![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সবকিছুই আবোল-তাবোল। কাজের থেকে অকাজের দিকেই বেশি ঝোঁক।
এইচ এস সি দিলাম 1997-এ। এরপরে অনেকদিন বেশ ফ্রি একটা সময় কেটেছে। বুয়েট ভর্তি কোচিং এ ক্লাসে গিয়েও ফাঁকি দিয়ে মাঝখানের কিছুদিন কাটল। বুয়েটের ক্লাস শুরু হল সেই 1998 এর ডিসেম্বরে। এর মধ্যে ঘটে গেল অনেক কিছু।
সেসময় আমার দিন কিভাবে কাটত, আজ এতদিন পরে সেটা ভেবে বেশ অবাক লাগছে। বেশ লম্বা ছুটির মধ্যে ভর্তির জন্য পড়াশোনা আর তারই ফাঁকফোকড়ে পাড়ার পিচ্চিদের পড়ানো। সাথে গল্পের বই তো আছেই। পড়া বাদে বাকি সব নিয়ে বেশ মজার একটা সময়ের মজার কিছু অভিজ্ঞতা।
কলেজের বন্ধুদের মধ্যে রওনক, নাঈমা আর তানজিমা ছিল আমার সবচেয়ে কাছের। আমরা সবাই সবকিছুই শেয়ার করতাম। ওরা সবাই জানত আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে অপু ছাড়াও জারির আছে, সনি আছে, জাবের আছে। আমরা সবাই কার্ড আদান-প্রদান করি যেকোন বিশেষ দিনে। সেগুলোয় অপু আর জাবের হয়তো লিখেছে খুব কাব্যিক কোন মেসেজ আর জারির হয়তোবা আমি ওকে যেই কার্ড পোস্ট করেছি সেটার খরচ বাবদ পাঁচ টাকার একটা ব্যাংক চেকই পাঠিয়ে দিয়েছে (আসলেই ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ টাকার চেকটা আমার কাছে এখনো আছে। পরেরবার পাঠিয়েছিল পাঁচ টাকার কয়েন, কার্ডের ভিতর পোস্ট করে। ওর সেনস অফ হিউমারের জুড়ি নেই।) রওনক, নাঈমা, তানজিমাকেও দেখাই। সবাই মজা পায়। তানজিমা ছাড়া সবাই কো-এড থেকে এসেছি, ছেলে বন্ধু সবারই আছে - তাই এটা এমন কোন আশ্চর্য ঘটনা না। তেমন দাগ ফেলেনা ঠিক ওদের মনে। আমারো হয়তো সেভাবে ফেলত না। কিন্তু শুধু আমিই '96 এর ঐ ঘটনার পরে অপুর কার্ডের আরো অন্য কোন গভীর অর্থখুঁজে বেড়াই।
এরপর থেকে শুরু হল ঝগড়া। কথা নেই বাতর্া নেই হুটহাট লেগে যায়। কেন এটা বললে বা কেন এটা বললে না - ব্যস লেগে গেল। আমিও যেন এত বন্ধুদের মাঝে শুধু ওকেই বেছে বেছে বাজে কথা বলি। মাঝখানে মনে আছে একবার খুব ঝগড়া লাগল আমাদের এইচ এস সি'র রেজালটের পরপরই। আমি ওকে খুবই কুটনির মতই খোঁটা দিলাম যে ও আমার থেকে 121 নাম্বার কম পেয়েছে। আর যায় কোথায়! এমনিতে ঠান্ডা অপুকে যেন ঠিক পয়েন্টে হিট করলাম। ফলস্বরূপ কিছুদিন কথা বন্ধ। এই 121 নাম্বার নিয়ে ঝগড়ার রেশ এবং রেফারেনস চলল অনেকদিন।
শুধু যে ঝগড়া চলল তা নয়। আমরা যেন দুই এক্সট্রিমে চলা শুরু করলাম। হয় খুব খাতির - গান শুনছি আর শোনাচ্ছি ফোনের এপ্রান্ত থেকে সে প্রান্ত আর না হয় কুৎসিত কোন ঝগড়া আর তার পরবতর্ী কিছুদিনের ব্রেক।
এর মধ্যে একটা জন্মদিনের কার্ডের মেসেজ পড়ে আমি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে এ ছেলের আসলেই ফিলিংস আছে। কি লিখেছিল ঠিক পুরোটা মনে নেই, তবে শেষটুকু ছিল এরকম কিছু -
'...... শুধু একটা মানুষের জন্য মন খারাপ করা মুহূর্তগুলো দীর্ঘ হয় না। এই মেয়েটা মনে হয় কোনদিনই আমাকে মন খারাপ থাকতে দেবে না!'
