নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

--“সুহে থাকতে ভূতে কিলায়” মেন্টাল হসপিটাল--

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ"

E-mail : [email protected]

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা ২০১৬

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৮




আত্ম তত্ব

--আমার স্বাদ—

বসন্তের আমি এক মাতাল হাওয়া
ফুরফুরে উড়ে বেড়ানোই আমার নিয়তি ।
এ জগত সংসার আমার ফুলের বাগান
পরশে আমার , ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে
ওদের সুখে হৃদয় আমার , ওড়ে শুধু ওড়ে ।


--স্রষ্টার ঘর--
স্রষ্টার ঘর- ঝক ঝকে , তক তকে , ফাকা
স্রষ্টার ঘর- স্নিগ্ধ শীতল ফুর ফুরে হাওয়া
স্রষ্টার ঘর- কৃত্রিমতামুক্ত , স্বচ্ছ সতেজ
স্রষ্টার ঘর- স্বার্থ শুন্য
স্রষ্টার ঘর- নীরব , নিস্তব্ধ , আনন্দময়
স্রষ্টার ঘর- একমাত্র আশ্রয়
একজন ভালো মানুষের হৃদয়- “স্রষ্টার ঘর”
শুধু ভালো মানুষের হৃদয়ে বসবাস করেন তিনি
তাই, ভালো মানুষের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই , কেউ নেই ।

--“সময়” আমার—

“মাথা” আমার ঐ উচু মগডাল
মাতাল হাওয়ায় দোলেরে…………।
“হৃদয়” আমার ঐ সুনীল আকাশ
পাখিরা সব ওড়ে রে………।


--আয়না মহল--

একটুকরো আয়না ধারন করে অসীম আকাশ
শুধু বিশেষ কিছুকে নয় , “এক আয়না” আশ্রয় দেয়- এই সমগ্রকে
অথচ সে থেকে যায় নিস্তব্ধ নির্বিকার
আপনার আনন্দে আপনি একাকার ।

আয়নার মতো হৃদয় তার স্বচ্ছ ঝকঝকে
তার ছোয়ায় নোংরাও হয়ে যায় পরিষ্কার , মানুষ হয়ে যায় পায়রা
তার মতো সাবলিল সাধারন কিছু নেই
অথচ তার সহজিয়া ভাবের চেয়ে অসাধারন কিছু নেই ।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে সবাই করে নেয় ঠিক ঠাক , করে নেয় যাচাই বাছাই
অথচ আয়নার এসবের নেই কোন বালাই
সে সবসময়ই সঠিক , অমুখাপেক্ষী , সর্বদা সুন্দর , সুবিশাল ।

--মন্ত্র--
বিশালে হাসি
এমনি ভালোবাসি....

--শুন্যের সাথে উড়াউড়ি--

আমরা ভেঙেছি কামনা-বাসনার সকল দেয়াল
তোমার আর আমার মাঝে আজ আর কোন দেয়াল নেই ,
এমন কি এক বিন্দু ঘৃনা কিংবা অবিশ্বাসের দেয়ালও আর নেই অবশিষ্ট
একটার পর একটা দেয়াল ভেঙে আজ তোমার-আমার সম্পর্ক সেরকম
পাখির সাথে শুন্যের সম্পর্ক যেরকম ।

--মরনের স্বাদ--
মাথা আমার যাক উড়ে যাক- ঐ পাখির মতোন
প্রেমে টলমল স্বচ্ছ হৃদয় যার , ঠিক শুন্যের মতোন ।


--ধনী--
যে দেয় , সে পায়
যে চায় , সে হারায় ।


--আত্মপূজো—
আমায় তুমি মায়া করো কি করো না
আমি তোমায় মায়া করি কি করি না
এটা কোন বিষয় না
আসল বিষয় হচ্ছে-
তুমি নিজেকে নিজে মায়া করো কি না?
আমি নিজেকে নিজে মায়া করি কিনা?
নিজেকে নিজে মায়ার চেয়ে মায়াবী কিছু নেই
নিজেকে নিজে ভালোবাসার চেয়ে ভালোবাসাময় কিছু নেই
নিজেকে নিজে সম্মানের চেয়ে শ্রদ্ধার কিছু নেই
নিজেকে নিজে যতনের চেয়ে বড় কোন সেবা নেই
নিজেতে ভরসার চেয়ে নিরাপদ কোন আশ্রয় নেই
নিজেকে বিশ্বাসের চেয়ে বিশ্বস্ত কেউ নেই
আত্ম-পূজোর স্নিগ্ধ হাওয়ায় অহর্নিশি করো স্নান- নিজেরে করো অনন্ত বিরাট
আত্ম-সৌরভের মাতাল ঘ্রানে চারিপাশ পাগল ।


