার কাছে কিছু চায় , তবে তাকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিয়ো না , কারন তার মুখমন্ডল আমারই মুখমন্ডল , অতএব আমার সামনে লজ্জিত হও ।

*

হে মানব সন্তান ! তোমার হৃদয়ের আনন্দে আহলাদিত হও , যেন তুমি আমার সাক্ষাত লাভ করতে পারো এবং আমার সৌন্দর্য প্রতিফলিত করবার উপযোগী হতে পার ।



হে মানব সন্তান ! আমার সামনে বিনীত হও , যেন আমি তোমার কাছে অবতরন করতে পারি এবং আমার প্রত্যাদিষ্ট ধর্মকে জয়যুক্ত করবার জন্য সাহায্যকারী হও , যেন তুমি আমার রাজ্যে জয়ী হতে পারো ।

*

হে আমার মৌখিক বন্ধু ! একটুখানি চিন্তা কর ! তুমি কি কখনো শুনেছ যে , বন্ধু ও অপরিচিত ব্যক্তি একই হৃদয়ে বাস করে ? অতএব , অপরিচিতকে হৃদয় হতে বহিষ্কার কর , যেন প্রিয়তম নিজ আবাসে প্রবেশ করতে পারে ।

-উপরের বানী গুলো পরম গুরু বাহাউল্লাহ’র

উপরের কথাগুলো পরলেই বুঝা যায় কতটা মানবিক-কতটা বিশ্বজনীন এই বাহাই ধর্ম।

ইরান হচ্ছে দুনিয়াতে বেহেস্তের বাগান, যেখানে ফুটে ছিল পরম প্রিয় ফুল এই বাহাই ধর্ম , যার সুবাসে আজও সারা জাহান বিভোর । বর্বর শাসকের নির্মমতাও হার মেনেছে তাদের সার্বোজনিন প্রেমের আহবানের কাছে ।পারস্যের ততকালীন বাদশা , বাহাইদের নিশ্চিহ্ন করার জন্যে এমন কোন অত্যাচার নাই যে বাকী রেখেছিল , তবু সত্য ও সুন্দরের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতেই হয় মিথ্যা অহংকারকে , সেটা এখনো প্রমান দিয়ে চলেছে বাহাইরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে । সব ধর্ম ও গোত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন উদার ধর্ম দ্বিতীয়টি আর দেখা যায় না , যেখানে ধর্মীয় দাঙ্গা এখন নিত্যদিনের ব্যপার ।



জীবন-মৃত্যুকে ছাড়িয়ে এ ধর্ম এক মহাজীবনের কথা বলে , বলে মানুষের সাথে স্বয়ং স্রষ্টার মহাপ্রেমের কথা , যে প্রেমের স্বর্গীয় স্পর্সে সব মানুষ এক ও অবিছিন্ন মহাশক্তিতে পরিনত হয় । নিজের ভেতরে থাকা প্রেমের মহাশক্তিকে কিভাবে জাগিয়ে তুলতে হয় এবং ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবখানে ছড়িয়ে দিতে হয়, এ ধর্ম সেই শিক্ষাই দেয় ।পরনিন্দা এই ধর্মে নিষিদ্ধ ,সম্পুর্ন অহিংস এ ধর্মে হত্যা নিষিদ্ধ,এমনকি অস্ত্র বহন করাও নিষিদ্ধ- যেখানে অন্য ধর্মালম্বি অপর ধর্মালম্বিকে হেয় করার জন্য হিংসাত্মক উগ্র কর্মকান্ড করে। নারী-পুরুষের সমতার কথা-প্রেমোময় সম্পর্কের কথা বাহাই ধর্ম জোড় দিয়ে বলে । তালাক কে নিরুতসাহিত করে বহুগামী প্রথাকে এই ধর্মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে , যেখানে বহু বিবাহ বা ব্যাভিচার সারা বিশ্বে মারাত্মক সামাজিক সংকট সৃষ্টি করছে ।অন্ধ বিশ্বাস কে এই ধর্মে নিরুতসাহিত করে- বিজ্ঞান সম্মত চর্চাকে উতসাহ প্রদান করা হয়েছে ।ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা এই ধর্মে খুব কম বরং মানবতার সেবাই যে ঈশ্বরের আরাধনা এটা এ ধর্মে পরিষ্কার করা হয়েছে ।মানুষে মানুষে বিভেদ ও সংঘর্ষে জর্জরিত ক্ষত বিক্ষত এ পৃথিবীতে- এ ধর্ম আজ সব ধর্মের সব মানুষের জন্যেই স্বয়ং স্রষ্টার আশীর্বাদ ।ধর্মগুলো যদি হয় রেলগাড়ী , তাহলে বাহাই হচ্ছে প্লাটফর্ম , যেখানে সবার নিজ নিজ ধর্ম নিয়ে বিশ্রামের অধিকার আছে ।যে বাহাই সে স্রষ্টার প্রেমিক-মানবতার রক্ষক , সে অর্থে অন্য ধর্মালম্বি স্রষ্টার প্রেমিক হলে সেও বাহাই । বাহাই ধর্ম বলেনা কোন ধর্ম বড় বা ছোট বরং শিক্ষা দেয় নিজ ধর্ম ধরে রেখে কিভাবে বিশ্ব নাগরিক হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়া যায় ।সব ধর্ম বর্ন গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি মানবিক বিশ্ব সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাহাইরা নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছে , এ মহান সংগ্রামের জন্য তাদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা । তাই আমরা যেই ধর্মেরি অনুসারী হই না কেন , এ্টা নিশ্চিত যে- এই ধর্মের সাথে অটুট সম্পর্ক , আমাদের জন্য আশাবাদী কিছু বয়ে আনবে ।

প্রতিদিনের বাধ্যতামূলক বাহাই প্রার্থনা

“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হে আমার ঈশ্বর , তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ তোমাকে জানবার জন্য ও তোমার ইবাদত করার জন্য । আমি এই মুহূর্তে শপথ করে বলছি যে , আমি শক্তিহীন - তুমি শক্তিশালী , আমি দরিদ্র - তুমি ধনী ।

তুমি ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নাই , তুমি সংকটমোচনকারী , তুমি স্বয়ংসিদ্ধ”।

আধ্যাতিক উন্নতির জন্যে প্রার্থনা



--পরমগুরু আব্দুল বাহা—

“হে ঈশ্বর , আমার হৃদয়কে সতেজ ও আনন্দপুর্ন কর । আমার অন্তর পবিত্র কর । আমার শক্তিসমূহ উজ্জল কর । আমি আমার সকল কাজ তোমারি হাতে ন্যস্ত করছি । তুমিই আমার পথপ্রদর্শক এবং আমার আশ্রয় । আমি আর দুঃখিত ও ব্যথিত হবো না । আমি একজন সুখী ও আনন্দপুর্ন মানুষ হবো । হে আমার ঈশ্বর! আমি আর চিন্তাযুক্ত হবো না , আর কোন বিপদ আমাকে ব্যতিব্যস্ত করবে না ।আমি জীবনের খারাপ বিষয়গুলোর সম্বন্ধে কিছুই উল্লেখ করবো না । হে ঈশ্বর, তুমি আমার থেকেও আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু । আমি তোমারি প্রতি আমার জীবন উতসর্গ করছি , হে পরম প্রভু”।

বাহাই ধর্মে “ঈশ্বর” ভয়ানক নন বরং প্রেমময় এক সর্বশক্তিমান মহান সত্তা ।

বিশ্ব-মানবের প্রতি স্বয়ং স্রষ্টার বানী:

হে পরমাত্মার সন্তান!