এটা পড়ে আমার বড়বোন তো মুগ্ধ! আহা! কি কিউট! (আমার বড়বোন আমার থেকে বেশ বড় আর ছোট থেকে আমাকে রেখেছে বলে এখনো কোন বাচ্চার উদাহরণ দিতে গেলেই আমার উদাহরণ দেয়। আমাদের যেকোন কিছুই ওর কাছে খুব কিউট।) ও অপুর বেশ ফ্যান হয়ে গেল। আম্মার রিঅ্যাকশান এতটা আশাজনক হল না। আম্মা এই মেসেজ দেখে আর ফোনের ঝগড়া দেখে আমাদের আগেই টের পেল ঘটনা মোটেও সুবিধার দিকে যাচ্ছে না। মেজবোনও মোটামুটি সেই দলেই। কিন্তু এই কার্ডটায় আমি বুকে পানি পেলাম। যাক, বরফ তবে গলছে! সাহস হচ্ছে তবে!
এখন যদি খুব খুঁটিয়ে ভেবে দেখি, তবে অপুর জন্য বোধ করি ব্যাপারটা ততটা সহজ ছিল না। আমি বরাবরই সিভিয়ার মারদাঙ্গা। একটা বেফাঁস কিছু বললেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি। যা ইচ্ছে তাই বলে ফোন রেখে দেই এবং এরপর ফোন করলেই রেখে দেই। আমার মনেও যে অন্য কিছু খেলা করছে - সেটা ও-ই বা বুঝবে কিভাবে? একবারের ঘটনা মনে পড়ছে। তখন The Corrs ব্যান্ডটার গান বেশ চলছে। অপু কি মনে করে জানি একদিন ফোনে কথা বলার ফাঁকে The Corrs এর 'What can I do to make you love me?' গানটা ছাড়ল। আমিও কম বদমাইশ না। আমি বললাম, এ গানটা ভাল, তবে আমার কিন্তু যাই বল The Corrs এর এই অ্যালবামের 'I never really loved you anyway' গানটা বেশি ভাল লাগে। অপুর আশার বেলুন বোধ করি সেবার বেশ নিষ্ঠুরভাবেই ফাটিয়ে দিয়েছিলাম।
যা হোক, এভাবেই দিন যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই আবার একদিন কেন যেন ঝগড়া লেগে গেল। আশ্চর্য! সেসময়ের লাইফ এন্ড ডেথ মাকর্া ঝগড়ার কারণগুলো যেন কবেই ধুলোয় মিশে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারছি না। অনেকদিন কথা বন্ধ। ভাব হল ওর জন্মদিনের দিন। ফোন করব করব না করেও করে ফেললাম। অপুও বেশ ভাব নিয়ে কথা বলল। আবার কিছুদিন ভাল গেল। কিন্তু এরপর আবার যেন কি নিয়ে আরেকদিন লেগে গেল। এবার বিচ্ছেদটা প্রায় ছয় মাসে গিয়ে দাঁড়াল।
মাঝখানের এই ছয়মাসে অনেককিছু ঘটে গেল। অপুর ইউনিভার্সিটির ক্লাস শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ করেই চানস পেয়ে পড়া শুরু। ওর যে ওখানে পড়ার ইচ্ছা সেটা জানতামও না। কমন বন্ধুদের থেকে খবর পাই। আর ভাবি আহা! ঝগড়াটা না করলেই হত। কিন্তু তারপরেও ফোন করা যাবে না। দুর্বলতা শো করার মানেই হয় না। আমার মারদাঙ্গা ভাব বজায় রাখা তো চাই at any cost! কিন্তু শুধু কি আমি? অপুও কেমন যেন নিষ্ঠুর হয়ে গেল। আমার থেকে শিখেই হয়তো। ফোনই করেনা। আমার কোন ফোন আসলেই খুব আগ্রহ নিয়ে ধরি। ভাবি, সেই প্রিয় গভীর গলাটা হয়তো শোনা যাবে। কিন্তু তা আর হয় না। আমিও না না প্ল্যান করি। একবার ভাবি ফোন করে অঞ্জন দত্তের 'একটা বন্ধু হতে কি পারবে তুমি আমার' শোনাই - আবার ভাবি, না থাক। ভুলেই থাকি - কিন্তু হুটহাট হঠাৎ আবার মনে পড়ে মন খারাপ হয়ে যায়। ইস্টার্ণ প্লাজায় যাওয়ার পথে হাতিরপুল বাজারের উলটা দিকের 'অপু জেনারেল স্টোর'টাও যেন অপুকে ফোন করার কথা মনে করিয়ে দেয়।
