নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব সময়ই আশায় থাকি এমন বৃষ্টির যা ধুয়ে মুছে দিবে জীবনের সব গ্লানি জীবনটা হয়ে উঠবে ফুলের মত সুন্দর।
মুসলিম সমাজের একটা অংশের নিকট এটা বড় প্রশ্ন যে জ্ঞান-বিজ্ঞান-আবিষ্কারে কেন মুসলিমরা অন্য সব জাতি থেকে পিছিয়ে আছে। এ প্রশ্নটা সাধারণ বিশ্বাসী মুসলিমদের মনে দাগ কাটে। তারা ব্যথিত হয়। আর ইসলাম বিদ্বেষীরা এটাকে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ক'দিন পরপরই এই বিষয়টাকে আলোচনায় নিয়ে আসে এবং হাস্যকর কথাবার্তা বলে। যেমন- কম্পিউটার যেহেতু অমুসলিমরা আবিষ্কার করেছে অতএব মুসলিমরা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেনা, ব্যবহার করলেও এ দিয়ে ইসলাম প্রচার করা বা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে কিছু বলা ভারি অন্যায় ইত্যাদি ইত্যাদি!
বাস্তবে এটা একটা ধোকাবাজী বৈ কিছুই নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন ধর্মই তার অনুসারীদের বৈষয়িক উন্নতি অগ্রগতির ফর্মুলা দিতে আসেনি। আর কোন ধর্মের সত্য মিথ্যা এর ওপর নির্ভরশীলও না। ইসলাম মানুষের নিকট যে দাওয়াত নিয়ে এসেছে তার সারকথা ছিলো- সৃষ্টিকর্তা একজন, তাকে এক বলে স্বীকার করতে হবে। আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ নবীর (সা) অনুসরণে প্রত্যাহিক জীবন গড়ে তুলতে হবে। এবং মৃত্যু-পরবর্তী অনন্ত জীবনে বিশ্বাস রাখতে হবে। শুধু বিশ্বাসই নয় পার্থিব ক্ষণস্থায়ী জীবনের সুখ সমৃদ্ধির তুলনায় আখেরাতের জীবনের সাফল্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ অবস্থায় মানব কল্যাণের জন্য মুসলিমরা যদি বিজ্ঞানে অবদান রাখতে পারে ভালো। যদি না পারে তবে এ কারণে তাদের ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কই? অন্তত মুসলিমদের ধর্মতো বিজ্ঞান গবেষণায় বাঁধা দিতে ইনকুইজিশন প্রথা চালু করেনি। আজকে অধিকাংশ বিজ্ঞানী যে ধর্মীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে তাদের ধর্মই বরং এই জঘন্য প্রথা চালু করেছিলো, ফলে তারা ধর্মকে অগ্রাহ্য করে সামনে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়েছিলো।
বিজ্ঞান একটি জাগতিক জ্ঞান যা অর্জন করা সবার জন্য আবশ্যকীয় নয়। কিছু মানুষ এই জ্ঞানে অভিজ্ঞ হলে গোটা মানব সমাজ তাদের দ্বারা উপকৃত হতে পারে। পৃথিবীর শুরু থেকে এভাবেই চলে আসছে। আর বিজ্ঞানের প্রাথমিক চর্চা শুরু হয়েছিল প্রাচীন নবীগণের (আ) মাধ্যমেই। ইসলাম যখন পৃথিবীতে এসেছে তখন পারস্য এবং রোম আরবের তুলনায় বৈষয়িক জ্ঞানে এত বেশী উন্নত ছিলো যে উভয়ের মধ্যে তুলনা চলেনা। তা সত্ত্বেও ইসলাম যে তাদের ওপর বিজয়ী হয়েছিলো তা বিজ্ঞানে উন্নতির জন্য নয়। সত্য ধর্ম হওয়ার কারণে, মানুষে মানুষে সমতা প্রতিষ্ঠিত করার কারণে। সর্বোপরি আল্লাহর সাহায্যে। যদিও ইসলামের বিজয় সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুসলিম বড় বড় শহরগুলো একেকটা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার আধুনিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিলো। চিকিৎসাবিজ্ঞান, রসায়ন, বীজগণিত, ভুগোল ইত্যাদি শাস্ত্র ওই সব শহর থেকেই নবজীবন লাভ করেছিলো।
পৃথিবীর ইতিহাসে সব কিছুরই উত্থান পতন রয়েছে। একটি ভবন যেদিন নির্মাণ সমাপ্ত হয় মূলত ঐ দিন থেকেই উক্ত ভবনের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। নদীতে জোয়ার সমাপ্ত হলে ভাটা শুরু হওয়াই কেবল বাকি থাকে। মুসলিমরা ইতিহাসের দীর্ঘ একটা সময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে। একথা কেউ যদি অস্বীকার তবে সেটা তার জেগে ঘুমানো। সেসময় আজকের সভ্য ইউরোপ ছিলো অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাদের কল্যাণেই "মধ্যযুগীয় বর্বরতা" নামক পরিভাষাটির উদ্ভব ঘটেছিলো। সময়ের আবর্তনে মুসলিমরা পিছিয়ে পড়েছে। যে বাগদাদ ছিলো জ্ঞান ও সভ্যতার বাতিঘর তা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এসে হালাকু খাঁর নেতৃত্বে মোঙ্গলরা এমনভাবে ধ্বংস করে দিল যে এর পরে আর মুসলিমদের নতুন করে উঠে দাড়ানোর শক্তি রইলনা। তখনও অবশ্য ইউরোপের বুকে স্পেনে মুসলিমদের জ্বালানো জ্ঞানের প্রদীপ মিটিমিটি করে জ্বলছিলো। ১৪৯৮ তে এসে সেটাও ইউরোপীয়দের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো। মুসলিমদেরকে গণহত্যার মাধ্যমে নির্মূল করা হলো। ভারতীয় মুসলিমরা অবশ্য আওরঙ্গজেবের আমল পর্যন্ত শান্তিতেই ছিলো। কিন্তু আফসোস! ইউরোপে যখন রেনেসাঁ চলছিলো আমরা তখন প্রেমের সমাধি তাজমহল নির্মাণ করে চলছিলাম। বাইরের বিশ্বে কি ঘটছে সে ধারণাও আমাদের ছিলোনা।