আমি তোমাকে ধনশালী করে সৃষ্টি করেছি , কেন তুমি নিজেকে দরিদ্র করছো ? আমি তোমাকে সম্ভ্রান্ত করে সৃষ্টি করেছি , কিসের জন্যে তুমি নিজেকে নিচু করছো ? জ্ঞানের সারাংশ হতে আমি তোমাকে প্রকাশ করেছি , কেন তুমি আমাকে ছেড়ে অপরের কাছ থেকে জ্ঞানের আলো অন্বেষন করছো ?প্রেমের মাটি দিয়ে তোমাকে আমি গঠন করেছি , কেমন করে তুমি নিজেকে অপরের সাথে নিযুক্ত করে রেখেছ ?তোমারি দিকে তোমার চক্ষু ফিরাও , যেন তুমি আমাকে তোমারি মধ্যে অবস্থানকারী শক্তিসালী , প্রতাপসম্পন্ন ও চীরস্থায়ী দেখতে পাও ।



বাহাই ধর্মের সাংগঠনিক ব্যবস্থা:



--অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাহাই প্রতিক--



ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বাহাই আধ্যাতিক পরিষদ তিন স্তরে গঠিত ।সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি হলো সার্বোজনীন বিচারালয় । তারপর জাতীয় এবং স্থানীয় আধ্যাতিক পরিষদের সমন্বয়ে বাহাই সমাজ তার কার্যপরিচালনা করে থাকে ।প্রতিটি দেশে বাহাইগন বছরে একবার জাতীয় আধ্যাতিক পরিষদ , এবং প্রতিটি গ্রামে (শহরে বা গ্রামে) স্থানীয় আধ্যাতিক পরিষদ নির্বাচিত করে । বাহাই সমাজে কোন সৈরশাসন , ইমাম , পুরোহিত বা যাজক শ্রেনির অস্তিত্ব নেই ।স্থানীয় আধ্যাতিক পরিষদ সমাজের বিষয়াবলী পরিচালনা করে এবং প্রত্যেকের সুখ শান্তির জন্যে কাজ করে । একটি স্থানীয় আধ্যাতিক পরিষদে ৯ জন সদস্য থাকেন , যারা একটি প্রার্থনাপূর্ণ পরিবেশে সমাজের সকল প্রাপ্তবয়স্ক বিশ্বাসীদের গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন । স্থানীয় আধ্যাতিক পরিষদগুলো বাহাইদের জন্যে অত্যান্ত গুরত্বপুর্ন , আমরা সেগুলোর মাধ্যমে মানুষের বিষয়াবলী কিভাবে পরিচালনা করা যায় এবং কিভাবে একটি নতুন বিশ্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে তা শিখতে পারি । এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা যা “বাহাউল্লাহ’র বিশ্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা বলে পরিচিতি লাভ করবে ।

বাহাই ধর্মের মূলমন্ত্রঃ

• ধর্মের একত্রিকরণ

• নারী ও পুরুষের সমান অধিকার

• বর্ণবৈষম্য দুরীকরন

• বিশ্ব শান্তি

• বিজ্ঞান ও ধর্মের সামঞ্জস্য

• সত্যানুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত

• বাধ্যতামূলক শিক্ষা

• সহায়ক ভাষা

• সরকারের প্রতি আনুগত্য ও রাজনীতিতে অংশগ্রহন না করা

• ধনী ও দরিদ্রের পার্থক্য দুরীকরন





কিছু বাহাই নিয়ম নীতি:

বাহাই আঈন ‘কিতাব-ই-আকদাস’ থেকে অনুসৃত। বাহাই প্রার্থনা দুইটি ভাগে বিভক্ত, বাধ্যতামূলক ও সাধারন প্রার্থনা। ১৫ বছরের অধিক বয়স্ক প্রত্যেক বাহাই প্রতিদিন একবার বাধ্যতমুলক প্রার্থনা করে।

• পর নিন্দা পরচর্চা নিষিদ্ধ।

• সুস্থদেহের অধিকারী সব বাহাই মার্চের ২ থেকে মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস রাখে।

• বাহাইদের জন্য এ্যাল্কোহল, ও মাদক নিষিদ্ধ (ডাক্তারের ব্যাবস্থাপত্র ছাড়া)

• বিবাহের সংজ্ঞ্যা একটি পুরুষ ও একটি নারীর মধ্যে হতে হবে, পার বৈবাহিক ও সমকামীতা নিষিদ্ধ

• জুয়া নিষিদ্ধ

• উগ্রবাদীতা নিষিদ্ধ

• লোকিকতা নিষিদ্ধ বাধ্যতামূলক প্রার্থনা ছাড়া

বাহাই বিবাহ অত্যন্ত সাধারন, আনুষ্টানিকতা বিবর্জিত, শুধু নারী পুরুষ উভয়ে দুইজন স্বাক্ষীর সামনে “অবশ্যই আমরা ইশ্বরের ইচ্ছামত চলব” উচ্চারন করে বিবাহিত হয়ে যায়।







নিবেদক,

আব্দুল গফুর রবিন

ব্লগার: somewhereinblog.net/abdul915 , Click This Link



তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট , মহান বাহাউল্লার “নিহিত বাক্যাবলী” , http://www.bahai.org , http://www.bahaullah.org/ , http://www.somewhereinblog.net/ , বাহাই ধর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ।





















বাহাই ধর্ম নিয়ে ব্লগারদের কিছু লেখা:

http://www.somewhereinblog.net/ থেকে ব্লগার ইমন জুবায়েরের লেখাঃ-

বাহাউল্লার কথা বলার আগে সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ-এর কথা বলতে হয়।

সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ এর জন্ম ২০অক্টোবর ১৮১৯; ইরানের সিরাজ প্রদেশে। তরুন বয়েসে ব্যবসা করতেন সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ। ছিলেন মেধাবী, অন্যদের মতো নয়- ধর্মশাস্ত্র নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করতেন। কিছু ভাবুক গোছেরও ছিলেন সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ। ছিলেন তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষক। ইসলামের অনেক রীতিনীতিই যে ইরানের সমাজে মানা হচ্ছিল না-লক্ষ করেছিলেন। ইরানি সমাজেএকটা পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন। ঝুঁকি নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।

আজকের মতো সেকালেও ইরানি সমাজে বারো জন ইমাম-এর কথা প্রচলিত ছিল। বারো ইমামের শেষজন ছিলেন ইমাম মাহদি। বলা হয়ে থাকে- ইনি নাকি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন প্রতিনিধির মাধ্যমে। শেষ প্রতিনিধির মৃত্যু হলে ইমাম মাহদি চলে যাবেন এক অতল অতীন্দ্রিতায়। তখন ইমাম মাহদি জীবিত থাকলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে না। তবে কেয়ামতের আগে শেষ জামানায় জগত যখন পাপাচারে পূর্ন হয়ে উঠবে- অতীন্দ্রিতা থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ধর্মের পুনুরুদ্ধার করবেন মাহদি।

তো, সিরাজ প্রদেশের সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে মাহদি দাবী করলেন।

তখন ১৮৪৪ সাল। সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদের কেবল ২৪ বছর বয়েস। এমনই ঘোর!

