![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে ক্ষুদ্র দীনও রূপে করিও না প্রকাশ
তুমিই মহাবিশ্ব, প্রেমোময় উল্লাস !
-বাবা রুমি
Mindfulness (ভরপুর মানোসিকতা)
“ভরপুর মানোসিকতা” হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে বর্তমান টা আরো পরিষ্কার করে বললে এই মুহুর্তটাই সব কিছু। যখন খাবার খাচ্ছো তখন কথা বলো না বা অন্য চিন্তায় মনকে নিয়ে যেয়ো না , এটা শুধু তোমার ক্ষয় ডেকে আনবে । যখন তুমি খাচ্ছো তখন তুমি ভরপুর খানাদানার মুডে খাচ্ছো , যখন হাটছো তখন হাটাতেই তোমার সমস্ত মন প্রান , যখন ভালোবাসছো তখন সব কিছু উজার করে দিয়ে ভালোবাসো , সামান্যতম ঘৃনাকে মনে ঠাই দিয়ো না, শুধু উদ্দিষ্ট বিষয় ছাড়া আর কোন কিছুকেই মনে আসতে না দেয়াটাই “ভরপুর মানোসিকতা” ।
source: Click This Link
সুখ হচ্ছে সেই মুহুর্ত ,
যেখানে আমরা একসাথে বসে থাকি দুই দেহ, দুই মুখ নিয়ে এক আত্মায়।
-রুমি
গোলাম বা পাপেট হয়ে বাচার চেয়ে আমি বরং আমার গর্তে স্বাধীনভাবে বাচতে চাইবো ।
-জিমি ক্লিফ
মনোবিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা-মানুষের ব্যক্তিত্বের ভেতরের চারটি আদিরূপ এবং শ্যাডো পারসোনালিটি
The tragedy of the modern men is that we have forgotten how to cry, to scream, to hunt, to love, to honor, to teach, to initiate." -- Dagonet Dewr
সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে ঘটনাচক্রে আমার পরিচয় হয় কার্ল ইয়াং এর কাজের সাথে । আর আমার জন্য এটা ছিল গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার মত একটা ব্যপার । সাইকোলজির সাথে আধ্যাত্মিকতার এক অদ্ভুত মিলনের পক্ষে জীবনের অনেক সময় কাজ করে যান কার্ল ইয়াং । মানুষের সত্য খোজার যেই প্রচেষ্টা এটাকে প্রতিটা মানুষের নিজেকে পুর্ণতা দেওয়ার এক অবচেতন চাহিদা থেকে তৈরি হয় ধরে নিয়ে কিছু অসাধারণ কাজের খোরাক রেখে যান তিনি । আর কালেক্টিভ আন-কনশাস তার বহু কাজের একটি । এটাকে বলা যায় সৃষ্টির শুরু থেকে আমাদের ডি-এন-এ অথবা ব্রেইনের অবচেতনে থেকে যাওয়া সকল তথ্য । আর এই অবচেতনে মানব-ইতিহাসের কিছু আদিরূপ আমাদের সবার মধ্যে বর্তমান ধরে নিয়ে মানবচরিত্রের কিছু অসাধারণ বিশ্লেষণ করেন তিনি । নিজেকে এবং অন্যকে বোঝার ক্ষেত্রে এটা এক মারাত্মক জ্ঞান আর নিজেকে বোঝার মধ্যেই সবাইকে বুঝতে পারা আর সবাইকে বুঝতে পারার ভেতরেই সম্ভব সৃষ্টির অর্থ বোঝবার দিকে আরেকটু এগিয়ে যাওয়া । তবে নিজস্ব খারাপ দিকগুলোকে মনোবল বা সাহসের সাথে ফেস না করতে চাইলে এ লেখা এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে।
অ্যানিমা / অ্যানিমাস - ব্যক্তিত্বের মাঝের মেয়েলি ইগোকে বলা হয় অ্যানিমা । আর অ্যানিমাস হলো আমাদের ব্যক্তিত্বের পুরুষ ইগোর রূপ । আর এই অ্যানিমা এবং অ্যানিমাসের সঠিকা ভারসাম্য ছাড়া আমাদের ব্যক্তিত্বের যেই দিকগুলো বের হয়ে আসবার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় শ্যাডো পারসোনালিটি( ছায়া ব্যক্তিত্ব ), যা আসলে আমাদের ব্যক্তিত্বের সেই অন্ধকার অংশ যার মুখোমুখি হতে আমাদের ভয়ই আমাদের ব্যক্তিত্বের ওপর তাদের একটা অলিখিত কতৃত্ব বয়ান করে । আর নিজস্ব এই ভয়গুলোকে অস্বীকার করলে জীবনের যে কোন সময় যে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আমাদের ব্যক্তিত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে, এমনকি আপনার আমার অজান্তেই । শ্যাডো পারসোনালিটিকে আসলে দুষ্ট বলা যাবে না, এটা বরং আমাদের ব্যক্তিত্বের আদিম একটা এনার্জি, যাকে আমাদের ব্যক্তিত্বে সঠিক ভাবে গ্রহণ না করতে পারলে তখন সে হয়ে উঠতে পারে ভয়ানক । বিভিন্ন ধর্মেও নানাভাবে ইগোর ব্যপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, আর কার্ল ইয়াং ঠিক সেটাকেই বৈজ্ঞানিক রূপ দিয়েছেন ।
"Mind – A beautiful servant or a dangerous master."