যাহোক ইউরোপের দেখাদেখি মুসলিম বিশ্বে দেরিতে হলেও জ্ঞান গবেষণায় নতুন করে জাগরণের সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু এবারে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো তথাকথিত সভ্য পৃথিবীর আরোপিত কলোনিয়ালিজম। এখানে এসে ইতিহাসের এ দিকটা নিয়ে কেউ আলোকপাত করেনা। ভারতীয় উপমহাদেশের কথাই ধরা যাক। ইউরোপে যখন নিত্য নতুন অত্যাশ্চর্য যন্ত্র আবিষ্কার হচ্ছে। সেই সময়টাতে দুইশত ব্ছর যাবত ব্রিটিশরাই আমাদেরকে শাসন করেছে। কিন্তু তারা এখানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ছোয়া লাগতে দেয়নি ইচ্ছাকৃতভাবেই। এ প্রসঙ্গে জওহারলাল নেহেরু তার 'দ্যা ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া' বইতে লিখেছেন-
"বস্তুতপক্ষে ভারতের শিল্পোন্নতি যাতে না হয়, যাতে শিল্পের দিক থেকে তার অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি লাভ করে- সেইদিকেই ইংরেজের লক্ষ্য ছিলো বেশি। যন্ত্রপাতি ভারতে যাতে না আসতে পারে তার জন্য নিয়ম করা হল। বাজারে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করা হল যে ব্রিটিশ পণ্য না হলে যেন ভারতের না চলে। সঙ্গে সঙ্গে বহু লক্ষ লোক হল বেকার, দৈন্যদশায় দেশ ছেয়ে গেল। গঠিত হল আধুনিক কালের আদর্শ উপনিবেশ-শাসনতন্ত্র। ইংল্যান্ড দ্রুত তার শিল্পোন্নতির দিকে এগিয়ে চলল, ভারত হয়ে গেল কৃষিপ্রধান দেশ।"
ইংরেজদের দেশ দখলের পর লুটপাটের প্রথম ধাক্কায় যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো তাতেই বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিলো। জ্ঞান-গবেষণাতো পরের বিষয়, জমিদারদের খাজনা দিতে দিতেই মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছিলো। ব্রিটিশরা তাদের নিজ ভূমির শিল্পোন্নয়নের স্বার্থে এ অঞ্চলের লোকদের কৃষিকাজেও করেছে সীমাহীন অত্যাচার। ফসলী জমিতে নীল চাষে বাধ্য করেছে, তা ঐ ইংল্যান্ডের কারখানার কাঁচামালের যোগান দিতেই। যে কারণে কৃষকরা বিদ্রোহ পর্যন্ত করেছে।
ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে আজ থেকে ৭০ বছর পূর্বে। কিন্তু তারা যে শোষণ করে গেছে তার ক্ষত এখনো পুরোপুরি শুকোয়নি। পাশাপাশি তাদের রেখে যাওয়া পদ্ধতিতেই দেশ চলছে। তারা যে কেরানী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে গিয়েছিলো সেটাই এখনো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।
এতো গেল ভারতের দৃষ্টান্ত। মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলই সভ্য ইউরোপের কলোনিতে পরিণত হয়েছিলো। ফ্রান্স, ব্রিটেন, স্পেন, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, ইতালি যে যেখানে যতটুকু ভাগ নিতে পেরেছে লুটেপুটে খেয়েছে। যারা স্বাধীন ছিলো তাদেরও চিন্তা চেতনার গণ্ডি হয়ে পড়েছিল সংকীর্ণ। তারা নিমজ্জিত ছিলো আত্মকলহ আর বিলাসিতায়। সুতরাং যে জাতির বিগত কয়েকশত বছরের ইতিহাস পরাধীনতা, আত্মকলহ আর পিছিয়ে পড়ার ইতিহাস। তাদের পক্ষে জ্ঞান-গবেষণা-আবিষ্কারে কতটুকু অবদান রাখা সম্ভব? তাছাড়া মুসলিমরা জাতি হিসেবে আত্মাভিমানীও বটে। যে কারণে এই ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশরা ক্ষমতা দখলের পরে অন্যান্য জাতির লোকেরা যত সহজে তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছে মুসলিমরা পারেনি। এমনকি ইংরেজি শেখারও প্রয়োজনবোধ করেনি। এ অবস্থায় উপনিবেশবাদের ফলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মুসলিমরাই। এরপরেও ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা হিসেবেই দেখা উচিত। এবং মুসলিমদের Conspiracy Theory বাদ দিয়ে আত্মসমালোচনা করা উচিত।
তবে এ ক্ষেত্রে কথা হচ্ছে, এই পৃথিবীতে যে কেউ যা কিছু আবিস্কার করে তা গোটা মানবেরই সম্পদ হয়ে দাঁড়ায়। বিজ্ঞান অষ্টাদশ শতাব্দীতে শুরু হয়নি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে আসছে। ইহুদী খ্রিস্টান বিজ্ঞানীরা যা কিছু আবিষ্কার করেছে তার অনেক কিছুর ফাউন্ডেশন মুসলিম বিজ্ঞানীরাই স্থাপন করে গেছেন। যদিও বিজ্ঞানের সর্বাধিক আবিষ্কার-উৎকর্ষের সময়টাতে মুসলিমরা বিশ্বকে তেমন কিছু দিতে পারেন নি। তবে ভুলে গেলে চলবেনা, মুসলিমরা যেমন দৈনন্দিন জীবনে পশ্চিমাদের আবিষ্কারের মুখাপেক্ষী তেমনি পশ্চিমারাও তাদের আবিষ্কৃত পণ্য মুসলিমদের নিকট বিকানোর মুখাপেক্ষী। অর্থনীতির সূত্র তাই বলে। টমাস আলভা এডিসনরা টাকার জন্যই বৈদ্যতিক বাল্ব থেকে শুরু করে গ্রামোফোন আবিষ্কার করেছিলেন। মানব কল্যাণ বা খ্রিস্টধর্মের খেদমতের জন্য নয়। (টমাস আলভা এডিসন নিজেই মাইকেল ফ্যারাডের সঙ্গে তার তুলনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে তিনি টাকার জন্যই এসব কিছু করেন)। স্টিভ জবস নিশ্চয়ই ধর্মীয় চিন্তা থেকে আইফোন উদ্ভাবন করেননি। বৈশ্বিক মার্কেট ধরাই তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো। অথচ আজকালকার ইসলাম বিদ্বেষীরা এমন ভাব করে যে আইফোন যেহেতু একজন খ্রিস্টান আবিষ্কার করেছে অতএব মুসলিমদের এটা ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই খ্রিস্টান এবং নাস্তিকদের গুণকীর্তন হবে। তাদের বিরুদ্ধে এই যন্ত্র দিয়ে কিছু লেখা যাবেনা!