প্রথম প্রথম লোকে তাঁর কথা অগ্রাহ্য করল। ইরানে ছয় মাস পরপর একজন বিভ্রান্ত ব্যাক্তি নিজেকে ইমাম মাহদি বলে দাবি করে। ইরানের তখতে তখন শাহ। তার কানে গেল কথাটা। তিনিও আমলে নিলেন না। বরং, মুচকি হাসলেন।

নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করে সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ নতুন নাম নিলেন বাব। বাব মানে: দরওয়াজা। গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিবর্গের কাছে চিঠি লিখতে শুরু করলেন। বই লিখলেন। বইয়ে নতুন শিক্ষা, নতুন পথের কথা বললেন। ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক চ্যূত করলেন। বাব-এর প্রধান লেখার নাম: “বেয়ান।” (মনে হয় বয়ান বলতে যা বুঝি তাই।)

জনৈক ঐতিহাসিক লিখেছেন-The Báb taught that the realm of language, as well as all other aspects of phenomenal reality, including natural and cultural objects were symbolic of a deeper spiritual meaning. He taught that everything that exists in the world is a sign that proclaims the sovereignty of God. In this way, reality is a type of language that consists of words and letters that celebrate the divine revelation in all things. In his later writings the Báb described the divine or eternal essence to be unknowable, indescribable and inaccessible.

অধিকন্তু, The Báb compared the divine to the sun which remains single, although it appears under different names and forms in the persons, prophets, whom it is in manifested in. Some of these teachings exhibit features common to earlier Shite sects such as the Ismailis and the Hurufis.

অধিকন্তু, বাব নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করার পরও একজন প্রেরিতপুরুষের আবির্ভাবের কথা ঘোষনা করেছিলেন।

কত লোক এসে জুটল তার বয়ান শুনে। তাদেরও বিদ্যমান ধর্মকর্ম ভালো লাগছিল না। বাব-এর দলে লোক ভারী হল। লোকে তাদের বলল বাবি, মানে বাব-এর অনুসারী।

শিয়া কাঠমৌল্লারা আর বরদাস্ত করল না। কী বাব নিজেকে ইসলামের পয়গম্বেরর সমান দাবি করেছে। বেয়ান কে বলছে কোরানের চেয়েও যুগোপযোহী! শাহ তার শাসনশোষন বজায় রাখার জন্য শিয়া কাঠমৌল্লারাদের পুষতেন। তারা শাহের কানে কানে কী সব বলল। শাহ সাহেব মদের গেলাস ঠক করে টেবিলে রেখে প্রধান মন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন।

প্রধানমন্ত্রী ক্রর হাসল।

কদিন পরেই বাবের অনুসারীদের ওপর গুলি চালালো ইরানি সৈন্যরা।

এবং অতি সত্ত্বর গেরেপতার করা হল সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ ওরফে ইমাম মাহদি ওরফে বাব-কে।

আগেই বলেছি। সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ ছিলেন তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষক। ইসলামের অনেক রীতিনীতিই যে ইরানের সমাজে মানা হচ্ছিল না-লক্ষ করেছিলেন সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ। ইরানি সমাজে একটা পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন। ঝুঁকি নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ। ১৮৫০। জুলাই মাসের ৯ তারিখ। তাবরিজের ফায়ারিঙ স্কোয়াডের সামনে দাঁড়ালেন বাব। একজন সৈন্য তাঁর চোখ বেঁধে দিল। ... মৃতদেহ প্রথমে তেহেরান আনা হয়েছিল। পরে ওখান থেকে ইজরাইলের হাইফায়। যা করার বাবিরাই করেছিল। ইজরাইলের হাইফায় বর্তমানে বাব-এর সমাধি ।

বাব এর হত্যাকান্ডের পর দুটো ঘটনা ঘটল।

১/বাবিরা ইরান থেকে নির্বাসিত হল।

২/ বাবের দেখানো পথ থেকে বাহাই আন্দোলনের সূত্রপাত হল।

বাব যে একজন প্রতিশ্রুত পুরুষের কথা ভবিষ্যৎবানী করে গিয়েছেন সে কথাটা মনে রেখেছিল তেহরান শহরের হুসাইন আলী নুরি। এবার তাঁর কথাই না-হয় বলি। হুসাইন আলী নুরির জন্ম ১২ নভেম্বর। ১৮১৭। বাব-এর চেয়ে বছর দুয়েকের ছোট ছিলেন নুরি। নুরির বাবা ছিলেন শাহ আমলের একজন মন্ত্রী। নাম: মির্জা বুর্জুগ ই নুরি। ইরানের রাজকীয় বংশের সঙ্গে নাকি কী রকম সম্পর্ক ছিল তাদের । যাক। কিশোর বয়েসে সুখেস্বচ্ছন্দে কেটেছিল হুসাইন-এর। শিখেছিল ক্যালিওগ্রাফি, অশ্বারোহণ বিদ্যা, তরোয়ালবাজি আর পাঠ করছিল ধ্র“পদি কাব্য। নিসর্গপ্রকৃতি ভালোবাসত সে কিশোর। অনেকটা সময় ওর কাটত উদ্যানে। আর কে না জানে- তেহরান বরাবরই ছিল উদ্যানের নগর।

যা হোক। এক সময় হুসাইন-এর বাবা মারা গেলেন। উপরমহল থেকেই হুসাইন কে সাধা হল মন্ত্রীত্ব । যুবক অস্বীকার করল। প্রধানমন্ত্রী হেসে বললেন, থাক। ছেলেটা অন্যরকম। ইনিই পরে বাবিদের রক্তে হাত রাঙিয়ে ছিলেন। মনে থাকার কথা শিয়া মোল্লাদের প্ররোচনায় শাহ সাহেব মদের গেলাস ঠক করে টেবিলে রেখে প্রধান মন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে ছিলেন।

স্বাপ্নিক হুসাইন নিঃস্ব মানুষের গিয়ে পাশে দাঁড়াল।সময়টা- ১৮৪০। তেহরানের লোকে যুবককে ভালোবেসে বলল, “গরিবের বাবা।”

