নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রজন্মের কবি

প্রজন্মের কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রান্তি

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

নিলীমার সামনে একটা অপরিচিত লোক বসে আছে।নিলিমার বেশ অসস্থি লাগছে কারন লোকটা বেশ কিছুক্ষন থেকে তার বুকের দিকে তাকিয়ে আছে।লোকটার বয়স চল্লিশ এর কাছাকাছি হবে।মাথার সামনের চুল পাতলা হয়ে গেছে।গালে খোচা খোচা দাড়ি।শখের দাড়ি না।অযত্নে বেড়ে ওঠা দাড়ি।হয়্তো শেভ করার সময় পাননি।



নীলিমা শারীর আচল সামনে নেয়।তার আশা এতে যদি লোকটার চেতনা আসে।কিন্তু না।লোকটা তবুও নিলীমার বুকের দিকেই তাকিয়ে থাকে।দৃষ্টি একদম অপলক।যেনো গভির কিছু চিন্তা করছে।এই সব লোককে নিলীমার চেনা আছে।এরা চিন্তায় চিন্তায় ধর্ষন করে ফেলে।কিন্তু এত আজব লোক সে আগে দেখেই নি।চোখ একদম সরাচ্ছে না!



নিলীমা লোকটাকে কিছু বলার চেষ্টা করে।কথা বললে হয়্ত লোকটা চোখ তুলবে।কিন্তু কি বলবে ভেবে পায় না।আচ্ছা লোকটা কি বিবাহিত?অবিবাহিত মানুষদের এই রকম বাজে স্বভাব থাকে।



নিলীমা গলা খাকারি দিয়ে বলে-ভাবি কেমন

আছে?

লোকটা চোখ না সরিয়েই বলল-জ্বী ভাল

আছে

তার মানে লোকটা বিবাহিত!অবিবাহিত হলে না

হয় কথা ছিল।নিলীমা কিছু বলতেও

পাচ্ছে না।ইনি নাকি শাহেদের গ্রামের বাড়ির

লোক।এই রকম একটা অভদ্র লোকের সাথে

শাহেদের পরিচয় থাকে কিভাবে?



শাহেদটাও আসছে না।অফিস থেকে আসতে

এতক্ষন লাগে?নিলীমার ভয় লাগা শুরু হয়।

হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠে।নিলীমা প্রায়

উড়ে এসে দরজা খুলে দেয়।শাহেদ এসেছে।

শাহেদ রুমে ঢুকে লোকটাকে দেখে মুখে

হাসি টেনে বলে-ভাল আছেন আপনি?তারপর তার

উত্তরের জন্য অপেক্ষা না করেই নিলীমাকে বলে-

ইনি হচ্ছেন রহমত চাচা।এখানে এসেছেন

ডাক্তার দেখাতে।বেচারা ১ সপ্তাহ থেকে

চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.