আবিস্কারই কি সব?
এই একটি প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। মুসলিমদের লজ্জা দেয়ার জন্য বারবার আবিষ্কারের প্রসঙ্গ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এই পৃথিবীতে আবিষ্কারই কি সব? এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের অনেক কিছুই লাগে। শুধু আবিষ্কার দিয়ে তো চলেনা। আচ্ছা, সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের দেশ আমেরিকায় কেন সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়? পুরো সভ্য পৃথিবী কেন বৃদ্ধ মা বাবাকে টিস্যু পেপারের থেকেও নিম্নভাবে মূল্যায়ন করে? বিজ্ঞানে অগ্রসর জাপানে কেন এতমানুষ আত্মহত্যা করে? সভ্য বিশ্বে কিভাবে অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে? আবিষ্কারের জগত থেকে কেন আবেগ, ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধন, নীতি-নৈতিকতা কর্পূরের মত উড়ে গেল?
এক্ষেত্রে এসে যে কেউ বলতে বাধ্য হবে, আজো পর্যন্ত যান্ত্রিক পৃথিবীতে বেগের চাপের মধ্যে যতটুকু আবেগ, ভালোবাসা, নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন এবং মানসিক প্রশান্তি অবশিষ্ট আছে, বেশিটা মুসলিমদের কল্যাণেই আছে। যে কারণে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত সভ্য পৃথিবীর লোকেরাও প্রতিনিয়ত মানসিক প্রশান্তির আশায় ইসলাম গ্রহণ করছে। অতএব, মুসলিমদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকার ব্যর্থতা যতটা না আমাকে কষ্ট দেয়, আজকের স্বার্থপর পৃথিবীতে ইসলামের এই মানবীয় দিক আমাকে এর চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।
সর্বশেষ একটি ঘটনা দিয়ে আমার এই লেখার ইতি টানতে চাই। যে মোঙ্গলদের হাতে মুসলিম ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছিলো। বাগদাদ ধ্বংস করে যারা রক্তের ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছিল। বেশ কয়েক বছরের ব্যবধানে তারাই ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। সেই মোঙ্গলদেরই উত্তর পুরুষ বাবর এই ভারতে মোগল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটাই পৃথিবী। কারো উত্থান ঘটে কারো পতন ঘটে। এভাবেই সময়ের আবর্তনে পৃথিবী এগিয়ে চলে। এর সাথে সত্য-মিথ্যার সম্পর্ক সামান্যই। যারা মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনে বিশ্বাস করে তাদের সেই জীবনের সাফল্যকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং ঈমান ও ভালো কাজের মধ্যেই সকল সান্ত্বনা খোঁজা উচিত।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম আপনাকে!