১৮৪৪। সিরাজ প্রদেশের সাইয়িদ আলী মুহাম্মাদ-এর মাহদি দাবী করার কথাটা হুসাইন-এর কানে গেল। ছিলেন কৌতূহলী। ১৮৪৮। বাদাস্ত গ্রামে বাবিদের সঙ্গে দেখা করলেন হুসাইন। জীবনজগৎ সম্বন্ধে বাবা-এর অসাধারন ব্যাখ্যায় রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলেন। একজন বাবি তাকে বেয়ান পড়তে দিল। হুসাইন গভীর মন দিয়ে বেয়ান পড়তে লাগলেন। বাব যে একজন প্রতিশ্র“ত পুরুষের কথা ভবিষ্যৎবানী করে গিয়েছেন সে কথাট সবচে ভালো লাগল হুসাইনের। কী যেন ভাবলেন মনে মনে। বাব-এর ধর্ম গ্রহন করলেন। বাবিদের সঙ্গে গোপনে ঘন ঘন দেখা করছেন। ঐ বছরই, অর্থাৎ ১৮৪৮ সালে মাজিনধারান প্রদেশের আমূলে কয়েকজন বাবির সঙ্গে দেখা করতে গেল হুসাইন। শেখ তাবারসি দূর্গের কাছে সরকারী সৈন্যরা তাকে গেরেপতার করল । বন্দি অবস্থায় পায়ের তলায় রড দিয়ে পেটাল। যার হওয়ার কথা ছিল পারস্যের মন্ত্রী তাকেই কি না উলটো করে ঝুলিয়ে গরম রডের ছ্যাঁকা দিল পায়ে! ধর্মের ঘোর এমনই!

১৮৫২। তেহরানের কাছে এফচি নামে একটি গ্রাম। সেই গ্রামেরই একটি বাড়িতে ক’জন বাবির সঙ্গে গভীর আলোচনায় মগ্ন ছিল হুসাইন। বছর দুয়ের আগে বাবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এখন কী করা যায়। আলোচনা সেসব বিষয়ে চলছিল। হঠাৎ একদল সৈন্য বাড়িটা ঘিরে ফেলল। একজন সৈন্য অস্ত্র উচিঁয়ে বলল- ইরানের মহামান্য শাহ্ কে হত্যা-পরিকল্পনার অভিযোগে তোমাকে গেরেপতার করা হল।

হুসাইন মুচকি হাসল।

এফচি থেকে হুসাইনদের হাঁটিয়ে নেওয়া হল তেহরান অব্দি। আগস্ট মাসের গনগনে দিন। প্রখর সূর্যরশ্মি গায়ের চামড়া পুড়িয়ে ফেলছিল। পথের দুপাশে উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে। তারা ভদ্র তারা ইরানি তারা শিয়া। তারা নষ্ট হুসাইনদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারল। বাপ-মা তুলে গালাগাল করল। হুসাইন তখন ঈশ্বরের মুখটি স্মরণ করছিল ...

সেই সময় তেহরানে ছিল ভয়ঙ্কর এক জিন্দানখানা। এককালে ওটাই ছিল ভূগর্ভস্থ জলাধার। পানি শুকিয়ে এলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। শাহ প্রশাসন ওই জায়গাই বেছে নিয়েছিল নিকৃষ্টমানের কয়েদিদের রাখার জন্য। তেহরানের লোকেরা জিন্দানখানাকে বলত: কালো গহব্বর। পাথরের সিঁড়ি পেরিয়ে ভিতরের ঢোকার পথ একটাই । ভিতরে গিজগিজ করত কয়েদির। গুমুতের দুর্গন্ধ ... আর অন্ধকার।

হুসাইনদের ঐ কালো গহব্বরেই ফেলা হল । হুসাইনে গলায় লোহার শৃঙ্খল। দিন কাটছিল অসহ্য শারীরিক মানসিক যন্ত্রনায়। এখানেই একদিন স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ পেল হুসাইন। আমার নিয়ম পরির্তিত হয়। একটাই নিয়মে জগৎ দীর্ঘকাল চলতে পারে না। আর আজ থেকে তোমার নাম বাহাউল্লা।

হুসাইন জানে, বাহাউল্লা অর্থ আল্লার গৌরব। তাঁর শরীর শিউরে ওঠে। অন্ধকারে গুয়ের গন্ধ ... পেশাবে গন্ধ। সে সব ছাপিয়ে বাহাউল্লা আতরের গন্ধ পান। নিকষ অন্ধকারের ভিতরে আলোর রেখা দেখতে পান। বাহাউল্লা কাঁদেন আর কাঁদেন। হে খোদা, আমাকে নির্বাচন করলে কেন? আমাকে নির্বাচন করলে কেন?



সেই সময়টায় তুরস্কের অটোমানদের সঙ্গে ইরানের শাহের সম্পর্ক ছিল তিক্তমধুর ।

নির্বাসিত বাবিরা অটোমানদের মনে হয় বুঝিয়ে ছিল। যে কারনেই হোক- আটকের চার মাস পর বাহাউল্লাকে মুক্তি দিল ইরান সরকার। মুক্তি দিয়েই ইরান থেকে নির্বাসিত করা হল তাঁকে।

বাহাউল্লা প্রথমে বাগদাদের পথে রওনা হলেন। সঙ্গে পরিবার আর শিষ্যরা ছিল। পথে শীত ও ক্ষুধার জ্বালায় ভুগল সবাই। যা হোক। বাগদাদ ছিল অটোমানদের। নির্বাসিত বাবিরা আগে থেকেই বাগদাদে ছিল। তারাই আশ্রয় দিল বাহাউল্লা পরিবারকে।

বাহাউল্লা তারপর নির্জন বাসের উদ্দেশে কুর্দিস্থানের এক নিভৃততম পাহাড়ের কাছে চলে গেলেন। The period is reminiscent of Moses' withdrawal to Mount Sinai, Jesus’ 40 days and nights in the desert, and Muhammad's retreat to the cave on Mount Hira.

পাহাড়ে একাই গেলেন বাহাউল্লা। কাউকে সঙ্গে নিলেন না। তারপর একটি নির্জতম গুহা বেছে নিয়ে ধ্যান করতে শুরু করলেন প্রাচীন পারস্যে প্রেরিতপুরুষ জরথুশত্রর মতন । নির্জন সে পাহাড়ের গুহায় বাহাউল্লা কাঁদেন আর কাঁদেন। হে খোদা, আমাকে নির্বাচন করলে কেন? আমাকে নির্বাচন করলে কেন?

