![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু চার মিনিটের বৃষ্টি নয়।বৃষ্টি হবে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত।আমি অফিস কামাই দিব।তুমি খুশি হবে।যাক লোকটা আজকে সারাদিন বাসায় থাকবে।কিন্তু লাভ কি?আমি তো কাথা মুড়ি দিয়ে মরার মত বেশক্ষন ঘুমাবো।তুমি এসে কাথা টেনে ফেলে দিবে।আমি বিছানার চাদর টেনে গায় দিব।তারপর আবার ঘুমাবো।
ঘুম থেকে উঠে দেখবো গরম গরম ধোয়া ওঠা খিচুড়ি রেডি।সাথে গরুর মাংস,কাচা মরিচ,টমেটোর সালাদ আর এক ফালি লেবু।মুখ না ধুয়েই প্লেটে টেনে নিব।এই বস্তু না খাওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই।
ভর পেট খেয়ে আবার ঘুমাবো।তুমি অসহায় দৃষ্টি তে তাকাবে।লোকটা এত অরোমান্টিক ক্যান?
আমি রোমান্টিকতার প্রমান দেখানোর যন্য তোমার কোলে মাথা রাখবো।তোমার চুল নিয়ে কিছুক্ষন খেলা করবো।তারপর?তারপর আবার কি?আবার ঘুমাবো।
বিকেলে যখন বৃষ্টি থামবে।তোমাকে নিয়ে স্নিগ্ধ আলোয় হাটতে বেরবো।এই আলোকে কি বলে জান প্রিয়তমা?এই আলো হচ্ছে কন্যা সুন্দর আলো।এই আলোতে সব মেয়েদের সুন্দর লাগে।
তুমি লাল শাড়িটি পড়বে আমি পড়বো পাজ্ঞাবি।কিছুক্ষন হাটবো তারপর একটা রিকশা ভাড়া করে শহরে ঘুরে বেড়াবো।আইসক্রিম খাবো,ঝালমুড়ি খাবো।ফুল কিনবো।তোমার খোপায় গুজে দিব।আর হ্যা।লাল টিপটা পরতে ভুলবে না যেন।লাল টিপ ছাড়া তোমাকে একদম সুন্দর লাগে না।
আবার বৃষ্টির দিন কখনো এমন ও হতে পারে।এই ধর একটা ঘর থাকবে।টিনের ঘর।ঘরে বিশাল মাপের জানালা থাকবে।বৃষ্টি ঝুম ঝুম করে আছড়ে পড়বে টিনের চালে।আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখবো।রবিন্দ্র সঙ্গিত অল্প আওয়াজে বাজবে।এক নারী থাকবে।গরম গরম চাল ভাজা আর চা নিয়ে আসবে।তারপর তাকে ঘর থেকে বের হয়ে যাবে।কারন তার থাকার অনুমতি নেই।কিছু মানুষ একা একা বৃষ্টি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।তখন পাশে অন্য কেউ থাকলে বিরক্ত লাগে।মেয়েটা চোখের পানি আড়াল করে চলে যাবে।ঘরের সামনের কদমতলায় গিয়ে দাড়াবে।একা একা বৃষ্টি তে ভিজবে।আহারে!
এটা স্বপ্ন।এটা কখনো বাস্তব হবে না।বাস্তবতা অনেক সুন্দর হবে।আমি আর সে দুইজন ই কদমতলায় বৃষ্টিতে ভিজবো।হাত ধরে নাচবো।কদম ফুল ছোড়াছুড়ি করবো।ঘরের ভিতর বসে আমরা চা,চালভাজা খাবো না।কারন আমাদের অমন কোন টিনের ঘর থাকবে না।আমরা বৃষ্টিতে ভিজেই বৃষ্টি উপভোগ করবো।সে আচল দিয়ে আমার মাথা মুছে দিবে।
©somewhere in net ltd.