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনারটা নিয়ে গত কয়েদিনে অনেকগুলো পোস্ট হল, আসলে ধর্ম কখনও বলেনি তুমি গবেষণা কর না, কিছু আবিস্কার করো না, সমস্যা আমাদের ভিতরে আমরা মুসলিমরা দিনে দিনে হচ্ছি অলস, টাকা হলেই করছি ফূর্তি, আর শেষ বয়সে তো তাবলীগ আছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: জ্ঞান অর্জন ছিলো যে ধর্মের সমার্থক শব্দ। সে ধর্মের অনুসারীরা আজ জ্ঞানার্জনে সব চেয়ে পিছিয়ে। এর চেয়ে আফসোসের বিষয় আর কি হতে পারে? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার প্রতিটি ধারণা ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত। আপনার লেখার মাঝে সব বাক্যেই স্ববিরোধীতা, আপনার কাছে এনালাইসিস করার মত বিদ্যা নেই।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
আশাবাদী অধম বলেছেন: একজনকে ভুল প্রমাণ করতেও এনালাইসিস লাগে। সেটা না করে সোজা পথটা বেছে নিলেন। দুই বাক্যে ভুল সবই ভুল বলে দিলেন। অতএব এই লেখা এনালাইসিস করার মত বিদ্যা আপনার আছে কি না সেটাই আমার সন্দেহ হয়।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
স্যামতত্ত্ব- সিয়ামুজ্জামান মাহিন (স্যাম) বলেছেন: আপনি শুধুমাত্র আপনি যা মনে করেন তাই লিখেছেন। স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব । এক দিকে পক্ষপাতিত্ব না করে মুক্তভাবে চিন্তা করে লিখলে সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হতো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
আশাবাদী অধম বলেছেন: ভাই, আমি আমার বিশ্বাসের আলোকেই দেখব এটাই স্বাভাবিক। আপনিও যেমন আপনার পরিচয়ে লিখেছেন-
কিশোর সিয়ামুজ্জামান মাহিন একাধারে একজন লেখক ব্লগার ডেভেলপার মানবতাবাদী এগ্নস্টিক এথেইস্ট নারীবাদী বিবর্তনবাদী ধর্মতত্ত্ববিদ সমাজতান্ত্রিক আলোকিতবাদী শান্তিকামী মুক্তচিন্তক মিউজিশিয়ান
তো আপনিও লিখুননা। আপনার একক সত্তার মাঝে লুকিয়ে থাকা এতসব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে পৃথিবীটাকে একটু দেখি।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: "প্রত্যেক নর-নারীর উপর দ্বীনে শিক্ষা করা ফরজ" - এই হাদিসটি আমাদের মুসলিম সমাজ শুধু নামাজ শিক্ষা আর টুকটাক মাসলা-মাসায়েল পর্যন্ত বুঝে, এখন যদি আমি প্রশ্ন করি- দেশ চালাতে গেলে কি শুধু এই শিক্ষায় চলবে? খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাইলে এই শিক্ষায় চলবে? এভাবে অনেক বলা যাবে। আমাদের বুঝতে হবে আমাদের জীবন-ব্যবস্থা হল দ্বীন। যে জীবন ব্যাবস্থা দ্বীন নয় তা ইসলামে অনুমতি নয়। অতএব জীবনের চাহিদার প্রয়োজনে মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথে প্রযুক্তি শিখতে হবে, অন্যদের সাথে লড়াই করতে হলে আমাদের সবকিছু করতে হবে নইলে তাঁরা আমাদের উপর জুলুম করবে যেমনটা বর্তমান বিশ্বে হচ্ছে মুসলিমদের সাথে। আমাদের আগে বুঝতে হবে- আমরা কি চাই, অন্যের করুণা নিয়ে বাঁচতে নাকি মাথা উঁচু করে বাঁচতে, যদি মাথা উঁচু করতে বাঁচতে চাই তাহলে আমাদের অনেক বেশি সম-সাময়িক হতে তবে তা ইসলামের গন্ডির ভিতরে থেকে এবং তা করা সম্ভব।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ইসলাম সব রকমের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা বাঙালী মুসলিমরা আপাতত ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জ্ঞানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: Nice post and good job.
I want to say, Discovery or Information technology is not enough for peace of mind. But to keep themselves in the world, they have to be ahead in the discovery or Information technology. Innovation is not the sole responsibility of any religion followers. It is the duty of all human beings. But Muslims must stop pir trade.
The last word is not the responsibility of the devotees, but their responsibility is to give them knowledge of religion. Discovery is the responsibility of those who are learning information technology.
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শাহাদাত ভাই। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। মুসলিমদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত উভয়টা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ইসলামী জ্ঞান অর্জনের পথে একদল মুসলিমকে কঠিন সাধনা করে দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অপর একটি দলকে দীনের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের পর আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণায় গভীর মনোনিবেশ করতে হবে।
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
ভুল বানান বলেছেন: কম্পিউটার অমুসলিমের আবিষ্কার তা ব্যবহার করা যাবে না । এমন যুক্তি এখানেই প্রথম দেখলাম।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
আশাবাদী অধম বলেছেন:
ভুল বানান বলেছেন: কম্পিউটার অমুসলিমের আবিষ্কার তা ব্যবহার করা যাবে না । এমন যুক্তি এখানেই প্রথম দেখলাম।
আপনি এ যুক্তি এখানেই প্রথম দেখে থাকলে দুঃখিত। তবে বেশি দূরের নয়, এখনো আলোচিত হিসেবে ঝুলতে থাকা রসায়ন সাহেবের পোস্ট রিভিউ পোস্ট থেকেই দুটি স্ক্রিনশট দিচ্ছি। যদি মনযোগ দিয়ে দেখতেন বড়ই খুশি হতাম-
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকার জন্য ধর্মের কোন ভূমিকা নেই। এক মালয়েশিয়া ছাড়া কোন মুসলিম দেশে সুশাসন নেই। দুর্নীতিবাজ আর স্বৈরশাসকদের হাতে মুসলিম দেশগুলি বন্দী। তাই এসব দেশে শিক্ষার প্রসার ঘটেনি।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: সহমত।
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
ইনাম আহমদ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে আমার অবস্থা হয়েছে এই লোকগুলোর মতো।
ভাগ্যিস ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছিলো। নাইলে আপনাদের মতো লোকেরা আমাদের বিনোদন যোগানোর উৎস হতে পারতেন না।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আশাবাদী অধম বলেছেন: জ্বি, আরেকজনের সাথে দ্বিমত পোষণ করতে হলে অথবা কারো ভুল ধরিয়ে দিতে হলেও কিছু জানতে হয়। কিছুটা কষ্ট করতে হয়। সেটা না করে নিজেই সস্তা কমেন্ট করে বিনোদনের যোগান দিলেন। ভাগ্যিস ইন্টারনেট ছিলো। না হলে আপনার এই সস্তা বিনোদনও মিস করতাম।
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখায় যদি সামান্য কিছু থাকতো, কিছু বলা যেতো; লেখায়, সবকিছু স্ববিরোধী; আপনার ভুলগুলো নিয়ে আলাপ করতে হলে, অনেক টাইপ করতে হবে, যা আসলে সময়ের অপচয় হবে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমার জানামতে আপনি সারাদিনই ব্লগে পড়ে থাকেন এবং অনেক আগডুম বাগডুম লিখে থাকেন। সেক্ষেত্রে মাত্র একটা পয়েন্টের অবতারণা করুন যেটা ভুল এবং স্ববিরোধী। করলেনই নাহয় আমার কল্যাণার্থে কয়েক মিনিট অপচয়। অন্যথায় মনে করব এটা আপনার পিছলানোর একটা বাহানা মাত্র।
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ইনাম আহমদ বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখায় যদি সামান্য কিছু থাকতো, কিছু বলা যেতো; লেখায়, সবকিছু স্ববিরোধী; আপনার ভুলগুলো নিয়ে আলাপ করতে হলে, অনেক টাইপ করতে হবে, যা আসলে সময়ের অপচয় হবে।
আর কিছু আমারও বলার নেই।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনাদের মত পণ্ডিতদেরকেই তো আমি বারবার অনুরোধ করছি আমার হাজারটা ভুলের মধ্যে মাত্র একটা ভুল নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা করুন। সেটা না করে বায়বীয় ভাবে ভুল ভুল বলে চলে যাচ্ছেন। এটা না ব্লগিংয়ের নিয়ম কানুনের মধ্যে পড়ে আর না এর মধ্যে জ্ঞানের কোন নিদর্শন আছে। এটা আপনাদের পালায়নপরতারই প্রমাণ।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিজ্ঞান ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা বৃথা। বিজ্ঞান আমাদের চোখ খোলে দেয়।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: ইসলাম কখনোই বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে নি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে বের হতে পারলেই মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারবে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: জাহান্নামে যাওয়ার জন্য?