বাহাউল্লা পরে যে বইগুলি লিখেছিলেন সেসব লেখার প্রেরণা ওই নির্জনবাসে থাকাকালীনই পেয়েছিলেন।

২ বছর কাটল নির্জনে।

তারপর বাগদাদে ফিরে এলেন। একে একে লিখতে শুরু করলেন। (১) লুকানো শব্দ। (২) সাত উপত্যকা। (৩) নিশ্চিত বই। এই বইটিই “কিতাব-ই-ইকান” নামে পরিচিত। যে বইয়ে জীবনকে বলেছেন-মহাজাগতিক উপন্যাস। সেই সময়টায় বাগদাদের কফিহাউসগুলিতে ভিড় করত বাগদাদের সব ভাবুক চিন্তাবিদেরা। বাহাউল্লা যেতেন ওখানে। অনেকেই আকৃষ্ট হয়েছিল তাঁর শান্ত সৌম চেহারায়। বিজ্ঞানের আলোচনা হত কফিহাউসগুলিতে। বাহাউল্লা বুঝলেন বিজ্ঞানকে এড়ানো যাবে না। তবে এক আধ্যাত্মিক নীতি যেন বিজ্ঞানকে পরিচালিত করে।

বাগদাদে দশ বছর কাটল।

সময়টা ১৯ শতকের। মুসলিম বিশ্ব শাসন করছিল ইরান ও অটোমান সাম্রাজ্য । দুটো শক্তির প্রভাব বাহাউল্লার জীবনে পড়েছিল। আগেই বলেছি, বাগদাদ ছিল অটোমান তুর্কিদের নিয়ন্ত্রনে। অটোমান তুর্কিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শাহ সাহেব বাহাউল্লার নির্বাসনের বাধ্য করলেন। ১৮৬৩। বাহাউল্লাকে ইস্তানবুলে যাওয়ার নিদের্শ দিল অটোমান সরকার। ইস্তানবুল ছিল অটোমানদের রাজধানী। এ ভাবে শাহ সাহেবের ইচ্ছা পূরণ হল। বাহাউল্লা তুর্কিদের চোখের সামনেই থাকুক। বাহাউল্লাকে নিয়ে যা করার ওরাই করুক। আমার হাতে অনেক রক্ত ...

ইস্তানবুল রওনা হওয়ার আগে তাইগ্রিস নদীর পাড়ে সঙ্গী শিষ্যদের নিয়ে পাড়ে ১২ দিন কাটালেন বাহাউল্লা। তাদের বললেন, বাব যার কথা বলেছিলেন আমিই সে। আর, সৃষ্টিকর্তা একজন। তিনিই সকল সৃষ্টির কারণ। সৃষ্টিকর্তা transcendent

হওয়ায় তাকে জানা সম্ভব না। তিনি পূর্বে প্রেরিতপুরুষ পাঠিয়েছেন।

যেমন? এক শিষ্য জানতে চাইল।

বাহাউল্লা বললেন, ১ আদম ২ ইব্রাহিম ৩ মুসা ৪ কৃষ্ণ ৫ জরথুশত্র ৬ বুদ্ধ ৭যিশু ৮মহম্মদ ৯ বাব ও তাঁর পর আমি।

সৃস্টিকর্তা ভবিষ্যতেও প্রেরিতপুরুষ পাঠাবেন। যাদের মাধ্যমের ঈশ্বরের কথা প্রকাশ পাবে।

এ কথার পর গুঞ্জন উঠল।

বাহাউল্লা বললেন, আমাদের আজ বিশ্বধর্মের ঐক্যের কথা ভাবতে হবে। তবে আমি বলি না যে সবই সত্য।

তা হলে?

বাহাউল্লা বললেন, বরং আমি বলব-সব ধর্মমতের উৎস অভিন্ন। পরিবেশের কারণে ধর্মগুলি বিভিন্ন রকম দেখায়। আয়ারল্যান্ডে সাধু প্যাট্রিকের খ্রিস্ট ধর্ম প্রচলিত। আমরা পারস্যের মানুষ। সে ধর্ম সত্য হলেও আমরা তা পালন করি কি করে?

তাই তো।

আর, প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে আত্মা। আত্মা অমর। মৃত্যুর পর এটি কখনও ধুলিস্মাৎ হয়ে যায় না।

এ কথার পর গুঞ্জন উঠল।

আর আমাদের জাতিগত সমতায় বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের হতে হবে লৈঙ্গিক বৈষম্যবিরোধী। আমাদের এক অভিন্ন বিশ্বসরকারব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। যেখানে মানুষ রয়েছে-তা হলে অর কি পার্থক্য ইউরোপ আর এশিয়ায় বল?

তাই তো!

অন্যরা যাই করুক। বাহাউল্লা বললেন- বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রত্যেক রাষ্ট্রের কাছে ধর্মীয় সহনশীলতা দাবী করব। আর, আমাদের বিজ্ঞানে বিশ্বাসী হতে হবে। তবে যেন এক আধ্যাত্মিক নীতিমালা বিজ্ঞানকে পরিচালিত করে। কুসংস্কার দূর করার জন্য আমাদের কাজ করতে। ধর্মকে দূর্বল করে দেয় কুসংস্কার। মনে রাখতে হবে-কর্মই ধর্ম। সবাই প্রতিদিনই খোদার কাছে প্রার্থনা করবে দুঃখকষ্টে পরিপূর্ন একটি জীবন উপহার দেওয়ার জন্য। আর, তোমরা মদ পান করো না। সব সময় সচেতন থেকো। মনে রেখ, মহান বাব ১৯ সংখ্যাকে পবিত্র বলে গন্য করতেন। তোমরা বছরে ১৯ দিন উপবাস করবে। তোমরা ৩টি কথা সব সময় মনে রাখবে-"The best beloved of all things in my sight is justice,""The earth is but one country, and mankind its citizens""The well-being of mankind, its peace and security, are unattainable unless and until its unity is firmly established."

তারপর নতুন শিষ্যদের দিকে চেয়ে বাহাউল্লা বললেন-আর আমার কথা আর কী বলব। আমার বাবা ছিলেন শাহ আমলের মন্ত্রী । বাবা মারা যাওয়ার পর আমাকে মন্ত্রীত্ব সাধা হল। ওসব আমার ভালো লাগত না। ভিড়ভাট্টা। বরং নিঃস্ব মানুষের গিয়ে পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে হল। যতটা পেরেছি করেছি। তোমরাও করো।

এমনতরো উপদেশ দিয়েই তাইগ্রিস নদীর পাড়ে সঙ্গী শিষ্যদের নিয়ে পাড়ে ১২ দিন কাটালেন বাহাউল্লা। বাহাইরা আজও রিদভান উৎসব পালন করে ঐ বারো দিন স্মরনে। কেননা, বাহাউল্লা বলেছিলেন-বাব যার কথা বলেছিলেন আমিই সে। বাহাউল্লার দাবী কট্টরপন্থি বাবিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল।

তখন বাহাউল্লা বললেন, তোমরা জান আমাকে তেহরানের কালো গহব্বরে ফেলা হল । আমার গলায় ছিল লোহার শৃঙ্খল। আমার দিন কাটছিল অসহ্য শারীরিক মানসিক যন্ত্রনায়। তখনই একদিন স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ পেলাম: আমার নিয়ম পরির্তিত হয়। একটাই নিয়মে জগৎ দীর্ঘকাল চলতে পারে না। আর আজ থেকে তোমার নাম বাহাউল্লা।

বাহাউল্লার কথা কট্টর বাবিরা মানল না। বাহাউল্লার এক ভাই ছিল। নাম: ইয়াহিয়া । সে ছিল কট্টর বাবপন্থি। সে ষড়যন্ত্র শুরু করল।