এবার আসি কার্ল ইয়াং এর মতে আমাদের ব্যক্তিত্বের সেই আদিরূপ গুলোয় । আমাদের ব্যক্তিত্বের মাঝে একইসাথে উপস্থিত বেশ কিছু এনার্জি বা শক্তি সারাক্ষণ আমাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে । আর এতগুলো শক্তির আওয়াজকে শ্রুতিকটু হতে শ্রুতিমধুর করে তুলতে হলে এর সবাইকেই জানতে পারাটা খুব জরুরী । মনে রাখতে হবে যে, কোন একটা শক্তিকে যখন আমরা সচেতনভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হই তখনই সে আমাদের অবচেতনের দখল নিয়ে ব্যক্তিত্বের ওপর কতৃত্ব করে বসতে পারে । আসুন তবে পরিচিত হই আমাদের চরিত্রের এই চারটি আদিরূপ ব্যক্তিত্বের সাথে এবং তাদের দুটি করে শ্যাডোর সাথে । উল্লেখ্য যে, বেশিরভাগ মানুষের জীবনে পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোন একটি আদিরূপ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি অন্যগুলো থেকে বেশি হয়ে থাকে । আর অন্যগুলোর শ্যাডো রূপ থাকে । একজন পরিণত ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে তাই আপনাকে কম-বেশী সবগুলো ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করতে হবে যাকে বলা হয় সাইকোলজিক্যাল ইন্টিগ্রেশন ।
১। শাসকঃ
পুরুষ মানুষের ব্যক্তিত্বের একদম কেন্দ্রীয় শক্তি হলো শাসক । ব্যক্তিত্বের এই এনার্জিটি যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখনই আমাদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার, মানসিকতা হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত । কারোর জীবন যখন বিপর্যস্ত অথবা অগোছালো হয়ে পড়ে তখন অবশ্যই তাকে তার ব্যক্তিত্বের এই শক্তিটাকে বের করে আনতে হবে এবং সচেতনভাবে কাজে লাগাতে হবে ।
অ্যানিমাসের প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো – স্বৈরশাসক
একজন শাসক যখন তার ভেতরের নারীস্বত্তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে তখন তার ব্যক্তিত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অ্যানিমাসের প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো স্বৈরশাসক । একজন স্বৈরশাসক এটুকু বুঝতে ভুল করে যে একজন শাসক সাধারণ মানুষের সাথে আরো উচ্চতর শক্তির যোগাযোগের একটি চ্যানেল মাত্র । আর নিজের ইন্সিকিউরিটি বা ভয়গুলো এড়িয়ে চলার জন্য নিজেকে সৃষ্টিকর্তার সমকখ্য ভাবতে চায় সে । সমালোচনা শুনতে প্রচণ্ড ভঁয় পায় ব্যক্তিত্বের এই শ্যাডো ।
অ্যানিমা প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো - দুর্বল শাসক
শাসকের ব্যক্তিত্বে মেয়েলি ইগো কতৃত্ব স্থাপন করলে তৈরি হয় দুর্বল শাসক যে সঠিক ভাবে তার রাজ্য চালাতে ব্যর্থ হবার পাশাপাশি সারাক্ষণ ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায় এবং ফলাফল হিসাবে প্যারানয়া আক্রান্ত হয়ে ওঠে । তার চারপাশের লোকজনকে সে অবিশ্বাস করতে শুরু করে এবং ফলাফল হিসাবে নিশ্চিত সে যে কোন সময় তার বিপরীত শ্যাডো অর্থাৎ স্বৈরশাসক হয়ে উঠতে পারে । এটাই শ্যাডো ব্যক্তিত্বের সবচাইতে মজার ব্যপার যে আমরা যা কিছু ঘৃণা করি তার সবই আসলে আমাদের ব্যক্তিত্বের মাঝেরই লুকানো অংশ ।
২। জাদুকরঃ
একজন শাসককে গোপন এবং অতিপ্রাকৃতিক জ্ঞানের আলোকে উপদেশ দিয়ে সাহায্য করা ব্যক্তিত্বটি হলো গিয়ে জাদুকর । বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনবিদ, গণিতবিদ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী এবং লেখক জাতীয় সবাই কে এককথায় বলা যায় জাদুকর । কারণ নিজস্ব জ্ঞান দিয়ে তারা যেমন শাসককে সাহায্য করে থাকে তেমনি সাধারণ মানুষকে রূপান্তরিত করে ফেলেন তারা নিজস্ব জাদুকরী ক্ষমতা দয়ে । সমাজের রূপান্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে শাসকের চাইতেও অধিক ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিত্বের এই আদিরূপ । নিজেকে এবং সমাজ বা তার মানুষের ব্যপারে অসচেতন ব্যক্তির উচিত নিজের এই ব্যক্তিত্বটিকে আরো শক্তিশালী করে তোলা ।
অ্যানিমাসের প্রভাবে সৃষ্ট সক্রিয় শ্যাডো – প্রতারক
জাদুকর ব্যক্তিত্বের অধিকারীর মধ্যে তার পুরুষ ইগো অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠলে সে হয়ে ওঠে ছলনাকারী প্রতারক । গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা জ্ঞান গোপন করে সে সাধারণকে ফাঁদে ফেলে এবং নিজের জাদুকরী প্রতিভা নিয়ে গর্ব অনুভব করে । নিজেকে জ্ঞানী মনে করবার যে গর্ব সে অনুভূতিটুকু পাবার জন্যই তার বাচা, তবে সঠিক মূল্য পেলে সে তার জ্ঞান বিক্রি করতে প্রস্তুত । তার জ্ঞানকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবার দিকেই ছলনাকারী প্রতারকের উৎসাহ । অতিরিক্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা বুদ্ধির উপযুক্ত ব্যবহার করতে ব্যর্থ হলে ব্যক্তিত্বের এই শ্যাডোটি সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল ।
অ্যানিমা প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো – নির্দোষ জ্ঞানী/মুর্খ / বোকা
অবাক ব্যপার হলেও সত্যি যে, ছলনাকারী প্রতারকের একদম বিপরীতে অবস্থান কারী নির্দোষ এবং দায়িত্বহীন মুর্খ হলো জাদুকরেরই নিষ্ক্রিয় শ্যাডো ব্যক্তিত্ব । এই শ্যাডো আক্রান্ত ব্যক্তি জাদুকরের সমান মূল্য চায় অথচ সমাজের পরিবর্তনে কোন দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায় । আর তার জ্ঞান সম্পুর্ণ নয় বিধায় তাকে মুর্খের সমকখ্য বলা যায় । আমাদের সমাজে বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকা সকল ব্যক্তি এই শ্যাডোতে আক্রান্ত । উল্লেখ্য, ঠকতে ঠকতে একসময় সে নিজেই রাগবশত ছলনাকারী প্রতারক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ।