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওকে, মুসলমানদের বাগদাদ, সিরিয়া, আলেকসান্দ্রিয়া ও স্পেন বিজয়কে আপনি কিভাবে দেখেন?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
আশাবাদী অধম বলেছেন: এটা পোস্ট রিলেটেড কিভাবে? একটু ব্যাখ্যা দিলে খুশি হতাম।
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবেরা বাগদাদ, সিরিয়া, মিশর, স্পেন দখল করেছিলো; পোষ্ট মোষ্টের দরকার নেই, আপনি এসব বিজয়কে কিভাবে দেখেন? (আমি বলতে চাচ্ছি যে, আপনার লেখায় বিশালভাবে স্ববিরোধীতা আছে। ) আপনি উত্তর লিখুন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৯
আশাবাদী অধম বলেছেন: এক কথায় উত্তর দিলাম, অত্যান্ত ন্যায্য মনে করি।
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
ইনাম আহমদ বলেছেন:
ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে আজ থেকে ৭০ বছর পূর্বে। কিন্তু তারা যে শোষণ করে গেছে তার ক্ষত এখনো পুরোপুরি শুকোয়নি। পাশাপাশি তাদের রেখে যাওয়া পদ্ধতিতেই দেশ চলছে। তারা যে কেরানী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে গিয়েছিলো সেটাই এখনো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। েএগুলো বললেন, উপমহাদেশের মাদ্রাসাগুলোও কিন্তু ইংরেজদের অধীনে করা। ওগুলো বাদ দিলেন কেন?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: এই জ্ঞানের বহর নিয়ে আসেন সব ভুল বলে উড়িয়ে দিতে? আমি এখানে শিক্ষা ব্যবস্থা জেনারেল সেন্সে বলেছি। যার মধ্যে সরকারি কারিকুলামে চলা সবরকম শিক্ষা ব্যবস্থাই অন্তর্ভুক্ত, আলিয়া মাদরাসাও। আপনার কেন মনে হলো যে আমি মাদরাসাকে বাদ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছি? বিনোদনের দেখি বস্তা নিয়ে হাজির হলেন একেবারে!
১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
ইনাম আহমদ বলেছেন:
বুঝতে পারলাম আঙ্কেল, আপনি অন্নেএএএএএএক জানেন। আপনার বিশাল জ্ঞানভান্ডার দিয়ে মানবসমাজের অসীম কল্যাণ হোক, এই কামনা করছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমি জানি আমি নিছক একজন মূর্খ। আপনারাই বরং এতবড় পণ্ডিত হয়ে গেছেন যে উত্তম আলোচনার মাধ্যমে দ্বিমত পোষণের চেয়ে ভাঁড়ামিতেই বেশি দক্ষতা দেখাচ্ছেন।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আশাবাদী অধম, নিজেকে অধম মনে করেন। আপনার নাম বা লেখা নিয়ে দ্বিমতে যাব না। আমি আপনার চেয়েও আরো অধম। মুসলমানের বিজ্ঞান বা আবিষ্কার জাহান্মামে যাক, কিন্ত আপনি বা আপনার মত অনুসারীরা যেন জান্নাতী হন, দোয়া করি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০১
আশাবাদী অধম বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:১৫
নরাধম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।
কিছু বেকুব ছাগল লাফাচ্ছে, এরা অশিক্ষিত মূর্খ। চাঁদগাজী এই মহামূর্খতার প্রতিনিধি। এদেরকে পাত্তা দিয়েন না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১০
আশাবাদী অধম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। আমি জানি আমার লেখার মান ভালো না। ভুল থাকতেই পারে। ৪নং কমেন্টে সিয়ামুজ্জামান মাহিন আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। অথচ মার্জিত ভাষায়। কিন্তু কয়েকজন পণ্ডিত কমেন্ট বক্সে এসে গোপাল ভাঁড় সেজেছেন। ওনারা কোথায় ভুল পেলেন সেটাও নির্দেশ করবেন না, আবার সবই ভুল বলে চিৎকার করবেন। এটাতো পোস্ট একেবারে না পড়েও করা যায়।
যাহোক আমি আপনার লেখাগুলো পড়ি। এবং ভালো লাগে।
২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫৪
নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: আরবদের মতো বর্বর জাতি আমাদের ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করছে আর বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেখানে আমরা লজিকের চাইতে আবেগকে প্রাধান্য দিচ্চি। আপাতত এটাই সমস্যা মনে হচ্চে আমার কাছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনার মত কিছু রেসিস্ট আমাদের দেশীয় পরিমণ্ডলেও আছে যারা একই দেশের মানুষ হয়ে একটা অঞ্চলকে সহ্য করতে পারেনা। কারো নিকট বরিশাল চোখের বিষ, কেউ মরতে রাজি কিন্তু নোয়াখাইল্ল্যাদের সাথে আত্মীয়তা করতে রাজি নয়।