যা হোক। বাগদাদ ছেড়ে যাওয়ার দিন পথের দুপাশে অজস্র মানুষ ভিড় করেছিল। বাগদাদের লোকেরা বড় ভালোবেসেছিল পারস্যের নম্র সুন্দর মানুষটিকে। তারাই বিদায় জানাতে এসেছিল। ভিড়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সব পন্ডিতবর্গ-এমন কী সরকারী কর্মকর্তারাও নাকি ছিল।

১৮৬৩। ৩ মে। ইস্তানবুল পৌঁছলেন বাহাউল্লা। মোট চার মাস ছিলেন ইস্তানবুলে। সুলতানকে রীতি অনুযায়ী উপঢৌকন দেননি। সুলতান বিরক্ত হলেন। নির্বাসনের নির্দেশ দিলেন। ইন্তানবুল থেকে এবার অ্যাডরিয়ানোপোল। অ্যাডরিয়ানোপোল জায়গাটা তুরস্কের পশ্চিমে, গ্রিসের পূর্বে।

ওদিকে বাবি ও বাহাই বিরোধ তুঙ্গে উঠেছিল। আগেই বলেছি বাহাউল্লার ইয়াহিয়া নামে এক ভাই ছিল। সে ছিল কট্টর বাবপন্থি। সে গোপনে বিষ মেশালো খাবারে। সে বিষমেশানো খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাহাউল্লা।

যা হোক। শেষমেশ সেরে উঠলেন কোনওমতে।

এবার আক্কায় নির্বাসন যেতে আদেশ দিল তুর্কিরা।

আক্কা জায়গাটা ছিল তৎকালীন প্যালেস্টাইনে। বর্তমানে জায়গাটি ইজরাইলের উত্তরে। কাছেই হাইফা উপসাগর। অটোমান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্থানীয় লোকজনদের বলা হল: বাহাউল্লা রাষ্ট্রের শক্র। এদের চোখে চোখে রেখ।

প্রথম বছর বড় দুঃখেকষ্টে কেটেছিল আক্কায়। বাহাউল্লার এক ছেলে ছিল। নাম- মির্জা মেহেদি। সে আকস্মিক ভাবে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেল।

বাহাউল্লার শেষ জীবন কেটেছিল আক্কার বাইরে। “বাহজি ম্যাসন” নামে একটা বাড়িতে।

মৃত্যুর আগে ‘কিতাব-ই-আকদাস’ লিখলেন। তখনও অটোমানদের বন্দি ছিলেন বাহাউল্লার।

৯ মে। ১৯৯২। প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হলেন। ঘোরের মধ্যে বললেন- হে খোদা, আমাকে নির্বাচন করলে কেন? আমাকে নির্বাচন করলে কেন?

২৯ তারিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশ্বধর্মের প্রতিশ্র“ত উদ্ধারকর্তা।।

বাহজি ম্যাসনের পাশেই কবর দেওয়া হল।



বাহাউল্লার এক ছেলের নাম আবদুল বাহা।

বাহাউল্লার মৃত্যুর পর তিনিই বাহাই ধর্মের হাল ধরেছিলেন।

৯টি পুণ্য দিবস উদযাপন বাহাইরা। সবই বাব ও বাহাউল্লার স্মৃতির সঙ্গে জড়িত।

বাহাইদের তীর্থ দুটি।

একটি বাব-এর সমাধি । মনে থাকার কথা-১৮৫০। জুলাই মাসের ৯ তারিখ। তাবরিজের ফায়ারিঙ স্কোয়াডের সামনে দাঁড়ালেন বাব। একজন সৈন্য তাঁর চোখ বেঁধে দিল।মৃতদেহ প্রথমে তেহেরান আনা হয়েছিল। পরে ওখান থেকে ইজরাইলের হাইফায়। বাব-এর সমাধিই বাহাইদের অন্যতম তীর্থ ।

দ্বিতীয় তীর্থটি বাহজি ম্যাসন।

Bahá'ís have no clergy, sacraments or rituals.

সংগঠন-

The Universal House of Justice in Haifa, Israel, is the global governing body; বাহাউল্লা নিজেই এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঠিক করে দিয়ে গেছেন। বাহাইরা লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বাসী হলেও-It is an all-male body.

National Spiritual Assemblies (NSA) supervise affairs in each country. The American NSA is located in Wilmette IL at the site of a Bahá'í House of Worship, one of 7 worldwide.

In each locality where there are more than nine adult believers, affairs are administered by local spiritual assemblies. Each of these institutions has nine members and is elected, not appointed. Their functions have been defined by Baha'u'llah and 'Abdu'l-Baha in Bahá'í scripture.













http://www.somewhereinblog.net/ থেকে ব্লগার সোজা চাদের লেখাঃ-

বাহাই ধর্ম বা বাহাই বিশ্বাস হচ্ছে বাহাউল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একেশ্বরবাদী একটি ধর্ম বা বিশ্বাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পারস্যে (বর্তমানে ইরান) এই ধর্মের উৎপত্তি। বাহাই মতবাদ শিয়াদের এক উপদল, পারশিয়ার (পারশ্যের) বাহাউল্লাহ উনবিংশ শতাব্দীতে এক ইশ্বরবাদের ‘বাহাই’ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। সারা দুনিয়ায় এখন ৫০/৬০লাখ ‘বাহাই’ দুনিয়ার ২০০টির বেশী অধিক দেশে ছড়িয়ে আছে।

ইব্রাহীম, বুদ্ধ, যীশু, মুহাম্মদ এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সাম্প্রতিক কালে ‘বাব’ ও‘বাহাউল্লাহ’ এই বার্তাবাহকের ক্রম বজায় রেখেছেন।

বাহাউল্লাহ’র অনুসারীদেরকে বাহাই বলা হয়। আরবী শব্দ ‘বাহা’ অর্থাৎ সমুজ্জল থেকে অনুসৃত। বাহাইরা ইশ্বরের একত্রিকরণ, ধর্মের একত্রিকরণ আর মানবকুলের একত্রিকরণে বিশ্বাস করে। সাধারন মুসলিমদের মত এরাও একইশ্বরেই বিশ্বাস করে।

২৩শে মে ১৮৪৪ সালে ইরানের ‘শিরাজ’ শহরে ‘বাব’ জনসমক্ষে ঘোষনা দেবার সাথে সাথেই পারশিয়ান প্রশাসন ও অটোমান সাম্রাজের চক্ষুশূল হন। ‘বাব’ এর পরে ‘বাহাউল্লাহ’র ১৮৯২ সালের মৃত্যুর সময় এশিয়া ও আফ্রিকার ১৩টি দেশে এর প্রসার দেখে গেছেন। তার ছেলে ‘আব্দুল বাহা’ পরে তা ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রসার করেন। এই ধর্মের জন্মভূমি ইরানে এখনো এই ধর্ম নিগৃহীত। ১৯২১ সালে আব্দুল বাহার মৃত্যুর পরে এই ধর্ম নতুন এক রূপ পায়, ব্যাক্তিকেন্দ্রীক প্রচারনার চাইতে একটি সংগঠন হিসাবে কাজ শুরু করে যেখানে নির্বাচিত ও নিয়োযিত দুইধরনের প্রতিনিধি কাজ করে।