এর মধ্যে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেল। কোচিং এ ফাঁকি মারার ফল পেলাম। আমার বাবার যেখানে ধারণা ছিল আমি প্রথম 50 এর ভিতরে থাকব (কেন কে জানে!) সেখানে আমার সিরিয়াল দেখা গেল 599! বাসায় বেশ একটা কাল ছায়া নেমে এল যেন। কেমিকেলে পড়ার যে ইচ্ছাটা ছিল সেটা মনে হয় না হচ্ছে। মন-টন খুব খারাপ সেসময়। এরকমই একটা দিনে হুট করেই একদিন অপুর ফোন এল। কোন এক বন্ধুর কাছে শুনেছে। আমার কড়া বাবার কথা ও খুব ভাল করেই জানে। সব মিলিয়ে আমার যে বেশ মন খারাপ এটা জেনেই যেন ফোন করা। আমার খুব খারাপ একটা সময়ে ওর এই ফোনটা আমার জন্য খুব বড় একটা ব্যাপার ছিল। Like so many other occasions, I was touched by something Apu did...again.
এরপর কেন জানিনা, আমরা হঠাৎ করেই বেশ বড় হয়ে গেলাম মনে হয়। ঝগড়া পুরো বন্ধ হয়ে গেল তা ডেফিনিটলি নয় কিন্তু সেরকম বিশাল লম্বা বিচ্ছেদ আর হল না। আমার ক্লাস শুরু হতে তখনো অনেক দেরি। বেশ ফ্রি সময়। অপু ক্লাস করে আর আমি ওর গল্প শুনি প্রতিদিন। গান শুনি আর শোনাই খুব। আমি অঞ্জন দত্তের ফ্যান আর ও সুমনের। এই নিয়েও এককালে খুব ঝগড়া হত। আমি অঞ্জন বলতে অজ্ঞান - আর ওর তখন ভালই লাগেনা। সুমনের জন্যও ফিলিংস vice versa. এর মধ্যে একদিন হুট করে অঞ্জন ঢাকায় চলে আসল। আমার বোনেরা শেষ শো'র টিকেট কিনল - তিন বোন মিলে যাব। প্রথম শো'র আগে কুরিয়ারে আমি সেই শো'র দু'টো টিকেট পেলাম। অপু পাঠিয়েছে। আমার মন ভাল করার জন্য। ওর সাথে যাবার উপায় ছিল না তখন। আমার বড়বোনকে দিয়ে দিলাম। But that will always remain the best gift anyone had ever given me. আমার বড়বোন শো শেষে টিকেটের ছেঁড়া অংশগুলো নিয়ে আসল। এখনো সেগুলো আমার কাছে সযত্নে রাখা আছে। অনেকদিনের বিচ্ছেদের পরে বুকের ভিতর এবার অপু র জায়গাটা যেন আরো অনেক পোক্ত হল।
অঞ্জন আর নিমা রহমানের 'গানে গানে ভালবাসা' সেসময়ে আমাদের ফোনের কনভার্সেশানে ফিরে ফিরে আসত। ওটার ঢাকা আর কলকাতা - দুই ভার্সানের দুইটা গান 'তোমায় দিলাম' (পরশপাথরের গাওয়া এখানে, পরে মহীনের ঘোড়াগুলিরটা শুনি) আর 'আজ বসন্ত' মনে হত আমাদের গান। কথাগুলো যেন আমাদেরই -
'আজ হোক না রঙ ফ্যাকাশে
তোমার আমার আকাশে
চাঁদের হাসি যতই হোক না ক্লান্ত-
বৃষ্টি নামুক নাই বা নামুক
ঝড় উঠুক নাই বা উঠুক
ফুল ফুটুক নাই বা ফুটুক
আজ বসন্ত।'
বৃষ্টি হলেই অপুকে ফোন করা চাই। ফোন কোলে নিয়ে বৃষ্টি দেখা আর গান শোনা। বৃষ্টি আর গানের মধ্য দিয়ে আরো কাছাকাছি আসা। আহ! সেটা একটা সময় ছিল বটে!
