![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-তুমি আবার গাজা খেয়ে এসেছ?
- হুম
-তোমার মধ্যে কি কোন ধরনের অপরাধবোধ কাজ করে না?
-অপরাধ বোধ কাজ করবে কেনো?আমি তো অপরাধ করছি না
-তোমার কি তাই মনে হয়?গাজা খাওয়া পূন্যের কাজ?
- শোন আমাদের সবার চোখের সামনে একটা পর্দা থাকে।এই পর্দার জন্য আমরা সৃষ্টির সৌন্দর্য্যের বেশিরভাগ ই উপভোগ করতে পারি না।গাজা সেই পর্দা সরিয়ে দেয়।
- তুমি একজন মানসিক রুগি এটা কি তুমি জানো?
- আমরা সবাই মানসিক রুগি নীলা।মানসিক রুগি না হলে আমরা সবাই হারিকিরি করে মরে যেতাম
- হারিকিরি কি জিনিস?
- প্রাচীন চীনের এক প্রকার আত্মহত্যার পদ্ধতি।এবং এটা শুধুমাত্র পরাজিতদের জন্য।আমরা কি পরাজিত নই?
-হুম।আমরা পরাজিত।অন্তত আমি পরাজিত।একজন চোরের ও নিজের কর্মের পিছনে যুক্তি থাকে।তার মানে এই না যে তাদের যুক্তি মেনে নিয়ে চুরি করাকেও পুন্যের কাজ বলবো
- চুরি করা পূন্যের কাজ না হলে সবাই ধরা খেয়ে যাবে নীলা।কারন আমরা সবাই চোর।সবাই কিছু না কিছু চুরি করে থাকি।তবে তুমি চোর না।চুন্নি।হা হা হা
- তোমার এই সব হাই ফিলসফির কথা তোমার কাছে রেখে দাও।আমি চললাম।তোমার মত ছেলের সাথে কিছু সম্ভব না।
- কোথায় যাবা?
- যে খানে খুশি।
- ফেরার পথে এক পুরিয়া গাজা নিয়ে এসো।
- শাট আপ ইউ ইডিয়ট
- বঙ্গানুবাদ টা করে দাও সুন্দরী।ম্যাট্রিক পরিক্ষায় ইংলিশে অল্পের জন্য ধরা খাই নাই।
নীলা অনিককে থাপ্পড় দিয়ে চলে গেল।থাপ্পড় দেয়ার পরেও অনিকের কোন ভাবান্তর হল না।যেনো থাপ্পড় দেয়াটাই স্বাভাবিক।থাপ্পড় না দিলেই সেটা অস্বাভাবিক হত।
রাগে দুখে নীলার শরীর কাপছে।কান্নায় ভেঙে পরতে ইচ্ছে করছে।সে দ্রুত পায়ে হেটে যাচ্ছে।রাস্তাঘাটে কান্নাকাটি করা ঠিক হবে না।
অনিক চিল্লায় চিল্লায় বলছে- তোমার স্পর্শ মোরে ধন্য করলো সুন্দরী…দেখে যাও গালে কি সুন্দর চিত্রকর্ম একে গেছো তুমি…পৃথিবীর মানুষ তোমায় পূজা করবে দেবী।তবে মারবেই যখন হাত দিয়ে মারলে কেনো?আমি তো তোমার চোখে মরতে চেয়েছিলাম …চোখ দিয়ে দুটো গুলি মেরে যাও।আমি নেশাগ্রস্থ প্রেমিক।দুটো গুলিতেই কাবু হয়ে যাবো।
নিলা অবাক হয় কিছুটা।মানুষ এতটা খারাপ কিভাবে হয়!