৩। যোদ্ধাঃ
জীবনে নিজস্ব দর্শনের পক্ষে সবটুকু শক্তি আর উৎসাহ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া ব্যক্তিত্বটি হলো যোদ্ধা । নিজের মিশন বা গোলের দিকে এগিয়ে যেতে সে তুচ্ছ করে নিজের জীবনকে, মৃত্যকে ভঁয় না পেয়ে বরং তাকে সঙ্গী হিসাবে মেনে নেয় যোদ্ধা । আর তার ভায়োলেন্স পৃথিবীর যাবতীয় মন্দের বিরুদ্ধে । একজন যোদ্ধা চিন্তা করে কম আর কাজ বেশি । একজন যোদ্ধা হয় তার শরীর এবং মনের কর্তা । তার গোলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে কোন শারীরিক ও মানসিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হবার মত ক্ষমতা থাকে তার ।
অ্যানিমাসের প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো – নির্মম হত্যাকারী/স্যাডিস্ট
যোদ্ধার সক্রিয় শ্যাডো হলো নির্মম হত্যাকারী অথবা স্যাডিস্ট । জীবনের আবেগের সাথে একজন যোদ্ধার বিচ্ছিন্নতার ফলে তার কতৃত্ব নিয়ে নিতে পারে এই স্যাডিস্ট শ্যাডো। বিশেষ করে সম্পর্কের বেলায় তার মধ্যে এই শ্যাডো সক্রিয় হয়ে ওঠবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে । দুর্বলতার প্রতি স্যাডিস্টের এক বিশেষ ক্ষোভ থাকে যা আসলে তার ভেতরে লুকানো দুর্বলতা আর ইন্সিকিউরিটি থেকেই জন্ম নিয়ে থাকে । নিজেকে প্রচণ্ড নিম্ন মনে করা থেকেই তার ভায়োলেন্সের শুরু এবং নিজের কাছের মানুষগুলোকে নির্যাতন করবার পাশাপাশি নিজেকেও যন্ত্রণার শেষ পর্যায়ে নিয়ে যায় এই স্যাডিস্ট লোকেরা ।
অ্যানিমা প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো – দুর্বল / আত্মনিগ্রহকারী
অ্যানিমা প্রভাব থেকে তৈরি যোদ্ধার শ্যাডো ব্যক্তিত্ব হলো দুর্বল যে সবলের হাতে অত্যাচারিত হয় অথচ তার নিজের মাঝের শক্তি ব্যবহার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে । এবং তার সাথে ঘটা ঘটনা এবং পারিপার্শ্বিকতা অনুযায়ী যে কোন সময় তার মাঝেও জেগে উঠতে পারে বিপরীত মেরুর স্যাডিস্ট ব্যক্তিত্ব । উদাহরণঃ অতিরিক্ত ভাল ছেলে স্টেরিওটাইপ যখন প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ উত্তেজনা প্রদর্শন করে ।
৪। প্রেমিকঃ
নারীর ব্যক্তিত্বের একদম কেন্দ্রীয় শক্তি হলো প্রেমিক। পৃথিবী এবং প্রকৃতির যাবতীয় সৌন্দর্য কে যারা উপাসনা করে তারাই হলো প্রেমিক। গায়ক, কবি আর শিল্পী – এরা সবাই প্রেমিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী । সবকিছুর সাথে এক হতে পারবার মাঝেই প্রেমিকের জীবন পূর্ণতা পায় আর সকলের অনুভুতিকে সে নিজস্ব ইন্টুইশন দিয়ে অনুভব করতে পারে। ব্যক্তিত্বের আর বাকি তিনটি আদিরূপ কে পজিটিভ এনার্জি দিয়ে তাদের সঠিক ব্যলান্সে রাখবার জন্য এই ব্যক্তিত্বটির গুরুত্ব তাই খুব বেশি।
অ্যানিমাসের প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো- আসক্ত প্রেমিক/প্লেবয়
অ্যানিমাসের প্রভাবে প্রেমিকের মাঝে সৃষ্ট শ্যাডো ব্যক্তিত্ব হলো আসক্ত প্রেমিক যে তার সৌন্দর্যের পূজার প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পরে যে তার সৌন্দর্যের মাঝে পূর্ণতা খোজার নেশায় নিজেকে হারিয়ে ফেলে সে । সবার মাঝে নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে নিজস্ব স্বকীয়তা বলতে আর কিছু বাকি থাকে না একসময় এই আসক্ত প্রেমিকের। উদাহরণঃ ক্যাসানোভা ।
অ্যানিমা প্রভাবে সৃষ্ট শ্যাডো- দেবদাস বা আত্মহননকারী প্রেমিক
প্রেমিকের নারী ইগোর ফলে সৃষ্ট শ্যাডো ব্যক্তিত্ব হলো গিয়ে সে যে প্রেম করতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে আত্মহননের পথ বেছে নেয় । আবার রাগ থেকে সে বিপরীত শ্যাডো ব্যক্তিত্ব আসক্ত প্রেমিকেও পরিণত হতে পারে যে কোন সময়।
সাইকোলজিক্যাল ইন্টিগ্রেশন বলতে যা বোঝায় তা হলো একইসাথে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের মিলিতকরণ । আর একমাত্র প্রতিটা ব্যক্তিত্ব এবং তার শ্যাডোগুলো বুঝতে পারবার মাধ্যমেই তা সম্ভব। আর সচেতনতার সাথে খেয়াল করলেই আমাদের নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা সম্ভব । প্রথমেই বুঝতে হবে আপনার জীবনের সবচাইতে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বটিকে এবং ধীরে ধীরে উন্নীত করতে হবে বাকি তিনটি ব্যক্তিত্বকে। যেমন “শাসক” ব্যক্তিত্বটির বিকাশ করতে চাইলে আশেপাশের লোকজন নিয়ে যে কোন প্রজেক্ট শুরু করা যায়, তেমনি “যোদ্ধা” ব্যক্তিত্বটির উন্নীতকরনের জন্য করা যায় শরীরচর্চা এমনকি মার্শাল আর্ট অথবা দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে চলা কোন সংঘাত। নিজের শৈল্পিক চেতনা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে যেমন করা যায় “প্রেমিক” ব্যক্তিত্বের বিকাশ তেমনি বিভিন্ন জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বিকাশ করা যায় ব্যক্তিত্বের জাদুকরী প্রতিভা । এজন্যই প্রয়োজন নিজের সবগুলো শ্যাডো পারসোনালিটির ব্যপারে সচেতন হওয়া ।
By https://www.facebook.com/DoctorXBD
--শ্বাস-প্রশ্বাস--
শ্বাসে, আমি জানি আমি শ্বাস নিচ্ছি
প্রশ্বাসে, আমি জানি আমি প্রশ্বাস ছাড়ছি ।
শ্বাসে, আমি নিজেকে দেখি- আমি ফুল
প্রশ্বাসে, আমি সতেজ ।
শ্বাসে, আমি নিজেকে দেখি- আমি এক পাহাড়
প্রশ্বাসে, আমি বজ্র কঠিন ।
শ্বাসে, আমি নিজেকে দেখি- আমি স্বচ্ছ পানি স্থির
প্রশ্বাসে, আমি প্রতিফলিত করি সব কিছু- আসলেই সে যেমন ।
শ্বাসে, আমি নিজেকে দেখি- শুন্য
প্রশ্বাসে, আমি মুক্ত ।
Breathing in, I know I am breathing in.