আর বর্বরতার কথা যদি বলেন তবে হিন্দুস্তানী বর্বরতার তুলনা হয়না। জীবন্ত স্ত্রীকে স্বামীর চিতায় সহমরণ দিত যে জাতির পূর্ব পুরুষরা তাদের মুখে আরবদের বর্বর বলা খানিকটা বেমাননই বটে।
২১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাল লাগলো আপনার আলোচনাগুলো। ধন্যাবাদ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নকিব ভাই।
২২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
নরাধম বলেছেন: @নোয়াখাইল্লা, আরবরা বর্বর হবে কেন? সাদা ইউরোপীয়ারাই সবচেয়ে বর্বর। তাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি গণহত্যা হয়েছে, ওপনিবেশবাদ হয়েছে, দাসবৃত্তি হয়েছে। ব্রিটিশরা আমগরে খাইয়া শোষণ করে ছিবড়ে করে ছাড়ছে, মিলিয়ন মিলিয়ন বাংলার লোককে কৃত্রিম খরার মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই ৭০ লক্ষের কাছাকাছি বাঙালির মৃত্যুর কারন ছিল চার্চিল দ্বারা সৃষ্টকৃত খরা। আর আপনি দোষ দিচ্ছেন আরবদের, যেখানে কাজ করে প্রবাসিরা টাকা পাঠায় বলেই আমাদের অর্থনীতি বেঁচে আছে।
আর আমাদের ধর্মের কোন প্রতিনিধি না, সব মুসলমানই ইসলামের প্রতিনিধি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
আশাবাদী অধম বলেছেন: উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
মাহিরাহি বলেছেন: মুসলমানদের ১০০১টি আবিস্কার - বিজ্ঞানের (ক্ষেত্রের) জনক হিসাবে খ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানিদের তালিকা
ইবনে আল হাইতাম (Alhazen) কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির জনক বলা হয়। তিনি থিউরিটিকাল হাইপোথিসিস প্রমানের জন্য নিয়ন্ত্রিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কঠোর পরীক্ষামূলক পদ্ধতির প্রবর্তন করেন।
জাবির ইবনে হাইয়ান (Geber) কে রসায়নের জনক বলা হয়। আলকেমিতে তিনি প্রথম পরীক্ষামূলক পদ্ধতি চালু করেছিলেন।
Pediatrics কিংবা শিশুরোগ চিকিতসার জনক বলা হয় মুহাম্মদ ইবন জাকারিয়া রাজি (Rhazes) কে। স্বতন্ত্রভাবে শিশুরোগের উপর পৃথিবীর প্রথম বইটি তিনি লিখেন।
আবু আল কাসিম আল Zahrawi (Abulcasis)কে সার্জারির (আধুনিক জনক বলা হয়। তিনি ১০০০সালে কিতাব আল তাশরিফ লিখেছিলেন। তার বইটি পরে ল্যাটিন ভাষায় ভাষান্তরিত হয়।
ইবন আল Haytham (আলহাজেন) কে পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের (প্রতিষ্ঠাতা) জনক বলা হয়। তার বুক অব অপটিক (1021) বইটিতে পদার্থবিজ্ঞানে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।
Al-Khwarizmi (আলগোরিদিম)কে আল জেবরার জনক বলা হয়। তিনি তার আল জেবরা বইটিতে আল জেবরার অনেক সমস্যার সমাধান ব্যক্ত করেন। তিনি আল জেবরাকে একটি গনিতের স্বাধীন শাখা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন।
আবু রেইহান আল বেরুনিকে নৃবিদ্যার জনক বলা হয়। ইবনে খালদুনকে Demography র জনক বলা হয়। তিনি Muqaddimah (Prolegomena) (1377) বইটি লিখেন।
আবু রেইহান আল বেরুনিকে Indology জনক বলা হয়। তিনি Indica নামক বইটির রচয়িতা।
ইবনে খালদুনকে সমাজবিদ্যার জনক বলা হয়। তিনি Muqaddimah (Prolegomena) (1377) নামক সমাজবিদ্যার প্রথম বইটি লিখেন।
ইবনে খালদুনকে অর্থনীতির জনক বলা হয়।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_people_considered_father_or_mother_of_a_scientific_field
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: তথ্য সংযোজনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
২৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
ক্স বলেছেন: এই বিষয়ে আমার দেখা সবচেয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ, তবে অনেক বিষয়েই আমার দ্বিমত আছে।
- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যারা খুব ধনাঢ্য এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা মুক্ত, তাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এবং গবেষণাগার অতি নগণ্য - কেন?
- ধনী মুসলিম দেশগুলো তুলনামূলক গরীব দেশগুলোতে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগে তেমন আগ্রহী নয় - কেন?
- গরীব দেশগুলো থেকে স্কলারশীপ নিয়ে যারা বিদেশে যায় - বেশির ভাগই আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মত দেশে যায়। মুসলিম দেশগুলোর এক্ষেত্রে কি কোন দায়বদ্ধতা নেই?