২৩শে মে ১৮৪৪ সালে ইরানের সিরাজ নগরীর ‘শিয়া’ ধর্মাবলম্বী ‘সাঈয়েদ আলি মুহাম্মদ’ নিজেকে ‘আল বাব’ ঘোষনা করেন, বাব আরবী শব্দ যার অর্থ ‘দরজা’। তার অনুসারীদের তারপর থেকে ‘বাবী’ বলা হত। তারপর থেকে এইমত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে তৎকালীন ইসলাম শাসকরা এটাকে হুমকী হিসাবে গন্য করে এইমতানুসারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও চরম অত্যাচার শুরু করে। তাৎকালীন ‘শাহ’ এর সামরিক বাহিনীও কয়েক জায়গায় এতে জড়িয়ে যায়। বাবকে আটক করা হয় আর ১৮৫০ সালে তাকে হত্যা করা হয়।

বাহাই ধর্মের মূলমন্ত্রঃ

• ধর্মের একত্রিকরণ

• নারী ও পুরুষের সমান অধিকার

• বর্ণবৈষম্য দুরীকরন

• বিশ্ব শান্তি

• বিজ্ঞান ও ধর্মের সামঞ্জস্য

• সত্যানুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত

• বাধ্যতামূলক শিক্ষা

• সহায়ক ভাষা

• সরকারের প্রতি আনুগত্য ও রাজনীতিতে অংশগ্রহন না করা

• ধনী ও দরিদ্রের পার্থক্য দুরীকরন

‘মীর্জা হুসাঈন আলি নূরী’ ‘বাব’ র প্রথম অনুসারীদের একজন। পরে তিনি ‘বাহাউল্লাহ’ নাম ধারন করেন। ১৮৫২ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় পরে তিনি বলেন ‘সিয়ায়চাল’ নামক জেলে থাকা কালীন ১৮৫৩ তার কাছে ‘বাব‘ এর বানী আসে যে তিনি ‘বাব’ এর উত্তরাধীকার নির্বাচিত হয়েছেন।এর কিছুদিন পরেই তাকে তেহরান থেকে অটোমান সাম্রাজের বাগদাদে বহিস্কার করা হয় পরে কন্সটান্টিনেপল (বর্তমান ইস্তানবুল) এবং পরে আড্রিয়ানপোল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৮৬৬ সাল থেকে নিজেকে ইশ্বর প্রেরিত বার্তাবাহক দাবী করে বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি পাঠান, তাদের মধ্যে, রানী ভিক্টোরিয়া, পায়স নাইন্থ, ও নেপোলিয়ান থ্রি ও আছেন।

১৯৬৮ অটোম্যান সুলতান ‘আব্দুল আযিয’ শেষবার বহিস্কার করেন শাস্তিমূলক এলাকা ‘আক্কা’য় যা এখন ইসরায়েল নামে পরিচিত। পরে ধীরে ধীরে তার উপর নিষেদ্ধাজ্ঞা সিথিল করা হয়, আক্কায় তার বাসায় থাকতে দেয়া হয় যদিও তার পরিচিতি ছিল বন্দী হিসাবে। এখানেই তিনি ১৮৯২ সালে মারা যান। বাহাইরা ‘বাহজী’তে তার কবরকে তাদের ‘কিবলা’ মনে করে এবং প্রতিদিন প্রার্থনার সময় সে দিকে মুখ করে। বাহাউল্লাহ বেশ কয়েক্টি বই লিখে গেছেন, তাদের মধ্যে কিতাবে আকদাস, ‘কিতাব-ই-ইকান’কে ধর্মীয় বই এর সন্মান দেয়া হয়।

স্থানীয়, আঞ্চলিক ও রাষ্টীয় পর্যায়ে নয় সদস্যের ‘স্পিরিচুয়াল ’ ধর্মীয় বিষয় দেখা শোনা করে। ১৯৬৩ সালে প্রথমবার ‘ইউনিভার্সাল হাউস অফ জাস্টিস’ গঠন করা হয়, এতে বিভিন্ন বিষয় দেখার জন্য বিভিন্ন কমিটি আছে যারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। পুরুষ মহিলা ২১ বছর বয়সী যে কোন বাহাই এই কমিটির সদস্য হবার জন্য আবেদন করতে পারে।

১৯৮৬ সালে বাহাইরা দাবী করে সারা দুনিয়ায় তাদের সংখ্যা ৪৭ লক্ষ ৪০ হাজার যা ৪.৪% হারে বাড়ছে। ১৯৯১ সালে তার ৪০ লক্ষ আর ২০০১ সালে প্রকাশিত ‘দি ওয়ার্ল্ড খ্রিশটিয়ান এন্সাইকোপডিয়া’ জানায় এই সংখা প্রায় ৭১লক্ষ যা প্রায় ২১৮টি দেশে ছড়িয়ে আছে। ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘দি ওয়ার্ল্ড আলম্যানাক এ্যান্ড বুক অফ ফ্যাক্ট’ বলেঃ অধিকাংশ বাহাই এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে প্রায় ৩৬লাখ, আফ্রিকায় ১৮লাখ ল্যটিন আমেরিকায়ন নয় লাখ। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভারতে প্রায় ২২লাখ পরে ইরান প্রায় তিন লাখ ৫০হাজার আমেরিকায় দেড় লাখ। তবে কোন দেশেই সংখ্যাধিক্যের ধর্ম ‘বাহাই’ না।

১৯৯২ সালের মতে ‘ব্রিটানিকা বুক অফ দি ইয়ারের’ মতে বাহাই হচ্ছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধর্মের মধ্যে দ্বিতীয়। এটা ১.৭% হারে বাড়ছে। ২৪৭টি দেশের প্রায় ২১০০ সম্প্রদায় এটা প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় ৮০০টি ভাষায় বাহাই ধর্মগ্রন্থ অনুদিত হয়েছে।

বাহাই আঈন ‘কিতাব-ই-আকদাস’ থেকে অনুসৃত। বাহাই প্রার্থনা দুইটি ভাগে বিভক্ত, বাধ্যতামূলক ও সাধারন প্রার্থনা। ১৫ বছরের অধিক বয়স্ক প্রত্যেক বাহাই প্রতিদিন একবার বাধ্যতমুলক প্রার্থনা করে।

• পর নিন্দা পরচর্চা নিষিদ্ধ।

• সুস্থদেহের অধিকারী সব বাহাই মার্চের ২ থেকে মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস রাখে।

• বাহাইদের জন্য এ্যাল্কোহল, ও মাদক নিষিদ্ধ (ডাক্তারের ব্যাবস্থাপত্র ছাড়া)

• বিবাহের সংজ্ঞ্যা একটি পুরুষ ও একটি নারীর মধ্যে হতে হবে, পার বৈবাহিক ও সমকামীতা নিষিদ্ধ