Breathing out, I know I am breathing out.
Breathing in, I see myself as a flower.
Breathing out, I feel fresh.
Breathing in, I see myself as a mountain.
Breathing out, I feel solid.
Breathing in, I see myself as still water.
Breathing out, I reflect things as they truly are.
Breathing in, I see myself as space.
Breathing out, I feel free.
~Thich Nhat Hanh
সুন্দর হওয়া মানে হচ্ছে “নিজের হওয়া”।অন্য কেউ তোমাকে গ্রহন কি করলো না এটা কোন বিষয় না , আসল বিষয় হচ্ছে তুমি নিজের কাছে নিজে গ্রহনীয় কিনা।~Thich Nhat Hanh
চলে যেতে দাও- স্বাধিনতা পাবে এবং স্বাধিনতা হচ্ছে সুখের একমাত্র শর্ত ।~Thich Nhat Hanh
তুমি তাই যা তুমি হতে চেয়েছিলে । আর কত খুজে মরবে ? তুমি এক অনন্য প্রকাশ । সমস্ত মহাবিশ্ব তোমার অস্তিত্বকে পরিপুর্ন করতে একসাথে হয়েছে। এমন কিছু নেই যা তুমি নও । খোদার সাম্রাজ্য, বিশুদ্ধ এই ভূমি, পরমানন্দ আর স্বাধিনতা সবই তো তুমি। ~Thich Nhat Hanh
অভিজ্ঞতার ক্রমাগত চাপ থেকে মনকে মুক্ত রাখাটাই- “ধ্যান” ।
--------J.Krishnamurti
তুমি মহাবিশ্বে নও, তুমি স্বয়ং মহাবিশ্ব, এর এক অন্তর্নিহিত অবিচ্ছেদ্য অংশ। আসলে তুমি কোন ব্যক্তি নও , বরং একটি কেন্দ্র যেখানে মহাবিশ্ব নিজেকে সচেতন করে চলেছে। কি অবিশ্বাস্য আর দুর্দান্ত জাদু !!
-Eckhart Tolle
অবশ্যই আমি এখন এসব বলা বন্ধ করবো এবং প্রেম স্বয়ং তার নিরাবতার বাসা থেকে বলা শুরু করবে ।
-Rumi
মানুষ
কাজী নজরুল ইসলাম
গাহি সাম্যের গান—
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।–-
‘পূজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’
স্বপন দেখিয়ে আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়,
দেবতার বরে রাজা-টাজা আজ হয়ে যাবো নিশ্চয়!—
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি ক’ সাত দিন।
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারি ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুরে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে!
ভুখারি ফুকারি কয়,
ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!
মসজিদে কাল শিরনি আছিল, অঢেল গোস্ত-রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!
এমন সময় এল মুসাফির গায়ে আজারির চিন,
বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা-ফাখা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাকিল মোল্লা---“ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগারে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারি কহিল, “না বাবা!” মোল্লা হাঁকিল,---“তা’ হলে শালা,
সোজা পথ দেখ!” গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভখারি ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে---
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষু ধার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু,
তব মসজিদ-মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবি,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি!”
কোথা চেংগিস, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়?
ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার!
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা র’বে, চালা হাতুরি-শাবল চালা!
হায় রে ভজনালয়,
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়!
মানুষেরে ঘৃণা করি’
ও’ কা’রা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি’
ও’ মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর ক’রে কেড়ে,
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে।
পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ;---গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো!
আদম দাউদ ঈসা মূসা ইব্রাহিব মোহাম্মদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,---বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশি ক’রে প্রতি ধমনীতে-রাজে।
আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ,
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ।
হেস না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি কে জানে আছে আমাতে মহামহিম।
হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদি ঈসা,
কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা?
কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি?
হয়ত উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবারাতি!
অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান উচ্চ নহে,
আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ-দহে,
তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয়
ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!
হয়ত ইহারই ঔরসে ভাই ইহারই কুটির-বাসে
জন্মিছে কেহ--- জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে!
যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে
আজিও বিশ্ব দেখেনি,---হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে!
ও কে? চণ্ডাল? চমকাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব!
ওই হতে পারে হরিশ্চন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।
আজ চণ্ডাল কা’ল হ’তে পারে মহাযোগী-সম্রাট,
তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী-পাঠ।
রাখাল বলিয়া কারে কর হেলা,ও-হেলা কাহারে বাজে!
হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল-সাজে!
চাষা ব’লে কর ঘৃণা!
দে’খো চাষা-রুপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না!
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,
তারাই আনিল অমর বাণী---যা আছে র’বে চিরকাল।
দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারি ই ভিখারিনী,
তারি মাঝে কবে এলো ভোলা-নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি!
তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা মুষ্ঠি-দিলে,
দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে।
সে মার রহিল জমা---
কে জানে তোমায় লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কি না ক্ষমা!
বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ দু’চোখে স্বার্থ-ঠুলি,
নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হয়েছে কুলি।
মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা-মথিত-সুধা,
তাই লুটে তুমি খাবে পশু? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা?
তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দদরীই জানে
তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোনখানে!
