নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

--“সুহে থাকতে ভূতে কিলায়” মেন্টাল হসপিটাল--

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ"

E-mail : [email protected]

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বখ্যাত সাধক রামানা হৃদায়া্মার কিছু বানী

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

বিশ্বখ্যাত সাধক রামানা হৃদায়া্মার কিছু বানীঃ

দুনিয়া, শরীর থেকে বিচ্চিন্ন নয়
শরীর , মন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়
সুচেতনা থেকে মন বিচ্ছিন্ন নয় , এই তো অস্তিত্ব
কাজেই এটা অনায়াসে বলা যায় যে , সবি সত্তা এবং আর কিছু নয় শুধু সত্তাই অস্তিত্বময়

-
আমি বাস করি সত্যের দুনিয়ায় , যেখানে তোমারটা কাল্পনিক। তোমার দুনিয়া নিজস্ব , ব্যক্তিগত , ভাগাভাগি অযোগ্য , একান্তই তোমার নিজের। কেঊ এটাতে ঢুকতে পারেনা ।দেখো যেমনটি – তুমিই দেখো , শুনো যেমনটি- তুমিই শুনো , তুমিই তোমার আবেগকে অনুভব কর এবং তোমার ভাবনা চিন্তা কর । তোমার পৃথিবীতে তুমি আসলেই বড্ড একা , তোমার জীবনের জন্যে যে স্বপ্ন দেখো- সেটিতেই আবদ্ধ থাকো ।
আমার দুনিয়া একটা খোলা দুনিয়া , সবার জন্যেই একরকম , সবার দ্বারা ব্যবহৃত আমার দুনিয়ায় আছে গোত্র , সংঘ , বাহির-ভেতর , প্রেম , আসল মান । এখানে স্বতন্ত্র হচ্ছে সমগ্র আর সমগ্র হচ্ছে স্ব্তন্ত্র । সবাই এক আর একেই সবাই ।

আত্মো-উল্লাসে কেউ নাচবে কেউ গাইবে গান , কিন্তু শেষ পর্যন্ত নীরবতাই তোমাকে প্রদান করবে স্বাধিনতা । খোলো তোমার চোখ , দেখো সেই আলো- যে তোমাকে রাখে উজ্জ্বল , সমস্ত চিন্তা চেতনাকে ছাপিয়ে যে রাখে তোমার হৃদয়কে উচ্ছল ।
-
অমুর্তি সত্য দৃষ্টিভঙ্গি যখন অর্জিত হয় , সেখানে আর কোন দ্রষ্টা , দৃষ্টি , দ্রষ্টব্যের মধ্যে পার্থক্য থাকেনা। সচেতনতার এই ধরনের দৃষ্টিভংগী , তার নিজের অদ্বৈত এবং অভাগকৃত । এটা সীমাহীন , অনন্ত এবং পরিপুর্ন। যখন “আমি”র স্বতন্ত্র চেতনা শরীরে উদয় হয় , তখন পৃথিবী দেখা হয়। যদি এই চেতনা অনুপস্তিত থাকে – তাহলে কে আর দুনিয়া দেখে ?



~ Sri Poonjaji 'Papaji' এর পবিত্র বানীঃ-



যখন বাহিরের কোন কিছু থেকে তোমার কোন কামনা থাকেনা , তখনই সুখ আসে , শুধু তোমার নিজের সত্তা থেকে ।

*
প্রেমই ধ্যান
ধ্যানই প্রেম
“হৃদয়ের কোন সীমা নেই”- এই অসীমের ধ্যান কর ।

*

সবাইরে ভালবাসো- হও প্রেম আর তা ছড়িয়ে দাও
তুমি প্রেম , সবার হৃদয়ে তোমার আসন
এখানে হৃদয় থেকেই তুমি সবকিছু দেখতে পারো
কারন সবকিছু এখান থেকেই প্রতিফলিত

*

যদি এই মন্ত্র , বার বার পড় , তাহলে আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি , তুমি মুক্তি পাবে।
কি সেই মন্ত্র? “আমি মুক্ত” ।