• জুয়া নিষিদ্ধ

• উগ্রবাদীতা নিষিদ্ধ

• লোকিকতা নিষিদ্ধ বাধ্যতামূলক প্রার্থনা ছাড়া

বাহাই বিবাহ অত্যন্ত সাধারন, আনুষ্টানিকতা বিবর্জিত, শুধু নারী পুরুষ উভয়ে দুইজন স্বাক্ষীর সামনে “অবশ্যই আমরা ইশ্বরের ইচ্ছামত চলব” উচ্চারন করে বিবাহিত হয়ে যায়।

বাহাইরা নিজগৃহ স্থানীয় বাহাই কেন্দ্র অথবা ভাড়া করা যায়গায় প্রার্থনার জন্য মিলিত হয়। পৃথিবীতে বর্তমানে সাতটি চিহ্নিত প্রার্থনাগার আছে ওদের। অস্টম টি চিলিতে নির্মিনাধীন। ভারতের নয়া দিল্লীতে এদের পদ্মফুলের আকারে লোটাস মন্দির এক্টি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। বাহাইদের এই প্রার্থনা কেন্দ্র গুলিকে ‘মাস্রিকুল আধকার’ বলে, এইগুলিতে হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি সন্নিবেশিত থাকে। তুর্কিমেনিস্তানের ইস্কাবাদ এ প্রথম ‘মাস্রিকুল আধকার’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

‘বাব’ এর প্রতিষ্ঠিত দিনপঞ্জী ব্যাবহার করে এরা। এদের বর্ষপঞ্জীতে ১৯মাস, প্রতি মাসের ১৯ দিন এর মধ্যে ৪/৫দিন ‘ইন্টার কেলারী’ দিবস রয়েছে যা মিলে সৌরবর্ষ নির্ধারন করে। পার্শিয়ান নববর্ষের মত এদের নববর্ষকে নওরোজ বলে, মার্চ ২১ তারিখ, উপবাসের মাস শেষ হবার পরে (মার্চ ২ থেকে ২০)। এছাড়াও মাসের প্রথমদিন সব বাহাইরা একত্রিত হ্য়, এইদিনটিকে প্রার্থনা ভোজন, আলাপ আলোচনা আর সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহার করা হয়। ১৯ মাসের নামও ইশ্বরের বিভিন্ন গুনাবলীর নামের অভিহিত করা হয়েছে, যেমন, সমুজ্জল(বাহা) জ্ঞ্যান(ইল্ম), সৌন্দর্য(জামাল)। এদের সপ্তাহে সাত দিন, সারা বছরে সর্বমোট ১১দিন ছুটির দিন পালনকরে। এরমধ্যে ৯দিন কোন কাজ করেনা, এদিনগুলিকে ধর্মীয় কর্মকান্ডে ব্যপৃত হয়।

৯ কোন বিশিষ্ট তারা হচ্ছে এদের প্রতীক, এটা নেয়া হয়েছে বাহা বা সমুজ্জল থেকে তার সংখ্যামুল্য ৯।

বাংলাদেশে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ গলিতে এর একটি শাখা আছে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: বাহাই ধর্মের প্রতি ইন্টারেস্ট নাকি? এই ধর্মের সমন্ধে সামান্য জানা ছিল, আজ আরো কিছু জানলাম। আমাদের রাজশাহীতে একটা বাহাই টেম্পল আছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৫

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: খুব ভাল ধরমো ।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮

শ্রাবণ জল বলেছেন: ৭/৮ বছর আগে একটা বই পড়েছিলাম বাহাই ধর্মের। আর আজ আপনার লেখায় জানতে পারলাম আরও কিছু।

মুসলিম আমি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধান। এই ধর্ম অনুসরণ করলে অন্য ধর্ম পালনের চিন্তা আপনার আসবেনা, বোধ করি।

ভাল থাকুন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৯

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: ধন্যবাদ । ধরমো যার যার , রাস্ট্র সবার । ধরমো পালন একটি ব্যক্তি সাধিনতার বিষয় , এটা জোর করে চাপানোর বিষয় নয়।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

নতুন বলেছেন: ১৮৬৬ সাল থেকে নিজেকে ইশ্বর প্রেরিত বার্তাবাহক দাবী করে বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি পাঠান,

এক ইশ্বরবাদে বিশ্বাসী.... ইসলামের সাথে কিছু বিষয়ে মিল্ও আছে...

মনে হচ্ছে কয়েকটা ধমে`র থেকে মিলিয়ে একটা তত্ব দাড়াকরিয়েছিলেন ...

নিজেকে ইশ্বর প্রেরিত বার্তাবাহক দাবী করে

এইটুকু সত্য হবার সম্ভাবনা কতটুকু???

অনেকটা আমাদের ভন্ডপীরের মতন...




কোন ধম`ই আসলে খারাপ কিছুর শিক্ষা দেয়না... আমরাই ধম`কে খারাপ ভাবে ব্যবহার করি...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: একজনকে ভন্ড বলার আগে তার সাথে সরাসরি মিশে তারপর বলা ভাল। সহমত "কোন ধম`ই আসলে খারাপ কিছুর শিক্ষা দেয়না... আমরাই ধম`কে খারাপ ভাবে ব্যবহার করি..."

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
ব্রাহ্ম ধর্মের মতো নাকি >?


চরম সত্যকে উপলদ্ধি না করে অনেকে ধর্ম নিয়া টানাটানি করে - সেটা মোটেই ঠিক না - !


কোন ধম`ই আসলে খারাপ কিছুর শিক্ষা দেয়না... আমরাই ধম`কে খারাপ ভাবে ব্যবহার করি..

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: ধন্যবাদ । ধরমো যার যার , রাস্ট্র সবার । ধরমো পালন একটি ব্যক্তি সাধিনতার বিষয় , এটা জোর করে চাপানোর বিষয় নয়।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

শুভ জািহদ বলেছেন: নতুন আরেক পাগল...........

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: hmm

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: একজনকে ভন্ড বলার আগে তার সাথে সরাসরি মিশে তারপর বলা ভাল

আমাদের দেশের মাজার/পীরের কথায় কাজে কি বোঝা যায় না তার উদ্দেশ্য কি?

তাদের উদ্দেশ্য ধম`প্রান মানুষের ধম`বিশ্বাসকে নিজের টাকা পয়সা কামাইয়ের উদ্দেশে ব্যবহার করা... তাদের ভন্ডবলা মনে হয় ভুল


" নিজেকে ইশ্বর প্রেরিত বার্তাবাহক দাবী করে "

এটা সত্য হবার সম্ভাবনা কি খুব বেশি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: ভাই , যেকোন মানব কল্যান মুখি কাজই ইশ্বর প্রেরিত ।যেটা সব সময় চলমান থাকবে । তাই এটা সত্য । আপনিও কোন মানব কল্যান করে এমনটি দাবি করতে পারেন , আমিও পারি।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

জেনো বলেছেন: আরো লিখুন। পোস্ট ভাল লাগল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: লিখবো ভাই

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

আহমেদ রিজভী বলেছেন: তাইলে বাহাইরা বাংলাদেশেও আস্তানা গাড়ছে ?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: জি হা

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: অগ্নিপূজক ধর্ম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.