(অনেকক্ষণ ধরে স্মৃতি হাতড়াচ্ছি আর লিখছি। এখন দেখি মাথা ঝিমঝিম করছে। এ পার্টে শেষ করব ভেবেছিলাম, কিন্তু ভাবতে ভাবতে আর লিখতে লিখতে দেখি এখনো শেষ হচ্ছে না। কি আর করা.....)
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৩০
মাশীদ বলেছেন: হ্যাঁ, আমেরিকাতে আছে। আমি আর ও দুইজনই MSN এ পড়ে থাকলেও যোগাযোগ কম। জানিনা কেন লেখে না। বা হয়তো লেখে!
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৪৩
অতিথি বলেছেন: 121নাম্বার .....আমি কিছু দেখি ও নাই কিছু জানিও নাই.
মাশীদ আপু
মাথা ঝিম ঝিম করে, নাকি ...ভাল লাগা স্মৃতি গুলো শেষ করতে ইচ্ছা করল না.ঠিক আছে আমার ও মাথা ঝিম ঝিম করছে.তাহলে চলতে থাকুক.
অনেক সময় দিয়েছেন লিখাটার পিছনে তা বুঝাই যাচ্ছে.অন্য গুলোর মত এটাও ভাল হয়েছেঠ.ধন্যবাদ আর দেরি না করার জন্য.
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: দোস্ত, নাড়া দিয়ে যাও বারবারই।
যে দুইটা গানের কথা বল্লি, ভালো চাসতো গান দুইটা দে, শুনতে শখ জাগছে। না দিলে তো বুঝিস ই, ইন্টারভিউ তোকে হাতছানি দিচ্ছে রে!
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:০৭
মাশীদ বলেছেন: 'তোমায় দিলাম'টা আছে মনে হয়। সার্চ দিলেও পাবি। 'আজ বসন্ত' আমার কাছে নাই এখন। সত্যি বলছি। প্লিজ, আমার ইন্টারভিউ ছাপাইস না। নিশ্চয়ই তুই তোর জিগরি দোস্ত (প্লাস টিনারও জিগরি দোস্ত, মনে রাখিস ;-)) এই আমাকে হাবাজনের সাথে একই ক্যাটেগরীতে ফেলবি না।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:১৫
অতিথি বলেছেন: the corrs গান গুলা দিতে কইলাম আর তুই আমারে মিসটেক বুঝলি?
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:৩৬
রাগ ইমন বলেছেন: মাশীদ, সবগুলো লেখাই ছুঁয়ে যাওয়ার মত। তবু, এই একটা যেন ভীষন ভাবে কোথাও ..........তুমি যে আমাকে কোথায় নিয়ে গেলে, যদি জানতে!!!!!
দারুন সুন্দর হৃদয়গ্রাহী লেখা। খবরদার শেষ করবে না............চলুক..........চোখের পানিতে ভেসে আনন্দ অবগাহন..........তোমার স্ম ৃতি আমার ব্যথার সাতকাহন!!!
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:৪২
আলী বলেছেন: জটিল এবং হিংসা হয় তোমার ঘটনা শুনলে।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১১:৩৬
অতিথি বলেছেন: মাশীদ তাহলে তোরা স্বীকার করলি কবে একজন আরেকজনের সাথে। তখন আমাদের ধারনা ছিল তোর অরূপের সাথে সমর্্পক আছে। দুলাইন ঘটনা চার লাইন হইয়া আইতো মনে হয় আমাদের কাছে।
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১১:৪৫
অতিথি বলেছেন:
সবগুলো পর্ব নিয়া এক ছুটির দিনে বসতে হবে
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:০০
লাবণী বলেছেন: বাকিটুকু চাই।
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:২৭
অতিথি বলেছেন: সেরম প্রেম !!!!!!
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:৪৬
অতিথি বলেছেন: অঞ্জন দত্তের এক অনুষ্ঠানে যাদুঘরে গিয়েছিলাম। ভালবাসা গানে গানেতে পরশপাথরও গেয়েছিল। নিমা অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল।
নিজের সাথে এর চেয়ে বেশি মিল পেলাম না।
তবু শুভেচ্ছা। চলুক। খুব ভালো হচ্ছে।
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৫৪
হযবরল বলেছেন: তোর লেখার ফ্যান হয়া গেলামরে। কোথাও একটুও না আটকিয়ে একদম শেষ লাইনে থামলাম।
লাইলি-মজনু মাফিক প্রেম।
১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:১২
অতিথি বলেছেন: ঐ ভাবি, এই রওনক কি এখন আমেরিকায় থাকে নাকি এখন?
