নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Allah Tumer Bhalobasha Chai...Tumake Jara Bhalobashe Tader Bhalobasha Chai.

আল্লাহ তোমার ভালবাসা চাই, তোমাকে যারা ভালবাসে তাদের ভালবাসা চাই।

Abdullah Arif Muslim

একজন মুসলিম যে আত্মসমর্পন করে আল্লাহর কাছে, হোক সেটা তার ইচ্ছার পক্ষে বা বিপক্ষে।

Abdullah Arif Muslim › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্দুল কাদের জিলানী কি ছিলেন তা আপনাকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১০

আব্দুল কাদের জিলানী কি ছিলেন তা আপনাকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন না। আল্লাহ আপনাকে প্রশ্ন করবেন রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে। আব্দুল কাদের জিলানী সম্পর্কে জা জানেন সেগুলো কিছু অগ্রহনযোগ্য বইয়ের পাতার কথা মাত্র। তিনি কি ছিলেন আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা খারাপও বলবো না আবার ভালোও বলবো না। আব্দুল কাদের জিলানীকে অনেক বড় বুজুর্গ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য তাকে অনেক সম্মান দেওয়ার জন্য তার নামে অনেক বই মার্কেটে ছাড়া হয়, অনেক আধ্যাতিকতার কাহিনী শুনানো হয়। ্এগুলো এক ধরনের ব্যবসা। আর আপনি যদি কোন একক ব্যক্তিকে অনুসরন করেন আল্লাহর রাসুল কে বাদ দিয়ে তাহলে পথভ্রষ্ট হবেন। কারণ এটাই স্বাভাবিক।



যেমন ধরেন ফাযায়েলে আমল এর ফাযায়েলে হজ্জ বইয়ের ১৫৮ নং পৃষ্ঠাতে হযরত রেফায়ী (রহঃ) একবার মদিনাতে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওজার নিকট যেয়ে বললেন "বহুদিন যাবত এই খাদেম তার রুহ কে আপনাকে খেদমতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আজ খাদেম শশরীরে উপস্থিত। ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি আপনার হস্ত মুবারক বাহির করুন। আমি তাহা চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করিব। তার পরই আল্লাহর রাসুল কবর থেকে তাহার নিকট হাত বাহির করিয়া দিলেন আর তিনি চুম্বন করিলেন। তখন মদীনাতে ৯০০০০ লোকের সমাগম ছিল। সকলেই হাতের জ্বলকানি দেখিতে পাইলো। অনেকে বলেন "মাহবুবে ছোবহানি আব্দুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।"



এই হইল কাহিনী। এখন বলতে পারেন শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া সাহেব ফাযায়েলে আমল লিখছেন তিনি কি না জাইনা লিখছেন। তার ভূল হতেই পারে না। তবে ব্যাপার হলো ইসলাম চলে দলিল প্রমাণে। মক্কার ইমামও যদি কোন কথা বলে যা কোরআন ও সুন্নাহ এর বিপরীত আমরা তার কথা মানবো না। এই গল্পে নবী প্রেম টা অনেক বৃদ্ধি করা হইছে। নবীর নামে একটা মিথ্যারোপ করা হইছে যে উনি কবর থেকে হাত উঠাইছেন। আর এগুলো যেন মানুষ বিশ্বাস করে তাই নব্বই হাজার মানুষের রেফারেন্স সাথে মাহবুব ছোবহানি দিয়া আব্দুল কাদের জিলানীর না ব্যবহার করা হইছে।



সূরা আরাফ-৩> তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা যা অবতীর্ণ হইছে (কোরআন ও সহীহ হাদিস) তুমি শুধূ সেগুলোর অনুসরণ কর। অন্য কোন আউলিয়ার (পীর, ফকীর, বুজুর্গ, আলেম, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মতামত যেমন আব্দুল কাদের জিলানী, শাহপরান শাহ জালাল) অনুসরণ করো না।



তারা কি ছিলেন আল্লাই জানেন। আমরা যেহেতু দেখি নাই। তাই তাদের ব্যপারে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। আমরা আব্দুল কাদের জিলানীসহ অনেক ব্যক্তির জীবনী পড়ি। কখনো কি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী পড়তে চেষ্টা করছি।



মাওলানা জাকারিয়া, শাহজালাল, শাহপরান, আব্দুল কাদের জিলানী অনেক মানুষের অনেক কথা ভালো মনে করে আমরা পড়ি। কিন্তু ভালো আলেম এর বাণী মনে করে উপরের গল্পের মতো অনেকে রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা পোষন করবে। যেমন তিনি কবর থেকে হাত তুলেন, কবরে বসে মানুষ কি করে দেখেন। তার পর রুহ কে খাদেম হিসেবে পাঠাইয়া দেওয়া ইত্যাদি।



Allah give us the right path.



