![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিলা কেটে সমান করতে গিয়ে মাটির তলা থেকে মিলল মাথার খুলি আর প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। পশ্চিমবঙ্গের করিমগঞ্জ জেলার বালিয়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই টিলা ও সংলগ্ন জমিটি আবদুল সুবান নিফতাউর রহমানকে বিক্রি করে দেন। রহমান টিলাটি কাটার কাজ শুরু করেছিলেন। টিলা কিছুটা কাটার পরেই মাটির তলায় মিলেছিল প্রাচীন ইট। স্থানীয় মানুষ তখনই টিলার মাটি কাটায় আপত্তি জানান। বাসিন্দাদের আপত্তি এড়াতে রহমান রাতের অন্ধকারে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজ চালাচ্ছিলেন। শনিবার ফের উদ্ধার হয় খুলি। দেখা যায়, মাটির নিচে রয়েছে প্রাচীন মসজিদ-সদৃশ কাঠামো। বন্ধ হয়ে যায় খোঁড়ার কাজ।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বড় কালো পাথরে ‘৯০৭ হিজরি’র উল্লেখ রয়েছে। তার অর্থ দাঁড়ায়, মসজিদটি প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগেকার। উর্দু হরফ খোদাই করা ফলকগুলির পাঠোদ্ধারের জন্য উর্দু ভাষায় জ্ঞান থাকা ব্যক্তিদের দিয়ে তা পড়ানো হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অবিভক্ত ভারতবর্ষের সিলেট তথা শ্রীহট্ট থেকে যখন এই এলাকায় হজরত শাহ জালালের আগমন হয়েছিল, তাঁর সঙ্গেই এসেছিলেন অনেক ধর্ম প্রচারক। মসজিদটি সম্ভবত সেই সময়ের। উদ্ধার হওয়া পাথর ও ইটের নকশাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
মসজিদের সন্ধান মেলার খবর ছড়াতেই অনেক মানুষ বালিয়ায় আসছেন। গ্রামবাসীরা এখন দাবি করছেন, রহমান যে টাকায় জমিটি কিনেছেন— তা গ্রামের লোকই তাকে ফেরত দেবেন। বদলে জমি তুলে দিতে হবে গ্রামের হাতে। পাহাড়টি সংরক্ষণ করে সেখানে নতুন করে মসজিদ তৈরি করা হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫
আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: জাযাকাল্লাহ ভাই
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: আনন্দবাজারের জ্ঞানের বহর সত্যিই প্রশংসনীয় - '৯০৭ হিজরী' সন ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১৫০১ সাল। মসজিদটি সে হিসেবে পাঁচশত বছর আগেকার। হযরত শাহজালাল (রাঃ) ইন্তেকাল করেন ১৩৪৬ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সালে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ছয়শত বছর আগে। দেড়শত বছরের ব্যবধান থাকা সত্বেও মসজিদটি কিভাবে 'সম্ভবত সেই সময়ের' হয় হিসেবটা বোঝা গেলো না। দায়সারা সাংবাদিকতা মাঝে মাঝে তথ্য বিভ্রান্তির কারন হয়ে দাড়ায়।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দায়সারা সাংবাদিকতা মাঝে মাঝে তথ্য বিভ্রান্তির কারন হয়ে দাড়ায়। ধন্যবাদ@ গার্ডেড ট্যাবলেট!
এখন চলছে- ১৪৩৬-৩৭ হিজরী। ৯০৭ হিজরী হলে ৫২৯-৩০ বছর আগেকার মসজিদ। ঐ সময়ের ইতিহাস ঘাটলে আশা করি অনুমান নির্ভর না হয়ে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা যাবে।
পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসাবে সংরক্ষন জরুরী।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
অ্যানালগ বলেছেন: করিমগঞ্জ জেলা পশ্চিমবঙ্গে নয়, পুর্ব দিকের আসাম প্রদেশের জেলা। করিমগঞ্জ ভারত ভাগের আগে সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত মহকুমা ছিল।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দারুন তথ্য শেয়ার