তোমারে কামনা-রানী
যুগে যুগে, পশু, ফেলেছে তোমায় মৃত্যু-বিবরে টানি’।
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
June 26
আমি একজন ঈশ্বর
আমায় যদি তুমি বলো ঈশ্বর;
আমি বলব হ্যাঁ আমি তাই।
আমায় যদি বলো পাপী শয়তান।
আমি বলব হ্যাঁ আমি তাই-ই।
কারণ আমার মাঝে যাদের অস্তিত্ব
তার একজন ঈশ্বর; অপরজন শয়তান,
তাই যখন শয়তানের ছবিটি ভাসে
আমার মানব অবয়বে– তখন আমি পাপী।
আর সত্যের পূর্নতায় আমি
মানবের কল্যানে আমার ধর্ম–
ঠিক তখনই আমি ঈশ্বর, কারণ
সত্য, পুন্য আর মানবতাই ঈশ্বর।
যাকে তোমরা বলো ঈশ্বর–
আমি তাকে বলি সত্য, ন্যায়;
অতএব আমার পক্ষে একজন
ঈশ্বর হওয়া বিচিত্র নয়।
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
June 26, 2012
ইশতেহার
পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি ।
ভুমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো ।
তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান ।
অরন্য আর মরুভূমির
সমুদ্র আর পাহাড়ের ভাষা তখন আমরা জানি ।
আমরা ভূমিকে কর্ষন করে শস্য জন্মাতে শিখেছি ।
আমরা বিশল্যকরনীর চিকিৎসা জানি
আমরা শীত আর উত্তাপে সহনশীল
ত্বক তৈরি করেছি আমাদের শরীরের ।
আমরা তখন সোমরস, নৃত্য আর
শরীরের পবিত্র উৎসব শিখেছি ।
আমাদের নারীরা জমিনে শস্য ফলায়
আর আমাদের পুরুষেরা শিকার করে ঘাই হরিন।
আমরা সবাই মিলে খাই আর পান করি ।
জ্বলন্ত আগুনকে ঘিরে সবাই আমরা নাচি
আর প্রশংসা করি পৃথিবীর ।
আমরা আমাদের বিস্ময় আর সুন্দরগুলোকে বন্দনা করি ।
পৃথিবীর পূর্নিমা রাতের ঝলোমলো জ্যোৎস্নায়
পৃথিবীর নারী আর পুরুষেরা
পাহাড়ের সবুজ অরন্যে এসে শরীরের উৎসব করে ।
তখন কী আনন্দরঞ্জিত আমাদের বিশ্বাস ।
তখন কী শ্রমমুখর আমাদের দিনমান ।
তখন কী গৌরবময় আমাদের মৃত্যু ।
তারপর –
কৌমজীবন ভেঙে আমরা গড়লাম সামন্ত সমাজ ।
বন্যপ্রানীর বিরুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্রগুলো
আমরা ব্যবহার করলাম আমাদের নিজের বিরুদ্ধে ।
আমাদের কেউ কেউ শ্রমহীনতায় প্রশান্তি খুঁজে পেতে চাইলো ।
দুর্বল মানুষেরা হয়ে উঠলো আমাদের সেবার সামগ্রী ।
আমাদের কারো কারো তর্জনী জীবন ও মৃত্যুর নির্ধারন হলো ।
ভারী জিনিস টানার জন্যে আমরা যে চাকা তৈরি করেছিলাম
তাকে ব্যবহার করলাম আমাদের পায়ের পেশীর আরামের জন্যে ।
আমাদের বন্য অস্ত্র সভ্যতার নামে
গ্রাস করে চললো মানুষের জীবন ও জনপদ ।
আমরা আমাদের চোখকে সুদূরপ্রসারী করার জন্যে দূরবীন
আর সূক্ষ্ নিরীক্ষনের জন্যে অনুবীক্ষন তৈরি করলাম ।
আমাদের পায়ের গতি বর্ধন করলো উড়ন্ত বিমান ।
আমাদের কন্ঠস্বর বর্ধিত হলো,
আমাদের ভাষা ও বক্তব্য গ্রন্থিত হলো,
আমরা রচনা করলাম আমাদের অগ্রযাত্রার ইতিহাস ।
আমাদের মস্তিষ্ককে আরো নিখুঁত ও ব্যপক করার জন্যে
আমরা তৈরি করলাম কম্পিউটার ।
আমাদের নির্মিত যন্ত্র শৃঙ্খলিত করলো আমাদের
আমাদের নির্মিত নগর আবদ্ধ করলো আমাদের
আমাদের পুঁজি ও ক্ষমতা অবরুদ্ধ করলো আমাদের
আমাদের নভোযান উৎকেন্দ্রিক করলো আমাদের ।
অস্তিত্ব রক্ষার নামে আমরা তৈরী করলাম মারনাস্ত্র ।
জীবনরক্ষার নামে আমরা তৈরি করলাম
জীবনবিনাশী হাতিয়ার ।
আমরা তৈরি করলাম পৃথিবী নির্মূল-সক্ষম পারমানবিক বোমা ।
একটার পর একটা খাঁচা নির্মান করেছি আমরা ।
আবার সে খাঁচা ভেঙে নতুন খাঁচা বানিয়েছি –
খাঁচার পর খাঁচায় আটকে পড়তে পড়তে
খাঁচার আঘাতে ভাঙতে ভাঙতে, টুকরো টুকরো হয়ে
আজ আমরা একা হয়ে গেছি ।
প্রত্যেকে একা হয়ে গেছি ।
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব !
কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা !
কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা !
এই সৌরমন্ডলের
এই পৃথিবীর এক কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে
যে-শিশুর জন্ম ।
দিগন্তবিস্তৃত মাঠে ছুটে বেড়ানোর অদম্য স্বপ্ন
যে-কিশোরের ।
জ্যোৎস্না যাকে প্লাবিত করে ।
বনভূমি যাকে দুর্বিনীত করে ।
নদীর জোয়াড় যাকে ডাকে নশার ডাকের মতো ।
অথচ যার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ঔপনিবেশিক জোয়াল
গোলাম বানানোর শিক্ষাযন্ত্র ।
অথচ যার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে
এক হৃদয়হীন ধর্মের আচার ।
অথচ যাকে শৃঙ্খলিত করা হয়েছে স্বপ্নহীন সংস্কারে ।
যে-তরুন উনসত্তরের অন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে
যে-তরুন অস্ত্র হাতে স্বাধীনতাযুদ্ধে গিয়েছে
যে-তরুনের বিশ্বাস, স্বপ্ন, সাধ,
স্বাধীনতা-উত্তরকালে ভেঙে খান খান হয়েছে,
অন্তবে রক্তাক্ত যে-তরুন নিরুপায় দেখেছে নৈরাজ্য,
প্রতারনা আর নির্মমতাকে ।
দুর্ভিক্ষ আর দুঃশাসন যার নির্ভৃত বাসনাগুলো
দুমড়ে মুচড়ে তছনছ করেছে
যে-যুবক দেখেছে এক অদৃশ্য হাতের খেলা
দেখেছে অদৃশ্য এক কালোহাত
যে-যুবক মিছিলে নেমেছে
বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে
আকন্ঠ মদের নেশায় চুর হয়ে থেকেছে
অনাহারে উড়নচন্ডী ঘুরছে
যে-যুবক ভয়ানক অনিশ্চয়তা আর বাজির মুখে
ছুঁড়ে দিয়েছে নিজেকে
যে-পুরুষ এক শ্যমল নারীর সাথে জীবন বিনিময় করেছে
যে-পুরুষ ক্ষুধা, মৃত্যু আর বেদনার সাথে লড়ছে এখনো,
লড়ছে বৈষম্য আর শ্রেনীর বিরুদ্ধে –
সে আমি ।
আমি একা ।
এই ব্রক্ষ্মান্ডের ভিতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা ।
আমার অন্তর রক্তাক্ত ।
আমার মস্তিষ্ক জর্জরিত ।
আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রিত ।
আমার শবীর লাবন্যহীন ।
আমার জীভ কাটা ।
তবু এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন আমাকে কাতর করে
আমাকে তড়ায়….