--অদৃশ্য আনন্দ--
সর্বোচ্চ সৌন্দর্য , না দেখা যায় , না ছোয়া যায়
সেই অধরার অনুভবে , নিশ্চিহ্ন হওয়া যায় মাত্র
তাই তো বলি-
প্রেমের অদৃশ্য মূলে- “প্রকাশ্য ফুল” ফুটেছে
সে ফুলের অদৃশ্য সৌরভে , “অদৃশ্য প্রান” মাতাল হয়েছে
অদৃশ্য আনন্দে , “প্রকাশ্য শরীর” উজাড় হয়েছে

--মহান “এক”--
নিরাকারে সে আয়নার স্বচ্ছ হৃদয়- ফুরফুরে এক মাতাল হাওয়া
আকারে সে- মাতৃভাবে স্বয়ং মহামায়া “আমি”

--ইচ্ছা—
মনের ইচ্ছায় যে নিয়ন্ত্রিত
সে রাম গোলাম
যার ইচ্ছায় “মনের ইচ্ছা” নিয়ন্ত্রিত , সে বাদশা

--সর্বোক্ষন--
শিশুর মুক্ত মনরে করো স্মরন
হাসো বিশালে অকারন
এই কথাটা মানিলে ও মন
হবে না আর তোমার মরন ।
--অন্তর-বাহির--
বিচলিত যে “বাহির” দ্বারা
অচিরেই বাহিরের জালে পরবে সে আটকা।
“বাহির” প্রভাবিত যার ভেতর দ্বারা
অচিরেই “বাহির” তার মুঠোয় দিবে ধরা।

--দাসত্ব--
নিজেকে অত্যাচারের চেয়ে বড় কোন অন্যায় নেই
নিজেকে বিরক্তির চেয়ে ঘৃনিত কিছু নেই
নিজেকে ছোট করার চেয়ে নিকৃষ্টতম আর কিছু নেই
নিজেকে হতাশ রাখার চেয়ে বড় কোন পাপ নেই
নিজের চেয়ে বাহিরকে বেশী গুরুত্ব দিলে , অশান্তির আর শেষ নেই।

--প্রেম ও ঘৃনা--
এক বুক ভালোবাসায়
এক চিমটি দোষ খুজলেই , হয়ে যায় তেতো।
অন্ধ প্রেমিক না হলে , হবে না বিরাট
আর বিরাট না হলে পাবেনা- আনন্দ।

--মুক্তি--
ঘৃনার উর্ধে জেগে উঠে
মৃত্যুর সামনে ফেটে পরে
মুক্তির উৎসব , করো উৎযাপন ।

--আপন ঘর—
আজ আমি কোথাও যাবো না
আজ শুধু আমার এ ঘরেই থাকবো
দেয়াল নেই, ছাদ নেই- “উদোম ফুরফুরে হাওয়ার ঘর আমার”
এ আমার প্রানের ঘর
নিঃশব্দের চর
দিলখোলা আমার এ ঘরে কিছু নেই
বসতে যে দেবো পিড়ে নেই
শুতে দেবো পালঙ্ক নেই
এই নাও তোমায় দিলাম- “বাতাসার মুক্ত প্রশাদ”
এবার বাড়ি যাও , আমাকে আমার মত থাকতে দাও

--সত্যম--
সাদরে মৃত্যুরে করলে গ্রহন
জীবন ছোবে তোমার রাঙা চরন।
মন মাতানো হাসি হাসবে তখন
প্রান খোলা কান্না কাদবে যখন।
দোষ ধরা ভুলে যাবে যেদিন
প্রেমিক হবে সেদিন ।
ক্ষুদ্রতারে ছুরে ফেললে
বিশালতার দেখা পাবে।
দিয়ে দিলে
পেয়ে যাবে ।