Allah Know the best.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি পুরোপুরি একতরফা ভাবে খারাপ টাই বলে গেলেন, এখানে ভাল খারাপ দুটোই থাকতে পারে, কিন্তু ভালটা বললেন না।

হযরত আব্দুল কাদির জিলানী ( রঃ ) কে কেউ পুজা করে বলে জানিনা, তিনি আল্লাহর একজন বান্দা ই ছিলেন। আপনি একটা বই পড়েছেন বলে সব বই এ যে ফালতু কথা লিখে তা তো নয়। সম্মানীয় লোককে সম্মান দেয়ার শিক্ষা আমাদের ইসলাম ই দেয়। আপনি তো তাকে সম্মান করে হযরত বা ( রঃ ) শব্দ দুটোও ব্যাবহার করতে পারলেন না। নাকি তাতেই শিরক হয়ে যেত? তাঁর অবদান সম্পর্কে কিছু জানা আমাদের জন্য ফরজ নয় কিন্তু অলি আউলিয়াদের জিবনী পড়লে অনেকেরই ইবাদতের প্রতি আগ্রহ জন্মে।
অলিদের আগমন সম্পর্কে রাসুল ( সঃ ) অনেক ভবিষ্যৎবানী করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে তাদের অবদান কিছুমাত্র কম নয়। আজ এই উপমহাদেশে আমরা মুসলিম হয়েছি হযরত খাজা মঈনঊদ্দীন চিশতী ( রঃ ) এর উছিলায়। এখন কি তাদের কে আমরা অস্বীকার করব?

আপনি বলতে পারেন শিরক থেকে সাবধান হতে, কিন্তু তাদের কে ভালও বলতে পারবনা এ কেমন কথা? অনেকে ব্যাবসার উদ্দেশে বই লিখতে পারে, কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছেন, ভাল খারাপ আপনি বিচার করে গ্রহন করবেন। দ্বার রূদ্ধ করে রাখলে তো খারাপের পাশাপাশি ভাল কিছুও হারাবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: লেখক বলেছেন: মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি পুরোপুরি একতরফা ভাবে খারাপ টাই বলে গেলেন, এখানে ভাল খারাপ দুটোই থাকতে পারে, কিন্তু ভালটা বললেন না।

=> আপনি বলছেন আমি এক তরফা ভাবে তাদের খারাপ টা বলছি। আমি তাদেরকে কখনো খারাপ বলিনি। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করুন এই দোয়া করি। আপনি আমাকে দেখান আমি কাকে গালি দিয়েছি? কাকে বলছি তিনি খারাপ ছিলেন? আমি শুধু এটুকুই বলছি তিনি যা করছেন আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কৃত হওয়ার জন্যই করছেন। তারা আমাদের আদর্শ না, আদর্শ হলেন আল্লাহর রাসুল। সূরা যারিয়াত-২১ নং আয়াত দেখুন। তাদেরকে অনুসরণ করলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন একজন গাজা খাইতেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন খান। উত্তর পেলাম অলী আল্লাহগণ গাজা খেতেন তাই খাই। এটা একটা সেম্পল।

------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
হযরত আব্দুল কাদির জিলানী ( রঃ ) কে কেউ পুজা করে বলে জানিনা, তিনি আল্লাহর একজন বান্দা ই ছিলেন।

=> পুজা মানে জানেন। সীরাত গ্রন্থ আর রাহিকুল মাখতুম এ বর্ণিত আছে আদি ইবনে হাতেম (রাঃ) কে আল্লাহর রাসুল সাঃ বললেন, তুমি তোমাদের পুরোহিতদের উপাসনা/পুজা করো। তিনি বললেন, কই নাতো। আল্লাহর রাসুল সাঃ বললেন, তারা যেইটা বৈধ বলতো তোমরা কি সেটা বৈধ বলতে না। তারা যেইটা অবৈধ বলতো তোমরা কি সেটা মানতে না। আদি ইবনে হাতেম (রাঃ) বললেন জি আমরা এটা করতাম। আল্লাহর রাসুল বললেন এটাই তো তাদের পুজা/উপাসনা।

এখনো যারা আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) নামে রচিত অথেনটিকতা ছাড়া বই গুলোতে নির্ধিধায় বিশ্বাস করে তারা মুলত তাদেরই উপাসনা/পুজা করে। এখনো আপনি বাংলাদেশের জীবিত পীরদের মাজারে যান। অনেক ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ দেখবেন। কিন্তু আপনার মতো লোকেরা সেগুলো চোখ বন্ধ করে মেনে নেয় অন্তর থেকে পীরদের পুজা করার জন্য। কিন্তু আমরা মুসলিমরা এটার বিরোধীতা করি। যেটা দলিলে নাই সেটা মক্কার ইমামও যদি করেন আমি বলবো ভূল। হয়তো আপনি বলতে পারেন, "এত বড় আলেম তিনি কি না জেনে বলছেন?"