আমাদের কৃষকেরা
শূন্য পাকস্থলি আর বুকের ক্ষয়কাশ নিয়ে মাঠে যায় ।
আমাদের নারীরা ক্ষুধায় পীড়িত, হাড্ডিসার ।
আমাদের শ্রমিকেরা স্বাস্থহীন ।
আমাদের শিশুরা অপুষ্ট, বীভৎস-করুন ।
আমাদের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা, অকালমৃত্যু আর
দীর্ঘশ্বাসের সমুদ্রে ডুবে আছে ।
পৃথিবীর যুদ্ধবাজ লোকদের জটিল পরিচালনায়
ষড়যন্ত্রে আর নির্মমতায়,
আমরা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা
আর চরম অসহায়ত্বের আবর্তে আটকে পড়েছি ।
কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
আর চরম অসহায়ত্বের আবর্তে আটকা পড়েছি ।
কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
কী বিভৎস এই ভালোবাসাহীনতা !
কী নির্মম এই স্বপ্নহীনতা !
আজ আমরা আবার সেই
বিশ্বাস আর আনন্দকে ফিরে পেতে চাই
আজ আমরা আবার সেই
সাহস আর সরলতাকে ফিরে পেতে চাই
আজ আমরা আবার সেই
শ্রম আর উৎসবকে ফিরে পেতে চাই
আজ আমরা আবার সেই
ভালোবাসা আর প্রশান্তিকে ফিরে পেতে চাই
আজ আমরা আবার সেই
স্বাস্থ্য আর শরীরের লাবন্যকে ফিরে পেতে চাই
আজ আমরা আবার সেই
কান্নাহীন আর দীর্ঘশ্বাসহীন জীবনের কাছে যেতে চাই
আর আমরা শোষন আর ষঠতা
অকালমৃত্যু আর ক্ষুধার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চাই ।
আমাদের সমৃদ্ধ এই বিজ্ঞান নিয়ে
আমাদের অভিজ্ঞতাময় এই শিল্পসম্ভার নিয়ে
আমাদের দূরলক্ষ্য আর সুক্ষ্ম বীক্ষন নিয়ে
আমাদের দ্বন্ধময় বেগবান দর্শন নিয়ে
আমরা ফিরে যাবো আমাদের বিশ্বাসের পৃথিবীতে
আমাদের শ্রম, উৎসব, আনন্দ আর প্রশান্তির পৃথিবীতে ।
পরমানুর সঠিক ব্যবহার
আমাদের শস্যের উৎপাদন প্রয়োজনতুল্য করে তুলবে,
আমাদের কারখানাগুলো কখনোই হত্যার অস্ত্র তৈরি করবে না,
আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞান নিরোগ করবে পৃথিবীকে;
আমাদের মর্যদার ভিত্তি হবে মেধা, সাহস আর শ্রম ।
আমাদের পুরুষেরা সুলতানের ছবির পুরুষের মতো
স্বাস্থ্যবান, কর্মঠ আর প্রচন্ড পৌরষদীপ্ত হবে ।
আমাদের নারীরা হবে শ্রমবতী, লক্ষীমন্ত আর লাবন্যময়ী ।
আমাদের শিশুরা হবে পৃথিবীর সুন্দরতম সম্পদন।
আমরা শস্য আর স্বাস্থের, সুন্দর আর গৌরবের
কবিতা লিখবো ।
আমরা গান গাইবো
আমাদের বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা করে ।
আমরা উৎসব করবো শস্যের
আমরা উৎসব করবো পূর্নিমার
আমরা উৎসবা করবো
আমাদের গৌরবময় মৃত্যু আর বেগমান জীবনের ।
কিন্তু –
এই স্বপ্নের জীবনে যাবার পথ আটকে আছে
সামান্য কিছু মানুষ ।
অস্ত্র আর সেনা-ছাউনিগুলো তাদের দখলে ।
সমাজ পরিচালনার নামে তারা এক ভয়ংকর কারাগার
তৈরী করেছে আমাদের চারপাশে ।
তারা ক্ষুধা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা বস্ত্রহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা গৃহহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা জুলুম দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
বুলেট দিয়ে বন্দী করেছে ।
তারা সবচেয়ে কম শ্রম দেয়
আর সবচে বেশি সম্পদ ভোগ করে;
তারা সবচে ভালো খাদ্যগুলো খায়
আর সবচে দামি পোশাকগুলো পরে ।
তাদের পুরুষদের শরীর মেদে আবৃত, কদাকার;
তাদের মেয়েদের মুখের ত্বক দেখা যায় না, প্রসাধনে ঢাকা;
তারা আলস্য আর কর্মহীনতায় কাতর, কুৎসিত ।
তারা আমাদের জীভ কেটে নিতে চায়
তারা আমাদের চোখ উপড়ে ফেলতে চায়
তারা আমাদের মেধা বিকৃত করতে চায়
তারা আমাদের শ্রবন বধির করে দিতে চায়
তারা আমাদের পেশীগুলো অকেজো করে দিতে চায়
আমাদের সন্তানদেরও তারা চায় গোলাম বানাতে ;
একদা অরন্যে
যেভাবে অতিকায় বন্যপ্রানী হত্যা করে
আমরা অরন্যজীবনে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি,
আজ এইসব অতিকায় কদাকার বন্যমানুষগুলো
নির্মুল করে
আমরা আবার সমতার পৃথিবী বানাবো