--জীদ--
একটি “গোপন জীদ” আমাকে ফাকা রাখছিল
আর সে ফাকা “নিস্তব্ধতার সুবাসে” ভরিয়ে তুলছিল


--মুক্তি--

ততক্ষনই তুমি প্রতিবন্ধী, যতক্ষন তুমি বাহির দ্বারা প্রভাবিত
তখনই তুমি মুক্ত, যখন বাহির তোমার দ্বারা প্রভাবিত




--বিরাট শিশু--
চাইলেই চট করে যে পারে- ঘুমাতে , কাদতে কিংবা হাসতে
বাহির কিংবা চিন্তার দ্বারা যে নয় ভারাক্রান্ত
আকাশের মত ফাকা হৃদয়ে যার- বয় মাতাল হাওয়া নিরন্তর
সেই বিরাট শিশু ।





মানব তত্ব

--অন্ধত্ব--
অন্ধের মত মানুষরে ভালোবাসলে , তুমিই মনের মানুষ
অন্ধের মত মৃত্যুরে ভালোবাসলে , জীবন তোমার রাঙা চরনে
অন্ধের মত ভালোবাসলে “ফাকা”রে , পুর্ন তুমি পরমানন্দে
অন্ধের মত নিরাবতারে ভালোবাসলে , কোলাহল অনুসরন করবে তোমাকে
অন্ধের মত “বিনা স্বার্থরে” ভালোবাসলে , সবাই তোমার স্বার্থে
অন্ধের মত “কিছুই না” কে ভালোবাসলে , সব কিছু তোমার
অন্ধের মত ভালোবাসলে “সহজ” কে , তুমি বিরাট ।

--মানব পায়রা--
মানুষ আসলে শান্তির প্রতীক পায়রা
মানুষকে দেখলেই আমার নিঃসঙ্গ মন ভালো হয়ে যায় আর পায়রার কথা মনে পরে যায়
পায়রার মত এত আপন আর বান্ধব নেই,
পায়রার মত রসময় জোকারও নেই
পায়রার মতই বাক বাকুম স্বরে মানুষ যখন কথা বলে , শুনতে বেশ লাগে
মানুষের বাড়িতে ছোট ছোট জানালা থাকে যেমন পায়রার ঘরে ছোট ছোট খোপ থাকে
খাচার পায়রা- জীবনের জটজালে বন্দি
বনের পায়রা- শুন্যের চুম্বনে মুক্ত
মানুষ আর পায়রা আসলে একই , যাহা পায়রা তাহাই মানুষ , যাহা মানুষ তাহাই পায়রা
এই এক জনমে কত শত হাজারো পায়রা পোষ মানালাম , দানা পানি দিলাম , দেখ ভাল করলাম
আকাশে উড়ালাম আর মজা দেখলাম
পায়রারা কেউ হাতে , ঘারে আবার কেউবা মাথায় চড়ে বসে ,
সুরসুরি লাগে……হাসতে হাসতে পেটে আমার খিল ধরে যায়।
কত শত হাজারো পায়রার উড়াউড়ি…
কত ধর্মের , কত বর্নের লাল , নীল , হলুদ বিচিত্র সব…আমার আকাশে……।


--বিজয়--
মানুষকে করোনা যাচাই
বিনা শর্তে শুধু ভালোবেসো
বিজয় তোমার সুনিশ্চিত
Never judge the people
Just Love them
Win yours


--হাজিরা--
তোমার উপস্থিতি যদি হয় , অন্যের ভালোলাগার কারন
ধন্য তুমি , “প্রেমানন্দ” তুমিই কর ধারন

--নারী তুমি--
কখনো কোনদিন দেখিনি তোমায়
হইনি মাতাল , নেই নি স্নিগ্ধ কেশের ঘ্রান
ছুয়ে দেখিনি তন্বি তোমায়
আমিতো না দেখেও দেখে যাই তোমার সতেজ প্রান
অদম্য বন্যতায় নেই তোমার সুবাস
না শুনেও বাজাই প্রানে তোমার কোকিল কন্ঠ
না ছুয়েও জড়াই নিজেকে তোমার মায়াবি আলিঙ্গনে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা ২০১৬

বলেন কি .... তা কে লিখেছে সর্বশ্রেষ্ট কবিতাগুলো
আপনি?

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.