*

নিঃস্তব্ধ থাকো
“তুমি যে কোন ব্যাক্তি নও” এটা জানাটাই তোমাকে নিঃস্তব্ধ রাখে ।
“এই নিঃস্তব্ধতা , এই নিরাবতা”- কথা বলা বা না বলার সাথে কিছুই করে না
কারন যখন তুমি কথা নাও বলো , তখনও মন সবখানে দৌড়ে চলেছে
নীরব মন থেকে কোন চিন্তাই বেরিয়ে আসে না
কোন কিছুর প্রতি সচেতনটা এটি নয়
যে এই সচেতনতার প্রতি সচেতন- সেই তো নীরবতা ।




*


নিশ্চিত কর যে কোন কামনার উদয় হচ্ছে না এবং তুমি হবে অনিন্দ্য সুন্দর , নিখাদ খাটি , দাগহীন
এই সবকিছু তৎক্ষনাৎ তোমার আগেই প্রস্ফুটিত হবে , তখন এই পরম সুন্দর নিজেকেই নিজে জড়িয়ে ধরবে।
*
যখন কেউ প্রান খোলা হাসি হাসে , তখন তার কোন মন থাকে না ।
*

ধর্ম মানে কোন ধারনাকে আকড়ে থাকা নয়
চরম ধর্ম সব ধর্মকে বাদ দিয়ে দেয়
তুমি যদি সবকিছু বাদ দিয়ে দাও , তাহলে কি ঘটে?
সব ধর্ম বা ধারনার বোঝা তোমার মন থেকে ঝরে পরে
আর থাকে শুধু শান্তি আর প্রেম
এটিই তোমার আসল ধর্ম ।

*


“আমি মুক্তি চাই” - এই ধারনাটি তোমার আর মুক্তির মাঝে একটা দেয়াল তুলে দেয়। এই ধারনাটি আসলে একটা নিছক কল্পনা মাত্র , এর আসলে কোন অস্তিত্ব নেই , তুমি আসলে সব সময়ই মুক্ত , এই বিশ্বাস তোমার জন্য যথেষ্ট ।
*

ভেতরে তাকাও
তোমার সত্তা আর গুরুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই
তুমি সব সময়ই মুক্ত
সেখানে কোন শিক্ষক নেই , ছাত্র নেই , শিক্ষাও নেই
*

তোমরা সবাই সিংহ- তাই চল তোমার নিজের পথে
কোন পথকেই অনুসরন করোনা
সিংহরা একে অন্যকে ফলো করেনা যেমন ভেড়ারা করে
*

তুমি কেবল তখনই শান্তি কে খুজে পাবে যখন তুমি ঘরে ফিরে আসবে , তোমার নিজস্ব সত্তায়
*

যখন কেউ সত্তা হয়ে বাচে
তখন “পরম শক্তি” তার জীবনের দায় দায়িত্ব নিয়ে নেয়
তখন কোন মানোসিক চেষ্টা ছাড়াই- সবকিছু সতঃস্ফুর্ত ভাবে হয়ে যায় ।

*

ঘুমিয়ো না
সত্তায় সদা সর্বদা থেকো সজাগ
এক পলকই যথেষ্ট রাজাকে পথের ভিখারী করে কুকুরের পেছনে পেছনে খাবারের পানে ছুটতে
তাই তো একটি সেকেন্ডও নিজের সত্তা থেকে দূরে সরে যেওনা
এতে ব্যাক্তি অহংও জেগে উঠবে না ।

*
শুধুমাত্র সত্তা একাই তোমাকে শান্তিতে রাখে
সব শান্তি সত্তা থেকেই আসে
সব সমস্যা , দুঃখ আর কষ্ট আসে মন থেকে ।

*

পুকুরে যখন ঢেউ থাকে না , তখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পারো । এই ঢেউ গুলো আসলে চিন্তা ভাবনা । যদি তুমি তোমার মনে কোন চিন্তা ভাবনাকে নড়তে না দাও , তাহলে এখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পাবে। সমস্ত প্রকাশ্য বিষয় বস্তুই আসলে শুধু একটি সামান্য ঢেউ মাত্র । এর নিচে তুমি প্রশান্ত আর নীরব , এটিই তোমার আসল স্বভাব ।
*