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৪১
অঃরঃপিঃ বলেছেন: ওফ সিস! কী হুনাইলি ।121নাম্বার বেশি খাড়া তোর জামাই ইমোটআইকনের নাচ এহনি বন্ধ করতাছি
১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৫
মাশীদ বলেছেন: SMC Boss, সেবার অঞ্জনের শো ছিল পরপর চারদিন। প্রথমদিনের শো, যেটার টিকেট অপু আমাকে পাঠিয়েছিল, সেটায় আমার বড়বোন গিয়েছিল। শেষটায় তিনবোনই গিয়েছিলাম। কে জানে আপনার সাথে দেখা হয়েছিল কি না।
গোধু, youtube এ সার্চ দিয়ে দ্যাখ না নিজেই!
রাগ ইমনাপু, মহা যন্ত্রণা তো! কি না কি লিখছি আর আপনি ব্যথা পাচ্ছেন। ধুর! খেলুম না!
গোপু ভাই, এই রওনক এখন আছে ইংল্যান্ডে। পেশায় ডাক্তার। ও আচ্ছা, রওনক কিন্তু মেয়ে। আমার নামের মতই ওর নামটাও প্রায়ই কনফিউজিশানের জন্ম দেয়।
সব্বাইকে অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৬
মাশীদ বলেছেন: এস এম মা মু, আমার বুয়েটের ক্লাস কিন্তু এখনো শুরু হয়নি !
১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:১৪
অতিথি বলেছেন: মাশীদ আপু, তোমার এই লেখাটা কি ভীষণ ভালো যে লাগে! আমি আজ 5 আর 6 একসাথে পড়লাম।
একটা জায়গায় হেসে ফেললাম খুব, যখন লিখেছো "অপু জেনারেল স্টোর" দেখলেও নাকি কার কথা মনে পড়তো! হি হি। আমার বাসা থেকে ভার্সিটি যেতে রোজ আসাদ গেটের আড়ং-এর সামনে দিয়ে যেতে হয়। আড়ং-এর নিচতলায় একটা দোকান আছে, "..... জোন" নামে। ঐটা দেখে আমিও ভাবি "রোজ সকালে পড়ছে মনে এই কথাটা কেমনে বলি?"
২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:২০
মাশীদ বলেছেন: Exactly! হা! হা! হা!
আসলেই...দোকানের নামগুলো বদলে ফেলা উচিত, কি বলিস? রাস্তায়ও যদি শান্তিমত বেড়ানো না যায়।
(হা হা হা... '... Zone'...হা হা হা! দুনিয়ার সবাই দেখি এক গোয়ালের গরু রে )
২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:০৩
ঝরা পাতা বলেছেন: দারুন। পরের পর্বের অপেক্ষায়, বিরতি সংক্ষিপ্ত হোক। বিটিভির বিজ্ঞাপন বিরতির মতো হয়ে যাচ্ছে।
অঞ্জনের আবৃত্তিটা শুনেই পরশপাথরের গান শোনা শুরু করি, সাথে মহীনের ঘোড়াগুলি। তবে অঞ্জনকে খুব সচ্ছন্দ মনে হয়েছে 'গানে গানে ভালোবাসাতে', নিমা রহমানকে ন্যাকা ন্যাকা মনে হয়েছে।
২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:৫৪
অতিথি বলেছেন: তোমার জীবণটা এত ভয়ংকর রকমের সুন্দর ....... ইশশশশশশশশ .......
২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৪৫
অতিথি বলেছেন: কি আশ্চর্য! অনজনের শোটা আমিও দেখেছিলাম।
বেশ উপন্যাস উপন্যাস মনে হচ্ছে। এবং উত্তেজনায় টানটান। যদিও শেষটুকু জানি আমরা। ডালপালা ছড়াবে নাকি?
২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:৫০
অতিথি বলেছেন: অরূপ যে মাইয়াগো ছবি দেখাইতাছে তাতে ওই এইডস এ আক্রান্ত অইবার পারে। খুব খিয়াল কইর্যা।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:২৫
আপন তারিক বলেছেন: এত্তো দিন পর ! আগের কাহীনিতো ভুলতেই বসেছিলাম!