অনিক মোবাইল বের করল।একজনের রাগ ভাঙাতে হবে।কল ধরবে কিনা সেটাই চিন্তার ব্যাপার।প্রেমিকা বড়ই অভিমানি প্রজাতি।গাজার কথাটা মিথ্যা ছিল এটা অন্তত জানায় দেয়া উচিত।রাগানোর জন্যই বলা।প্রেমিকাকে রাগানোর মধ্যে আনন্দ আছে।এই আনন্দ মাঝে মধ্যে পেতে ইচ্ছা করে।তখন গাজা নামক মারনাস্ত্র ব্যাবহার করতে হয়।
অনিকের চোখ জ্বালা করছে।ধোয়া দিলে চোখ রক্তজবার মত লাল করার পদ্ধতিটা নিম্নশ্রেনির পদ্ধতি।
কল দিতে হবে এখনি।নাইলে চোখের পানির বন্যায় দেশ ডুবে যেতে পারে।আয়্কুআস হিউমারের বন্যা।দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশকে মহামারী থেকে বাচানো উচিত।
নিলার মন খারাপ।অসম্ভব খারাপ।অনিক কিভাবে এটা পারলো?মানুষ এতটা আজব কিভাবে হয়?ভালবাসার কোন মূল্যায়ন ই নেই তার কাছে।নীলা ঠিক করছে আর কোনদিন অনিকের সাথে কথা বলবে না।কল দিতে দিতে যদি মরেও যায় তাও কল ধরবে না।মোবাইল থেকে নাম্বারটাই ডিলেট করে দিবে।ফাজিল ছেলে,গাধা ছেলে…কোন অনূভুতি ই নাই।এইভাবে কিছু সম্ভব!নীলার আরো বেশি কান্না পেয়ে যায়।
নীলার মোবাইলে কল এসেছে।অনিক।
প্রথমবারেই নীলা রিসিভ করে চুপ করে থাকলো।
- গাজার ব্যাপারটা মিথ্যা ছিল
নিলা কোন কথা বলছে না।তবে বোঝা যাচ্ছে কাদছে।নাক টানার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
- এত টুকু পথে যেতেই ঠান্ডা লাগিয়ে ফেললে?নাক টানা বন্ধ কর।মেজাজ খারাপ হচ্ছে
নীলার এবারো কোন কথা নেই।
- আমার সামনে একটা পাখি বসে আছে।চুড়ুই পাখে।আমাকে বলছে সে নাকি আম্কে ভালবাসে।আমি যদি তার ভালবাসা গ্রহন না করি তাইলে নাকি সে নদীতে ঝাপ দিয়ে মরে যাবে।আমি বললাম কোন নদী?সে বলল…
- তুমি চুপ করবা?
- আচ্ছা চুপ করলাম।একটা কথা শুধু বলি?
-না
-তাইলে চুপ হয়ে যাব?চুপ হয়ে গেলে সহ্য করতে পারবা তো?
- বেশি কথা না বলে যা বলার তাড়াতাড়ি বল।
- এত ব্যাস্ত কেনো সুন্দরী?কেয়ামতহতে এখনো অনেক দেরি।যাই হোক,যা বলতে চাই…হে ক্রন্দনকুমারী,তুমি কি আমাকে ভালবাস?
-না।তোমাকে ঘৃনা করি।পৃথিবীর সবার চেয়ে সব থেকে বেশি
- তোমার ঘৃনা আমি গ্রহন করলাম দেবী।
নীলা হেসে ওঠে।তার হাসিতে সংক্রামিত হয়ে অনিক ও হাসে।নিষ্ঠুর পৃথিবীতে যখন ভালবাসার মহামারী ঠিক তখন ই পৃথিবীর কোন এক কোনায় বসে দুজন ভালবাসায় বিনিময় করছে।এক পৃথিবী ভালবাসা
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
নিক-অনিক বলেছেন: ভাল্লাগসে
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
প্রজন্মের কবি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: নিষ্ঠুর পৃথিবীতে যখন ভালবাসার মহামারী ঠিক তখন ই পৃথিবীর কোন এক কোনায় বসে দুজন ভালবাসায় বিনিময় করছে।এক পৃথিবী ভালবাসা