------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
আপনি একটা বই পড়েছেন বলে সব বই এ যে ফালতু কথা লিখে তা তো নয়।

=> কোন বই টি শুদ্ধ? আপনি কি সেটা প্রমাণ করতে পারবেন? এগুলোর কোন বেইজমেন্ট নাই। বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্য হাদিসের গ্রন্থগুলো থেকে হাদিস নিতে গেলেই টেনশনে থাকি। হাদিসটি যঈফ না মওজু। আর আপনি নিয়া আসছেন মানুষের লেখা অলৌকিক কিচ্ছা কাহিনীতে ভরপুর বই। যেগুলোর কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নাই।
------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
সম্মানীয় লোককে সম্মান দেয়ার শিক্ষা আমাদের ইসলাম ই দেয়।

=> অবশ্যই ১০০% একমত। কিন্তু সম্মান মানে এই নয় যে তিনি যদি বলবেন আল্লাহর রাসুল স্বপ্নে এসে তাকে প্রতিদিন খাবার দিয়ে যান। আর আমি সেটা বিশ্বাস করবো। আমি তার ভূল ধরিয়ে দিব।
------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------

আপনি তো তাকে সম্মান করে হযরত বা ( রঃ ) শব্দ দুটোও ব্যাবহার করতে পারলেন না। নাকি তাতেই শিরক হয়ে যেত?

=> তাকে আমিও সম্মান করি। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন এই দোয়া করি। হযরত শব্দটা এসেছে হাদারা থেকে, বাংলাদেশে বলে হাজারা বা হাজির। উপস্থিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হযরত ব্যবহার করা যায়। এখন আপনি বলেন উনি কি উপস্থিত? নাকি মৃত? কোনটা? (রঃ) মানে আল্লাহ তাকে রহম তথা দয়া করুন। আমি সেই দোয়াই করি। কিন্তু তাদের নাম উচ্চারণ করলেই যে (রঃ) উচ্চারণ করতে হবে এমন কোন দলিল আমরা পাই নাই। তারপরও আপনার মনঃসন্তুষ্টির জন্য, পীরপুজারীরা যাতে শান্তি পায় সেজন্যই উনার নামের সাথে ঘটা করে রঃ ব্যবহার করছি যাতে আপনি কষ্ট না পান।

------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
তাঁর অবদান সম্পর্কে কিছু জানা আমাদের জন্য ফরজ নয় কিন্তু অলি আউলিয়াদের জিবনী পড়লে অনেকেরই ইবাদতের প্রতি আগ্রহ জন্মে।

=> যেই জিনিস আমাদের জন্য ফরজ নয় সেটা জানাও উচিত নয়। তাদের জীবনী থেকে অসংখ্য মানুষ পথভ্রষ্ট হতে পারে। কারণ সেগুলো অথেনটিক না। তিনি কি ছিলেন সেটা নিয়ে আমাদের ভাববার দরকার নাই। এটা আল্লাহ ও বান্দার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

আর ইবাদতের প্রতি আগ্রহের কথা বলছেন,

তাহলে হযরত রাবেয়া বছরী (রঃ) এর একটা কাহিনী বলি।

ফাজায়েলে জিকির-৩৬৪ পৃষ্ঠা> হজরত রাবেয়া বছরী (রঃ) একজন বিখ্যাত অলী ছিলেন। তিনি সারা রাত্রি নামাজে কাটাইতেন। ছোবহে সাদেকের সময় সামান্য একটু ঘুমাইতেন। ফর্শা হইয়া গেলে তাড়াতাড়ি উঠিয়া নিজেকে তিরস্কার করিয়া বলিতেন আর কতকাল শয়ন করিবে? শীঘ্রই করবে সিঙ্গার ফুক পর্যন্ত শয়ন করিবার সময় আসিতেছে।

ফাজায়েলে নামাজ-১২৩ পৃষ্ঠা> এক সৈয়দ সাহেব সম্বন্ধে বর্নিত আছে বারদিন পর্যন্ত একই অজুতে সমস্ত নামাজ আদায় করিয়াছেন এবং ক্রমাগত পনের বৎসর যাবত শুইবার সুযোগ হয় নাই।

আপনার পীর মাওলানা যাকারিয়ার লেখা এই কাহিনীগুলো ইবাদতের প্রতি আগ্রহই সৃষ্টি করে। তবে এর পরিণাম জাহান্নাম। কারণ

