![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির"
প্রথম পর্বের লিংক
: এখনও তো নিশ্বাস চলছে, হার্ট চলছে কোনমত আর হাতে নারী স্পন্ধনও আছে।
: তাহলে তুমি চেষ্টা করো, চুপ করে আছো কেন?
: আমার আর কিছু করার নেই হুজুর।
: তাহলে।
: শহরে নিয়ে যেতে হবে অতি তারাতারি।
লতিফ বেপাড়ী আশে পাশের লোকজনকে ধমক দিলেন সরে যেতে। কিন্তু তার স্ত্রী কাঁদো কাঁদো কন্ঠে এক প্রকার রাগমিশ্রিত স্বরে বলল 'তুমি কি করতে চাও আমি তা দেখতে চাই, অনেক সহ্য করেছি আর নয়'। বেপাড়ী তাকেও ধমক দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দিল। তারপর সাপুড়ের ঘাড়ের কাছে মুখ এনে বলল শহরে নয় তুমি যদি কিছু করতে পার কর, না হলে নয়। বলেই সে চলে গেল বাহিরের দিকে। সাপুড়ে একা একা বসে রইল অর্ধমৃত এক শরীরের কাছে। সে কিছু বুঝতে পারছে না আসল ব্যপারটা কি? হঠাৎ দেখল শরীরটা একটু যেন কেঁপে উঠল এবং তারপরই নিস্তেজ।
: আম্মা আম্মা
: কি এখন কি করতে হবে
: আর কিছু করতে হবে না।
খোকন অবাক হয়ে দেখল লাশের পাশে সবাই বসে আছে কিন্তু যাদের পুত্র বিয়োগে কাঁদার কথা তার কাঁদছে না। ছোট ছোট ছেলেপুলে আসেপাশে খেলছে যেন এই বাড়িতে কিছুই হয়নি। লতিফ বেপাড়ী ফিরে এসে দেখল এবং হুকুম দিল মওলানা সাহেবকে ডেকে আনার। তারও কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কি এই বাড়িটার মত এই মানুষগুলোর প্রানও ইট পাথরের তৈরি। যাদের কোন আবেগ নেই, নেই ভালবাসা।
করিম মাঝি বাড়ির দিকে হাটা দিল রোগীটাকে বাচাতে পারলে তার কিছু টাকা জুটত যা দিয়ে নতুন অতিথির জন্যে খরচ করা যেত। সন্ধে পার হয়ে অন্ধকার নেমেছে করিম তার বাড়িতে এসে দেখল তার স্ত্রী বিকেলের মতই ঘরের দরজার কপাট ধরে বসে আছে। তার রাগ হচ্ছে বিকাল থেকে কেউ এই ভাবে বসে থাকে?
: আচ্ছা কি ব্যাপার তোমার বলত; কি হয়েছে?
বারবার জিজ্ঞেস করা সত্বেও কোন উত্তর বা কোন কথা নেই সাপুড়ের স্ত্রীর মুখে। তার খুব ক্ষিদে পেয়েছিল সে পাতিল থেকে দেখে সকালের কিছু ভাত তার মধ্যে তাই নুন আর কাচামরিচ দিয়ে চিবিয়ে শুয়ে পড়ল আর রাগে গড়গড় করতে থাকল। তার বউ যেভাবে ছিল সেভাবেই রইল। কিন্তু কোন হাকডাক করল না তার বউয়ের সাথে। একসময় ঘুমিয়ে পড়ল সে।
মাঝ রাতে হঠাৎ তার কোমরে কারও হাতের স্পর্ষ পেয়ে জেগে উঠল সাপুড়ে। আর কেউ নয় তার অতি ভালবাসার স্ত্রী। যাকে সে মনপ্রান দিয়ে ভালবাসে। সেই মাঝরাতে ভালবাসার পরশ দিতে এসেছে তার কাছে। প্রথম রাতের ঘটনা যেন কোন ঘটনাই নয়। এই যে কথা না বলা চুপ করে দরজা ধরে বসে থাকা রান্নাবান্না না করা যেন কিছুই হয়নি। সাপুড়েও নিশ্বব্দে তার স্ত্রীকে ঠাই দিল নিজের বুকে। হঠাৎই তার মনে হল তার স্ত্রীর বয়স যেন বাড়ছে না কমছে বরং। সাপটাকে খাইয়েছ? জিজ্ঞেস করল সাপুড়ে।পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়েছিলাম তোমার সাপটা, খাওয়াতে না খাওয়াতেই আবার চলে এসেছি। সাপটার পেটে বেশ ক্ষিদে কিন্তু আজ ও যা খেয়েছে তাতে ওর পেট না ভরলেও বুক ভরেছে নিশ্চয়ই; উত্তর সাপুড়ে স্ত্রীর। কেন? জিজ্ঞেস করতে গিয়েও থেমে গেল সাপুড়ে। কোন এক সন্দেহ তাকে ঘিরে ধরল কিন্তু কিছু বলল না। আজ তো পুকুরপাড়েই লতিফ বেপাড়ীর ছেলেকে সাপে কেটেছে।
(আপনাদের অনুপ্রেরণায় চলবে)
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: কি সারল ভাই
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: ওরে বাপরে, মানুষরূপী সাপ নাকি!
বেশ রোমাঞ্চকর গল্প দেখছি....
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: তাই নাকি রোম্যান্স কারে কয়?
একটু বুঝায়ে বলবেন কী?
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
মুহাম্মদ তৌহিদ বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: অল্প অল্প করে লিখি তো
আশাকরি শীঘ্রই পাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: সেরেছে !