সম্পদ আর আনন্দের পৃথিবী বানাবো
শ্রম আর প্রশান্তির পৃথিবী বানাবো ।
দুনিয়াটা মস্ত বড়ো
খাও দাও ফূর্তি করো
-বাংলা গান
I am Feeling Lucky…
-GOOGLE.COM
উড়বার জন্যেই পাখা
উড়বোই উড়বোই , আমি উড়বোই
-বাবা রুমী
“সুখ” হচ্ছে প্রজাপতির মত , একে ধরতে গেলেই উড়ে যাবে
বরং শান্ত স্থির হও , সুখ নিজে থেকেই তোমার ওপর এসে বসবে।
-সংগৃহিত
--সর্বোক্ষন--
শিশুর মুক্ত মনরে করো স্মরন
হাসো বিশালে অকারন
এই কথাটা মানিলে ও মন
হবে না আর তোমার মরন ।
--আরাধনা--
দৃষ্টিতে আসিলে “খন্ড”- অচিরেই হইবে ধ্বংস
সৃষ্টিরে অখন্ডের রূপে পূজিও- হাস্য রসে।
মনেতে বিরাজ করে- অভিশপ্ত খন্ড
মনেতে মন মিশাইলে- মন আবর্জনায় মাখিবে ময়লা ।
--ইচ্ছা ঘুড়ি--
মনের ইচ্ছার পেছনে থাকে “চেতনা”
“চেতনা” থাকে যদি “মজাদার ফাকা – অখন্ড সেবায়”
তাহলে “মনের ইচ্ছা” তোমার কব্জায় ।
আর “চেতনা” যদি চাপা রাখো খন্ড জ্ঞানে
তাহলে হবে তুমি তোমার ইচ্ছার দাস ।
--অভিশপ্ত সময়--
কেউ ভালো নেই
আত্মঘাতি এই দেশটাতে ভালো নেই কেউ।
কারোরি ভালো লাগে না নিজেকে
এতটুকুও ভালোবাসেনা কেউ কাউকে।
ভালোবাসতে বাসতে কেউ উজার হয়না
তাই সব থাকার পরও কেউ ভালো থাকেনা ।
দোষ খুজতে কার্পন্য নেই এতটুকুও
অথচ একটু ভালোবাসতেই যত কার্পন্য ।
পাগলেরা সব শুন্যকে ভালোবাসে
ভালোবাসে পাথরের মূর্তিরে
অথচ জীবন্ত এই যে মানবরূপী পরম
তারে কেউ ভালোবাসেনা
অবহেলা অনাদরে “পরম” পরে থাকে ডাষ্টবিনের ধারে
আর অভিশপ্ত সময় গেয়ে যায় বিষন্নতার গীত
অভিশপ্ত এ সময়ে…
--পুন্য--
মানবরূপ করিয়া ধারন
বাড়িতে আসিলো অথিতি নারায়ন।
আনন্দে নাচিয়া ওঠে আমার মন
পেলাম সুযোগ করিতে প্রভু আরাধন।
--মুক্তমন--
“মুক্ত মন” হচ্ছে পৃথিবীর সমান এক বিরাট পাখি
সবাইরে পিঠে নিয়ে , আপন আনন্দে যে উড়ে চলেছে বাধাহীন
--পরম রুপ--
পরম কে আর খুজবে কত?
হাওয়াতে হারিকেন জ্বেলে মাথা ঠোকো?
মাটির পুতুলরে পরম জেনে পূজা করো?
আরে আমি পরম তুমি পরম
সৃষ্টির সেরা মানবরুপে পরম করছে বিচরন
প্রতিটা মানব সর্ব শ্রেষ্ঠ পরম কনা
অথচ মানব নিজের মুল্য নিজে বুঝলো না
কাওরে দিওনা ব্যাথা , সবাইরে দিয়ে যাও সেবা
কারন সেবক স্বয়ং পরম শক্তি
ভোগী সামান্য দুর্বল সৃষ্টি
--মজা--
নিজেকে নিজে বিশ্বাসের লও মজা
মজা লও নিজেকে নিজে ভক্তির ।
নিজেকে নিজে সম্মানের লও মজা
মজা লও নিজেকে নিজে ভালোবাসার
নিজেকে নিজে করে যাও শুধু উপভোগ…
--কথা বলা--
যখন আমি কারো সাথে কথা বলি
তখন আমি আসলে আমার সাথেই কথা বলি
কারন আমার মাঝে নেই কোন তুমি
সবই যে আমার একান্ত আপন ।
--জয় “ফাকা”--
একটি ফাকা ঘরে তুমি পাবে আশ্রয়
অথচ “পূর্ন ঘরে” তোমার ঠাই হবে না ।
একটি ফাকা জমিতে ফলাবে ফসল
অথচ “পূর্ন আগাছা” তোমার চিন্তার কারন ।
তাই ফাকা না হলে কিছুই হতো না
কেউই পেতো না তার আপন ঠিকানা ।
ফাকা যদি হতে পারো
পারো যদি শিশুর মতো শুন্যে বসে হাসতে
তাহলে তুমিই পারো সব চালাতে ।
সমস্ত বাদশার ঘাড়ে তোমার পা
সমগ্র তোমার
তোমার মনের বাহির প্রদেশে-
তুমিই বাঘ , হরিন , শিয়াল কিংবা দরদী মানুষ হয়ে করবে বিচরন ।
--স্বাদ--
ভেতরের মজাদার মানুষটা মরে গেলে
বাহিরের মানুষটা হয়ে যায় তীতা
--সুখ আর দুখ--
শুধু নিজের কারনে হও যদি সুখী
কেউ আর পারবেনা করতে তোমায় দুখী
--সমগ্র তোমার--
নিজেকে নিজে বিশ্বাস করলে সবাই তোমার ভরসায় বাচে
নিজেকে নিজে ভালোবাসলে সবাই তোমাতেই পায় আনন্দ
নিজেকে নিজে সম্মান দিলে সবাই তোমার প্রশংসায় মিষ্টি মুখ
--স্বর্গ--
মনেতে বসে তোমাকে যে দেখছে , তাকে তুমি দেখছো
এই “দেখা”টা যে দেখছে , তাকে তুমি ভাবছো
যে ভাবছে , তাকে তুমি বুঝছো
যাকে বুঝছো , তাকে অনুভব করছো
যে অনুভব করছে , তাকেই আবার দেখছো
দেখতে দেখতে চোখ বুজে আসে ক্লান্তিতে
দাও টেলিভিশনটা নিভিয়ে
দেখা দেখি চুকে যাক , ছেয়ে যাক সব আধারে , হয়ে যাক ফাকা
ফাকাতে মেলে ধরো আনন্দ পাখা !