২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৪২
অতিথি বলেছেন: তোরা আছস, দোকানের নাম নিয়া। জনগন তো পারলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা আর জায়গার নামই চেইঞ্জ করে ফেলে... এই যেমন ধর বাটারফ্লাই যেদিক দিয়ে আসে-আসাদ গেট। ধর কোন বেটির প্রেমিক মদনের নাম আসাদ, এখন ঐ বেটিতো এ নিয়ে চিল্লা ফাল্লা করবে। আসাদ গেট কেন? মদন গেট করো...
ইত্যাদি। আরো আছে অহন কওনের বেইল নাই। তবে আড়ঙের ঐ জেনারেল স্টোরটায় বেশ কয়েকবার ঢুঁ মারছিলাম এইটা বলার বেইল আছে।
২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৪৭
মাশীদ বলেছেন: আড়ং এর কোন জেনারেল স্টোর? বাটারফ্লাই যে দোকানের কথা বলছে সেটা জেনারেল স্টোর না। আমি যেটার কথা বলছি সেটা জেনারেল স্টোর তবে আড়ং এর কাছে না।
তোর প্রেমিকা সত্যি আসাদ গেটের নাম চেঞ্জ করতে চেয়েছিল?
২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৫২
অতিথি বলেছেন: আমার প্রেমিকার কথা কশ ছেমড়ি? সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করবি নেক্সট টাইম রেফারেন্স দিতে।
আমি তড়কা মার্কা " 'টি'.... জোন" টার কথাই বলছি। তোরটাও চিনি, কিন্ত লোকেশন মনে নাই। জোনের কথাটা মনে আছে, কারণ ঐখানে লালমাটিয়া কলেজ আছে
২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৫৭
মাশীদ বলেছেন: হুমম...তাই তো আসাদ গেটের নাম নিয়ে এত চিন্তা তোর! 'টি...জোন' রে জেনারেল স্টোর বানায় দিলি ক্যান?
মনটা খারাপ। আড়ং এর চটপটি খেতে মন চায়।
৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:০১
অতিথি বলেছেন: কেন যে বানাইলাম এইটা বুঝবি না তুই...
যা ভাগ
৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:১৯
রাগ ইমন বলেছেন: মিসেস হইয়া ইনফো মিস করবা , তা তো হয় না , তাই মন্তব্যটা এখানেও দিলাম।
এমন করিয়া কইয়ো না বুনডি, পরান ফাটিয়া যাইবেক। ধুরও.......তোমার যোগ্য লেখা মনে হলো? হায় হায়, চিনলি না রে , চিনলি না..........[ মনে মনে অনেক দুঃখ নিয়া গাইতেছি]
মেজাজ প্রচন্ড খারাপ আর মন ভীষন বিষন্ন .........এই রকম অবস্থায় আব ঝাব লেখা আর কি.........আহাম্মকিয় শের কইতে পারো।
তোমাকে আর অরূপকে নিয়ে লেখা কবিতা দিবনে এক সময়, তোমার পরের পর্ব কই........আমাকে তো চাতক বানিয়ে ফেলেছ। তোমারে লেখার হাত .........তোমার মতই..........সোনা ফলানো!!!!
কে ব্যথা পেল , কে হাসলো। এসব ভাবলে লেখার স্বতঃস্ফুর্ততা নষ্ট হয়ে যাবে........তার চেয়ে তুমি তোমার মত লিখে যাও, আমি আমার মত কেঁদে যাই!
তোমার লেখা আমাকে 1991 সালে নিয়ে যায় বার বার........সেটাই বললাম!
৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৫
অতিথি বলেছেন: মাশীদ রে, রাগু আফারে এক্কাপ চা কইরা দে, দুধ চিনি বেশি!
৩৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪৪
রাগ ইমন বলেছেন: 15 বছর............এত তাড়াতাড়ি জীবন চলে যায়? আমি তো এখনও নাক টানলেই বেলী ফুল গুলোর গন্ধ পাই, একমাত্র গোলাপ কলিটা আছে এখনও আমার প্রথম কবিতার ডায়রীর ফাঁকে!!!
মৃত্যু তাহলে দূরে নেই.............বাহ......আ যা বাচ্চো!!!
