নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতপরঃ তারকাটি জোনাকী হইল...

আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।

আবদুল ওয়াহিদ

দুনিয়ার সকল গো-বেচারা এক হ!!!

আবদুল ওয়াহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় ভালো লোক ছিল

২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

১৯৮২ সালের সিনেমা। পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আমি ২০০১ সালের দিকে টিভিতে দেখেছি। ম্যালা বছর। এর আগে থেকে এই সিনেমার একটা গান মুখে মুখে খুবই শুনেছি। আপনারাও নিশ্চয় শুনেছেন। বাংলাদেশি সিনেমার ক্লাসিক গানগুলোর একটি- ‘হায়রে মানুষ রঙের ফানুস…’।





কিন্তু আমার পছন্দ অন্য একটি গান। ‘চক্ষু দিয়া দেখতে ছিলাম জগত রঙিলা…’। কি অসাধারণ গান ও তার দৃশ্যায়ন। মনে আছে প্রথম যখন গানটা দেখি বয়স আট-নয়। কেমন যে লেগেছে বলার মতো না। রাজ্জাক একটা বাদ্য বাজাতে বাজাতে আসে- অন্যরকম একটা দৃশ্য। চোখে লেগে গেছে। বুকের মধ্যে দ্রিম দ্রিম বাজে।



আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত রাজ্জাক এক গ্রাম্য পীরের ছেলে। পীর সাহেব এক ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা গেলে রাজ্জাক গ্রামে ফিরে আসে। ঘাতক চালককে খুঁজে। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবে। পীরের ছেলে বলে গ্রামের লোকেরা তাকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে। তার মধ্যে তারা পীরের ছায়া খুঁজে পায়। রাজ্জাক বিশেষ পাত্তা দেয় না। আশ্রয় নেয় বাবার বন্ধুর বাড়িতে। মাঝে মাঝে দরবেশ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হয়।



বাবার বন্ধুর মেয়ে অঞ্জু ঘোষ। তার সাথে সম্পর্ক ট্রাক চালক প্রবীর মিত্রের। অঞ্জুর সাথে রাজ্জাকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। একসময় রাজ্জাক নিজের মধ্যে অধ্যাত্মিক ক্ষমতা টের পায়। সহজে নানা মুশকিলের আসানও করে। তার মধ্যে অহমিকা আসলে ও অঞ্জুর প্রতি আকর্ষণবাধ করলে সে ক্ষমতা চলে যায়।



এখন রাজ্জাকের সাধনা হলো সে ক্ষমতা ফিরে পাওয়া।



এই সিনেমার গভীরতা কোন ভাবেই কাহিনী বলে বুঝানো সম্ভব না। কাহিনীর বিস্তারের সাথে সাথে অনুভূতিতে এর বিস্তার ঘটাতে হবে। নানা চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের মাঝে যে অনন্তের সম্ভাবনা- তাকে তুলে ধরে এই সিনেমা। এমন কাজ আমাদের দেশে বিরল। শক্তিশালী চিত্রনাট্য, সংলাপ ও টানটান মুহুর্ত এই সিনেমার প্রান।



আমার প্রিয় সিনেমার কথা আসলে প্রথমে এর নাম আসে। প্রায় বারো বছর আগ দেখছি, সবকিছু স্পষ্ট করে মনে নাই। আবার দেখার ইচ্ছে আছে। কিন্তু এই সিনেমা ডিভিডিতে পাওয়া যায় না।



১৯৮২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে এই সিনেমা ৬টি পুরষ্কার জিতে নেয়- সেরা পরিচালক (মোহাম্মদ মহিউদ্দিন), সেরা অভিনেতা (রাজ্জাক), সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা (প্রবীর মিত্র), সেরা সঙ্গীত পরিচালক (আলম খান), সেরা সংলাপ রচয়িতা (সৈয়দ শামসুল হক) ও সেরা সঙ্গীতশিল্পী (এন্ড্রু কিশোর)।



মহিউদ্দিন এদেশি চলচ্চিত্রকারদের প্রথম দিকের একজন। তার আরো সিনেমা: মাটির পাহাড়, তোমার আমার, রাজা এলো শহরে, গোধূলির প্রেম, শীত বিকেল ইত্যাদি। এর কোনটাই দেখা হয় নাই। এরমধ্যে মাটির পাহাড় ও তোমার আমার ক্লাসিক। এই দুটো দেখবই। সম্ভবত ডিভিডিতে পাওয়া যায়।



*ফটো: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

> আমার লেখার খাতা: ইচ্ছেশূন্য মানুষ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

জেনো বলেছেন: অসাধারন একটা ছবির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বিটিভিতে বেশ কয়েকবার দেখালেও আমি কোনবারই পুরো ছবিটা দেখতে পারিনি।
শুধু শেষের দৃশ্য গুলো কথা মনে আছে। আপনি ছবিটা পেলে অবশ্যই জানাবেন।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৬

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন: অবশ্যই জানাবো।

অনেক ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৭

বোকামন বলেছেন:

অসম্ভব প্রিয় একটি সিনেমা !
আপনাকে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ...........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.