--মজাদার ফাকা--
করো প্রভাব বিস্তার- বাহিরের ওপর , বাহির তোমার ওপর প্রভাব বিস্তারের আগেই
প্রভাব বিস্তারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র- “নিজেতে ভরসা”
আর এই ভরসার বাস তোমারই মনের- “মজাদার ফাকায়”।
--মুহুর্তের বোধ--
শুধু তোমার অতীত সুখানুভুতিরে নিয়ে এসো- এই মুহুর্তে
আর সেই সুখানুভুতিরে করো- আরো গাড়ো
--শুধু দিও--
নির্মল প্রকৃতির থেকে শুধু “আনন্দ” নিও
আর তা মানুষকে ফিরিয়ে দিও
মানুষের থেকে কিছু পাওয়ার চিন্তাও করোনা
এ চিন্তাই হবে যে তোমার দুঃখের কারন।
--এক মন-দুই জানালা--
মানুষের নাটাইয়ে টান টান উড়তে থাকা ঘুড়িটারে দেখে ঈর্ষার কিছু নেই
বরং ঈর্ষায় জ্বলে যেতে পারো সেই ঘুড়িকে দেখে- যে হয়ে গেছে বাকাট্টা লোট
কারো ইচ্ছার দাস সে নয়
নয় সে প্রানের মায়ায় চিন্তিত
ভেসে সে বেড়ায় যে দিকে ইচ্ছা…অপার আনন্দে আকাশে অবাধ !
তাই হয়ে যাক বাহিরের মন আমার টান টান ঘুড়ি… আর
ভেতরের মনটা- বাকাট্টা লোট !
--সফল জীবন--
সফল জীবনের প্রধান অস্ত্র- “প্রভাব বিস্তার”…আর
প্রভাব বিস্তারের প্রধান অস্ত্র- নিজেকে বিশ্বাস-শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা
--মরমী--
নিস্তবদ্ধতা, নির্জনতা থেকে আসে- আনন্দ অপার
--প্রেম?--
প্রেম সে যে এক অনাবিল হৃদয়
প্রেমে সব সহজ , সব সুন্দর
প্রেমে দোষ গুন যায় হারিয়ে , থাকে শুধু আনন্দ
প্রেম ছাড়া কাম-এ পাবেনা “আনন্দ”- যথার্থ
দিয়ে যায় শুধু প্রেম , নেয় না কিছুই
তাই তো তার চেয়ে ধনী নেই কেহো।
--মানব চরিত--
টিকে থাকার এই মহাসংগ্রামে
লড়াইয়ের এই মহাময়দানে
মানুষও এক সাধারন সৈনিক , জয়ই তার লক্ষ্য
আর এই জয়কে বাগে আনতে মানুষের মত-
নির্দয় , নির্মম , নিষ্ঠুর , নৃশংস , বন্য , অদম্য ,
কামাসক্ত , ভোগাসক্ত , প্রতারক , স্বার্থপর আর নেই কেউ
তথাপি এতসব বদগুন থাকার পরও , এর ওপর নান্দনিকতার প্রলেপ , মানুষরে দান করেছে শ্রেষ্ঠত্ব।
যতো মায়া মমতা , ভদ্রতা , ধার্মিকতা , সামাজিকতা , পারিবারিক বন্ধন দেখো না কেন ,
সবই তার নিজের টিকে থাকার স্বার্থে , এখানে নিঃস্বার্থ বলে কিছু নেই।
কদাচিত আত্মত্যাগী মানবতাবাদী যাকে দেখা যায় , তিনি মানুষ নন স্বয়ং দেবতা।
--কাম দেব--
মরা বেগুন
পাথর পৃথিবীতে
চুম্বক ব্যাঙেরা
--ঈগলের দম--
দমে দমে-
হৃদয় আমার যায় উরে
পৃথিবীর সমান এক বিরাট ঈগল
--ছন্দ--
হও বিরাট
হও মুক্ত
শুধু দাও আর পাও আনন্দ
এই তো জীবনের ছন্দ
--মৃত্যুর সামনে--
ভেঙে যেতে দাও
ফেটে যেতে দাও
উড়ে যেতে দাও আমায়
হয়ে যেতে দাও নিশ্চিহ্ন
--প্রভাবের গুতো--
বিবেকের দংশনে কেনই বা সে হবে ক্ষত বিক্ষত
কেনই বা সে করবে মাইন্ড
কেন সে লজ্জাবতীর মতো নুইয়ে পরে হবে ক্রিতদাস
একজন মুক্ত মানুষ মুক্ত- মনের সব ধরনের ফাউলামি থেকে।
--দৃষ্টিভঙ্গি--
তোমায় দেখলে, আমি তোমায় দেখিনা শুধু
আমার একোরিয়ামের ছোট্র জেলিফিস তুমি
সারা জাহান আমার কাছে একটা ছোট্র একোরিয়াম
আমার একোরিয়াম দেখলে- তোমায় দেখা হয়ে যায়।
--সুখ আর দুখ--
বাস্তবের পেছনে মন
মনের পেছনে অনুভুতি
অনুভুতির পেছনে নির্বাক মুক্ত হৃদয়- “প্রান খোলা হাসে”।
বাস্তবের পেছনে মন
মনের পেছনে অনুভুতি
অনুভুতির পেছনে হৈচৈ ব্যাস্ত হৃদয়- “মন মরা থাকে”।
--পুজ্য “আত্মবিশ্বাস”--
স্বাধীনতা চাও? পাবে
আনন্দ চাও? পাবে
শক্তি চাও? তাও পাবে
যা চাও তাই পাবে
যা করো তাই হবে
শুধু নিজের প্রতি সম্মান আর বিশ্বাসটা যেন একচুলো না নড়ে।
--আচরন--
মধুর জন্যে আর বাইরে ছুটো না
নিজেকে করো শুধু মধু
আনন্দের আর অভাব হবেনা ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৩
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: valo
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
♥কবি♥ বলেছেন: পুরোটা বুঝিনি আরো বোঝার জন্য প্রিয়তে নিলাম। ধন্যবাদ।