৩৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪৮
মাশীদ বলেছেন: আহা! 15 বছর আগে কি হল? আসলেই সময় এত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। আমারো অবাক লাগে, কত কিছু মনে পড়ে যায়। এখন একটা গান শুনছি 'তুমি কি আমায় আগের মত বাসো ভাল' । গানটায় জোছনা, মেঘ এসব নানা কাব্যিক ভাব আছে। শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এগুলো থেকে এখন কত দূরে।
৩৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪৯
মাশীদ বলেছেন: ঐ সময় আর নেই। ঐ ভাব নেই। ঐ অস্থিরতা নেই।
দেশের কথা মনে হচ্ছে খুব।
৩৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫৪
অতিথি বলেছেন: দোস্ত গান শুনতাছ?
GB MvbUv শুইনা দেখ, কাহিনী পরে বলবো নে।
৩৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:০৩
মাশীদ বলেছেন: কি গান দিলি! মন তো আরো খারাপ হয়ে গেল। কাহিনী মনে করে বলিস কিন্তু।
আজবের গান জোশ। এইটা আগে শুনি নাই। থ্যাংকস দোস্ত।
৩৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: No worries mate
ইদানিং আমার কাছে মন খারাপ করার মহৌষধ আছে।
৩৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:০৮
অতিথি বলেছেন: ধ্যাত - এই সিরিজ আর পড়ুম না! বেশী ভাল লাগলে নিজের মধ্যেই ঝামেলা লাগে।
৪০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:২২
মাশীদ বলেছেন: কৌশিক ভাই, লজ্জা পাইলাম আবার। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। I was looking forward to your comment.
৪১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:২৮
রাগ ইমন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা মাশীদ। তোমার দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই......স্রেফ জীবন........তোমাদের কাহিনী পড়ে আমার যে কি ভাল লাগে!!!!
আমি পাইনি তো কি হয়েছে......তোমাদের সুখ দেখে নিজের কষ্ট ভুলে থাকি.........প্লিজ লেখাটা বন্ধ করো না........তুমি আশা বাঁচিয়ে রেখেছ.......জানো সেটা?
৪২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪৬
অনিক বলেছেন: প্রজাপতি.
আপনি কি Tareq's Zone বোঝাতে চাচ্ছেন? তা তারেক সাহেব কেমন আছেন আজকাল??
৪৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৩১
অতিথি বলেছেন: মাশীদ আপু,
হি হি হি
আমি আপনার এই লেখাটা একটু একটু করে পড়েছি.... কারণ হলো... ধরলেই পড়া শেষ হয়ে যাবে... তারপর তো আর বলা যাবে না আপনি ঐ সপ্তাহে বা এই মাসে কো পোস্ট দিবেন নাকি? তাই একটু ধীরে সুসএথ পড়েছি
আর পরবতর্ী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আর শেষ করার কোন চিন্তা কইরেন না... আমরা শেষ হতে দিবো না.... দরকার হলে আমি আবার লিখা শুরু করে দিবো...
৪৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৩৪
কনফুসিয়াস বলেছেন: রয়েসয়ে সহ্য হচ্ছে না। কুইক পরের পর্ব নামাও!
৪৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রাবাব বলেছেন: [ইংলিশ]যঃঃঢ়://িি.িসবমধঁঢ়ষড়ধফ.পড়স/?ফ=226চ1ইটণ[/ইংলিশ
masheed apu, ajke kichhui bolbo na. likhte thako. shudhu ei golpo jeno kokhono ar shesh na hoi. cholte thakuk.
ekta album dilam. everything but the girl er amplified heart. touching
৪৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাবাব বলেছেন: Orkut e dilam. Eikhane link jachche na.
৪৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
রাবাব বলেছেন: দেখি। সরি। আগের কমেন্টস গুলা ডিলিট করে দিও।
ঢাকার আবহাওয়া মিস করলা।:-)
৪৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪৯
মদন বলেছেন: টারকস জোন এর বাচ্চাদের ড্রেস সুন্দর
৪৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৮
অতিথি বলেছেন: অনেকদিন পর পড়লাম। Cascaders -এর Rhythm of Rain গানটা মনে পড়লো।
৫০| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১২:০০
মাশীদ বলেছেন: ধন্যবাদ। গানটা শুনিনি। এখনই youtube.com এ কটা সার্চ দেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:২৮
পথিক!!!!!!! বলেছেন: জারির আমেরকিাতে আছেনা মাশিদ। ও লেখে না কেন ব্লগে.................