- কলোনিয়ালিজমের শিকার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর হংকং কত তাড়াতাড়ি নিজেদেরকে গুছিয়ে নিলঃ মুসলিম দেশগুলো পারছেনা কেন?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
আশাবাদী অধম বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি লেখাটি পড়ে মতামত দেয়ার জন্য।
মূলত মধ্যপ্রাচ্য ধনাঢ্য হয়েছে বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তেলের খনির সন্ধান পাওয়ার পরে। আর তখন থেকেই প্রযুক্তি সরবরাহের সূত্রে তাদের বড় বন্ধু হয়ে দাড়িয়েছে আমেরিকা। বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের রাজারা মুসলিম স্বার্থের চেয়ে আমেরিকার বন্ধুত্বকে বড় মনে করে। এরা রাজতন্ত্র নিয়ে সন্তুষ্ট, প্রচণ্ড বিলাসী, অকর্মণ্য এবং অপব্যয়ে পারঙ্গম। শিক্ষা-গবেষণায় অনাগ্রহী। সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহারে এক সৌদি আরব আজ মুসলিম বিশ্বের আমেরিকা হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটা না হয়ে তাদের বিনিয়োগে আমেরিকা একক পরাশক্তি হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব যে তিমিরেই ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
এসব শাসকেরা এখন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ইসরাইলের সাথে বন্ধুত্ব করতেও দ্বিধা করছেনা। এরা আদতে মুসলিম না মুনাফিক আল্লাহই ভালো জানেন।
আর মুসলিম বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণাকে প্রমোট করতে হবে। তবেই ধীরে ধীরে অগ্রগতির আশা করা যায়।
২৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
নতুন বলেছেন: বত`মান যুগ বিজ্ঞানের যুগ এতে যদি আপনি মনে করেন যে বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকলেও চলবে তবে কিছুই বলার নাই।
যদি বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকেন তবে মুসলিমরা কখনোই বিশ্বের নেতা হতে পারবেনা।
বিধ`মিরা আবিস্কার করবেন আর আপনি তা কিনে নিয়ে ব্যবহার কবেন??? আপনার আয়ের উতস কি হবে? ফসল? চাষবাস? নাকি তেল? <<< তেল একদিন ফুরিয়ে যাবে.... আরেকটা জিনিস করতে পারেন সেটা হলো ওদের কারখানাতে কামলা দেওয়া....
সামনে চীনারা বিশ্বের সম্রাজ্যের হাল ধরবে..... কেন মুসলিমরা সেই স্হানে যেতে পারছেনা?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকলেও চলবে একথা আমি বলতে চাইনি। উত্থানের পর পতন এসেছে এটা বোঝাতে চেয়েছি। হয়তোবা মুসলিম বিশ্বেও ইউরোপের মত রেনেসাঁ আসতে পারে কে জানে। আজ থেকে পাঁচশ বছর পরের পৃথিবী কেমন হবে তা আমরা বলতে পারিনা। এমনও হতে পারে যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বা আধুনিক বিজ্ঞান কার্যকারিতা হারাবে।
২৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
সনেট কবি বলেছেন: জাতি হিসেবে সম্মান পেতে মুসলমানদের নিজেদেরকে আরো গুঁছিয়ে নিতে হবে। সভ্যতার জন্য কাজ করতে না পারলে সভ্যতায় মুসলমানের সম্মান বাড়বে কেমন করে? মন্তব্যের জবাবগুলো বেশ ভালো লেগেছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: বিজ্ঞানে অগ্রসর হওয়াই তো শুধু সভ্যতায় অবদান রাখা নয়। সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, নৈতিকতা বিদায় নিচ্ছে এগুলোর জন্য কাজ করাও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ফরিদ আহমাদ চৌধুরী নিক কই গেল?
২৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
প্রািন্ত বলেছেন: পৃথিবীতে যারা ধর্ম নিয়ে বেশী উন্মাদনা করবে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে তারাই জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে যাবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
আশাবাদী অধম বলেছেন: সঠিক বলেছেন। তবে ধর্মে নিষ্ঠাবান হওয়ার সাথে পিছিয়ে পড়ার কোন সম্পর্ক নেই।
২৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ইসলাম নিষেধ করেছে। অন্যধর্মের লোকদের নিকৃষ্ট প্রাণী বলেছে! তাদেরকে মুসোলমাদের সাথে থাকতে হলে জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে বলেছে যতক্ষণ না তারা ইসলাম গ্রহণ করে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: এই পোস্টের সাথে সম্পর্ক? আপনার মাথা ঠিক আছে?
২৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার আগের মন্তব্য ছিল: ওকে, মুসলমানদের বাগদাদ, সিরিয়া, আলেকসান্দ্রিয়া ও স্পেন বিজয়কে আপনি কিভাবে দেখেন?