যখন কেউ কোন চিন্তাকে অনুসরন করে তখন সেটিও একটি চিন্তা ! যখন তুমি জানবে দুটোই চিন্তা , তখন তুমি ঘর । তুমি ঘরে নও , তুমিই ঘর । এরপর তুমি চিন্তাকে জেগে উঠতে দাও এবং এক চিন্তা আরেক চিন্তাকে অনুসরন করতে অনুমোদন দাও , আর তুমি থেকে যাও অচঞ্চল এবং অজ্ঞাত সত্তা । এটিই সর্বোচ্চ বোঝা পরা ।
*
যখন আমি অনুভব করি অসুস্থতা , যখন আমি অনুভব করি দুঃখ যাতনা – এগুলো হচ্ছে এমনকিছু যা ঘটছে (সিনেমার পর্দায় যেমনটি ঘটে)এবং এসব ঘটনা এক সময় শেষও হয়ে যাচ্ছে (শেষ পর্যন্ত কে থাকছে ? দর্শক সারিতে বশে আছি এই আমি থাকছি, যাকে সিনেমা হলের আধারের কারনে দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু নীরবতার মাধ্যমে তাকে উপলব্ধি করা যায়)






*
যদি তোমার মনে শান্তি থাকে তবে সবার মধ্যেই তুমি শান্তিকে খুজে পাবে। তোমার মন উত্তেজিত থাকলে সর্বত্রই তুমি উত্তেজনা দেখতে পাবে। তাই প্রথমেই ভেতর থেকে শান্ত হও আর তাতে তুমি দেখবে তোমার ভেতরের শান্তি সর্বত্র প্রতিফলিত হচ্ছে । তুমিই সেই শান্তি !


*
যখন মন প্রশান্ত থাকে , তখন সবই সত্তা । যখন মন চঞ্চল তখন দুনিয়ার উদয় হয়। তাই স্থির হও , সব কিছু ছুড়ে ফেলো আর মুক্ত থাকো ।
*
যা কিছুই আসুক আসতে দাও , যা কিছুই থাকুক থাকতে দাও , যা কিছুই যাক , চলে যেতে দাও

*
চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে তোমার গভীরতম স্বভাব দেখতে না দেয়ার একটা বাধা
কোন চিন্তাকেই উদয় হতে দিওনা আর আবিষ্কার কর , তুমি কে?
তুমি হচ্ছো অনন্ত শান্তির সমুদ্র
এটা কি এমন যাতনা যার জন্য আমরা কষ্ট পাচ্ছি?
শান্তিকে আমরা সর্বত্র খুজে বেড়াচ্ছি অথচ এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছিনা যে আমরাই শান্তি।
*
থামাও , সবকিছু থামিও দাও , এরপর তুমি উপলব্ধি করবে যে তুমিই মুক্তি, যাকে তুমি এতোদিন খুজে বেড়াচ্ছিলে।
*
যখন তুমি চিন্তা কর – দেখবে এ সবই তোমার কামনা বাসনা । কিন্তু যখন তোমার মন শান্ত হয়ে যায় , তোমার মধ্যে কোন কামনা বাসনা কাজ করে না , তখনই তুমি পরিপূর্ন আর ঠিক তেমনটি সুন্দর , যেমনটি তুমি সব সময় ছিলে।
*
মুক্তির জন্যে কে দৌড়াচ্ছে? যে এরই মধ্যে মুক্ত।


*

বন্ধুদের মধ্যে প্রেম আসলে সত্তার নিজের সাথে নিজের আলিঙ্গন , শরীরের সাথে শরীরের নয় , আসল প্রেমের কোন অন্য প্রেমিক নেই , কারন সব প্রেমই এক সত্তার প্রেম ।

*
থাকো নিশ্চুপ , নিস্তব্ধ , অচিরেই কোলাহল শব্দরাশী স্তব্ধ করে দেয়া হবে
এরপর প্রশান্তি স্বয়ং ওপরে উঠে আসবে
এটি সহজ
একে অনুসরন কর।
*

কোন চাওয়া পাওয়া না থাকলে তুমি মুক্ত , যদি তুমি চাও ,তাহলে কারাগারে তোমাকে বদ্ধ করা হবে , এখন তুমিই বল তুমি কি চাও । চাওয়া পাওয়া কখনই পূর্ন হয় না।
*

সবার খেয়াল রাখলে সবাই তোমার প্রতি খুশী থাকে । ঈশ্বরের পূজারীদের সেবক হওয়ার চেয়ে ঈশ্বর স্বয়ং নিজের সেবক নিজে হওয়া ভালো ।












মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.