নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব সময়ই আশায় থাকি এমন বৃষ্টির যা ধুয়ে মুছে দিবে জীবনের সব গ্লানি জীবনটা হয়ে উঠবে ফুলের মত সুন্দর।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
চতুর্থ ভাগ
নির্বাহী বিভাগ
১ম পরিচ্ছেদ
রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ
অনুচ্ছেদ ৫০(২)
"একাদিক্রমে হউক বা না হউক-দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোন ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।"
পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধানেই এরকম রাষ্ট্রপ্রধান/সরকারপ্রধানদের জন্য মেয়াদ সীমিত করে দেয়া বিধান রয়েছে। উদ্দেশ্য, ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা এবং গণতান্ত্রিকভাবে অন্যদেরও নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দেয়া। এই মুহূর্তে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পুনঃনির্বাচিত হওয়ার মত যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু সংবিধান তাকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয়নি।
ইরানের মাহমুদ আহমাদীনেজাদ দুই মেয়াদ পূর্ণ করে ফিরে গেছেন শিক্ষকতার পুরনো পেশায়।
এবার আসি আমাদের বাংলাদেশের কথায়। পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোর সভ্য অনুকরণে আমরাও সংবিধানে ক্ষমতার রাশ সীমিত করার ব্যবস্থা রেখেছি। দেখিয়ে দিয়েছি বাঙ্গালীরাও এসব বিষয়ে ঢের সভ্য।
কিন্তু কার ক্ষমতা আমরা সীমিত করেছি? যার আদতে কোন ক্ষমতাই নেই। যিনি আসলে রাষ্ট্রের কেউই নন (সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেছিলেন I am nobody)।
মূলত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তি একশ বছর থাকলেও মিলাদ পড়া, কবর জিয়ারত করা, বিভিন্ন উপলক্ষে বাণী দেয়া এবং মাঝে-মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত দলীয় ক্যাডারদের সাধারণ ক্ষমা করা (সেটাও লিস্ট যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে!) ব্যতীত কিছুই করতে পারবেন না। অধিকন্তু, সংবিধান অনুযায়ী তিনি কোনোক্রমেই দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি থাকতে পারবেন না।
অন্যদিকে যিনি-
* আজীবন দলীয় প্রধান, যে কারণে দলীয় পদ-পদবী একমাত্র তার কৃপাতেই মেলে-
*সরকার প্রধান, যে কারণে মন্ত্রী হতে পারলে কৃতজ্ঞতায় তার পায়ে কদমবুসি করা হয়-
*৭০ অনুচ্ছেদের কারনে সংসদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী, যেখানে সাংসদদের কাজই হচ্ছে চাটুকারিতার সহযোগে তার সকল সিদ্ধান্ত যথার্থ এটা প্রমাণ করা।
এক কথায় সকল ক্ষমতা পুঞ্জীভূত হল যার হাতে তার মেয়াদ? আমাদের সংবিধানে তার মেয়াদের ওপর কোন সীমা আরোপ করা হয় নি। সুতরাং তার ক্ষমতার মেয়াদ আমৃত্যু। এমনকি তার মৃত্যুর পরেও ক্ষমতা তার উত্তরাধিকারীদের জন্যই বরাদ্দ। মাঝে-মধ্যে একটু নির্বাচন নির্বাচন খেলতে হবে এই যা!
সংবিধান এবং চেতনার মারপ্যাঁচেে একটি রাষ্ট্রের যাবতীয় ক্ষমতা যখন একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত হয় তখন অন্যদের কি আর কাজ থাকে চাটুকারিতা এবং তেল মারা ছাড়া? হ্যা! দেশে এখন এটাই চলছে।
যাহোক বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত না করে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ সীমিত করা কি প্রমাণ করেনা যে এ জাতি নিজের সাথে নিজেই প্রতারণা করে? এ হল আত্মপ্রবঞ্চক বাঙ্গালী জাতি।
এমনিতেই ওয়েস্ট মিনিস্টার সিস্টেমটা আমার কাছে বাটপারিপূর্ণ মনে হয়। তাও আবার যে জাতির হাতে এসে পড়েছে সে জাতির নাম বাঙ্গালী জাতি!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৭
আশাবাদী অধম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ভাবনাগুলো ভালো লেগেছে
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
এম জাহিদুল ইসলাম বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৬
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: মনে হচ্ছে ,আপনি স্বজাতির উপর বেজায় খেপে আছেন ।আসলে আমরা এমনই! সবকিছু সয্য করে নেওয়া আমাদের কর্তব্য ।আমরা তো আমাদের কর্তব্য হতে পিছপা হতে পারি না!
লেখায় +++....