নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

--“সুহে থাকতে ভূতে কিলায়” মেন্টাল হসপিটাল--

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ"

E-mail : [email protected]

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার কর্মীর কাছে খোলা চিঠি

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

প্রিয় মানবাধিকার কর্মী,
পত্রের শুরুতে আপনাকে স্বশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। মানবতার মুক্তির লড়াইয়ে একাই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্যে আপনার প্রতি প্রানঢালা অভিনন্দন। বাংলাদেশের প্রতিটা এলাকা থেকে যদি আপনার মত মহতপ্রান মানুষ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতেন , তাহলে দেশে আর দারিদ্রতা থাকতো না।
আমি মন খুলে আমার কিছু চিন্তা চেতনা আপনার কাছে নিবেদন করতে চাই।
আমি দীর্ঘ দিন যাবত আমাদের সমাজটা পর্যবেক্ষন করে আসছি এবং অন্য দেশের উন্নত সমাজের সাথে আমাদের সমাজের তুলনা করে আমাদের সমাজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের মূল যে সমস্যাটা আমার চোখে মোটা দাগে ধরা পরেছে , সেটা হচ্ছে- “আমাদের মানোসিকতার সংকট”।
পাশ্চাত্যের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব আসলে আমাদের মানোসিক কাঠামোয় দুর্বল ভিত্তি তৈরী করেছে , কারন এগুলো আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যায়না। অথচ দেখেন জাপানিজ , জার্মান দের , ওদের দেশের প্রায় সবাই ইংলিশ কালচার , ভাষা এগুলোর ব্যবহার অসম্মানের মনে করে । ওরা ওদের পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে খাপ খায় এমন জীবন ধারা গ্রহন করেছে কিন্তু ভিন্ন দেশকে নকল করেনি।অথচ আমাদের মধ্যে আছে মারাত্মক নকল প্রবনতা। এই পরনির্ভরশীলতা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে আত্মসম্মনের সংকট। তাই আত্মসম্মানের সংকট থেকে জন্ম নিচ্ছে অন্যকে অসম্মানের সংস্কৃতি। আমরা এক বাংগালী আরেক বাংগালীকে দেখতে পারিনা , তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি এবং সব সময় দ্বন্দে লিপ্ত থাকি। এই নেতিবাচক বিষয়টি আপনি আমাদের পরিবার , সমাজ , অর্থনীতি , রাজনীতি , ধর্মীয় সর্বক্ষেত্রে দেখতে পাবেন।
আমরা যখন আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা রাখবো এবং নিজেকে সম্মান করতে জানবো কেবল তখনই অপরকে সম্মান করে আপন করে নেবার সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে তৈরী হবে । জাপানিজরা পৃথিবীর উন্নত জাতি হিসেবে স্বিকৃত , দেখবেন, তারা সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র ব্যক্তিটিকেও মাথা হেট করে সম্মান জানাচ্ছে, যেই কারনে সেই দেশে কোন দারিদ্রতা নেই।
***“জীবে প্রেম যে করে যেইজন , সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”
“সৃষ্টির সেবা , স্রষ্টার ইবাদত”
***“কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি?
হয়ত উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবারাতি!”

***“আমাদের কৃষকেরা
শূন্য পাকস্থলি আর বুকের ক্ষয়কাশ নিয়ে মাঠে যায় ।
আমাদের নারীরা ক্ষুধায় পীড়িত, হাড্ডিসার ।
আমাদের শ্রমিকেরা স্বাস্থহীন ।
আমাদের শিশুরা অপুষ্ট, বীভৎস-করুন ।
আমাদের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা, অকালমৃত্যু আর
দীর্ঘশ্বাসের সমুদ্রে ডুবে আছে ।“

ভাই , ওপরের বানী গুলোকে আমরা যদি সত্য বলে বিশ্বাস করি ,তাহলে অসহায় মানুষকে সেবার মাধ্যমেই আমরা স্বর্গীয় সুখ অনুভব করতে পারবো।
এই পৃথিবীতে কোন কিছুই আমার থেকে বিচ্চিন্ন নয় , সব মিলিয়েই আমার অস্তিত্ব , যেমন সমুদ্রের একটি ঢেউ সমস্ত সমুদ্রটাকেই নিজের অস্তিত্ব বলে ঘোষনা দিতে পারে , তেমনি আমি সামান্য একটি ঢেঊ হলেও দাবি করতে পারি এই “সমগ্র” আমার – এই সব আমার আপন অস্তিত্ব । অতএব আমার আপন অস্তিত্বের যতনে সবার আগে আমাকেই তো এগিয়ে আসতে হবে এই রকম চেতনা নিয়ে আমরা সবাই যদি এগিয়ে আসি তাহলে দারিদ্র , দুর্নিতী কোন সমস্যাই আর সমাজে থাকবেনা। সেবা ধর্ম – পরম ধর্ম , ধারন করে এই “মাটির পৃথিবী” পরিনত হবে “হাসির স্বর্গে”।
ভাই , উপরোক্ত আলোচনায় কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মানোবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রকৃতই নিঃস্বার্থ মানব প্রেমী ব্যক্তিগনকে একটি প্লাটফর্মে এসে কাজ করতে হবে । মহৎ প্রান ব্যক্তিগনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন , নীতিমালা প্রনয়ন , উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য , কার্যবিবরনী প্রকাশ , দেশী বিদেশী দাতা সংস্থার সাথে সংযোগ , সুসম্পর্ক নির্মান , চুক্তি , ফান্ড সংগ্রহ , ফান্ড বাস্তবায়ন – ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে।
বেকারত্ব সমাজের দারিদ্রতার অন্যতম কারন , তাই তরুনদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মসংস্থান , ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ করে দিতে পারলে দারিদ্রতা অনেকাংশে কমে যাবে।

আপনার ছোট ভাই,
মোঃআব্দুল গফুর (রবিন)
মোবাইলঃ 01554545776

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.