সহীহ বুখারীতে একটি হাদিস আছে যে তিনজন ব্যক্তির একটি দল রাসুল সাঃ এর ইবাদত সম্পর্কে মা আয়িশাহ রাঃ কে প্রশ্ন করলো। উত্তর শুনে তারা বললো, এত খুবই কম। তারা সিদ্ধান্ত নিলো একজন কোনদিন বিয়ে করবে না, একজন সারাজীবন রোজা রাখবে, অন্যজনের টা মনে নাই। তো রাসুল সাঃ এসে বললেন তোমরাই কি সেইসব লোক যারা এমন কথা বলছ। আমি তোমাদের থেকে বেশী আল্লাহ কে ভয় করি। আমি রোজা রাখি আবার রোজা ভাঙ্গি। আমি বিয়েও করি। যে আমার সুন্নাহের প্রতি বিরুপভাব পোষন করে সে আমার দলভূক্ত নয়।

আপনি হাদিসটা দেখে নিয়েন। আরো কত কিচ্ছা কাহিনী আছে। এগুলো লিখলে আমার হাত ব্যথা হয়ে যাবে।
কলমের কালি শেষ হইয়া যাইব কিন্তু এরকম গল্প শেষ হইবো না।
------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
অলিদের আগমন সম্পর্কে রাসুল ( সঃ ) অনেক ভবিষ্যৎবানী করেছেন।
=> কিছু প্রমাণ দেন।
------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে তাদের অবদান কিছুমাত্র কম নয়।
=> সহমত। তবে এখন কি করবো? তাদের সম্মানার্থে মুর্তি তৈরী করবো যেমন করেছিল নূহ আঃ এর সম্প্রদায়? নাকি তাদের নামে লিখিত গ্রন্থগুলো কোরআন হাদিস বাদ দিয়ে ফাযায়েলে আমল এর সাথে ষ্ট্যাপলার মেরে মসজিদে মসজিদে প্রেরণ করবো?


------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------


আজ এই উপমহাদেশে আমরা মুসলিম হয়েছি হযরত খাজা মঈনঊদ্দীন চিশতী ( রঃ ) এর উছিলায়। এখন কি তাদের কে আমরা অস্বীকার করব?
=> এটাই তো শিরক। একজন ব্যক্তিকে না দেখে শুধু মাত্র অনুমান করে সেই ব্যক্তিকেই সম্মান প্রদর্শন করা। ব্যাপারটা এমন তিনি না আসলে সবাই হিন্দু থাকতাম। শুনেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী (রঃ) যদি কোন ভাল কিছু করে থাকেন তবে তিনি আপনার মতো লোকের মনে চিত্রায়িত হওয়ার জন্য করেন নাই। বরং তিনি করছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তবে তিনি যদি কোন খারাপ কিছু করে থাকেন তবে সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তিনি ভাল কি মন্দ ছিলেন আমি জানি না। যতটুকু শুনি ভাল ছিলেন ব্যাস। আল্লাহর উনার মঙ্গল করুন এই দোয়া করি।


আপনি বলতে পারেন শিরক থেকে সাবধান হতে, কিন্তু তাদের কে ভালও বলতে পারবনা এ কেমন কথা?

------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
=> ভাল বলতে তো নিষেধ করছি না। বলেন ভাল। তবে ভাল মানে এই নয় যে তিনি না থাকলে আমরা জাহান্নামী হতাম আর তিনি যা বলছেন সবই ঠিক। তাকলিদ বা অন্ধ অনুকরণ শুধু মাত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------
অনেকে ব্যাবসার উদ্দেশে বই লিখতে পারে, কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছেন, ভাল খারাপ আপনি বিচার করে গ্রহন করবেন।

=> অনেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বই লিখতে পারে। কথা সত্য। ইসলামে আমার বিবেকের কোন মূল্য নাই। মাওলানা জাকারিয়া (রঃ) অনেক বই লিখছেন, বইগুলো যদি কোরআন ও সহীহ হাদিসের সাথে মিলে যায় মেনে নেব। ভাল খারাপ নির্দিষ্ট হয় কোরআন ও হাদিসের কষ্টিপাথরে যাচাই করলে। কিন্তু যদি আপনি মাওলানা যাকারিয়ার অন্ধ অনুকরণ করেন তাহলে তিনি যদি আল্লাহর রাসুল এর নামে বানোয়াট জাল হাদিসও রচনা করেন। তখন আপনি বলবেন, এত বড় হুজুর, "না জেনে কি বলছে নাকি"

আল্লাহ আপনাকে সত্য বুঝার, মানুষের অন্ধ অনুকরণ না করার, অলী আউলিয়ার কি জিনিস সেটা বুঝার, এক আল্লাহ ও তার মনোনিত রাসুলকে মেনে নেওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.