লেখক বলেছেন, " এক কথায় উত্তর দিলাম, অত্যান্ত ন্যায্য মনে করি। "
-এবার বলেন, মোংগলদের বাগদাদ বিজয়কে আপনি কিভাবে দেখেন?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমি এক মুখে দুইরকম কথা কেমনে বলি? অতএব মোংগলদের বাগদাদ বিজয়কেও আমি অত্যান্ত ন্যায্য মনে করি। এবার আসুন সে সময়ে যা যা ঘটেছে তার ওপর একবার নজর বুলিয়ে নেই-
উইকিপিডিয়া থেকে -
"আল-মুসতাসিম হালাকু খানের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হালাকু খান রাজি হননি। বাগদাদের প্রায় ৩,০০০ গণ্যমান্য ব্যক্তি হালাকু খানের সাথে আলোচনার চেষ্টা করলে তাদেরকে হত্যা করা হয়। পাঁচদিন পর ১০ ফেব্রুয়ারি শহর আত্মসমর্পণ করে। ১৩ তারিখ মঙ্গোলরা শহরে প্রবেশ করে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে।
ধ্বংসযজ্ঞ
বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে মঙ্গোলদের নিষ্ঠুরতার বর্ণনা রয়েছে। বাগদাদের বাইতুল হিকমাহ গ্রন্থাগার এসময় ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচিত অসংখ্য মূল্যবান বই হারিয়ে যায়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী দজলা নদীতে অসংখ্য বই ফেলে দেয়ার ফলে নদীর পানি বইয়ের কালির কারণে কালো হয়ে গিয়েছিল। পালিয়ে যেতে চেষ্টা করা নাগরিকদেরকে মঙ্গোলরা গণহারে হত্যা করে। এসময় নারী ও শিশুদেরকেও হত্যা করা হয়। এই হত্যাযজ্ঞে প্রায় ৯০,০০০ এর মত নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিমত রয়েছে। অন্যান্য সূত্রে ভিন্ন সংখ্যা পাওয়া যায়। ১৪শ শতাব্দীর ইতিহাসবিদ ওয়াসসাফের মতে মৃতের সংখ্যা লক্ষাধিক ছিল। দ্য নিউ ইয়র্কারের ইয়ান ফ্রেজিয়ারের মতে মৃতের সংখ্যা ২,০০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০। মঙ্গোলরা মসজিদ, প্রাসাদ, গ্রন্থাগার, হাসপাতালে লুটপাট চালায়। ফলে কয়েক প্রজন্ম ধরে গড়ে উঠা সব ইমারত ধ্বংস হয়ে যায়।
খলিফা আল-মুসতাসিম গ্রেপ্তার হন। তাকে শহরের বাসিন্দাদেরকে হত্যার দৃশ্য দেখতে বাধ্য করা হয়। মঙ্গোলরা রাজকোষেও লুটপাট চালায়। অধিকাংশ সূত্র অনুযায়ী হত্যার জন্য তারা খলিফাকে কাপড়ে মুড়ে তার উপর ঘোড়া চালিয়ে দেয়। তবে পর্যটক মার্কো পোলোর বর্ণনা অনুযায়ী খলিফাকে অভুক্ত রেখে মেরে ফেলা হয়েছিল।[১৮]
view this link
ইংলিশ ভার্সনে অতিরিক্ত রয়েছে-
Survivors said that the waters of the Tigris ran black with ink from the enormous quantities of books flung into the river and red from the blood of the scientists and philosophers killed.
Hulagu had to move his camp upwind of the city, due to the stench of decay from the ruined city.
Baghdad was a depopulated, ruined city for several centuries and only gradually recovered some of its former glory.
এবার পারলে ইসলামের প্রাথমিক বিজয়ের এমন কোন একটা দৃষ্টান্ত দেখান যেখানে সন্ধির প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা হয়েছে, অথবা আত্মসমর্পণের পরও হত্যা করা হয়েছে, অথবা বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হয়েছে অথবা নারী শিশুদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, লাইব্রেরি-হাসপাতাল-উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
[অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়রাই শাসকদের জুলুম থেকে বাচার আশায় মুসলিমদেরকে ডেকে এনেছে সে আলোচনা নাহয় বাদ দিলাম]
দয়া করে আমার স্ববিরোধিতা প্রমাণের আগে মুসলিমরা বিজিতদের সাথে এমন কিছু করেছে এর প্রমাণ দিবেন আশা করি।
৩০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৪
সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০
আশাবাদী অধম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১
রাকু হাসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । আমাদের উন্নতির জন্য আমরাও কম দায়ী নয় । বির্ধমীদের এড়িয়ে তো চলিই এমন কি তাদের ভাল কাজ গ্রহণ করতেও আমাদের ইগো তে লাগে । আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া দরকার তবে আশার কথা হলো ,সেটা শুরু হয়ে গেছে আমার ধারণা । মুসলমানের অধঃপতনের জন্য স্পেনের শেষ দিকের সুলতানরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারবে না,মুসলিম জাতি তাদের ক্ষমা করবে । তখন টালমাটাল মুসলিম জাতির জন্য অনেক কিছু করার ছিল । সেটা করতে পারলে এখন কার অবস্থা হয়তো হত না । ধর্মান্ধ মনোভাও পরিবর্তন করা দরকার । আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্ট খুব ভাল লাগছে ,আমি লিখলে এমন ই লিখতে চেষ্টা করতাম ,যদিও এতটা জ্ঞান বা বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি নেই আমার । প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যেতে পারবে না । মুসলমারা তাঁদের সোনালী দিনের রুপকথার গল্প বলে আগত প্রজন্মের কাছে ,ঠিক এই গল্প টা হয়তো একদিন বলবে আজকের ইউরোপ আমিরিকারা । নতুন কেউ নেতৃত্বে আসবে ,সেটাই স্রষ্টার নিয়ম , স্রষ্টা কাউকে ঠকায় না । তবে প্রত্যাশা করছি মুসলমানদের সেই সব রঙ্গিন দিনগুলো ফিরে আসুক ।রেঁনেসার সময় আমি ঘুমন্ত ছিলাম ,সেখানে েইংরেজ দের কৃতিত্ব দিতে হয় ,আপনি ঠিক বলেছেন । আরও লিখুন পড়ার সুযোগ দিন ,কৃতজ্ঞ থাকবো সব সময় ।
শুভকামনা সব সময় ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২
আশাবাদী অধম বলেছেন:
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থকুন। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন।
৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। মুসলিম জাতির কোরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যাওয়াতেই ফিরতে পারে সোনালী অতীত।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।
৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬
সোনালি কাবিন বলেছেন: @ লেখক, একজন ধর্মান্ধ টিনের চশ্মাধারীর কাছে অধিকতর বর্বরতা কোনটা? ---
* স্ত্রীকে সহমরণে যেতে বাধ্য করা,
নাকি
* নিজ কন্যাকে জীবিত কবর দেয়া আর কোন লোকের মৃত্যুর পর তার সন্তানেরা কর্তৃক তার স্ত্রীদিগকে ভাগাভাগি করে নেয়া?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বিশ্লেষনটি ভাল লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল